বাংলাদেশী ওয়েবসাইট কতপ্রকার ও কি কি, বিস্তারিত আর আমি যেই কারনে ভয় পাইলাম ।

মাঝে মাঝে বাংলাদেশী ওয়েব মাস্টার দের দেখলে ভয় লাগে, মাঝে মাঝে আফসোস লাগে। প্রায় সবার নজর কয়েক টা যায়গায় থেমে গেছে। বিস্তারিত বলিঃ

  • ১।ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল মেরে জারিদা বা সাহিফা বা অন্যকোন থিম লাগিয়ে নিয়ে ডাউনলোড সাইট। পোস্ট হবে কপি , কপি করার মাঝেও কোন ক্রিয়েটিভিটি নাই। যা পাচ্ছে তাই অন্ধের মত পোস্ট করতেছে। প্রায় সবগুলো সাইট ঘুরে দেখলে ঘুরে ফিরে সেই একি পোস্ট।দিনে এরকম সাইট ৪-৫ টা জন্ম নেয় রোজ ।
  • ২। ডাইরেক্টরী সাইটঃ এনারা খানিক টা উন্নত, একটা ডোমেইন কিনে নিয়ে এক কোটি সাইটের লিঙ্ক বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে লাগিয়ে বসে গেছেন বিজনেস করতে । টিভি চ্যানেল, অনলাইন পত্রিকা কি নাই সেখানে।
  • ৩। ব্লগঃ মুলত প্রাধান্য পায় টেক ব্লগ গুলো। চাহিদা থাকে টেকটিউন্সের মত বা এরকম কিছুর। দিনে না হলেও সপ্তাহে এরকম সাইট একটা করে জন্ম তো নেয় ই।
  • ৪। মোবাইল সাইটঃ ওয়াপকা মোবির কথা না বলাই ভালো হবে,দিনে কহাজার সাইট যে রোজ জন্ম নেয় ওয়াপকা এডমিন দেখলে হার্ট এটাক করবেন। এগুলোর ক্যাটাগরি দুইটা, ডাউনলোড বা ফোরাম। যেগুলো ফোরাম সেগুলো তে যা দেখতেছেন সবি কপি।
  • ৫। নিউজ পেপারঃ ওরেহ মা রে, ছাইরা দে, প্যান্ট রেখে পালাই। "নাইকার মোবাইল খেয়ে ফেললেন নায়ক, এবার হ্যাপিও ? শেষ জীবনে এসে একি করলেন ববিতা ? " এ ধরনের পোস্ট এগুলোর বেচে থাকার অবলম্বন।
  • ৬। ইকমার্সঃ টেক টিউন্সে কি ভুলে যে আমি ইকমার্স করার বুদ্ধি দিছিলাম, আমার গত বছরের এই টিউন টা,  এখন আমার নিজের পেছন দিকে লাথি মারা উচিত, পাইকারী হারে বাড়তেছে অনলাইন শপ।মান, গ্রাহক সেবা এগুলোর কথা না বলি। বড় বাজেটের সাইট যেমন প্রিয়সপ ও কেমন তা অবশ্য স্থানীয় ছোটভাই ব্লগার মারুফের টিউন এ দেখা হয়ে গেছে আমার।

যাক ক্যাটাগরী গেলো, এবার এ সাইট গুলোর আপডেট নিয়া বলা যাক। ব্লগ বা ট্রিক টিপস সাইট গুলোতে এডমিন সাইট রেডী করার পর প্রথম ৩ দিন দেদারসে পোস্ট করেন, পরের ১ সপ্তাহ টেনে টুনে। পরের ৩ মাস হুট হাট ভুল করে সাইটে ঢুকে পড়লে একটা পোস্ট কোথাও থেকে মেরে দেন । এরপর ? নাই ! আগ্রহ মইরা গেছে, ডোমেইন রিনিউ করার জণ্য ফোন দিলেও পাত্তা নাই।

এবার আমার প্রশ্ন, ক্যান রে ভাই, ভাত খান না ? মাথায় কিচ্ছু নাই ? কেন এই একি ধারার সাইট বানিয়ে ভরিয়ে ফেলতে হবে দুনিয়া। ক্রিয়েটিভিটি বলে কিছু না থাকলে ইন্টারনেট আপনার জন্য না রে ভাই, আচ্ছা মুল ধারা ঠিক রাখেন, সাইটের লুক টা তো ইউনিক কিছু করেন !!!!! একটা খারা কলম নিয়া বসলেও তো ডিজাইন করা যায় যা ইচ্ছে তাই. আচ্ছা বুঝলাম আপনি কম্পিউটার ফ্রিক মানুষ, তো পেইন্ট ওপেন করেন না !!!! নিচের ছবি টা দেখেন, আগে এরকম একটা ডেমো বানায়া নেন, তারপর লুক টাকে সেরকম করেন।

( এটা ব্যাবহার করা হয়ে গেছে, পেইন্ট ওপেন করেন মিয়াভাই )

এবার বলি ভয় কেন পাই,

সাইটে ঢুকতে গেছি, লোডিং, লোডিং, লোডিং ! ওরে বাবারে, সাইট লোড হচ্ছে না আআআআআআআআআআ একটা জাভাস্ক্রিপট লোড হচ্ছে তো এপাসে আরেক টা, উফফফফ জান বেরিয়ে গেলো ঢুকতে ঢুকতে। ঢুকছে রে ! ক্লিক একটা করলাম,পকাত করে একটা পপ আপ ওপেন হইলো ! সেটারে কাটতে যেয়ে আরেক টা পপ ডাউন !!!!যা খুজতে গেছি তা খুজে পাই না, পাইলাম ইয়া বড় বড় ব্যানার ! কি প্যারা রে বাবা। তারপর বিরক্ত হয়ে বের হয়ে আসি সিম্পলী।

ওয়েব মাস্টার দের বলিঃ ভাই রে, একটু শান্তি দেন, এ জ্বালা আর প্রানে নাহি সয় :/ :/ :/

আমিঃ ফেইসবুক | টুইটার

Level 2

আমি শিমুল শাহরিয়ার। Founder, WebSea Internet Solutions, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 90 টি টিউন ও 497 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

ব্র্যান্ড কনসাল্টেন্ট, ফুলস্ট্যাক ডেভেলপার/ডিজাইনার। আমাকে পাওয়া যাবে @ https://ShimulShahriar.com


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

জ্যাম যুক্ত এই শহরের কোলাহলে আমরা আসলে কিছু শিখতে চাই না, অন্যের কিছু লাপাত্তা লোভনীয় জিনিসে হুমড়ি খায়, নিজের ভেতর থেকে কিছুই বের করি না। কিন্তু আমরাও পারি নতুন কিছু সৃষ্টি করতে এই সৃষ্টি জগতে। কেন অন্যের মাল নিয়ে আবালের মতো চলা। এই টিউনের সাথে সাথে আমিও বলি, সৃষ্টি করুন সেটা যাইহোক তবে ইউনিক কিছু, দেখবেন আজকে না হোক একদিন মানুষ আপনাকেই খুজবে।
কেন জানি টিউন টা পড়ে শান্তি পাইলাম। শিমুল ভাই ধন্যবাদ। 🙂

ভালো লিখছেন। আপনার সাথে আমি পুরো একমত পোষন করছি। কপি পেষ্ট করবি ভালো কথা, কপিটাও ঠিক ঠাক মত করতে পারে না।

কপি-পেস্ট জীবনটা তামা তামা করে দিল। টেকটিউনস থেকে কপি করে টেকটিউনসেই অনেকে পোস্ট করে রে ভাই !

সুন্দর পোস্ট। ধন্যবাদ।

Level New

“ক্যান রে ভাই, ভাত খান না ? মাথায় কিচ্ছু নাই ? কেন এই একি ধারার সাইট বানিয়ে ভরিয়ে ফেলতে হবে দুনিয়া। ক্রিয়েটিভিটি বলে কিছু না থাকলে ইন্টারনেট আপনার জন্য না রে ভাই, আচ্ছা মুল ধারা ঠিক রাখেন, সাইটের লুক টা তো ইউনিক কিছু করেন !!!!!”
অসাধারন আর্টিকেল।

অনেক সুন্দর লিখেন # এত কিছু মাথায় আসে আপনার 😛

ভাই আপনারা তো বস মানুষ, আমাকে একটা পরামর্শ দিন না দয়া করে। আমি একটি অনলাইন নিউজ পেপার খুলবো?

পুরা সত্যি কথা তুইলা আনলেন ভাই। আরেক টাইপের মানুষ আছে যারা আপনার উল্লেখিত ক্যাটাগরির মধ্যে প্রথমত একটা সিলেক্ট করে। তারপর সেই ক্যাটাগরির সাইটের মধ্যে কোন সাইটখানা কলিজায় আটকে সেটাকে টার্গেট করে। তারপর শুরু হইলো ডিজাইন, লেখা, স্টাইল এমনকি ফুটাফাটিও বাদ দেয় না। আপনি চরম একটা টপিক লিখছেন। আশায় আছি এই টিউনের পর্ব-২ পাবো। আর যদি পর্ব ২ লেখেন সেই টিউনে উল্লেখের জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্বরূপ সেরা ২ খানা উদাহরন দেই। যেগুলা আমার সাথে ঘটছে। আর সেগুলা আমার মাথা খায়া ফেলতাছে।

১। দেখুন http://bloggeransar.com/ । এই সাইটে স্বঘোষিত ব্লগার নামধারী ব্লগার আনছার নাকি ব্লগার প্রেরনা পাইছে আমারে দেইখা। উহহহ… কি শান্তি পাইলাম। যখন সাইটে গিয়া কিছু জিনিস দেখি মাথাখানা গেলো গরম হইয়া। যদিও এখন লোগোটা নাই। যখন ছিল তখনকার কথা বলি, আমার আগের লোগোখানা সে বহুত মেহনত কইরা ডাউনলোড করছে। তারপর লোগো থাইকা মারুফ নামখানা তুইলা আসতে কইরা আনছার নাম বসায় দিছে। ব্যাস তারপরেই আপলোড। ফেসবুকে একজন আমাকে জানাইছিলো। সে অনুযায়ী ব্লগার আনছারের ফেসবুক প্রোফাইলে গিয়া দেখি উনি গর্বসহকারে লোগো খানা আপলোড দিয়া লিখছে… “শুভ উদ্ভোধন হলো বাংলাদেশের সর্বাধিক পঠিত ব্যক্তিগত বাংলা ব্লগ”। ল্যাও পুরা বড় ঠ্যালা। আমিতো টাশকিত। তাহারে জিগাস করলাম আপনার ব্লগের মচতকার স্লোগানখানা কোঠায় পাইছেন। উনি বলিলো উনি আমাকে ফলো কইরা পুরা ব্লগ বানাইছে শুধু লোগো বা স্লোগান নয়। বুঝেন ঠ্যালা। আরও একটু ঠ্যালা বুঝুন, উনার ব্লগে উনার সম্পর্কে, উনার ব্লগ সম্পর্কে পেজগুলাতে গিয়া আরও বড় টাশকি খাইছি। সেইখানে লেখাগুলা পইড়া ব্রেন খানা সজাগ হইলো। মনে পড়ল কোথায় যেন পড়েছি স্টাইলটা। উহু এইডা তো দেখি আমারই লেখা স্টাইলটা। যেটা লিখেছি আমার নিজের ব্লগের পেজে। যেমনঃ আমি অমুক জায়গায় থাকি। উনিও লিখেছেন আমি তমুক জায়গায় থাকি। তারপরের লাইনেই আমি লিখেছি আমি ঝালমুড়ির দোকানে গিয়া মিস্টিমুড়ি খাই। উনিও পরের লাইনে সেইটাই লিখেছেন। তাঁর মানে হইলো উনি উনার নিজের সম্পর্কেও লিখতে পারেন না। এক কথায় যাকে বলা যায় অ্যাবাউট মি প্যারাগ্রাফ। লিখতে পারেন না তা ঠিক না। যেহেতু উনি একজন ব্লগার। আমার জানামতে উনি লিখতে পারার কথা। কিন্তু কেন লিখেন নি। সেটা বোধগম্য হয়নি। তারপর উনি মেনুতে একটা পেজ লাগাইছে যদিও সেটার ভিতর পুরা ফাকা। পেজটা হলো “মিডিয়া এবং ব্লগার আনছার”। এইটাও আমার কপি। আমি ইউনিসেফ এবং বিডি নিউজ ২৪ এ এক পুচকি সাংবাদিক ছিলাম বছর খানেক আগে। আর তাছাড়াও মিডিয়াতে আমাকে নিয়া দুই চারটা প্রতিবেদন আছে। সেই শখে মিডিয়া এবং ব্লগার মারুফ নামের একটা মেন্যু লাগাইছি। উনি সেইটাও কপি মারছে কারণ ছাড়াই। ওরে ভাই এমন ফলোয়ার পাইলে তো আমি হার্ট অ্যাাটাক করমু। আরও বলতাম কিন্তু এইখানে বললে একটা পুরা টিউন হয়া যাবে। তাই টিউমেন্টকে টিউন করবার চাইনা।

২। এইবার আসি রংপুরের গর্বিত এক সন্তানের কথায়। http://tuneshot.blogspot.com/ । একটু ফলো কইরা দেহেন। সব কপি মারে না। মাগার সে ডাকাত স্টাইলের কপিয়ার। আমার লেখা চুরি করে দুই একটা সেগুলা আমার দেখার ব্যাপার না। দেখার ব্যাপার হইলো, এই রংপুরিয়া গর্বিত পোলাও নিজেরে বাংলাদেশের সর্বাধিক পঠিত ব্যক্তিগত বাংলা ব্লগের মালিক ভাবে। সে মতেই সে সেই স্লোগান কপি মাইরা ব্লগার আনছার ভাইয়ের লাইনে গ্যাছে। সে আবার সেই স্লোগান আমার ফেসবুক পোস্টগুলার কমেন্টে জানায়া বেড়ায়। যাকে বলে আর কি বুকের পাঠা। সে আবার মাঝে মাঝে তাঁর জিগলি দোস্ত দিয়া আমারে খারাপ ভাষায় গালিও দেয়। ভাবে সে রংপুরের বড় মাতব্বর। আর আমরা উলিপুর থেকে আসছি। একটু আগে যে কইলাম, কপি মারে বাট অল্প। তাই অল্প একটা উদাহরন দেই। http://tuneshot.blogspot.com/2015/03/degree-exam-routine-2013.html ঢুইকা দেখেন, পোস্টে মইধ্যেখানে আমার নামখানা কাইটা দিয়ে ভুইলা গ্যাছে। তারপর একটু কষ্ট কইরা আমার ব্লগের সাথে মিল খুঁজার চেস্টা করেন। পায়া যাইবেন ভাই।

এই হইলো অবস্থা। শিমুল ভাই, এই টিউমেন্ট শুধু আপনাকেই জানালাম। তাই পরবর্তী পর্বে ব্যাপারখানা তুইলা ধরার আবেদন জানাইলাম। এইটা কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আকরমনের উদ্দেশ্যে করিনি। বাস্তব জলন্ত প্রাসঙ্গিক প্রযুক্তি সংক্রান্ত টিউমেন্ট।

অসাধারণ লিখছেন ভাইয়া।
বলার মত তেমন কিছু নাই :-/
তবে একটা সত্য কথা যেটা ফেসবুকে বলছি “কিছুদিন পর এমন অবস্থা হবে যে প্রতি সাইটে একজন করে ভিজিটর থাকবে।আর সেই একমাত্র ভিজিটর হল এডমিন নিজেই” 😛 😛

ইন্টারনেটের এসব জিনিসপত্র অনেক অনেক আগে বেশ আকর্ষণীয় ও লটরপটর মার্কা মনে হতো- কিন্তু এই বিচ্ছিরিকরণের সংস্কৃতিটা যখন শুরু হয়েছিল তখন এটার ভবিষ্যতকে স্বপ্নে দেখতাম আর চরম আতংকিত হতাম- এটা ভেবে যদিও এখন খুশি লাগে যে আমার দিবাস্বপ্নটা রসালো হয়েই ফলেছে তবে এই ভাইরাসগুলোর যন্ত্রণায় রীতিমতো অনলাইন দূষণের বিপ্লব হয়ে গেছে- এই টিটিতেই বেশিরভাগ টপ টিউনার আছে- অতি ভুলে যাদের পোষ্টের ফুটারে ক্লিক করে কোনমতে তাদের নিজস্ব গুহায় ঢুকতে পারলেই হলো- বের হবার জন্য চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছা করে!!!!……দুনিয়ার যত আজাইরা প্যানপ্যানানি আছে সেসব নিয়েই এদের পেজ ভর্তি……টিটির নিয়মিত টিউনারদেরই এইরকম বিতিকিচ্ছিরি দশা…..টিউনানুভূতিতে মারাত্মক আঘাত লাগে বৈকি 😉

উত্তরণটা কী রকম হবে এবার তাহলে সেই স্বপ্নই দেখি……সুন্দর সমসাময়িক টিউনের জন্য ধন্যবাদ 🙂

বুঝে উলটাইচি

vai ami html and css practices jnoo akta blog khulchi ( http://www.munifniloy.com )
atu tips deben ai blogtaka chalaia nea jata parbo kibhaba mane ami 1 wekk or 3 mash por off jaita chai na 🙁 and blogtar kishu tips diyen bishes kora bloger looktak kibhabe bhalo kora jai janaben and tuneta anek sundor hoicha 😀

অনেক ভালো লিখেছেন ভাই। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বড় ভাইয়া পাশে তাই ভালো ভাবে হাসতেও পারলাম নাহ।

কথা সত্য । তবে আমার কাছে সব থেকে বিরক্তিকর লাগে এই পপআপ । মেজাজ চরমে উঠে যায় ।

BTW, ভালো লাগল পোস্টটা পড়ে ।

টেকটিউনস এরও যে কি অইল…. mobi.techtunes.io খুইজা পাইতাছি না…

http://inboxok.com/site-link/ আমার সাইট আশা করি দেখে আসবেন।

প্রিয় টিউনার,

আপনার টিউন টি /গুলো খুবই ভাল হচ্ছে। আপনার টিউনটি নন-ফরমেটিং অবস্থায় ছিল যা টিউনের রিডেবিলিটি (Readability) প্রচন্ড রকম কমিয়ে দেয়। টেকটিউনস থেকে তা ফরমেট করে দেওয়া হয়েছে। একটি সুন্দর ফরমেটেড টিউন টিউনের রিডেবেলিটি যেমন বৃদ্ধি করে তেমনি আপনার টিউনের ফলোয়ার ও বৃদ্ধি করে। টেকটিউনস থেকে আপনার টিউনটি ফরমেট করে দেওয়া হয়েছে যেন আপনি নন-ফরমেটেড টিউন প্রকাশ না করে, একটু সময় নিয়ে, সুন্দর ভাবে টিউন ফরমেট করে প্রকাশ করার জন্য উৎসাহিত হোন এবং আপনার পরবর্তী সকল টিউন সঠিক ফরমেট করে টিউন প্রকাশ করতে পারেন। ফরমেটিং এর জন্য নিচে বেশ কিছু গাইডলাইন প্রদান করা হল। নিচের গাইড লাইন গুলো সঠিক ভাবে পড়ুন ও চর্চা করুন এবং আপনার পরবর্তী সকল টিউন ওয়েল ফরমেটেড হিসেবে প্রকাশ করুন।

➡ আপনি আপনার টিউনে প্রয়োজনীয় ছবি ও স্ক্রীনসট ব্যবহার করুন।

ছবি ও স্ক্রীনসট আপনার টিউনের মানকে ও টিউডার (টিউন রিডার) কে আকৃষ্ট করার মান আরও বাড়িয়ে তুলবে। কীভাবে টিউনে ছবি ও স্ক্রীনসট যোগ করবেন তা দেখার জন্য টেকটিউনসের ‘টিউন করা শিখে নিন’ ভিডিও টিউট গুলো https://www.youtube.com/playlist?list=PL578710DA5EB72D31 দেখুন।

➡ আপনার টিউন আর সুন্দর করে ফরমেট করুন।

  • বিভিন্ন পয়েন্ট গুলো বুলেট আকারে দিন।
  • টিউনের প্রধান টপিত গুলো H2 করে দিন।
  • সাব হেডিং গুলো H3 করুন।
  • টিউনের কোন অংশে কখনও H1 হেডিং ব্যবহার করবেন না।
  • নিজের সাইট বা কোন লিংক টিউডারের কাছে আকৃষ্ট করার জন্য কখনও কোন লিংকে হেডিং (h1,h2,h3) বা বড় টেক্সট করে দিবেন না। আপনার সাইটের লিংক দেবার জন্য টিউনের নিচে ব্লককোট করে “সৌজন্যে:” লিখে সাইটের লিংক দিন। এই টিউনটি https://www.techtunes.io/internet/tune-id/188009 লক্ষ করুন টিউডার ও টিউজিটরদের কোন প্রকার অযাচিত আকৃষ্ট না করে টিউনের শেষে; নিচে কীভাবে ব্লককোট করে “সৌজনে:” লিখে লিংক দেয়া হয়েছে। এতে আপনার টিউনের টিউডার ও টিউজিটরা আপনার প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করবে।
  • টিউনে কখনও বিভিন্ন টেক্সট ভিন্ন ভিন্ন কালার ব্যবহার করবেন না এতে টিউডার টিউনে পড়তে বিরক্তি বোধ করবে।

কীভাবে সুন্দর করে টিউন ফরমেট করবেন তা জানতে টেকটিউনসের টিউন করা শিখে নিন ভিডিও টিউট গুলো https://www.youtube.com/playlist?list=PL578710DA5EB72D31 দেখুন।

➡ নিচে কিছু দারুন ও সুন্দর ভাবে ফরমেট করা টিউনের উদহরণ দেয়া হল। লক্ষ করুন

ইত্যাদি করে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

এই টিউনের ফরমেট গুলোকে আদর্শ হিসেবে নিয়ে সবসময় আপনার টিউন গুলোকে সুন্দর ফরমেটে উপস্থাপন করুন। এতে আপনার টিউনের পাঠযোগ্যতা টিউডার ও টিউজিটরের কাছে বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।

➡ আপনার টিউনে যদি প্রোগ্রামিং সংক্রান্ত টিউন হয় ও টিউনে কোডের ব্যবহার থাকে তাহলে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের কোড যেমন HTML, CSS, JS, PHP ইত্যাদি কোড সুন্দর ও সঠিক ভাবে দেখাতে টেকটিউনসের রয়েছে নিজেস্ব “কোড হাইলাইটার”। টেকটিউনসের “কোড হাইলাইটার” কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা জানতে এই টিউনটি https://www.techtunes.io/web-design/tune-id/77692/ দেখুন।

➡ টিউন করার আগে কিছু সময় নিয়ে পরিকল্পনা করুন।

➡ টিউডার ও টিউজিটররা বিস্তারিত, যত্ন নিয়ে, প্রয়োজনীয় ছবি যোগ করা ও সাবলীল ভাষার টিউনারদের খুবই পছন্দ করে। তাই সময় নিয়ে সুন্দর ভাবে, পরিপাটি করে ভাষা গুছিয়ে, আপনার মেধার পূর্ণ প্রয়োগ করে বিস্তারিত টিউন করুন।

অসম্পূর্ণ, অগোছালো, সুনির্দিষ্ট নয়, নাম মাত্র টিউন বা কোন রকম টিউন – এ ধরনের টিউন না করে সময় নিয়ে, সুন্দর ভাষার সুষ্ঠু প্রয়োগ করে, মেধার পূর্ণ ব্যবহার করে বিস্তারিত ভাবে টিউন করুন।

➡ কিছুদিন পর পর বা বেশ সময় ব্যবধানে টিউন না করে নিয়মিত টিউন করে কমিউনিটিতে আপনার বিশ্বস্থতা ধরে রাখুন। নিয়মিত টিউনারদের টিউডাররা খুব পছন্দ করে ও আস্থা রাখে। টিউন করার জন্য সপ্তাহের দুটি দিন বেছে নিন। এতে আপনার নিয়মিত টিউন করার ধারাবাহিকতা থাকবে।

টেকটিউনস বিজ্ঞান প্রযুক্তি চর্চার এক উন্মুক্ত সৌশাল নেটওয়ার্ক। টেকটিউনসে আপনার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চিন্তা চেতনা মনন, অভিজ্ঞতার প্রকাশ ঘটান। আপনার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জানা বিষয় গুলো প্রযুক্তির এই সুবিশাল নেটওয়ার্কে অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিন। নিজেকে একজন মানসম্মত, দ্ক্ষ, কমিউনিটির অন্যদের সাথে বন্ধু ভাবাপন্ন টিউনার হিসেবে গড়ে তুলুন। হয়ে উঠুন একজন আদর্শ টেকটিউনার।

কিভাবে যে ভাই আপনাকে ধন্যবাদ জানাবো বুঝতে পারছিনা । অসাধারন টিউন । পপ আপ বিজ্ঞাপনের জালায় ভাই অতুষ্ট সবাই কিন্তু এর কোন সমাধান কি নাই ?