ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য গাইড লাইন

সাধারণত একজন নতুন সে যখন  ফ্রিলান্সিং শুরু করতে চায় কিন্তু তার মনে নানাবিধ প্রশ্ন উদ্য় হয়।  আর তার এই প্রশ্নগুলার উত্তর পাওয়ার জন্য সে তার নিকটে কাহাকেও পায় না। তাই সে নিজেকে গুটিয়ে নেয়। কিন্তু আমি চাই যে, তার এই সুপ্ত প্রতিভা যেন গুপ্ত অবস্থায় না থেকে, বিকশিত হয়ে সমাজের জন্য ভাল কিছু বয়ে আনতে পারে। আর সে জন্য আমি তার প্রশ্নগুলার উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি।

প্রশ্নগুলার লিস্ট –

প্রশ্ন ০১। আমি ফ্রিলান্সিং শিখতে চাই?

প্রশ্ন-০২। আমি কোন কাজ পারি না, আমি কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করব?

প্রশ্ন -০৩।  ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আমার কোন আইডিয়া নেই, দয়া করে বলেবন, আমার কি কি শিখা উচিত?

প্রশ্ন -০৪। আমি মোটামুটি কাজ পারি, কিন্তু  আমি কোন সাইটে কাজ করব, কি করব বুঝতে পারছি না।

প্রশ্ন নং ০৫।  আমি আউটসোর্সিং  করতে চাই।  ফ্রিলান্সিং এবং  আউটসোর্সিং  এর মধ্যকার পার্থক্য  তুলে ধরতে

প্রশ্ন ০৬। আমি ফ্রিলান্সিং করতে চাই, কেন আমি অন্যের কাজ ফ্রিতে করে দিব?

প্রশ্ন -৭। কভার লেটার লেখার নিয়ম কি? কিভাবে কভাব্র লেটার লিখলে, আমি ১০০% কাজ পাব।

প্রশ্ন ০৮। আমি কি সত্যিই  টাকা পাব? তাহলে কিভাবে টাকা উত্তোলন করব?

উপরোক্ত প্রশ্নের উত্তর ধারাবাহিকভাবে দেওয়া হল-

ওয়েবডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট এবং ফ্রিল্যান্সিং ভিডিও টিউটোরিয়াল ইউটিউবে

প্রশ্ন ০১। আমি ফ্রিলান্সিং শিখতে চাই?

ফ্রিলান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্স কথার অর্থ হচ্ছে মুক্ত পেশা, আর যিনি ফ্রিল্যান্স পেশায় নিয়োজিত, তিনি হলে মুক্ত পেশাজীবী বা ফ্রিল্যান্সার। ফ্রিল্যান্সিং একটি ব্যক্তিগত প্রক্রিয়া। এটা একজন ব্যক্তি কর্তৃক নির্ধারিত কর্মকান্ড যার নির্ধারিত কোন নিয়োগকর্তা থাকেনা, সে নিজেই, নিজেকে নিয়োগ করে থাকেন। একজন মুক্ত পেশাজীবীকে আমরা বলতে পারি যে, সে একইসাথে একজন স্ব-নিযুক্ত কর্মজীবী বা পেশাজীবী।
আরও সহজ ভাষায় বলতে গেলে, আমার ভাষায় ফ্রিলান্সিং হচ্ছে, আপনার একটা পিসি আর ইন্টারনেট কানেকশন থাকবে আর মেধা এবং স্কিল দিয়ে অন্য কারর বা দেশ/বিদেশের কাজ করে দিবেন টাকার/ডলারের বিনিময়ে, এইটাই ফ্রিলান্সিং।

ফ্রিলান্সিং করতে হলে আপনাকে  নিম্মের প্রশ্নগুলার হ্যাঁ সূচক উত্তর থাকতে হবে

১। আপনি  সব চাইতে কি ভাল পারেন  বা কি পছন্দ করেন  সহজ কথায় আপনার  স্কিল খুব ভাল লেভের কি না।

২। আপনার  প্রচুর পরিমান ধৈর্য আছে কি না।

৩। ৬ মাস  হতে ১ বছর পর্যন্ত যদি ইঙ্কাম না করতে পারেন  তবে আপনি  ভালভাবে চলতে পারবেন  কি না

৪। আপনার  ফ্যামিলির কোন প্রেসার আছে কি না

৪। আপনি  শুধু ফ্রিলাঞ্চিং করবেন সাথে  অন্য কিছু করবেন  কি না(চাকুরীর  পাশাপাশি ফ্রিলান্সিং করবেন  না, যদি পারেন  ফ্রিলান্সিং এর পাশা পাশি চাকুরী করবেন) সহজ আপনাকে ফুল টাইম দিতে হবে।

৬। যদি আপনার  একাঊন্ট সসপেন্ড বা ডিসেবল হয়ে গেলেও আপনি  আবার একটা নতুন একাঊন্ট ক্রিয়েট করে জির (০) শুরু করর মন মানসিকতা আপনার থাকবে  কি না।

৭। ক্লাইন্ট আপনার  বস, সে টাকা না দিয়ে উল্টা আমার বেশি কথা বলবে কিন্তু তার কথা শুনেও আপনি  এই লাইনে থাকতে পারবেন  কি না

৮। ফ্যামিলি কে সময় দিতে না পারলে, আপনার  উপর প্রেসার আসবে কি না, কারন এই লাইনে আপনার  সময় আর আপনার  থাকবে না, ক্লাইন্টের  হয়ে যাবে।

৯। আপনি  প্রচুর মানসিক শ্রম দিতে পারবেন  কি না।

১০। আপনার  পড়া লেখা শেষ কি না, কারন একবার টাকার মুখ দেখলে আর পড়া লেখা হবে না।

উপরোক্ত সব গুলা প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যাঁ তবে আসুন যে

আপনি কি শিখবেন?

মুলত ফ্রিলান্সিং শেখা বলতে আপনার বিভিন্ন ক্যাটাগারীতে কাজ শেখা কে বুঝায়।

যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন, এস ই ও, ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট, এফেলিয়েট  ইত্যাদি অনেক অনেক ক্যাটাগরী আছে আনারা গুগলে খুঁজে নিবেন।

প্রশ্ন-০২। আমি কোন কাজ পারি না, আমি কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করব?

আপনার যদি কোন কাজ জানা  না থাকে, তবে আপনি কাজ শিখে নিন। কাজ শিখে নিতে দোষ কোথায়?।  যে কোন কিছুই শিখতে পারেন।

১। ওয়েব ডিজাইনিং

২। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

৩। কম্পিউটার প্রোগ্রামিং

৪। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এস ই ও)

৫। গ্রাফিক্স ডিজাইনিং

৬। কনটেন্ট রাইটিং

৭। এডমিন সাপোর্ট

৮। সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং

৯। কাস্টমার সার্ভিস

১০। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

ইত্যাদি ইত্যাদি আরও অসংখ্যা কাজ, যেটা গুগলে সার্চ করে নিবেন।

সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে যে,  মানুষ যা নিয়ে ঘটাঘাটি করবে  সে দিকেই এক্সপার্ট হবে এইটাই স্বাভাবিক। আজকেই আপনি কাজ শুরু করলেই প্রথম দিন ই সফল হবেন  না। আপনি যদি আজ থেকেই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন তাহলে আজই না হোক কাল বা এক মাস পর অথবা এক বছর পর এক জন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন। তবে বলে রাখি যে, এক সাথে দুইটা কাজ হয় না। আপনি চাকুরী করবেন আবার ফ্রিলান্সিং করবেন,  তাহলে আপনি কোনটাই ভাল করে করতে পারবেন না। না চাকুরী না ফিলান্সিং। আপনার যদি চাকুরী করার ইচ্চা থাকে তবে আপনার জন্য এই পেশা না। আর আপনি যদি প্রথাগত চাকরি করতে না চান, তাহলে আজ থেকেই ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানা শুরু করুন। এখানে কাজের অভাব নেই। সাথে সাথে কাজের  বিষয়ের ও অভাব নেই। আপনার ইচ্চা মত আপনি আপনার পছন্দের বিষয় নির্বাচন করে সামনে এগিয়ে যাবেন। এক সময় একটা  বিষয় নিয়ে কাজ শুরু  করলেন কিছুদিন পর দেখলেন যে সেটা ভাল লাগছে না  তখন আপনি ইচ্চা করলে  সহজেই অন্য বিষয়ে পরিবর্তন করতে পারবেন।

তবে আমি আপনাকে সাজেস্ট করব যে, আপনি যে কোন এটা বিষয়ের এক্সপার্ট হবেন। হোমিও ডাক্তারদের মত সব বিষয় এক্সপার্ট হতে যাবেন না। এতে রেজাল্ট খুব ভাল হয় না। আরও সহজ ভাষায়,  ধরে নিলাম আপনি ওয়েব ডিজাইনার কিন্তু আপনি কোন দিন গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করতে যাবে না। আপনি পারলেও করবে না। ক্লাইন্টকে গ্রফিক্স ডিজাইনের  কাছে রেফার করবেন। এটা আপার প্রফাইলের জন্য ভাল হবে।

তবে কোন কোন ক্ষেত্রে এক জন ফ্রিল্যান্সারকে এক সাথে অনেক কিছুর কাজ করতে হয়।  তবে যেটাই  করুন না কেন, আপনার লক্ষ্য  থাকতে হবে স্থির।

আমার কাছে এই প্রশ্ন কেহ করলেই আমি উত্তর দেই এইভাবে আপনি গুগল এবং ইউটিউব, কেহ যদি ১০০ বার যদি বলে এর পর কার কাছে? তখনও একই উত্তর দিব। কিন্তু এই গুগল, ইউটিউব  প্রপারলি ইউজ করতে জানতে হবে। গুগলের কাছে আপনাকে প্রশ্ন করতে জানতে হবে। যদি সঠিকভাবে গুগলের কাছে প্রশ্ন করতে পারেন তবে কোন দিন কোন অনলাইনের কাজএ আপনার আটকাবে না।

তবে এই জন্য যদি কেহ আমাকে ১০০ বার  প্রশ্ন করে যে, ফ্রিলান্সিং করতে হলে আমাকে কি কি লাগবে,

তবে প্রত্যেকে বার বলব যে, আপনার ভাল “ইংরেজী” জানতে হবে তাহলে আপনি ভাল মাসে $2000 ইনকাম করা আপনার জন্য কোন ব্যাপার হবে না।

এর পর লাগবে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেত কানেকশন।

এর পর যারা গুগল, ইউটিউব প্রপারলি ইউজ করতে পারেন না। তারা এক্সপার্টদের কাছে যাবেন, যদি তারা ইচ্ছা করে তবে আপনার জন্য ভাল কিছু করে দিতে পারে।

যদি কারর এক্সপার্ট সাথে পরিচয় না থাকে তবে আপনার ট্রেনিং সেন্টারে যাবেন। তবে আমাদের দেশের ৯০% ট্রেনিং সেন্টারের ট্রেনারদের নিজেদেরই কোন প্রফাইল নাই। তারা ধান্ধা করে টাকা ইনকাম করে।  কারর মনে কষ্ট দেওয়ার জন্য এই কথা গুলি বলি নাই। ভুল-ত্রুটি ক্ষমা  করে দিবেন প্লিজ।

প্রশ্ন -০৩।  ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আমার কোন আইডিয়া নেই, দয়া করে বলেবন, আমার কি কি শিখা উচিত?

আপনার যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কোন আইডিয়া নেই সেহেতু আমি একটু আইডিয়া দেই, আপনি যেহেতু স্বাধীনতা পছন্দ করেন, কারর  কটু কথা হয়ত আমার ভাল লাগে না, আপনি চাকুরীর চাইতে বেশি  ইনাকাম করতে চান কিন্তু আপনার পকেটে কোন টাকা নাই, শুধু টাকার অভাবে আপনার স্বপ্নগুলা পচে যাচ্ছে, আপনি স্বপ্ন কাজে লাগাতে পারছেন না  বা আপনি নিজের বাসায় বসে কিংবা নিজের অফিসে বসে স্বাধীন মনে কাজ করতে পছন্দ করেন। সো আপনার জন্যই “ফ্রিল্যান্সিং”।

আমার ভাষায়, ফ্রিলান্সিং হচ্ছে, আপনার  একটা পিসি আর ইন্টারনেট কানেকশন থাকবে  আর মেধা এবং স্কিল দিয়ে অন্য কারর বা দেশ/বিদেশের  কাজ করে দিবেন  টাকার/ডলারের বিনিময়ে, এইটাই ফ্রিলান্সিং।
আমার কি কি শিখা উচিৎ?
আপনার কি কি শেখা উচিৎ আমার চাইতে আপনিই অনেক ভাল জানেন যে, আপনার কোন কোন বিষয়ে গ্যাপ আছে।

ধরে নিলাম আপনি বিরিয়ানীর সাথে বোরহানী ভালবাসেন, আর আমি আপনাকে বললাম যে, আপনি বোরহানী খাবেন না আপনি কোল্ডড্রিঙ্কস খান তবে আপনার কেমন লাগবে, অবশ্যই ভাল লাগবে না? দেখা গেল আপনার বিরিয়ানী খাওয়ার পর বমি হয়ে গেল বা কোন ক্ষতি হয়ে গেল, তখন কি আমি আপনার ক্ষতি পূরণ করে দিব? কোন দিন কি শুনেছেন যে, ডাক্তারের কাছে রুগী মারা যাওয়ার পর ডাক্তারের ফাঁসি হতে?

যাক কাজের কথায়  আসি, প্রথমে আপনাকে যে কোন একটা বিষয়ে চরম দক্ষতা অর্জন করতে হবে, FRCS ডাক্তার হতে হবে (ফান করলাম)। আপনার যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন ভাল লাগে তবে গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর আরও বেশি দক্ষতা অর্জন করবেন। যদি ওয়েব ডিজাইন ভাল লাগে তবে ওয়েব ডিজাইনের উপর দক্ষতা অর্জন করবেন। এক কথায় আপনার যে বিষয়টা ভাল লাগে বা পছন্দ হয়, সেই বিষয়ের উপর বেশি দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আরও সহজ ভাষায় বলি, অনলাইনে কাজের কোন অভাব নাই, আরও দিন দিন চাহিদা বাড়ছে, কিন্তু কাজের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনবল পাওয়া  জায় না। তাই আমি সাজেস্ট করব যে, আপনি যদি খারাপ কাজ গুলা, খুব কোয়ালিটির মাধ্যমে করতে পারেন, তবে আপনি আর যাইহোক হিউজ ইনকাম করতে পারবেন।  এর চাইতে আমি আর ভেঙ্গে বলতে পারছি না।

এরপর অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলতে ঘাটাঘাটি করতে হবে  একটু সময় দিতে হবে। অনালাইনে যারা ভাল কাজ করে দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রোফাইল দেখতে হবে, তাদের সাথে পারলে যোগাযোগ করতে হবে। তাদের কাছে ফেসবুকে বা সরাসরি হেল্প চাইতে হবে, তারা হয়ত কাজের কারনে সময় দিতে চাইবে না। তার পরও বার বার নক করতে হবে। হয়ত আপনি একদিন একটু সময় চাইবেন কিন্তু সে হয়ত রেস্পন্স করবে না। তারপরও মনে কষ্ট নিলে চলবে না। আবার ও একদিন নক করতে হবে, সেদিনও সে রেস্পন্স করবে না। যেহেতু আপনার দরকার কাজ শেখার তাই মনে কষ্ট না নিয়ে বার বার তার কাছে হেল্প চাইবেব দেখবেন সে একদিন ঠিকই আপনার একজন ভাল বন্ধু হয়ে যাবে এবং আপনার অনেক উপকার হবে। এতে লজ্জার কিছু নাই। কোন ইগো থাকলে চলবে না। সারা ওয়ার্ল্ডে এর মধ্যে বাঙ্গালীদের বেশি ইগো থাকে। এরপর তাদের প্রোফাইলের মত করে নিজের প্রোফাইল সাজাতে হবে।

ইংরেজীতে ফ্লুয়েন্টলি কথা বলা এবং লেখার যোগ্যতা থাকতে। অন্তত একটি জব টিউন পড়ে বুঝতে হবে যে আপনার ক্লায়েন্টের কাজের জন্য সে কি কি করতে বলছে এবং ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলার মত ইংরেজী জ্ঞান থাকতে হবে। হয়ত আপনার ইংরেজী জ্ঞান আছে কিন্তু ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলতে ভয় হতে পারে কিন্তু ভয় পাওয়া যাবে না। আমারও প্রথম প্রথম ভয় হত, কিন্তু এখন আর হয় না। ক্লায়েন্ট এমন কোন ইংরেজী বলে না যে, আপনি যেটা বুঝতে পারবেন না। ক্লায়েন্টও জানে যে, আপনার ভাষা ইংরেজী না। ক্লায়েন্টরা  কিছু কমন ইংরেজী বলে, সেটা আপনি ৫/৬ কথা বললে আপনার আয়ত্তে চলে আসবে। আপনার আরও হেল্পার জন্য ত বস আছেই, বলেন ত বস কে? পারলেন নাতো, গুগল আর গুগলের সহপাটী ইউটিউব, আপনি একটু কষ্ট সার্চ করে উদ্ধার করেন প্লিজ, দেখবেন সব উত্তর বস দিয়ে দেবে। স্যালুট বস তোমার জন্য আজ আমি অনলাইনে রুহুল আমিন আর আমার  ফ্রি প্রতিষ্ঠান ইউটিউব চ্যানেল (RuhulAcademy)। অনেক কথা মনে হয় কিন্তু আমার লিখতে কষ্ট হয়।

প্রশ্ন -০৪। আমি মোটামুটি কাজ পারি, কিন্তু  আমি কোন সাইটে কাজ করব, কি করব বুঝতে পারছি না।

আপনি যদি ফ্রিলান্সিং আইডিয়া পেয়ে থাকেন এবং কিছু কাজ শিখে থাকেন তবে নিম্নের যে কোন একটি অথবা সব কয়টিতে  মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ভাল করে জানুন,  গুগলে সার্চ করুন। প্রত্যেকটিতে  একাটা করে একাউন্ট খুলে ফেলুন। তবে মনে রাখবেন যে, প্রত্যেকটা মার্কেটপ্লেস এ নিজের প্রোফাইল প্রপারলী সাজাতে হয়। আপনি  নিজে  কি কাজ করতে পারেন  বা নিজের কোন কাজের উপর দক্ষতা আছে  প্রোফাইলে তা যুক্ত করতে হয়। তারপর অনলাইনে এক্সাম দিতে হ্য় আপনার দক্ষতার উপর। যদি আপনি এক্সামে পাশ করেন, কারোর  সহযোগিতা ছাড়া তাহলে আপনি বুঝবেন যে, আপনি কাজ করার জন্য উপযুক্ত। এরপর কাজ পাওয়ার জন্য অবশই আপ্লিকেশন বা  বিড করতে থাকুন। তবে মনে রাখবেন যে, আপনি যে কাজটা খুব ভাল পারবেন বলে আপনার উপর আপনার কনফিডেন্স আছে, সে কাজটিতে  বিড করুন। আর যদি আপনি কাজটি না পারেন তবে বসের (গুগলের)কাছ থেকে একটু সার্চ করে ঐ কাজটি সম্পর্কে খুব ভালভাবে জেনে নিন।  আরও ভাল জানতে বসের সহপাটির(ইউটিউব) কাছে জান, দেখবেন সে সব কিছু একে একে বুঝিয়ে দিবে কিন্তু এক টাকাও বিল নিবে না আপনার কাছ থেকে।

তে যান সেখানে আমি আমার সাধ্যমত সব কয়টি মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এর পরেও যদি না বুঝতে পারেন তবে সরাসরি আমার কাছে প্রশ্ন করবেন। তবে বিড করার আগে কাজ ভালভাবে শিখে নিবেন, এইভাবে শিখতে শিখতে আপনি নিজেই একদিন বস বা এক্সপার্ট হয়ে যাবেন। তারপর কাজে বিড  সময়  ক্লায়েন্টকে সুন্দর একটা মেসেজ দিন যে, আপনি কেন কাজটা করতে  এত  আগ্রহী বা কাজটা করতে চান। আপনি কাজটা কখন শুরু করতে পারবেন। বা আপনি কাজটা কিভাবে সম্পূর্ণ করতে চান।  আপনি কতদিনের মধ্যে কাজটি ডেলিভারী দিতে পরেবন।  এছাড়া যদি আপনার কোন প্রশ্ন থেকে থাকে কাজটা সম্পর্কে আপনি  ক্লাইন্টকে প্রশ্ন করতে পারেন, এতে ক্লাইন্ট খুব খুশি হয়। অনেক সময় ক্লাইন্ট কাজের মধ্যে কিছু প্রশ্ন করে থাকে সেটা আপনি প্রপারলি একটু সময় নিতে উত্তর দিবেন। এইভাবে যদি আপনি ক্লাইন্টকে বুঝিয়ে দিতে পারেন,  তবে আমি আপনাকে ১০০% গ্যারান্টি দিতে পারি যে, আপনি কাজ পাবেন ইনশাল্লাহ।

আপনার বিডটা পাওয়ার পর ক্লাইন্ট আপনাকে রিপ্লাই দিবে এবং হয়ত বলবে যে, আপনি কাজটি কখন শুরু করতে পারবেন ইত্যাদি আপনি সেইগুলার প্রপালি উত্তর দিলেই আপনাকে ক্লাইন্ট হায়ার কর নিবে।

আমি এখানে কিছু মার্কেটপ্লেসের লিঙ্ক দিচ্ছি। এর বাহিরে আরো অনেক গুলো মার্কেটপ্লেস রয়েছে।

প্রশ্ন নং ০৫।  আমি আউটসোর্সিং  করতে চাই।  ফ্রিলান্সিং এবং  আউটসোর্সিং  এর মধ্যকার পার্থক্য কি? 

অনলাইন ফ্রিলান্সিং
অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করে বা দেখছি বিভিন্ন গ্রুপে প্রশ্ন করে যে, আমি আউটসোর্সিং করতে চাই, কিন্তু তারা ফ্রিলান্সিং করবে না। সত্যি কথা বলতে যারা ফিলান্সিং করে তাদের মধ্যে কেহ কেহ আছে যে, তারা এই ফ্রিলান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মধ্যে পার্থক্যটা খেয়াল করে না। এমন কি তাদের সামনে গ্রুপে নতুন রা আমি আউটসোর্সিং করতে চাই? তারা ঠিকই উত্তর দেয় কিন্তু খেয়াল করলেও হয়ত সংশোধন করে দেয় না। আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করছি ফ্রিলান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মধ্যকার পার্থক্য তুলে ধরতে।

ফ্রিলান্সিং

ফ্রিল্যান্স কথার অর্থ হচ্ছে মুক্ত পেশা, আর যিনি ফ্রিল্যান্স পেশায় নিয়োজিত, তিনি হলে মুক্ত পেশাজীবী বা ফ্রিল্যান্সার। ফ্রিল্যান্সিং একটি ব্যক্তিগত প্রক্রিয়া। এটা একজন ব্যক্তি কর্তৃক নির্ধারিত কর্মকান্ড যার নির্ধারিত কোন নিয়োগকর্তা থাকেনা, সে নিজেই, নিজেকে নিয়োগ করে থাকেন। একজন মুক্ত পেশাজীবীকে আমরা বলতে পারি যে, সে একইসাথে একজন স্ব-নিযুক্ত কর্মজীবী বা পেশাজীবী।
আরও সহজ ভাষায় বলতে গেলে, আমার ভাষায় ফ্রিলান্সিং হচ্ছে, আপনার একটা পিসি আর ইন্টারনেট কানেকশন থাকবে আর মেধা এবং স্কিল দিয়ে অন্য কারর বা দেশ/বিদেশের কাজ করে দিবেন টাকার/ডলারের বিনিময়ে, এইটাই ফ্রিলান্সিং।
আউটসোর্সিং
আর আউটসোর্সিং হচ্ছে একটা সাংগঠনিক প্রক্রিয়া, তাহলে আউটসোর্সিং হচ্ছে ফ্রিলন্সারদের কাজের মূল উৎস বা কেন্দ্র, যেখান উৎস থেকে বা যে কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন ধরনের কাজ, বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন ফ্রিলন্সারদের কাছ এসে বিডের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ করে মূল কাজটি সমন্বয় এর মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। সহজ করতে বলতে, আউট সোর্স থেকে কোন কাজ, কারর কাছ থেকে করিয়ে নেওয়াকে বুঝায়।
আরও সহজ ভাষায় যারা কাজটি “করায়” তারা আউটসোর্সিং করে এবং যারা কাজটি “করে” তারা ফ্রিলান্সিং করে।
যেহেতু আমারা কাজ করি কিন্তু করাই না সুতারাং আমারা ফ্রিলান্সিং করি বা ফ্রিলান্সার এবং আবার আমরা যখন অন্য ফিলান্সারদের দারা কাজটি করাব তখন বলতে পারব যে, আমি আউটসোর্সিং করি।
তাহলে সহজ ভাষায় আমরা যেটা বুঝলাম যে, ক্লায়েন্টরা হল আউটসোর্সিং করে আর আমরা ফ্রিলন্সিং করি। সবাই ভাল থাকবেন আল্লাহ হাফেজ, বিস্তারিত জানতে সময় পেলে ইউটিউবে সার্চ দিবেন “Ruhul Academy” সেখান যে রেজাল্ট গুলা দেখতে পাবেন, সবগুলা আমার ভিডিও সেখান থেকে জানতে পারবেন।

প্রশ্ন ০৬। আমি ফ্রিলান্সিং করতে চাই, কেন আমি অন্যের কাজ ফ্রিতে করে দিব?

হ্যাঁ আপনি যেহেতু  সকল বিষয় জেনে শুনে বুঝে ফ্রিলান্সিং পেশায় আসতেছেন। সুতারাং আপনার কিছু পোর্টফলিও দরকার হবে।

এখন প্রশ্ন থাকতে পারে যে, পোর্টফলিও কি?

সহজ ভাষায় বলতে হলে পোর্টফলিও  হচ্ছে, আপানার পূর্বের কাজের স্যাম্পল  অর্থাৎ আপনি পূর্বে যে ক্লাইন্টের কাজ করেছেন বা পূর্বে যে কারর কাজ করেছেন বা নিজে নিজে প্রাকটিস করার সময় যে কাজগুলা করেছেন তার একটা পরিমার্জিত রুপ বা স্টোর।
এখন আপনার প্রশ্ন থাকতে পারে যে, পোর্টফলিও কেন দরকার হবে?
যেহেতু  ফ্রিল্যান্সিং করতে চাচ্ছেন সুতারাং আপনাকে ক্লাইন্টের কোন  কাজে বিড করার আগে বা কাজে  এপ্লিকেশন  কররার সময় একটি কভার লেটার লিখতে হয়। আরও সহজ ভাষায় বলা যায়, কাজটা পাওয়ার জন্য দরখাস্ত লিখতে হয়ে এবং এই কভার লেটারে  প্রায় সময়ই দেখা যায় যে,  ক্লাইন্ট আপনাকে পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পর্কে লিখতে বলছে।  এখন  যদি পূর্বে কোন কাজের  অভিজ্ঞতা  না থাকে।  তাহলে ঐ অভিজ্ঞতার জায়গায় কিছু লিখতে পারবেন না। আরও সহজ ভাষায় বলতে, আপনার ক্লাইন্ট বা ক্লাইন্টের হায়ারিং  ম্যানেজার জিজ্ঞাসা  করল যে আপনি আমার এই কাজের মত,  কোন কাজ কি, আগে কোন দিন কোন ক্লাইন্টের জন্য করেছেন?  যদি করে থাকেন তবে  সেই সকল কাজের লিংক বা কাজের পোর্টফলিও বা স্যাম্পল দেন। এখন যদি আপনি কারোর কাজ করে থাকেন তবে সেই কাজের লিংক দিতে পারবেন আর যদি না করে থাকেন তবে তখন আপনি পূর্ব কাজের উদাহরন দিতে পারবেন না।

আরও সহজ ভাষায় বলতে চাইলে, যখন আপনি কোন ক্লাইন্টের কাজে বিড বা এপ্লিকেশন করতে চাচ্ছেন, তখন তার জব ডেসক্রিপশন পড়ে দেখলেন যে, ক্লাইন্ট বলেছে, যে আপনার পূর্বের করা কোন কাজের পোর্টফলিও দেন বা স্যাম্পল দেন, এটা বাংলাদেশের চাকুরীর ক্ষেত্রে এক্সপেরিয়েন্স চাওয়ার মত, আপনার এক্সপেরিয়েন্স চাইবে, সেক্ষেত্রে  আপনি আপনার পোর্টফলিও বা স্যাম্পল যদি প্রভাইড  করতে  না পারেন তবে আপনার কাজটা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক অংশে কমে যাবে।

এখন প্রশ্ন থাকতে পারে যে,  আমি ত পূর্বে কোন  কাজ করিনি বা আমি নতুন?

আপনি যেহেতু  ফ্রিল্যান্সিং করতে চান সেজন্য  আপনাকে অন্যের জন্য  কিছু কাজ ফ্রী করে দিতে হবে। তার ফলে আপনার পোর্টফলিও  বা স্যাম্পল স্ট্রং হবে। মার্কেটপ্লেসে আপনার কাজ পেতে সুবিধা হবে। কারন ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেসটাতে এখন খুবিই প্রতিযোগিতা হয়। সুতারাং এখানে  আপনার পোর্টফলিও বা স্যাম্পল খুবিই জরুরী।
এখন প্রশ্ন থাকতে পারে কেন আমি অন্যের কাজ ফ্রিতে করব?
আপনি চাচ্ছেন যে, আপনি আপনার নিজের কাজ করবেন, কেন আপনি ফ্রিতে অন্যের কাজ করবেন,  তাইত?

নিজের কাজ করার চাইতে অন্যের কাজ বা আপনার পরিচিত কারোর কাজ করাটা খুবিই ভাল কারন, আপনি  যখন অন্যের কাজ করবেন তখন সেই ব্যক্তি আপনাকে ক্লাইন্টের মত করে ইন্সট্রকাশন দিবে। তারমত করে আপনাকে কাজ করতে হবে। সে কি চায় সেটা বুঝে কাজ করতে হবে। এতে আপনার অভিজ্ঞতা  অনেক গুনে বেড়ে যাবে। এককথায় অন্যের মনের মত কাজ করাটা আপনার প্রাক্টিস হয়ে যাবে। এবং আপনি যখন ক্লাইন্টের কাজে বিড করবেন তখন আপনি এইকাজগুলাকে স্যাম্পল হিসাবে দিতে পারবেন। এতে আপনার কাজ পাওয়াটা খুবিই সহজ হয়ে যাবে। ওয়েব ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট বা কোন আইটি রিলেটেড কাজের জন্য আমার ফ্রি টিউটোরিয়াল চ্যানেল থেকে ঘুরে আশাকরি আপনাদের উপকারে আসবে।

প্রশ্ন -৭। কভার লেটার লেখার নিয়ম কি? কিভাবে কভাব্র লেটার লিখলে, আমি ১০০% কাজ পাব

ধরে নিলাম যে, আপনি খুব ভালভাবে কাজ শিখেছেন। এখন আপনাকে যে কোন মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্টের কাজে বিড করতে হবে। আপনার কভার লেটার একটু ভিন্নভাবে লেখার চেষ্টা করবেন। আপনাকে সব সময় অন্যদের থেকে ভিন্ন কিছু চিন্তা করবেন। সব  সময়  চিন্তা করবেন যে, আমি যে ভাবে কভার লেটার লিখছি, সেটা যদি আমি ক্লাইন্ট হতাম,  তবে কি আমি এই কভার লেটার লেখার জন্য খুশি হয়ে তাকে হায়ার করতাম?। সব  সময় ক্লাইন্টের জায়গা থেকে নিজেকে চিন্তা করবেন। কিভাবে একজন আপনার কাজে বিড করলে আপনি তাকে হায়ার করতেন। যদি এই প্রশ্ন আপনার নিজের জন্য হয়, আর প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যাঁ সূচক হ্‌  তবে আশা করি আপনি কাজ পাবেনই ১০০% ইনশাল্লাহ।

বাংলাদেশের কোম্পানির চাকুরীরমত সব ক্লাইন্ট  চায় যে, তার  কাজে অভিজ্ঞরাই বিড করুক।

আপনার কভার লেটারে আপনি শেখার সময় যে কাজগুলা করেছিলেন বা আপনার পরিচিত কারোর ফ্রিতে যে কাজ গুলা করে দিয়েছিলেন।  সেই কাজগুলা বা পোর্টফোলিও গুলা অ্যাড করে দিবেন।

মুলত কভার লেটার লেখার কোন নিয়ম নাই, আছে কিছু টেকনিক যেমন, আপনি  অনেক বড় একটা মেসেজ  না দিয়ে  যদি ক্লাইন্টকে অল্প কথায় বুঝাতে পারেন  তবে সেটাই খুবিই ভাল হয়। বিশাল একটা মেসেজের চাইতে ক্লাইন্টকে সরাসরি কাজের কথা  দিয়ে  কভার লেটার লেখা শুরু করবেন। এতে ক্লাইন্ট আরও বেশি খুশি হয়। বেশি হিজিবিজি ক্লাইন্ট পছন্দ নাও করতে পারে।

তবে আরও সহজ করে বলতে গেলে আপনি প্রথমে জব ডেসক্রিপশান টা ভাল করে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়ে বুঝবেন।

১। এর দেখাবেন যে, ক্লাইন্ট আপনার কাছ থেকে কোন প্রশ্নের উত্তর চাইছে কি না, যদি উত্তর চেয়ে  থাকে, তবে সুন্দরভাবে কভার লেটারে সেটার উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

২।  কাজ নিয়ে ক্লাইন্টের কাছে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে, কভার লেটারে  সেটা উল্লেখ করবেন।

৩। আপনি কিভাবে কাজটি শেষ করতে চাচ্ছেন, সেটাও কভার লেটারে উল্লেখ করবেন।

৪।  আপনি কেন জবটি সময় মত  শেষ ক্লাইন্টেকে ডেলিভারি দিতে  পারবেন, সেটাও কভার লেটারে উল্লেখ করবেন।

৫।  আপনি কেন এই কাজটির জন্য পারফেক্ট সেটাও কভার লেটারে উল্লেখ করবেন।

৬।  আপনি ক্লাইন্টের দেশের টাইম অনুযায়ী আপনি কোন সময় থেকে কোন সময় পর্যন্ত অনলাইনে থাকতে পারবেন, সেটাও আপনি কভাবে লেটারে উল্লেখ করবেন।

৭। সবচাইতে বড় কথা হচ্ছে, আপনি কাহাকে ফ্লো না করে এইভাবে নিজের মনের মত করে, একটা পারফেক্ট কভার লেটার লিখে ফেলবেন।

৮। সহজ কথায় কারোর কভার লেটার কপি পেস্ট না করে,  নিজের মত করে যেটা লিখতে ইচ্চা,  সেটাই লিখবেন।

এইভাবে যদি কভার লেটার লিখতে পারেন আর আপনার প্রফাইলে যদি অন্য কোন প্রব্লেম না থাকে,  তবে ১০০% আপনি কাজ পাবেনই ইনশাল্লাহ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আরও বিস্তারিত জানতে  Youtube.com এ সার্চ করবেন Ruhul Academy তারপর যে ভিডিও গুলা দেখতে পারবেন সেখানের সবগুলা ভিডিও আমার। সেখান থেকে আপনারা বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।

প্রশ্ন ০৮। আমি কি সত্যিই  টাকা পাব? তাহলে কিভাবে টাকা উত্তোলন করব?

যদি প্রপার গাইড লাইন মেনে চলেন তবে আশাকরি আল্লাহ পাকের রহমতে ১০০% কাজ পেয়ে যাবেন। আর যদি কাজ না পান তবে হতাশ হলে চলবে না।  কারন আমি প্রশ্ন নং-০১ এ বলেছিলাম যে, কাজ না পেলে হতাশ হলে আপনি ফ্রিলান্সিং করতে  পারবেন না।  কিন্তু আপনি আমার সব কথা মেনে নিয়ে এই লাইনে আসছিলেন। সুতারাং আপনাকে আবারও নিয়মিত  বিড করতে হবে। একটা বিড করে বসে থাকার সুযোগ নাই। মনে বল রাখবেন, আর আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখাবেন,  আর সব বিডগুলা শেষ করেন,  আপনি কাজ কাজ পাবেনই। আর নিজের মনকে বলবেন যে, সবাই যদি পারে,  আমি কেন পারব না। আর আপনি সব সময় নিজেকে ভাববেন যে, আমি সবার চাই তে বেশি পারি। আপনি একদিন সাকসেস হবেনিই  ইনশাল্লাহ।

ধরেনিলাম কাজ পেছেন, বর্তমান সব মার্কেট প্লেস কাহাকে হায়ার করার আগে ক্লাইন্টের কাছ থেকে আগে টাকা জমা নিয়ে রাখে সুতারাং আপনার কাজ যদি ক্লাইন্ট একসেপ্ট করে,  তবে ক্লাইন্ট টাকা রিলিজ  না দিলেও ঐ মার্কেটপ্লেস আপনার টাকা দিতে বাধ্য। আমি আবারও বলছি আপনি  যদি সম্পূর্ণ কাজ করে থাকেন,  তবে আপনি সত্যিই টাকা পাবেন। আপনার মার্কেটপ্লেসের  একাউন্টে অটোমেটিকালী যোগ হয়ে যাবে।

টাকা কিভাবে উত্তোলন করব?
আর আপনার মার্কেটপ্লেসের  একাউন্ট থেকে আপনি আপনার ব্যাংকে ট্রান্সফার করতে পারবেন। অধিকাংশ মার্কেটপ্লেস এখন ব্যাংক সাপোর্ট করে।

আবার অনেক মার্কেটপ্লেস থেকে স্ক্রিল বা পেওনিয়ার এর  মাধ্যমে টাকা আনতে পারবেন। সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কথা হল যে, কিভাবে টাকা উত্তোলন করতে হবে সেই চিন্তা বাদ দিয়ে কিভাবে টাকা ইনকাম করতে হবে সেই চিন্তা করবেন।  ক্লাইন্ট টাকা রিলিজ দেওয়ার পর আপনার মার্কেটপ্লেসের একাউন্টে টাকা জমা হয়ে যাবে আর তারপর যে কোন উপয়ে টাকা  উত্তোলন করা যাবে এই নিয়ে কোন  টেনশন করতে হবে না। টেনশন করতে হব যে, কোন উপয়ে সুন্দরভাবে ক্লাইন্টের কাজ শেষ করা যায়।

মার্কেটপ্লেসের একাউন্টে টাকা জমা হওয়ার পর অনেক উপায়ে টাকা হাতে নিয়ে আসতে পারবেন।

অনেকের মনে এই প্রশ্ন আসতে পারে যে, আমার পেপাল, আমার মস্টার কার্ড নেই, আমার স্ক্রিল একাউন্ট নেই। আমার দ্বারা এই কাজ হবে নে বলে বসে থাকার কোন সুযোগ নাই।

টাকা আনার জন্য পেওনিয়ার মাস্টার কার্ডও ব্যবহার করতে পারবেন। পেওনিয়ার আপনাকে একটা কার্ড দিবে আপনি ATM বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

পেওনিয়ার কার্ডের জন্য আপনি পেওনিয়ারে অফিসিয়াল সাইট কার্ডের জন্য ফ্রী আবেদন  ফ্রি আবেদন করতে পারবেন http://www.payoneer.com সাইটে গিয়ে আপনার  নাম, ঠিকানা, ইমেইল, ইত্যাদি নির্ভুল ভাবে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।  এর পর আপনার ঠিকানায় পেওনিয়ার ফ্রি  কার্ড চলে আসবে। পরে যে কোন সময় কার্ডে টাকা ট্রান্সফার করে একটিভ করতে পারবেন এবং  যে কোন মার্কেটপ্লেসে কার্ড যুক্ত করে কার্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তল  করতে পারবেন। আপনি টাকা ইনকাম করুন।  আমি আপনার টাকা, আপনার হাতে পাওয়ার গ্যারান্টি  দিব।

আরও বিস্তারিত জানতে  Youtube.com এ সার্চ করবেন Ruhul Academy তারপর যে ভিডিও গুলা দেখতে পারবেন সেখানের সবগুলা ভিডিও আমার। সেখান থেকে আপনারা বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।

বইটির ডাউনলোড লিংক

নোটঃএখানে সব কথা আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে লেখা হয়েছে। ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন প্লিজ।

Level 2

আমি W3 SOFT। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 16 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

GREEN BANGLA IT HELP DESK -এ আপনাকে স্বাগতম। আমাদের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য আপনাকে অনুরোধ করছি । সাইটের ঠিকানাঃ http://tiny.cc/gbithelpdesk