এক অসাধারণ জীবনকথা যা জেনে রাখা উচিত…

আসসালামু আলাইকুম।

আশাকরি সকলে আল্লাহ্‌র অশেষ কৃপায় সুস্থ থেকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত আছেন। আমি আজ একটা লেখা শেয়ার করবো সবার সাথে। এই লেখাটি একটি বক্তব্যের লেখ্যরূপ যে বক্তব্যটি উপস্থাপিত হয়েছিলো বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে। বক্তব্যটি বেশ পুরোনো। তবে আমার জীবনে শোনা সবচাইতে মুগ্ধকর আর উৎসাহমূলক বক্তব্য। তাই সবার সাথে শেয়ার করে নিতে চাইছি। এই বক্তব্য দিয়েছিলেন স্টিভ জবস। যিনি অ্যাপল এবং পিক্সার অ্যানিমেশন নামক দুইটি সেরা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও। বক্তব্য রেখেছিলেন ২০০৫ সালের ১২ জুন। লেখাটির ইংরেজি রূপ স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে নেয়া।

বক্তার জীবনের মতন এত রকম কঠিন সময়, কষ্টকর সময় আর বৈচিত্র্য আমাদের সবার জীবনে থাকেনা। কিন্তু আমাদের জীবনে থাকে অনেক রকম ঘাত-প্রতিঘাত আর সফলতার আকাঙ্ক্ষা। আর তাই সবারই এই লেখাটা পড়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি, ভালো লাগবে আর অনুপ্রাণিত হবেন সেই নিশ্চয়তা দিচ্ছি :)

"প্রথমেই একটা সত্য কথা বলে নিই"

আমি কখনোই বিশ্ববিদ্যালয় পাস করিনি। তাই সমাবর্তন জিনিসটাতেও আমার কখনো কোনো দিন উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। এর চেয়ে বড় সত্য কথা হলো, আজকেই কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান সবচেয়ে কাছে থেকে দেখছি আমি। তাই বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে নিজেকে অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। কোনো কথার ফুলঝুরি নয় আজ, স্রেফ তিনটা গল্প বলব আমি তোমাদের। এর বাইরে কিছু নয়।

"আমার প্রথম গল্পটি কিছু বিচ্ছিন্ন বিন্দুকে এক সুতায় বেঁধে ফেলার গল্প"

steve-jobs-ceo-apple-next

স্টিভ জবস-- অ্যাপেল কম্পিউটারের প্রতিষ্ঠাতা

ভর্তি হওয়ার ছয় মাসের মাথাতেই রিড কলেজে পড়ালেখায় ক্ষ্যান্ত দিই আমি। যদিও এর পরও সেখানে আমি প্রায় দেড় বছর ছিলাম, কিন্তু সেটাকে পড়ালেখা নিয়ে থাকা বলে না। আচ্ছা, কেন আমি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়লাম?

এর শুরু আসলে আমার জন্মেরও আগে। আমার আসল মা ছিলেন একজন অবিবাহিত তরুণী। তিনি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। আমার ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, আমাকে এমন কারও কাছে দত্তক দেবেন, যাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি আছে। সিদ্ধান্ত হলো এক আইনজীবী ও তাঁর স্ত্রী আমাকে দত্তক নেবেন। কিন্তু একদম শেষ মুহূর্তে দেখা গেল, ওই দম্পতির কারোরই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নেই, বিশেষ করে আইনজীবী ভদ্রলোক কখনো হাইস্কুলের গণ্ডিই পেরোতে পারেননি। আমার মা তো আর কাগজপত্রে সই করতে রাজি হন না। অনেক ঘটনার পর ওই দম্পতি প্রতিজ্ঞা করলেন, তাঁরা আমাকে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবেন, তখন মায়ের মন একটু গললো। তিনি কাগজে সই করে আমাকে তাঁদের হাতে তুলে দিলেন।

এর ১৭ বছর পরের ঘটনা। তাঁরা আমাকে সত্যি সত্যিই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছিলেন। কিন্তু আমি বোকার মতো বেছে নিয়েছিলাম এমন এক বিশ্ববিদ্যালয়, যার পড়ালেখার খরচ প্রায় তোমাদের এই স্ট্যানফোর্ডের সমান। আমার দরিদ্র মা-বাবার সব জমানো টাকা আমার পড়ালেখার পেছনে চলে যাচ্ছিল। ছয় মাসের মাথাতেই আমি বুঝলাম, এর কোনো মানে হয় না। জীবনে কী করতে চাই, সে ব্যাপারে আমার কোনো ধারণা নেই এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা এ ব্যাপারে কীভাবে সাহায্য করবে, সেটাও বুঝতে পারছিলাম না। অথচ মা-বাবার সারা জীবনের জমানো সব টাকা এই অর্থহীন পড়ালেখার পেছনে আমি ব্যয় করছিলাম। তাই আমি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং মনে হলো যে এবার সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।

সিদ্ধান্তটা ভয়াবহ মনে হলেও এখন আমি যখন পেছন ফিরে তাকাই, তখন মনে হয়, এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা সিদ্ধান্ত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমি ডিগ্রির জন্য দরকারী কিন্তু আমার অপছন্দের কোর্সগুলো নেওয়া বন্ধ করে দিতে পারলাম, কোনো বাধ্যবাধকতা থাকল না, আমি আমার আগ্রহের বিষয়গুলো খুঁজে নিতে লাগলাম।
পুরো ব্যাপারটিকে কোনোভাবেই রোমান্টিক বলা যাবে না। কারণ তখন আমার কোনো রুম ছিল না, বন্ধুদের রুমের ফ্লোরে ঘুমোতাম। ব্যবহৃত কোকের বোতল ফেরত দিয়ে আমি পাঁচ সেন্ট করে কামাই করতাম, যেটা দিয়ে খাবার কিনতাম। প্রতি রোববার রাতে আমি সাত মাইল হেঁটে হরেকৃষ্ণ মন্দিরে যেতাম শুধু একবেলা ভালো খাবার খাওয়ার জন্য। এটা আমার খুবই ভালো লাগত। এই ভালো লাগাটাই ছিল গুরুত্বপূর্ণ।

রিড কলেজে সম্ভবত দেশে সেরা ক্যালিগ্রাফি শেখানো হতো সে সময়। ক্যাম্পাসে সাঁটা টিউনারসহ সবকিছুই করা হতো চমৎকার হাতের লেখা দিয়ে। আমি যেহেতু আর স্বাভাবিক পড়ালেখার মাঝে ছিলাম না, তাই যে কোনো কোর্সই চাইলে নিতে পারতাম। আমি ক্যালিগ্রাফি কোর্সে ভর্তি হয়ে গেলাম। সেরিফ ও স্যান সেরিফের বিভিন্ন অক্ষরের মধ্যে স্পেস কমানো-বাড়ানো শিখলাম, ভালো টাইপোগ্রাফি কীভাবে করতে হয়, সেটা শিখলাম। ব্যাপারটা ছিল সত্যিই দারুণ সুন্দর, ঐতিহাসিক, বিজ্ঞানের ধরাছোঁয়ার বাইরের একটা আর্ট। আমি এর মধ্যেই মজা খুঁজে পেলাম।

এ ক্যালিগ্রাফি জিনিসটা কোনো দিন বাস্তবজীবনে আমার কাজে আসবে—এটা কখনো ভাবিনি। কিন্তু ১০ বছর পর আমরা যখন আমাদের প্রথম ম্যাকিনটশ কম্পিউটার (আমরা যাকে ম্যাক বলে চিনি) ডিজাইন করি, তখন এর পুরো ব্যাপারটাই আমার কাজে লাগল। ওটাই ছিল প্রথম কম্পিউটার, যেটায় চমৎকার টাইপোগ্রাফির ব্যবহার ছিল। আমি যদি সেই ক্যালিগ্রাফি কোর্সটা না নিতাম, তাহলে ম্যাক কম্পিউটারে কখনো নানা রকম অক্ষর (টাইপফেইস) এবং আনুপাতিক দূরত্বের অক্ষর থাকত না। আর যেহেতু উইন্ডোজ ম্যাকের এই ফন্ট সরাসরি নকল করেছে, তাই বলা যায়, কোনো কম্পিউটারেই এ ধরনের ফন্ট থাকত না। আমি যদি বিশ্ববিদ্যালয় না ছাড়তাম, তাহলে আমি কখনোই ওই ক্যালিগ্রাফি কোর্সে ভর্তি হতাম না এবং কম্পিউটারে হয়তো কখনো এত সুন্দর ফন্ট থাকত না। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে এক সুতায় বাঁধা অসম্ভব ছিল, কিন্তু ১০ বছর পর পেছনে তাকালে এটা ছিল খুবই পরিষ্কার একটা বিষয়।

আবার তুমি কখনোই ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে এক সুতায় বাঁধতে পারবে না। এটা কেবল পেছনে তাকিয়েই সম্ভব। অতএব, তোমাকে বিশ্বাস করতেই হবে, বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো একসময় ভবিষ্যতে গিয়ে একটা অর্থবহ জিনিসে পরিণত হবেই। তোমার ভাগ্য, জীবন, কর্ম, কিছু না কিছু একটার ওপর তোমাকে বিশ্বাস রাখতেই হবে। এটা কখনোই আমাকে ব্যর্থ করেনি, বরং উল্টোটা করেছে।

"আমার দ্বিতীয় গল্পটি ভালোবাসা আর হারানোর গল্প"

আমি খুব ভাগ্যবান ছিলাম। কারণ, জীবনের শুরুতেই আমি যা করতে ভালোবাসি, তা খুঁজে পেয়েছিলাম।

আমার বয়স যখন ২০, তখন আমি আর ওজ দুজনে মিলে আমাদের বাড়ির গ্যারেজে অ্যাপল কোম্পানি শুরু করেছিলাম। আমরা পরিশ্রম করেছিলাম ফাটাফাটি, তাই তো দুজনের সেই কোম্পানি ১০ বছরের মাথায় চার হাজার কর্মচারীর দুই বিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে পরিণত হয়। আমার বয়স যখন ৩০, তখন আমরা আমাদের সেরা কম্পিউটার ম্যাকিন্টোস বাজারে ছেড়েছি। এর ঠিক এক বছর পরের ঘটনা। আমি অ্যাপল থেকে চাকরিচ্যুত হই। যে কোম্পানির মালিক তুমি নিজে, সেই কোম্পানি থেকে কীভাবে তোমার চাকরি চলে যায়? মজার হলেও আমার ক্ষেত্রে সেটা ঘটেছিল। প্রতিষ্ঠান হিসেবে অ্যাপল যখন বড় হতে লাগল, তখন কোম্পানিটি ভালোভাবে চালানোর জন্য এমন একজনকে নিয়োগ দিলাম, যে আমার সঙ্গে কাজ করবে। এক বছর ঠিকঠাকমতো কাটলেও এর পর থেকে তার সঙ্গে আমার মতের অমিল হতে শুরু করল। প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ তার পক্ষ নিলে আমি অ্যাপল থেকে বহিষ্কৃত হলাম। এবং সেটা ছিল খুব ঢাকঢোল পিটিয়েই। তোমরা বুঝতেই পারছ, ঘটনাটা আমার জন্য কেমন হতাশাজনক ছিল। আমি সারা জীবন যে জিনিসটার পেছনে খেটেছি, সেটাই আর আমার রইল না।

সত্যিই এর পরের কয়েক মাস আমি প্রচন্ড দিশেহারা অবস্থায় ছিলাম। আমি ডেভিড প্যাকার্ড ও বব নয়েসের সঙ্গে দেখা করে পুরো ব্যাপারটার জন্য ক্ষমা চাইলাম। আমাকে তখন সবাই চিনত, তাই এই চাপ আমি আর নিতে পারছিলাম না। মনে হতো, ভ্যালি ছেড়ে পালিয়ে যাই। কিন্তু সেই সঙ্গে আরেকটা জিনিস আমি বুঝতে পারলাম, আমি যা করছিলাম, সেটাই আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। চাকরিচ্যুতির কারণে কাজের প্রতি আমার ভালোবাসা এক বিন্দুও কমেনি। তাই আমি আবার একেবারে গোড়া থেকে শুরু করার সিদ্ধান্ত নিলাম।
প্রথমে মনে না হলেও পরে আবিষ্কার করলাম, অ্যাপল থেকে চাকরিচ্যুতিটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো ঘটনা। আমি অনেকটা নির্ভার হয়ে গেলাম, কোনো চাপ নেই, সফল হওয়ার জন্য বাড়াবাড়ি রকমের কৌশল নিয়ে ভাবার অবকাশ নেই। আমি প্রবেশ করলাম আমার জীবনের সবচেয়ে সৃজনশীল অংশে।

পরবর্তী পাঁচ বছরে নেক্সট ও পিক্সার নামের দুটো কোম্পানি শুরু করি আমি, আর প্রেমে পড়ি এক অসাধারণ মেয়ের, যাকে পরে বিয়ে করি। পিক্সার থেকে আমরা পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার অ্যানিমেশন ছবি টয় স্টোরি তৈরি করি। আর এখন তো পিক্সারকে সবাই চেনে। পৃথিবীর সবচেয়ে সফল অ্যানিমেশন স্টুডিও। এরপর ঘটে কিছু চমকপ্রদ ঘটনা। অ্যাপল নেক্সটকে কিনে নেয় এবং আমি অ্যাপলে ফিরে আসি। আর লরেনের সঙ্গে চলতে থাকে আমার চমত্কার সংসার জীবন।

আমি মোটামুটি নিশ্চিত, এগুলোর কিছুই ঘটত না, যদি না অ্যাপল থেকে আমি চাকরিচ্যুত হতাম।

এটা আমার জন্য খুব বাজে আর তেতো হলেও দরকারি একটা ওষুধ ছিল। কখনো কখনো জীবন তোমাকে ইটপাটকেল মারবে, কিন্তু বিশ্বাস হারিয়ো না। আমি নিশ্চিত, যে জিনিসটা আমাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল সেটা হচ্ছে, আমি যে কাজটি করছিলাম, সেটাকে আমি অনেক ভালোবাসতাম।

তোমাকে অবশ্যই তোমার ভালোবাসার কাজটি খুঁজে পেতে হবে, ঠিক যেভাবে তুমি তোমার ভালোবাসার মানুষটিকে খুঁজে বের করো। তোমার জীবনের একটা বিরাট অংশজুড়ে থাকবে তোমার কাজ, তাই জীবন নিয়ে সত্যিকারের সন্তুষ্ট হওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে এমন কাজ করা, যে কাজ সম্পর্কে তোমার ধারণা, এটা একটা অসাধারণ কাজ। আর কোনো কাজ তখনই অসাধারণ মনে হবে, যখন তুমি তোমার কাজটিকে ভালোবাসবে। যদি এখনো তোমার ভালোবাসার কাজ খুঁজে না পাও, তাহলে খুঁজতে থাকো। অন্য কোথাও স্থায়ী হয়ে যেয়ো না। তোমার মনই তোমাকে বলে দেবে, যখন তুমি তোমার ভালোবাসার কাজটি খুঁজে পাবে। যেকোনো ভালো সম্পর্কের মতোই, তোমার কাজটি যতই তুমি করতে থাকবে, সময় যাবে, ততই ভালো লাগবে। সুতরাং খুঁজতে থাকো, যতক্ষণ না ভালোবাসার কাজটি পাচ্ছ। অন্য কোনোখানে নিজেকে স্থায়ী করে ফেলো না।

"আমার শেষ গল্পটির বিষয় মৃত্যু"

আমার বয়স যখন ১৭ ছিল, তখন আমি একটা উদ্ধৃতি পড়েছিলাম—‘তুমি যদি প্রতিটি দিনকেই তোমার জীবনের শেষ দিন ভাব, তাহলে একদিন তুমি সত্যি সত্যিই সঠিক হবে।’ এ কথাটা আমার মনে গভীরভাবে রেখাপাত করেছিল এবং সেই থেকে গত ৩৩ বছর আমি প্রতিদিন সকালে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে জিজ্ঞেস করি—আজ যদি আমার জীবনের শেষ দিন হতো, তাহলে আমি কি যা যা করতে যাচ্ছি, আজ তা-ই করতাম, নাকি অন্য কিছু করতাম? যখনই এ প্রশ্নের উত্তর একসঙ্গে কয়েক দিন ‘না’ হতো, আমি বুঝতাম, আমার কিছু একটা পরিবর্তন করতে হবে।
পৃথিবী ছেড়ে আমাকে একদিন চলে যেতে হবে, এ জিনিসটা মাথায় রাখার ব্যাপারটাই জীবনে আমাকে বড় বড় সব সিদ্ধান্ত নিতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে। কারণ, প্রায় সবকিছুই যেমন, সব অতি প্রত্যাশা, সব গর্ব, সব লাজলজ্জা আর ব্যর্থতার গ্লানি—মৃত্যুর মুখে হঠাৎ করে সব নেই হয়ে যায়, টিকে থাকে শুধু সেটাই, যা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। তোমার কিছু হারানোর আছে—আমার জানা মতে, এ চিন্তা দূর করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে, সব সময় মনে রাখা যে একদিন তুমি মরে যাবে। তুমি খোলা বইয়ের মতো উন্মুক্ত হয়েই আছ। তাহলে কেন তুমি সেই পথে যাবে না, যে পথে তোমার মন যেতে বলছে তোমাকে?

প্রায় এক বছর আগের এক সকালে আমার ক্যানসার ধরা পড়ে। ডাক্তারদের ভাষ্যমতে, এর থেকে মুক্তির কোনো উপায় নেই আমার। প্রায় নিশ্চিতভাবে অনারোগ্য এই ক্যানসারের কারণে তাঁরা আমার আয়ু বেঁধে দিলেন তিন থেকে ছয় মাস। উপদেশ দিলেন বাসায় ফিরে যেতে। যেটার সোজাসাপটা মানে দাঁড়ায়, বাসায় গিয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হও। এমনভাবে জিনিসটাকে ম্যানেজ করো, যাতে পরিবারের সবার জন্য বিষয়টা যথাসম্ভব কম বেদনাদায়ক হয়।

সারা দিন পর সন্ধ্যায় আমার একটা বায়োপসি হলো। তাঁরা আমার গলার ভেতর দিয়ে একটা এন্ডোস্কোপ নামিয়ে দিয়ে পেটের ভেতর দিয়ে গিয়ে টিউমার থেকে সুঁই দিয়ে কিছু কোষ নিয়ে এলেন। আমাকে অজ্ঞান করে রেখেছিলেন, তাই কিছুই দেখিনি। কিন্তু আমার স্ত্রী পরে আমাকে বলেছিল, চিকিৎসকেরা যখন এন্ডোস্কোপি থেকে পাওয়া কোষগুলো মাইক্রোস্কোপের নিচে রেখে পরীক্ষা করা শুরু করলেন, তখন তাঁরা কাঁদতে শুরু করেছিলেন। কারণ, আমার ক্যানসার এখন যে অবস্থায় আছে, তা সার্জারির মাধ্যমে চিকিৎসা সম্ভব। আমার সেই সার্জারি হয়েছিল এবং দেখতেই পাচ্ছ, এখন আমি সুস্থ।

কেউই মরতে চায় না। এমনকি যারা স্বর্গে যেতে চায়, তারাও সেখানে যাওয়ার জন্য তাড়াতাড়ি মরতে চায় না। কিন্তু মৃত্যুই আমাদের গন্তব্য। এখনো পর্যন্ত কেউ এটা থেকে বাঁচতে পারেনি। এমনই তো হওয়ার কথা। কারণ, মৃত্যুই সম্ভবত জীবনের অন্যতম প্রধান আবিষ্কার। এটা জীবনের পরিবর্তনের এজেন্ট। মৃত্যু পুরোনোকে ঝেড়ে ফেলে ‘এসেছে নতুন শিশু’র জন্য জায়গা করে দেয়। এই মুহূর্তে তোমরা হচ্ছ নতুন, কিন্তু খুব বেশি দিন দূরে নয়, যেদিন তোমরা পুরোনো হয়ে যাবে এবং তোমাদের ঝেড়ে ফেলে দেওয়া হবে। আমার অতি নাটুকেপনার জন্য দুঃখিত, কিন্তু এটাই আসল সত্য।
তোমাদের সময় সীমিত। কাজেই কোনো মতবাদের ফাঁদে পড়ে, অর্থাৎ অন্য কারও চিন্তাভাবনার ফাঁদে পড়ে অন্য কারও জীবনযাপন করে নিজের সময় নষ্ট করো না।

যাদের মতবাদে তুমি নিজের জীবন চালাতে চাচ্ছ, তারা কিন্তু অন্যের মতবাদে চলেনি, নিজের মতবাদেই চলেছে। তোমার নিজের ভেতরের কণ্ঠকে অন্যদের শেকলে শৃঙ্খলিত করো না। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো, নিজের মন আর ইনটুইশনের মাধ্যমে নিজেকে চালানোর সাহস রাখবে। ওরা যেভাবেই হোক, এরই মধ্যে জেনে ফেলেছে, তুমি আসলে কী হতে চাও। এ ছাড়া আর যা বাকি থাকে, সবই খুব গৌণ ব্যাপার।

আমি যখন তরুণ ছিলাম, তখন দি হোল আর্থ ক্যাটালগ নামের অসাধারণ একটা পত্রিকা প্রকাশিত হতো; যেটা কিনা ছিল আমাদের প্রজন্মের বাইবেল। এটা বের করতেন স্টুয়ার্ড ব্র্যান্ড নামের এক ভদ্রলোক। তিনি তাঁর কবিত্ব দিয়ে পত্রিকাটিকে জীবন্ত করে তুলেছিলেন।

স্টুয়ার্ট ও তাঁর টিম পত্রিকাটির অনেক সংখ্যা বের করেছিল। সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ে, আমার বয়স যখন ঠিক তোমাদের বয়সের কাছাকাছি, তখন পত্রিকাটির শেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়। বিদায়ী সেই সংখ্যার শেষ পাতায় ছিল একটা ভোরের ছবি। তার নিচে লেখা ছিল— ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো। এটা ছিল তাদের বিদায়কালের বার্তা– “ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো”।
আমি নিজেও সব সময় এটা মেনে চলার চেষ্টা করেছি। আজ তোমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি ছেড়ে আরও বড়, নতুন একটা জীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছ, আমি তোমাদেরও এটা মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।

Stay Hungry. Stay Foolish.
ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো

তোমাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

পরিশিষ্টঃ

  • স্টিভ জবসের উইকিপিডিয়া লিঙ্ক
  • এই বক্তব্যটির মূল লিঙ্ক, স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইট।
  • লেখাটি প্রথম আলো পত্রিকার এই লিঙ্ক থেকে পড়েছিলাম প্রথমে। পরবর্তীতে আমি মূল লেখা পড়ে কিছু বানান সংশোধন ও ভাষার পরিমার্জন করে সহজপাঠ্য করার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ অনুবাদক সিমু নাসেরকে। সেই সাথে আমাকেও ধন্যবাদ :D
  • ছবির সংগ্রহঃ উইকিপিডিয়ার এই লিঙ্ক
  • কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ মাহমুদ ফয়সাল

Level 2

আমি মোকাররাম০০৯। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 11 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

শুরু হয় কিন্তু শেষ হয় না...এইতো জীবন!


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই শেয়ার করার জন্য। আমার অনেক বিচ্ছিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন স্টিভ জবস এই জীবন কথায়। এক কথায় অসাধারন ভাষণ। আমি খুবই অনুপ্রানিত। সবারই পড়া উচিত; মানুষের চিন্তা ভাবনা আমূল পরিবর্তন করে দেয়ার মত কথামালা। আমি যথাসম্ভব সবার কাছে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। আবারো ধন্যবাদ।

উনার জীবন থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। কিভাবে দারিদ্রের সাথে যুদ্ধ করতে হয় তার এক উৎকৃষ্ট প্রমান।

সত‌্যিই আমাদের আবারো নতুন করে ভাবতে হবে। আজকে যুক্তরাষ্ট্রের মত জায়গায় বলে যেটা সম্ভব হয়েছে এটা কিন্তু আমাদের দেশে সম্ভব নয়। তবে আশা না হারিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। কাজটাই হচ্ছে আসল। প্রতিটি সফল মানুষের পিছেনে রয়েছে লুকানো কিছু স্বপ্নের কথা, কষ্টের কথা, আনন্দের কথা, বেদনার কথা। কিন্তু সত্য হচ্ছে সৎ আর পরিশ্রমী হলে সামনে এগুনোকে কেউই রুখতে পারে না। সত‌্যিই লেখাটা খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ মোকাররম ভাইকে সুন্দর একটি লেখা আমাদের সাথে ভাগাভাগি করার জন্য। আশা করি আরো এরকম লেখা আগামিতে দেখতে পাবো।

Level 0

valo……..

অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর এই টিউনের জন্য। অনেক না জানা কথা জানতে পারলাম আপনার টিউনের মাধ্যমে।

অসাধারণ!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

প্রথম আলোতে পড়ার পরেই জীবনের কিছু হতাশার নতুন মানে খোঁজে পেয়েছি।

এত সুন্দর একটা লেখা কারো চোখে পড়ে নি?? হা হা 😛 সফট নিয়ে লিখলে কমেন্টের বন্যা বয়ে যায় কিন্তু এখানে?? কিভাবে টিউনাররা ভালো টিউন করবে যদি না সবাই ভালো চিনে??

Level 0

এক কথায় টপিকটা অসাধারন 🙂

Stay Hungry. Stay Foolish.
ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো
mane ki?

অসাধারণ টিউন। তাই নয় কি? কত জনে করতে পারে?
অগণিত শুকরিয়া টিউনার ভাই।

আমি কিছু দিন যাবত কাজে আকেবারে ই আগ্রহ পাচ্ছিলাম না… কিন্তু বিশ্বাস করুন টিউনটি আমাকে নতুন করে উজ্ঞীবীত করল। ধণ্যবাদ মোকাররম ভাই কে শেয়ার করার জন্য।

নির্বাচিত করার জন্য এডমিন কে ধন্যবাদ।

অনেক ভাল একটি টিউন । এই টিউন থেকে অনেক কিছু জানার আছে , সেখার আছে । ধন্যবাদ ।

Level 0

ইদানিং আমি এমনিতেই কমেন্ট কম করি কিন্তু গল্পটি এত ভাল লেগেছে যে কমেন্ট না করলে নিজেক অপরাধী মনে হত।
সত্যিই অসাধারন। যে কোন মানুষের জীবনী পড়তে আমার ভাল লাগে। এই গল্পটি আমার অনেক অনেক দিন মনে থাকবে। আবারও বলছি অসাধারন অসাধারন একটি বস্তব গল্প। টিউনটি নির্বাচিত করা এডমিনকে অনেক ধন্যবাদ।

    কমেন্ট কম করি, এটা কি গরব করে বলার মত জিনিস কিনা বুঝলাম না।

    Level 0

    গর্ব করে বলার জন্য না, টিউনটি কতটা ভালো লেগেছে তা বুঝানোর জন্যই বুলবুল ভাই এ কথাটি বলেছেন,
    @বুলবুলঃ কি ভাই ঠিক বললাম 🙂

    Level 0

    😛

Great

অনেক সুন্দর অনুপ্রেরনা মুল্ক পোস্ট ।

Level 0

http://www.youtube.com/watch?v=D1R-jKKp3NA
video টা এই লিঙ্ক থেকে দেখে নিবেন

এই রকম আরও লেখা পাইলে শেয়ার করবেন। অ্নেক সুন্দর হয়ছে এটা তো আর বলার অপেখখা রখে না।

সত্যিই অসাধারণ জীবনকথা । প্রথম আলোতে পড়ে এতোটা ভাল লাগেনি এখন যতটা ভাল লাগলো । একই লেখা একটু ঘুরিয় বা বুঝিয়ে লিখলে লিখাটি প্রাণবন্ত হয় তাও শিখলাম মোকাররাম০০৯ ভাইয়ের কাছ থেকে। ধন্যবাদ মোকাররাম ভাই, ধন্যবাদ টেকটিউনস ।

Level 0

অসাধারন…………..। এক জন মানুষের জীবনে যে এত উত্থান পতন থাকে তা আগে না জানলেও এখন জানলাম। অনেক কিছু জানার আছে এই জীবন কহিনীতে। ধন্যবাদ আপনাকে।

অসাধারন Tune…
নির্বাচিত হওয়ার মতোই…
কিন্তু মোকাররাম০০৯ ভাই কোনও Reply করছেন না কেন?…

    আসসালামু আলাইকুম ভাইয়ারা……।ফাস্ট টাইম তো! তাই কি লিখব বুঝতে পারছি না। তবুও ধন্যবাদ এডমিন ও অন্যান্য ভাইদের। আল্লাহ্‌ আপনাদের উপর রহমত বর্ষণ করুন। আমীন।

Level 0

aweeeeeeeeeeeeeeeeeeeeeeeeeeewsome !!!!

"মৃত্যু" অংশটিকে সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ।

শিউরে উঠলাম। সত্যিই অনেক অনুপ্রেরণা মূলক বক্তব্য এটি।
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

অনেক কিছু শিখা গেল।

porar por chokhe pani eshe gelo!!! i must forward it to my friendz!!!

Realy very inportant things. Thanks a lot.

Level 0

স্টিভ জবস সম্পর্কে আগে থেকেই জানতাম…তবে এভাবে গুছিয়ে জানানোর জন্য ধন্যবাদ। এক অসাধারন ব্যক্তিত্ব। আপনার টিউন টি প্রসংসনীয়।

Level 0

আমার একটা CDMA মডেম আছে। কিন্তু ঐ মডেমটার Driver Software নাই। মডেমটা TIAN TUO XIN DIAN CDMA Technologies এর। এর Driver Software পাবার পদ্ধতি বলবেন প্লিজ।
আমি সাহায্য চাই বিভাগে এটা পোস্ট করতে চেয়েছিলাম কিন্ত পারি নাই। এ বিভাগে পোস্ট করছিলাম কিন্তু তা ড্রাফট হয়ে আছে। এ বিভাগে পোস্ট করতে পারলে ছবি সহ দিতে পারতাম।
এমন কি পদ্ধতি আছে যা দিয়ে আমি মডেমের Driver Software এর থেকে রেহাই পেতে পারি।
Help me please.
[email protected]

অসাধারণ টিউন…জীবন সম্পর্কে দৃষ্টিভংগী পাল্টে দেবার জন্য যথেষ্ট। ধন্যবাদ মোকাররম ভাই। আর টেকটিউনসকে ধন্যবাদ টিউনটিকে নির্বাচিত করার জন্য – তা না হলে মিস হয়ে যেত।

"স্টেয়িং হাংগ্রী, স্টেয়িং ফুলিশ"

Level 2

অনেক ধন্যবাদ ভাই। যেখানে আমাদের দেশের বেশীরভাগ মানুষ চাকুরী করার জন্য পাগল সেখানে এরকম একটি অসাধারণ টিউন আমাদের সবার জন্য শিক্ষনীয়।

খুব ভাল লাগল । শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ

Thanks

অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটা পোষ্ট করার জন্য ।

অসাধারন গল্প ভাল লাগল

many many thanks for share

Level 0

অসাধারন একটি জীবনাল্লেখ্য। হতাশাগ্রস্থ সকল মানষের জন্য শিক্ষনীয়। আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করার জন্য অকৃত্রিম ভালবাসা জানাই।

Level 0

অসাধারণ জীবনাল্লেখ্য । হতাশাগ্রস্ত মানুষের জন্য এক সুন্দর টনিক। ভাগাভাগি করার জন্য অকৃত্রিম ভালবাসা রইল।

Admin ra ki shab ganga khor prothom alo kinar khamata amader nai?
Haramir dall dekh amar site——-<p><a href="DEKH%20NAILE%20MARMO">LOOK YOUR NEED</a></p>

    ভাই তোমার কমেন্ট এ আমি একমত নই।

    টিউনার মাসুদ,
    আমি আপনার এই অশ্লীল কথার জন্য খুব দুঃখিত। আপনার লজা করে না এই ভাবে এডমিনদের গালা-গালি করতে? ছিঃ ছিঃ ছিঃ। আল্লাহ্‌ কোরান মাজিদে সূরা হুমা্যাহ-তে বলেছেন-"নিশ্চিত ধবংস এমন প্রত্যেক ব্যাক্তির জন্য, যে (সামনা-সামনি) লোকদের উপর গালাগাল এবং (পিছনে) দোষ প্রচারে অভ্যস্ত।" (সূরা নং-১০৪, আয়াত নং-১)

ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ

অসাধারণ !!!অসাধারণ !!!!অসাধারণ!!!!!!!!!!!!!!!!!!

একটি অসাধারণ !!!অসাধারণ !!!!অসাধারণ!!!!!!!!!!!!!!!!!! টিউন

Level 0

Darun.

বলে বুঝাতে পারব না কতটা অসাধারন হয়েছে। অনেক কিছু শিখলাম । আমি এখানে নতুন । তবে জয়েন করে নিজেকে খুব ধন্য মনে হচ্ছে।

This tune is copied from prothom-alo blog…

Nice! very very nice.

মোকাররাম ভাই ভাল লাগল এমন অসাধারণ একট টপিক শেয়ার করার জন্য। আর মাসুদ ভাইকে বলতেছি সব জায়গায় সব কিছু চলেনা। আপনারটা চলার কিছু জায়গা আছে……….। শালীনতা বজায় রেখে কমেন্ট করবেন। যাতে পাঠরা পড়ে আনন্দিত হয় অনুপ্রণিত হয়।

ভাই অনেক অনেক ধন্যবাদ

ধন্যবাদ অসাধারণ টিউনের জন্য…
আমি একটি এন্ড্রয়ড এপ তৈরি করেছি, বিক্রয়[ডট]কম এর অল্টারনেটিভ হিসেবে। ইচ্ছে হলে ট্রাই করে দেখতে পারেন।
এপটির ফীচার সমূহঃ
* কোনো রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই এড পোস্ট করতে পারবেন
* দিনে আনলিমিটেড এড পোস্ট করতে পারবেন
* লোকেশন বেইসড এড সার্চ করতে পারবেন
* কোন হিডেন চার্জ নেই, একদম ফ্রী
* ইনশা আল্লাহ, আমি যতদিন বেঁচে থাকব, অতদিন সার্ভিসটা ফ্রী রাখব
* ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস
* ছোট APK সাইজ ( মাত্র ৩ এমবি)
.
গুগল প্লে ডাউনলোড লিঙ্কঃ https://play.google.com/store/apps/details?id=p32929.buysellbd
APK ডাউনলোড লিঙ্কঃ http://tiny.cc/buy_sell_bd
.
এপটি ডাউনলোড করে দয়াকরে একটি হলেও এড পোস্ট করুন। অনেক খুশি হব। আগাম ধন্যবাদ…