আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন এর বাস্তব অভিজ্ঞতা !! আপনি যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন, জানেন কিভাবে তৈরি হচ্ছে ??? (চিত্রসহ মেগা টিউন)

টিউন বিভাগ নির্বাচিত
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

সবাই কে আমার সালাম। আশা করি সবাই ভালই আছেন। আমি গত ১৮ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন যাই এবং ১৮ জানুয়ারি আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন থেকে ঢাকা ফিরেছি। এই একটা মাসে আমি অনেক অদ্ভুদ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। এতদিন যে সব জিনিস থিউরী পড়েছি, তা বাস্তবে দেখে আমি অবাক !! আমরা যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছি যা ইচ্ছা তাই ভাবে !!, কিন্তু এটা উৎপাদনে করতে যে এত কাহিনি আমার আগে এত  জানা ছিলো না। আমি আমার এই লেখায় আপনার সাথে শেয়ার করবো আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনে সম্পর্কে আমার কিছু অভিজ্ঞতা।

আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন এর ইতিহাসঃ

আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন বাংলাদেশ এর মধ্যে  উৎপাদনে (বর্তমানে প্রায় ৬০০ মেগাওয়াট) দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় পাওয়ার স্টেশন এবং  উৎপাদন ক্ষমতার(৭২৪ মেগাওয়াট)দিক দিয়ে ২য় স্থানে আছে (প্রথম স্থানে আছে ঘোরাশাল পাওয়ার স্টেশন, উৎপাদন ক্ষমতার ৯৫০ মেগাওয়াট এবং বর্তমান উৎপাদন করতেছে প্রায় ৪৫০ মেগাওয়াট। আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন বর্তমানে ৮ টি ইউনিট কাজ করতেছে।১৯৬৬ সালে তৎকালিন সরকার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন করার কথা সিদ্ধান্ত নেয়। আশুগঞ্জ পাশেই তিতাস গ্যাস ফিল্ড এবং মেঘনা নদী থাকার কারনে আশুগঞ্জকে উপযুক্ত জায়গা মনে করা হয় এবং ৩১১.১২ একর জমির উপর স্থাপন করা হয় আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন। ১৯৭০ সালে প্রাথমিক অবস্থায় জার্মান সহযোগিতায় ৬৪ মেগাওয়াট ৬৪ মেগাওয়াট করে ১২৮ মেগাওয়াট এর ইউনিট-১ ও ইউনিট-২ স্থাপন করা হয়।

এরপর ১৯৮২ সালে ইউকের সহযোগিতায় জিটি-১ ইউনিট এবং ১৯৮৪ সালে চালু হয় জিটি-২ চালু হয়। এরপর ১৯৮৬ সালে স্থাপন করা হয় সি.সি.পি.পি বা কম্বাইন সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট। জিটি-১ বা জিটি-২ এর এগজাস্ট এর তাপ কে কাজে লাগিয়ে সি.সি.পি.পি বা কম্বাইন সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট পরিচালন করা হয়। এতে কোন অতিরিক্ত ফুয়েল ব্যয় হয় না।

১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পযন্ত আর তিনটি ইউনিট চালু হয় (ইউনিট-১, ইউনিট-২, ইউনিট-৩)। অবশ্য এদের কাজ শুরু হয় অনেক আগেই ইউনিট-৩ ও ইউনিট-৪ এর কাজ শুরু হয় ১৯৮৪ সালে এবং ইউনিট-৫ এর কাজ শুরু হয় ১৯৮৫সালে।

ইউনিট-৩, ইউনিট-৪, ইউনিট-৫

এরপর ২০০০ সালে বাংলাদেশ সরকার এটাকে কম্পানি করে দেয়। এটি ২০০০ এর ২৮জুন কম্পানি হিসাবে রেজিস্ট্রেশন করে, রেজিস্ট্রেশন নং C-40630 (2328)/2000 dt. 28.06.2000 এসময় এর ৫১% শেয়ার বাংলাদেশ  বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বা (BPDB) রেখে বাকী ৪৯% শেয়ার Ministry of Finance, Ministry of Planning, Power Division, MOPEMR & Energy Division, MOPEMR of GOB এর জন্য ভাগ করে দেয়। এ সময় তারা তিন সদস্য এর একটি ম্যানেজমেন্ট টীম গঠন। বর্তমানে এখানে আছে Managing Director হিসাবে আছে ইঞ্জিনিয়ার ওবাইদুল খালেক এবং ২ জন Director হলেন মো সোহারাফ আলি খান (ফিন্যান্স) এবং ইঞ্জিনিয়ার মো নরুল আলম (টেকনিক্যাল)।

কম্পানি এর সংক্ষেপে বর্ননাঃ

  • নামঃ আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কম্পানি লিমিটেড বা এ.পি.এস.সি.এল (APSCl)
  • কম্পানি হয়ঃ ২৮ জুন, ২০০০সাল
  • লাইসেন্স নং  C-40630 (2328)/2000 dt. 28.06.2000
  • লোকেশনঃ ঢাকা হতে ৯০ কিলো-মিটার উত্তর-পূর্ব দিকে মেঘনা ন্দীর তীরে বাম দিকে।
  • জমির পরিমানঃ ৩১১.১২ একর
  • উৎপাদন ক্ষমতারঃ ৭২৪ মেগা ওয়াট
  • বর্তমান উৎপাদনঃ প্রায় ৬০০ মেগা ওয়াট
  • ইউনিট সংখাঃ ৮টি
ইউনিটের নামপাদন ক্ষমতার

বর্তমানপাদন

টারবাইনের ধরনস্থাপন সাল ও দেশ
ইউনিট -১৬৪ মেগাওয়াট৬৪ মেগাওয়াটস্টিম টারবাইন১৯৭০ সাল জার্মানী
ইউনিট -২৬৪ মেগাওয়াট৬০ মেগাওয়াটস্টিম টারবাইন১৯৭০ সাল জার্মানী
ইউনিট -৩১৫০ মেগাওয়াট১০৫ মেগাওয়াট *স্টিম টারবাইন১৯৮৬ সাল জাপান,কোরিয়া
ইউনিট -৪১৫০ মেগাওয়াট১৪০ মেগাওয়াট **স্টিম টারবাইন১৯৮৭ সাল জাপান,কোরিয়া
ইউনিট -৫১৫০ মেগাওয়াট১৪০ মেগাওয়াটস্টিম টারবাইন১৯৮৮ সাল জাপান,কোরিয়া
জিটি-১৫৬ মেগাওয়াট৪০ মেগাওয়াটগ্যাস টারবাইন১৯৮২ সাল  ইউ.কে
জিটি-২৫৬ মেগাওয়াট৪০ মেগাওয়াটগ্যাস টারবাইন১৯৮৪ সাল ইউ.কে
সি.সি.পি.পি***৩৪ মেগাওয়াট১৮ মেগাওয়াটস্টিম টারবাইন

১৯৮৬ সাল ইউ.কে

* ইউনিট-৩ এর টারবাইন ব্লাড এর সমস্যার কারনে ১৫০ মেগাওয়াট এর জায়গায় ১০৫ পাওয়া যাচ্ছে

** ইউনিট-৪ আমরা অবস্থান কালে ওভারহলিং চল ছিলো

***সি.সি.পি.পি মানে কম্বাইন সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট

ভবিষৎ পরিকল্পনাঃ

সামনে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন  অনেক পরিকল্পনা আছে। ইউনিট-৩ এর টারবাইন ব্লাড পরিবর্তন করা হবে, এতে আর ৪৫ মেগাওয়াট এর মত পাওয়া উৎপাদন বাড়বে। এবং বর্তমানে ৫০ মেগাওয়াট এর একটি গ্যাস ইঞ্জিন চালিত পাওয়া প্লান্ট নির্মান করা হচ্ছে, এবং জুলাই থেকে এর কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ২টি কম্বাইন সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট (১৫০ মেগা ওয়াট ও ৪৫০ মেগাওয়াট) এর স্থাপন নিয়ে আলোচনা চলছে, ইতি মধ্যে জমি নির্বাচন করা হয়েছে। আশা করা যায় ২০১৩ এর মধ্যে কাজ হয়ে যাবে।

আর জানতে  আপনারা আশুগঞ্জ এর ওয়েবসাইট দেখুনঃ http://www.apscl.com

এতখন আমি আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন নিয়ে কথা বললাম এবার আসি কিভাবে এই মূল্যবান বিদ্যুৎ  উৎপাদন হচ্ছে। এখন কথা হল যারা এই নিচের লেখাটা বুঝতে হলে আপনাদের কিছু জিনিস সম্পর্কে সামন্য ধারনা থাকতে হবে যেমনঃ  টারবাইন, বয়লার, জেনারেটর, কনন্ডেসর , আমি নিচে এ নিয়ে আলোচনা করলাম।

জেনারেটর কি?

জেনারেটর এমন একটা যন্ত্র বা মেশিন, যার সাহায্যে যান্ত্রিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন করা হয়। আর এই বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন জন্য একটি চুম্বক-ক্ষেত্র এবং একটি আর্মেচার যার উপরি ভাগে তারের কয়েল প্যাচনো থাকে এবং যাকে যান্ত্রিক শক্তির মাধ্যমে চুম্বক-ক্ষেত্রে ঘুরানো হয়। আর যে যন্ত্রে মাধ্যমে একে ঘুরানো হয় তাকে প্রাইম মুভার বলে,যেমন টারবাইন।এই প্রাইম মুভার স্টিম, ডিজেল, পেট্রোল এমন কি বিদ্যুতিক মোটর হতে পারে।

টারবাইন কি?

টারবাইন এমন একটা প্রাইম মুভার বা মেশিন যাতে প্রবাহীর ক্রমাগত ভরবেগের পরিবর্তন দিয়ে ঘূর্ণন গতি পাওয়া যায়। অনেক ধরনের টারবাইন পাওয়া যায়, যেমনঃ স্টিম টারবাইন, ওয়াটার টারবাইন, গ্যাস টারবাইন ইত্যাদি। এর মধ্যে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনে ৬ ইউনিট এ স্টিম টারবাইন এবং বাকী ২ টিতে গ্যাস টারবাইন ব্যবহার করা হয়। স্টিম টারবাইন টারবাইন একটা আদর্শ প্রাইম মুভার এবং এর বহুবিধি ব্যবহার ও দেখা যায়। বড় বড় স্টিম টারবাইন গুলো পাওয়ার প্লান্টে জেনারেটর পরিচালনার জন্য ব্যবহার করা হয় এবং ছোট ছোট টারবাইন গুলো দিয়ে পাম্প, ফ্যান চালানো যায়। স্টিম টারবাইন ০.৫ হতে ২০০০০০ পযর্ন্ত HP বা হর্স পাওয়ার হতে পারে।

বয়লার কি?

নিরাপত্তার ব্যবস্থা সহ যে আবদ্ধ পাত্রের ভেতর পানি রেখে তাতে তাপ প্রয়োগ করে স্টিম উৎপাদন করা হয় তাকে বয়লার বলা হয়। বয়লার সাধারনত ২ ধরনের হয়ে থাকে, যথা (ক) ফায়ার টিউব বয়লার এবং (খ) ওয়াটার টিউব বয়লার। ফায়ার টিউব বয়লার গঠন প্রানালী জটিল এবং ব্যয়বহুল, খুব কম গতিতে স্টিম উৎপাদন এছাড়া এটা বিস্ফরন হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বেশি তাই বাংলাদেশে ওয়াটার টিউব বয়লার ব্যবহার করা হয়। ওয়াটার টিউব বয়লারের আগুন বাহিয়ে থাকে এবং পানি টিউব এর ভিতর থাকে আর ফায়ার টিউব বয়লারে আগুন টিউব এর ভিতর এবং পানি টিউব এর বাহিরে থাকে।

কনডেন্সার কি?

স্টিম টারবাইন কে ঘুরিয়ে যখন বেড় হয়, তখন এই এগজস্ট স্টিমকে ঠান্ডা করার কাজে কনডেন্সার ব্যবহার করা হয়।  এটি মাধ্যমে ঠান্ডা পানি স্টিম এর সংস্পর্শে ঘনীভূত হয়ে করে পানিতে পরিনত করা হয়।অর্থাৎ স্টিম কে পানি করে পুনরায় ফিড ওয়াটার হিসাবে বয়লারে সরবারহ করা হয়। একে আমরা হীট একচেঞ্জার ও বলে থাকি। দু ধরনের কন্ডেন্সার বেশি দেখা যায় , ১) জেট কনডেন্সার  ২) সারফেস কনডেন্সার। তবে বর্তমানে সারফেস কনডেন্সার বেশি জনপ্রিয় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলোতে।

আশুগঞ্জ স্টিম পাওয়ার প্লান্টের বিদ্যুৎ উৎপাদন পদ্ধতিঃ

আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের স্টিম উৎপাদন করতে ব্যবহার করা হয় মেঘনা নদীর পানি। প্রথমে মেঘনা নদী হতে পাম্পের মাধ্যমে পানি আনা হয় এবং একটি বেসিং এ রাখা হয়। কারন নদীর পানিতে বিভিন্ন ধরনের কঠিন তরল ও গ্যাস দূষিত বস্তু ধারন করে এবং সে জন্য এই দূষিত পানিকে শোধন করার প্রয়োজন হয়। এই পানিতে বিভিন্ন ধরনের লবন, যেমন- সোডিয়াম, কার্বোনেট, সালফার ক্লোরাইড অফ ক্যালশিয়াম, ইত্যাদি এছাড়া এই পানিতে অ্যালুমুনিয়া ও সিলিকা কাদা থাকে যা বয়লারে অনেক ক্ষতি সাধন করে যেমন তলানী জমা হয়, ক্ষয় হয়, ভংগুরতা দেখা দেয়। এজন্য পানিকে বেসিং নিয়ে একে থিতানো হয় যার, তারপর পানি থেকে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব দূর করার জন্য রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটানো হয়। এরপর একে ডিমিনারাইজ করা হয়। এসময় এই পানিকে ডেমি ওয়াটার বলা হয়। এই পানি তখন অনেক মুল্যবান হয়ে যায়।

পানিকে শোধন করে সে পানি পাম্পের মাধ্যমে বয়লারে আনা হয়। এখানে ওয়াটার টিউব বয়লার ব্যবহার করা হয় বলে পানিকে টিউব মধ্যে প্রবাহিত করা হয় এবং FDF এর মাধ্যমে বাতাস এবং ফুয়েল হিসাবে মিথেন (CH4) গ্যাস বার্নারে নেওয়া হয় এবং বার্ন করা হয়, এখানে গ্যাস সাপলাই দেয় তিতাস গ্যাস। এ সময় পানি স্টিমে পরিনত হয়। এ সময় স্টমের তাপমাত্রা থাকে প্রায় ১৭০-১৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং চাপ থাকে প্রায় ৩০ বার এর মত। এরপর স্টিম কে বয়লার ড্রাম নেওয়া হয়। এরপর SH দিয়ে স্টিমকে প্রেরন করা হয়। SH তাপ দেওয়ার ফলে এর তাপমাত্রা প্রায় ৫২০-৫২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যায় এবং চাপ প্রায় ১৩৫-১৩৮ বার হয়ে যায়। এবার এই স্টিম কে HPT তে দেওয়া হয় এবং HPT কে ঘুরিয়ে এগজাস্ট দিয়ে যে স্টিম বের হয় তাকে RH এ নেওয়া হয়। বের হয়ার সময় স্টিমের তাপমাত্রা কমে গিয়ে প্রায় ৩৩০-৩৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয় এবং চাপ হয় ৩২ বার হয়।

একে RH এর মাধ্যমে পুনরায় তাপ দিয়ে স্টিমের তাপমাত্রা প্রায় ৫২০-৫২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যায় এবং চাপ প্রায় ১৩৫-১৩৮ বার। এবার এই স্টিম IPT তে দেওয়া হয় এবং এরপর LPT তে দেওয়া হয়।এ সময় টারবাইন জেনারেটর কে ঘুরাতে শুরু করে। এ সময় জেনারেটর প্রায় ৩০০০ RPM ঘুরে। অর্থাৎ প্রতি মিনিটে ৩০০০ হাজার বার জেনারেটর ঘুরতেছে। এবার LPT হতে এগজাস্ট স্টিম পাইপ দিয়ে কনডেন্সার প্রবেশ করে সে সময়  স্টিমের প্রায় ৪৪-৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যায় এবং চাপ প্রায় ০.১ বার হয়। এবার একে কনডেন্সার দিয়ে নিয়ে LPH1 এবং  LPH2 তে নেওয়া হয় এবং এ সময় তাপমাত্রা প্রায় ১২৫-১৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যায় এবং চাপ এখানে অনেক কম থাকে। এবার এই স্টিম কে ডিয়ড়েটর এ নেওয়া হয় এবং সেখান থেকে BFP এর মাধ্যমে  HPH1 ও HPH2 হয়ে বয়লার ড্রামে যায় এবং তাকে আবার টারবাইনে  প্রেনন করা হয়। নিচে আমি আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের ইউনিট ৫ এর একটি কম্পিউটার স্কিনশর্ট দিয়ে দিলাম আশা করি এটা দেখে কিছু বুজবেন।

বিদ্যুৎ উৎপাদন হলে তাকে স্টেট-আপ ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে ট্রান্সমিশন লাইনে পাঠানো হয়। এবার বিভিন্ন সাবস্টেশন এর মাধ্যমে ডিস্টিবিউশন করা হয় এবং ডিস্টিবিউশন লাইন থেকে আমরা এই মহা মুল্যবান বিদ্যুৎ ব্যবহা করি।

উপরের লেখায় আমি কিছু সর্টকাট ব্যবহার করেছি এখানে তার পূর্ন নাম দিয়ে দিলাম:

  • FDF= Forced Draft Fan
  • SH= Super Heater
  • HPT= High Pressure Turbine
  • RH=Re- Heater
  • IPT= Intermediate Pressure Turbine
  • LPT= Low Pressure Turbine
  • LPH= Low Pressure Heater
  • BFP= Boiler Feed Pump
  • HPH= High Pressure Heater

জানি না আপনাদের সাথে কতটুকু শেয়ার করতে পারলাম। তবে আপনার এখান থেকে একটু কিছু শিখে থাকলে আমার টিউন সার্থক হবে। আর আপনারা চাইলে আমি গ্যাস টারবাইন, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট, ওয়াটার পাওয়ার প্লান্ট নিয়ে টিউন করবো। সবাই ভাল থাকবেন। খোদা হাফেজ...................

জেনারেটর কি?

জেনারেটর এমন একটা যন্ত্র বা মেশিন, যার সাহায্যে যান্ত্রিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন করা হয়। আর এই বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন জন্য একটি চুম্বক-ক্ষেত্র এবং একটি আর্মেচার যার উপরি ভাগে তারের কয়েল প্যাচনো থাকে এবং যাকে যান্ত্রিক শক্তির মাধ্যমে চুম্বক-ক্ষেত্রে ঘুরানো হয়।

Level 0

আমি ফাহিম রেজা বাঁধন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 116 টি টিউন ও 1427 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

Domain, Hosting, WebDesign, Logo Design, SEO: http://w3solutionsbd.com


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

অনেকদিন পর এসেই মেগা টিউন???
অসংখ্য ধন্যবাদ……

Level New

অনেক সুন্দর টিউন 🙂

অনেক সুন্দর করে লিখেছেন ভাইয়া । অনেক কিছু জানতে পারলাম । আপনাকে ধন্যবাদ ।

    আপনাকেও ধন্যবাদ ।ধন্যবাদ । আপনার ফ্রীলান্স বিষয় লেখা টা ভাল লাগলো ,চালিয়ে যান………………….

    কিভাবে আর লিখব ভাইয়া ! আপনাদের টেক টিউন এর Moderator রা আমার টিউন এডিট করে । এইটা খুব খারাপ লাগছে । Moderator রাই যখন সব পারে তখন আমাদের টিউন লেখার কি দরকার ।

    টিউন এডিট করেছে মানে?

    মানে টিউন এর কিছু কয়েকটা লেখা বোল্ড করে দিছে । আমি গতকাল ই ঠিক করেছিলাম username , password , country …. এই লেখা গুলা বোল্ড করব । আজকে এসে দেখি আমার আগেই কেউ সেগুলান রে বোল্ড করে রাখছে । বুঝলাম mod ছাড়া তো আর কেউ এইটা পারবে না । খুব খারাপ লাগলো behave টা । …

    এডমিন মেহেদী ভাই মনে হয় আপনার টিউন এডিট করে ছিলো সিরিয়াল টিউনে নেওয়ার জন্য । তিনি মনে এটা করেছে। হয়ত বা আপনার ভাল জন্যই। আর এখানে মন খারাপ না করে পরের টিউন গুলো করুন। আর সময় করতে পারলে ৪ তারিখ রমনা পার্কে চলে আসুন !!

    ভাইয়া আমিও তো বুঝতে পারছিলাম যে ভালোর জন্য করছে , কিন্তু এইটা একটা টিউনার এর Privacy এর খেলাপ । এতে টিউনার এর মনোযোগ বিক্ষিপ্ত হয় । এর চাইতে কি এইটা ভালো না যে আমার কাজ টা আমাকেই করতে দেয়া ।
    আমিও ঠিক করেছিলাম রমনা তে যাবো । অনেকেই আমার কাছ থেকে ফ্রীলান্সিং সম্পর্কে জানতে চাইছে । তাদের নিয়ে ছোটো খাটো একটা ওয়ার্কশপ ও করে ফেলা যাবে । আলাদা আলাদা করে সবাইকে বলতে গেলে তো ভাই আমি শেষ । আপনি এই বিষয়ে টেক টিউন এর Mod দের বলে দেখেন তারা কি বলে ?

    আপনি না চাইলে আপনার টিউনে আর ফরম্যাটিং করা হবে না …….. এটা শুধুমাত্র টিউনের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্যে করা হয়েছিল ….. এভাবে আমরা একটি ভালো টিউনকে আরো পলিশ করে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাই ….. টিউনারের প্রাইভেসি অথবা টিউনারের মনে আঘাত দেয়ার মত কোন উদ্দেশ্য ছিল না এতে ……. আশা করি বুঝবেন

    ধন্যবাদ

    এসে পড়েন রমনায় ঘুম চোর, সেখানে প্রায় বেশ অনেক টিউনার উপস্থিত থাকবেন, সবার সাথে আপনার মতামত শেয়ার করেন, আশা করি সকলেই আপনার কাজে একাত্ততা প্রকাশ করবে, আমি এখন থেকেই করছি। 😀

khuv sundor lekhcho fahim vai…………
pore khuv moja pelam

অনেক কাজের টিউন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত কষ্ট করার জন্য।

    ধন্যবাদ মাখন ভাই। মাখন আমার একটা প্রিয় খাবার…………………….. আমারে কিছু মাখন ইমেইল কইরেন;)

youuuuuu ROOOOOCK MAAAAAN!

ধন্যবাদ সোহান ভাই।

অনেক ধন্যবাদ জানানোর জন্য।

অসাধারন ফাহিম ভাই । আপনাকে নিয়মিত পাইনা কেন ? আপনারা শেয়ার করেন বলেই না জানতে পারি অনেক কিছু । আশা করি আরও ভাল টিউন পাব । আর এই মেগা টিউন এর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

    ধন্যবাদ আতিক ভাই। আসলে একটু বস্ত্য থাকার কারনে নিয়মিত হতে পারি না। সামনে কিছু দিন নিয়মিত থাকার চেস্টা করবো।

টাইটেল এ ভুল আছে(অবিজ্ঞা) ঠিক করেন।লেখা সুন্দর করে সাজাতে পেরেছেন।আমি আরো কিছু যোগ করি।

কন্ডেন্সারঃ কন্ডেন্সারের কাজ মুলত টারবাইনের অতিরিক্ত স্টীম যা পুনরায় ব্যবহার করার জন্য পানিতে রূপান্তর করতে ব্যবহার হয়।কারণ বারবার নতুন করে ফিড ওয়াটার করার খরচ অনেক বেশী তাই প্রতিটা ক্ষেত্রেই চেষ্টা করা হয় সর্বোচ্চ ব্যবহার করার।

FDF: এই ফ্যান ব্যবহার করা হয় বাইরে থেকে ঠান্ডা বাতাস এয়ার প্রিহিটারের মাধ্যমে গরম করে বয়লারে ঢুকানোর জন্য যাতে কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

Super Heater: সুপার হিটার বয়লার উত্তপ্ত করার জন্য যে ফার্নেস অয়েল বা গ্যাস পোড়ানো হয় তার ঠিক উপরেই থাকে যাতে বয়লার থেকে পাওয়া স্টীম পুনরায় উত্তপ্ত করে টারবাইনে প্রেরণ করা যায়।এটা অনেকটা চুলার পাশে দাড়ালে যে তাপ পাওয়া যায় সেটি পুনরায় ব্যবহার করার মত।

    নাইম ভাই ধন্যবাদ। আসলে আমি এই সব গুলো নিয়ে আর বিস্তারিত লিখতে চেয়েছি, কিন্তু টিউন টা বেশি বড় হয়ে যাচ্ছিলো। বেশি বড় টিউন পাঠক রা পড়তে একটু অসুবিধা বোধ করে।

    হুম তা ঠিক। বাকীগুলোর ব্যাপারে জানলে শেয়ার করবেন।

    বাকী গুলোও সময় পেলে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো!!

excellent akta tune onek kichu shiklam,8/10 bar porte hobe purota mukhosto na kor santi pacci na,porer tune ta khub joldi asha korci,amar problem ami bangla likte pari na tai comments korar iccha thakleo onek somoy chepe jai,apnar tune ta te comment na kore parlam na,thaks aponake.

    ধন্যবাদ বিগেনার ভাই। আপনি অভ্র ব্যবহার করুন, বাংলা লেখা খুবেই সহজ!!!

আমার খুব কাজে লাগবে। ধন্যবাদ বাঁধন ভাই।

দারুন টিউন বাঁধন ভাই, কখনো গিয়ে সচক্ষে দেখিনি, কিন্তু আপনার ছবি সহ বিস্তারিত বিবরণে মনে হচ্ছে আপনার সাথে আমিও গিয়েছিলাম ঘুরতে আর জেনে এসেছি সব…

এক কথায় কঠিন এবং জটিল। খুবই ভালো লাগলো, অনেক কিছু জানতে পারলাম। নির্বাচিত টিউন করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

আপনার টিউনগুলো খারাপ হতে দেখিনি। এটাও ব্যাতিক্রম না। সত্যিই মেগা টিউন। তবে হালকা একটু সংষোধনের প্রয়োজন।

বয়লার সম্পর্কে যে প্যারাতে আলোচনা করা হয়েছে সেখানে বয়লারকে সম্ভবত টারবাইন বলা হয়েছেঃ “ওয়াটার টিউব টারবাইন ব্যবহার করা হয় । ওয়াটার টিউব টারবাইনে আগুন বাহিয়ে থাকে এবং পানি টিউব এর ভিতর থাকে”

প্রথমে টিউনের জন্য ধন্যবাদ। আমার বিষয় যেহেতু ইলেকট্রিক্যাল এটা আমার বেশী কাজে লাগবে আশা করি বাকী টিউন গুলো করবেন। ৪ তারিখ দেখা হবে রমানা পার্কে।

Level New

খুবই ভালো লাগলো, অনেক কিছু জানতে পারলাম

অসাধারন টিউন,ভাই আপনার সর্ম্পকে বেশি কিছু জানা নাই আমার।মানে আপনি কিসে পড়ছেন।যাই হোক আমি ইলেকট্রিক্যালে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তেছি।কিন্তু ইলেকট্রিক্যাল বিষয়ে এতো কিছু ধারনা নাই।তবে ২০১০ সালে বড়পুকুরিয়া (ফুলবাড়ী,দিনাজপুর ) তাপ বিদ্যুত্‍ কেন্দ্রে সেখানে স্ট্যাডি টুরে গিয়েছিলাম।সেখানে দেখলাম সবকিছু কম্পিউটারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করছে।সেখানে যাইহোক অনেক কিছু দেখিছিলাম।আপনার টিউনটি দেখে আরো ভালো লাগলো।আগামীতে আরো ভালো ভালো জিনিস দেখাবেন।আল্লাহ হাফেজ

ধন্যবাদ । আমি ইলেক্ট্রিক্যাল এর একজন স্টুডেন, এবার লাস্ট সেমিস্টার। আর আপনি বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র যেটা দেখেছে সেটাকে DCS (Distributed control system) সিস্টেম বলে। এটা একটি আধুনিক সিস্টেম । আশুগঞ্জের ইউনিট ৫ এই সিস্টেমে চলে । এটা অনেক পুরুনো পাওয়ার স্টেশন বলে এখন সেই এনালগ সিস্টেমে চলছে। তবে এ ব্যপারে কথা হচ্ছে। আস্তে আস্তে সব DCS করে ফেলা হবে। এই DCS সম্পর্কে আর জানতে নিচের লিঙ্ক গুলো দেখে আসুন।
লিঙ্ক ১
লিঙ্ক ২
লিঙ্ক ৩

অনেক ধন্যবাদ টিউনের জন্য।

Level 0

ভালো টিউনের জন্য ধন্যবাদ । ভবিষ্যেতে কয়লার power plant ওপর tune দেখার ই‌‍চছা রইল।

বেশ তথ্যপুর্ণ টিউন ধন্যবাদ।

thanks

ভাল লাগল। ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ ফাহিম রেজা বাঁধন।

Level 0

thx

অসাধারণ একটি টিউন, ধন্যবাদ

ভালো টিউনের জন্য ধন্যবাদ

চমতকার টিউন উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

Level 0

ভাল ভাই। খুব সুন্দর

আসলেই মেগা টিউন, ধন্যবাদ ।

Level 0

কি আর বলব বলার কিছুই নেই………..

Level 0

ভাই আমার website এর Google webmasters tools
Dashboard Crawl errors দেখাইতেসে but কিসুতেই সারতে পারসিনা, First I use google bot robots.txt but it not work, next I delete boot because Google say if bot not available then Crawler whole site are to be index ,all method apply but I have not done this pl help me,(I am use wordpress &SEO plug-in all-in-one-seo-pack URL: http://www.mostofa.tk)

Crawl errors

Not followed
Not found
Unreachable
Crawl errors

সত্যিই সুন্দর!!

valo tune.
thanks for nice tune.
really mega tune…

আমার বাড়ির পাশে কিন্ত এত কিছু কখনো জানতাম না। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

ভাই জটিল টিউন। আমিও আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনটি ভিজিট করতে চাই। এই পাওয়ার স্টেশনটি ভিজিট করার জন্য কোন পারমিশন(Permission) প্রয়োজন হয় নাকি একটু বলেন । আর পারমিশন প্রয়োজন হলে প্রসেস কি?

Level 0

Last ছবির Simulation টা কোন software দিয়ে করা ??

যা কষ্ট করছেন তার ফলতো দিতে পারছিনা. কিন্তু অনেক ধন্যবাদ দিতে ভুলেও ভুল হবে না, চমত্কার সাজিয়েছ ভাই

বাঁধন ভাই, ধন্যবাদ। এই ব্যাপারে আমার জানার অনেক আগ্রহ ছিলো। ছবি সহ দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই। এই তথ্যগুলো ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই ওয়েবসাইটেও আমি এমন তথ্য পেয়েছি যার মধ্যে অনেক ব্যাখ্যা করা হয়েছে voltage lab

আশুগঞ্জ দেখার মত যায়গা। আমি ও গিয়েছিলাম।