লাইভ হ্যাকিং কি? কিভাবে করে?

আসসালামু আলাইকুম,

হ্যাকিং বললে প্রথমেই আমাদের মাথায় আসে কম্পিউটার এর কথা আর হ্যাকার বলতে তাই চোখে ভেসে ওঠে বড় সাইজের টি-শার্ট, মাথায় উস্কোখুস্কো বড় চুল আর চোখে চশমা পড়া কেউ একজন। কী-বোর্ডে দ্রুতগতিতে কিছু টাইপ করে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সে ধ্বসিয়ে দিয়েছে শত্রুপক্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।কিন্তু বাস্তব সে রকম না এবং কম্পিউটার ছাড়াও হ্যাকিং সম্ভব।

কেউ যদি বলে যে সে SQLI, DDOS, XSS,IDOR,CSRF এবং Coding, Programming, Software and Games Crack করতে পারে Cpanel hack, Shell Uplod অ্যান্ড Root Access ও নিতে পারে, virus বানাইতে পারে,Windows, Linux Etc. অপারেটিং সিস্টেম হ্যাক করতে পারে, ওয়ারলেস হ্যাকিং পারে তাইলে কি সে হ্যাকার না? হ্যাঁ সে একজন মোটামটি ভালো মানের কম্পিউটার হ্যাকার।

কারন সে কম্পিউটার প্রোগ্রামের ত্রুটি বের করে তাঁরপর OS হ্যাক করে,ওয়েবসাইট এর বাগ বের করে সাইট হ্যাক করে, কোডি ট্রিক ফলো করে রুট এ অ্যাক্সেস নেয়,প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করে ভাইরাস বানিয়ে হ্যাকিং করে ইত্যাদি। এই সব কাজ কিন্তু সবাই পারে না আর শিখতে ও অনেক সময় এবং পরিশ্রম লাগে, তাই বলা যায় সে একজন কম্পিউটার হ্যাকার।তবে সে এখনোও আসল হ্যাকিং লাইভ হ্যাক ব্যাপারে জানে না।

কম্পিউটার কি?

যেগুলো কম্পিউট বা গণনা করতে পারে, সেসব কিছুই আসলে কম্পিউটার। ক্যালকুলেটর, ফোন থেকে শুরু করে গুগলের বিশাল বিশাল সাইজের সার্ভার সবই আসলে কম্পিউটার।

হ্যাকিং কি শুধুই কম্পিউটার এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ?

না, অনেকেই মনে করে কম্পিউটার হ্যাকিং তো আর কম্পিউটার ছাড়া সম্ভব না কিন্তু আসলে মানুষ হ্যাকিং করছে কম্পিউটার আবিষ্কার হয়ার অনেক আগে থেকেই।অর্থাৎ কম্পিউটার ছাড়াও হ্যাকিং সম্ভব এমনকি কম্পিউটার হ্যাকিংয়েও সম্ভব। whatishacking.org তে গিয়ে হ্যাকিংয়ের সংজ্ঞা দেখে আসেন। হ্যাকিং দিয়ে সব কিছুই হ্যাক করা যায় এমনকি মানুষকে হ্যাক করা সম্ভব যেমনঃ ব্রেন হ্যাকিং,মাইন্ড হ্যাকিং, ইমোশান হ্যাকিং ইত্যাদি।

কম্পিউটার ই যদি না থাকে তাহলে মানুষ কি হ্যাক করত?

আগে মানুষ টেলিফোনে নেটওয়ার্ক, ট্রেন এর টিকিট, রেডিও বার্তা,মানুষ হ্যাকিং ইত্যাদি করত।হ্যাকিংয়ের ইতিহাস পড়ে থাকলে আপনি জানতে পারবেন যে ১৯০৩ সালে রেডিও বার্তা হ্যাকিং করা হয় এর পরে ১৯৩৭ সাল থেকে কম্পিউটার হ্যাকিং শুরু হয়।

প্রোগ্রামিং কি?

প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করে প্রোগ্রাম বানানোর সময় যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তাই প্রোগ্রামিং।

প্রোগ্রামিং দিয়ে কি কি করা যায়?

“একটি শিশুকে একটি আইফোন দিলে সে দিনরাত অ্যাংগ্রি বার্ডস খেলবে, শিশুটিকে কোডিং শিখালে সে আইফোনটার জন্য সফট্ওয়্যার তৈরি করবে”। প্রথমত প্রোগ্রামিং দারুণ মজার একটি জিনিস,দ্বিতীয়ত প্রোগ্রামিং পুরোটাই লজিকের। প্রোগ্রামিং দিয়ে অনেক কিছু করা যায় যেমনঃ ওয়েবসাইট বানাতে যায়, সফটওয়্যার বানানো যায়(অনেক রকম সফটওয়্যার কম্পিউটার সফটওয়্যার,os,গেম,ভাইরাস ইত্যাদি),গণিতের সমস্যার সমাধান করা যায়,অ্যানিমেশন বানানো যায়।

প্রোগ্রামিং দিয়ে আপনি কম্পিউটারকে আপনার কথায় উঠা-বসা করাতে পারবেন, যেসব কাজ বোরিং সেগুলো স্বয়ংক্রিয় ভাবে করে দিবে প্রোগ্রামিং অর্থাৎ ছোটো-খাটো কিন্তু বোরিং কাজ করার জন্য চট করে একটা স্ক্রিপ্ট লিখে ফেলতে পারেন তারপর সেটাকে কাজ করতে দিয়ে আপনি অন্য কাজ করতে পারেন।

লাইভ হ্যাকিং কি?

বাস্তব জীবনে হ্যাকিংয়ের ব্যবহারই হচ্ছে লাইভ হ্যাকিং।

লাইভ হ্যাকিং কিভাবে করে?

টিউটোরিয়ালের শেষে এর উওর আছে। আসুন জানি কত % হ্যাকার লিট।যারা আইডি হ্যাকিং করতে চায় তাদের ৯০% ওয়েবসাইট হ্যাকার হইতে চায় আবার ওয়েবসাইট হ্যাকারের ৬০% কম্পিউটার হ্যাকার হইতে চায়।যারা কম্পিউটার হ্যাকার হইতে চায় তাদের মধ্যে ৩০% লাইভ হ্যাকিং হ্যাকার হইতে চায়।

আইডি হ্যাকিং,মোবাইল হ্যাকিং,ওয়েবসাইট হ্যাকিং,কম্পিউটার হ্যাকিং,লাইভ হ্যাকিং এইসব পারে এমন মানুষ মাত্র ১৫% তবে এইসব ব্যাপারে জানে এমন মানুষ ৪০%। এবার আসি লিট হ্যাকারের ব্যাপারে যেই ১৫% মানুষ আইডি হ্যাকিং,মোবাইল হ্যাকিং,ওয়েবসাইট হ্যাকিং,কম্পিউটার হ্যাকিং,লাইভ হ্যাকিং পারে তাদের মধ্য মাত্র ৮% মানুষ লিট হ্যাকার। তবে প্ল্যাটফর্ম অনুযায়ী লিটের সংখ্যা বেশি।

আইডি হ্যাকিংয়ের ভিতরে আছে (ফেসবুক,ইমেইল,টুইটার) সব ধরণের আইডি হ্যাকিং,ফোন হ্যাকিংয়ের ভিতরে আছে (ফোনের সব কিছুতে এক্সেস) নিয়ে হ্যাকিং,ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের ভিতরে আছে (ডার্ক ওয়েবের সাইট সহ) সব ধরণের ওয়েবসাইট হ্যাকিং,কম্পিউটার হ্যাকিংয়ে আছে (কম্পিউটারের সব কিছু এক্সেস নিয়ে) হ্যাকিং,Reverse Engineering (জীবনের সব ক্ষেত্রে এর ব্যবহার তবে সাধারণত সফটওয়্যার মোডিফাই করা হয় এটা দিয়ে),লাইভ হ্যাকিং (মাইন্ড হ্যাকিং,ব্রেইন হ্যাকিং,ফিজিকাল কিছু পরিবর্তন করে এক্সেস নিলে সেটাকে হার্ডওয়ার হ্যাকিং বলে যা লাইভ হ্যাকিংয়ের মধ্যে পড়ে)।

নেটওয়ার্ক হ্যাকিং,ক্রেকিং,কার্ডিং,জীব হ্যাকিং আরোও যত প্রকার হ্যাকিং আছে সবই মূলত আইডি হ্যাকিং,মোবাইল হ্যাকিং,ওয়েবসাইট হ্যাকিং,কম্পিউটার হ্যাকিং,লাইভ হ্যাকিং এইসবের মধ্যে পড়ে। লিট হওয়ার প্রথম শর্তই হচ্ছে আপনাকে প্রোগ্রামিং জানতে হবে আপনি যদি সারা পৃথিবীর সব কিছু হ্যাক করেন কিন্তু যদি প্রোগ্রামিং না পারেন তাইলে অন্তত আমি আপনাকে লিট বলব না।লিট অর্থ সেরাদের সেরা এমনিতেই কেউ লিট হয়ে যায় না আর প্ল্যাটফর্ম ভিওিক লিট হওয়াটাতে প্রোগ্রামিং লাগে না যেমন লাইভ হ্যাকিংয়ে প্রোগ্রামিং লাগে না।

Learn something real like Life Hacking, Reverse Engineering, Hardware Hacking, Bio Hacking, Hacking into cars, TV Hacking, Hijacking houses, Mixed Hacking 
More TYPE not only Id Hacking, Phone Hacking, Website Hacking, Computer Hacking, Network Hacking, Cracking, Carding like Those Type.

প্রত্যেক হ্যাকিংয়েরই বেসিক,মিডিয়াম,এডভান্স লেভেল আছে।কেউ যদি বেসিক হ্যাকিং করে নিজেকে এডভান্স লেভেল হ্যাকার মনে করে তাইলে সে ভুল করবে। আইডি হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে phishing করে আইডি হ্যাক করা বেসিক লেভেল আর Facebook bug exploitation করে আইডি হ্যাক করা এডভান্স লেভেল। ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে union base sqli করা বেসিক লেভেল oday এক্সপ্লয়েট করা এডভান্স লেভেল। কম্পিউটার হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে keylogger ব্যবহার করে হ্যাক করা বেসিক লেভেল আর oday এক্সপ্লয়েট করা এডভান্স লেভেল।

আগে মানুষ আইডি হ্যাকিং করতে পারলেই নিজেকে হ্যাকার মনে করত তারপর ওয়েবসাইট হ্যাক করে নিজেকে হ্যাকার মনে করত তারপর কম্পিউটার হ্যাক করে নিজেকে হ্যাকার মনে করত কিন্তু এখন যুগ পাল্টাইছে।এখন অন্যান্য হ্যাকিংয়ের সাথে লাইভ হ্যাকিং না করে নিজেকে আর হ্যাকার দাবি করা যায় না।

সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়েছে কম্পিউটার, কম্পিউটারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং হ্যাকিংয়ের কলাকৌশল।আজকাল তো মিশ্রহ্যাকিংও হচ্ছে অর্থাৎ কম্পিউটার হ্যাক করা হচ্ছে কম্পিউটার আর হার্ডওয়্যার হ্যাকিংয়ের মেথডের মিশ্র করে।আরোও বিভিন্ন কিছু বিভিন্ন ভাবে মিশ্রহ্যাকিং হচ্ছে। একজন হ্যাকার exploit-db, একজন প্রোগ্রামার Stackoverflow, একজন ক্রেকার darkweb,একজন লাইভ হ্যাকার lifehack বা 1000lifehacks এইসব সব সাইট ভিজিট করবে এটাই স্বাভাবিক।

Reverse Engineering :

যা করতে ভালো লাগে তা আপনি করবেন আর যা করতে ভালো লাগে না তা আপনি করবেন না এটাই স্বাভাবিক। কোন জিনিস আপনার ভালো লাগবে কিনা তা না করলে তো আর বুঝার উপায় নাই। তবে একবার ভালো লেগে গেলে মজা পেয়ে গেলে সারাদিন সেটাই করবেন তাই স্বাভাবিক। প্রোগ্রামিং,হ্যাকিং,ক্রেকিং,কার্ডিং,ডার্ক ওয়েবের সাইট হ্যাকিং,লাইভ হ্যাকিং আরোও বিভিন্ন প্রকার হ্যাকিং যদি আপনার ভালো না লাগে তাহলে জোর করে করার দরকার নাই, এটা আপনার জন্য না অন্য যেটা ভালো লাগে সেই কাজ করুন।

খুঁজে বের করুন আপনার কি করতে ভালো লাগে। হ্যাকিং করতেই হবে এমন কোন মানে নেই,অনেকের কখনো কখনো হ্যাকিং করে আবার কখনো কখনো করে লক্ষ্য করেছেন মনে হয়।কারণ হচ্ছে তাদের যখন হ্যাকিং করতে ভালো লাগে তারা করে যখন ভালো লাগেনা করে না। ভুল কিছু যদি বলে থাকি তাহলে জানাবেন।

ফেসবুকে আমি

Level 1

আমি মোঃ রেজওয়ানুল হক স্বজন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

অসাধার লিখছেন ভাই