ESRB রেটিং লোগো এবং কনটেন্ট বিবরণী: আমারা আমাদের ছোটদের কি গেম খেলতে দিচ্ছি?

টিউন বিভাগ গেমস
প্রকাশিত

আসসালামু আলাইকুম,

আপনাদের সামনে আবার হাজির হলাম একটি গন সচেতনতা মূলক একটি টিউন নিয়ে।

আমরা গেম এর ডিস্ক কেনার সময় নিচের ছবি গুলর মত কিছু লোগো দেখি কিন্তু কখন ভেবেছি কি এই লোগো গুল কিসের বা প্যাকেটের সাথে এই লোগো দেয়ার কারন কি? The Entertainment Software Rating Board তথা ESRB দ্বারা প্রদত্ত এই সব লোগোর মাধ্যমে গেমের কনটেন্ট সম্পর্কে ধারনা দেয়ে হয় ক্রেতা এবং বিশেষ করে অভিবাবক দের যাতে করে তারা নিজেদের বা সন্তানের জন্য উপযুক্ত গেম কেনার জন্যে নির্বাচন করতে পারে। আমাদের দেশে এই জিনিসটি সম্পর্কে আমরা এবং অভিবাক সচেতন নই ফলে ৫/৬ শিশুরাও অ্যাডাল্ট কনটেন্ট যুক্ত গেম খেলছে।

ESRB LOGO

www.esrb.org

এ বিষয়ে বিশেষ করে GTA সিরিজের গেম গুলর কথা বলা যায় যেটি আমাদের দেশের এই প্রজন্মের শিশুদের অতান্ত প্রিয় গেম। গেমটির বিভিন্ন পর্বে সরাসরি যৌনতা এবং নগ্নতা উপস্থিত যা ESRB কর্তিক MATURE 17+ দেয়া একটি গেম। আমি নিজে দেখেছি IDB তে এক অভিবাবক দোকানদারে নিকটে ১০/১২ বছর বয়সী ছেলের জন্য গেম চাইলে দোকানদার সরাসরি GTA এর দুইটা পার্ট এর ডিস্ক দিল। তিনি প্যাকেটটির উপরের খারাপ ছবিটির দিকেও খেয়াল করলেন না, কিনে নিলেন। ঐ ছেলেটি যখন ১০/১২ বছর বয়সে তার বাবার কিনে আনা MATURE গেমটি খেলবে তখন নির্ঘাত এই ডিজিটাল যুগে ১৩/১৪ বছর বয়সে পর্ণগ্রাফিতে আকৃষ্ট হবে। শুনতে খারাপ লাগলে এইটাই বাস্তবতা এবং আমার বাড়ির বিভিন্ন ফ্লাটে এর জলন্ত প্রমাণ বিগত কয়েক বছর ধরে প্রত্যক্ষ করছি।

আমরা বড়রা যখন গেম খেলি অনেক ছোটরা এসে দাড়িয়ে দেখে ফলে যে লাউ সেই কদু ঘটে। অনেকে বলতে পারেন কয়টি বা খারাপ দৃশ্য আছে, কি বা হবে ৫/১০ সেকেন্ড দেখলে। কিন্তু আপনি চিন্তা করে দেখেন ওর বয়সে আপনার ঐ ৫/১০ সেকেন্ড দেখলে মনের অবস্থা কিরকম হত।

পর্ণগ্রাফি ডিজিটাল যুগে নেশার মত ভয়াবহ যা শিশুদের নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে নিয়ে যায়। সমাজে ইভটিজিং, ধর্ষণ এবং আমাদের দেশের বর্তমানে উল্লেখযজ্ঞ হারে বাড়তে থাকা টিনএজ সেক্সর দিকে আকৃষ্ট করছে। আমি পর্ণগ্রাফিতে শিশুদের প্রথম সোপান হিসেবে এই সকল গেম গুলকেই দায়ি করব। কারন ১০/১২ বছর বয়সী একটি ছেলে যতটুক হিন্দি সিনেমার বা চ্যানেলের ভক্ত তার চেয়ে বেশি ভক্ত এই সকল অ্যাডাল্ট কনটেন্ট যুক্ত গেমএর।

এই বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের দেশের অভিবাবকদের সচেতনতা যতটুকু প্রয়োজন তারচেয়ে বেশি প্রয়োজন আমাদের মত বড় ভাই বা বোনদের। আমাদের ছোট ভাইরা কি গেম খেলছে তা দেখা দরকার এবং আমরা এই সকল গেম খেলার সময় খেয়াল রাখব যাতে ছোটরা পাশে না থাকে।

ভাল লাগলে টিউনটি ফেসবুকে সবার সাথে শেয়ার করতে পারেন, কারণ সকল অভিভাবকের এই বিষয়টি সম্পর্কে জানা প্রয়োজন আছে।

সবাইকে অগ্রিম ইংরেজি নব বর্ষের শুভেচ্ছা রইল 😀

Level 0

আমি iamnayem। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 192 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Ami apnar sönge popuri ekmo. Prnografir provab khub voyaboho o marattok.

Level 0

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এ ধরনের জনসচেতনতা মূলক পোস্ট করার জন্য। আমাদের সবার এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত।

    Level 0

    @Tanvir134: আপনাকেও ধন্যবাদ, বিষয়টি কে আমাদের অভিভাবক মহল এর সামনে তুলে ধরতে হবে।

thanks for the post

সময় উপযোগী সচেতনতামুলক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ । নিষিদ্ধ তে আকর্ষণ বলেই অনেকে অজান্তে আবার অনেকে এজ রেটিং + দেখেই আকৃষ্ট হয় । স্বভাব গঠনের প্রাথমিক কারিগর ( বাবা-মা ) কেই সচেতন ভাবে সর্বোত্তম চরিত্রায়ন ছোট থেকেই করতে হবে ।

Level 0

আপনি এইভাবে সরাসরি গেম গুলোকে দোষ দিতে পারেন না। সেই ছেলে এই গেম গুলো খেলতে পারে CD/DVD কিনে আনতে পারে, নেট থেকে ডাউনলোড করে গেম খেলতে পারে সেই ছেলে-মেয়েরা গেম দেখে পর্ন দেখা শিখছে বলা যাবে না। কারণ গেম খেলার চেয়ে পর্ণ দেখা অনেক সোজা। কিছুই করতে হয় না। গেম একধরণের নেশা সেইটা অনেক ক্ষতি করে বলা যায়।

আর রেটিং এর কথা বলছেন আমেরিকার কয়টা মুভি আর গেম যেগুলা ১৬+/১৭+ রেটিং দেওয়া থাকে না?
আমি যা দেখেছি কোন কিছু বাধা দিয়ে রাখলে সেইটার প্রতি আকর্ষণ হাজার গুণবেড়ে যায়, যা করা যায় তা বুঝিয়ে বলা, সেইটা আমাদের দোষ, আমরা লজ্জায় এই পুলাপাইনদের কিছু বলতে পারি না, ভিতরে যে এরা পক্কাইয়া টস টস করতেছে সেই খবর নাই।

    Level 0

    @Anwar: পুরা পোষ্টা ভাল করে পড়ে তার পরে কমেন্ট করুন। আমি এখানে গেমের কোন দোষ দেইনাই, জাস্ট উদাহারন দিয়েছি।

আজকালকার ছেলেমেয়েরা আমরা যা ভাবি তার ছেয়ে অনেক অ্যাডভান্সড। আসলে অবাধে পর্ণ গ্রাফি থাকা ই উচিত না।

    Level 0

    @Mehedi Hasan Shaon: কেউই জন্ম থেকেই অ্যাডভান্সড থাকে না, চার পাশের পরিবেশই শিশুদের অ্যাডভান্স বানায়। বাসায় বড় বোনের সাথে বসে সিরিয়াল দেখে আর ভাইয়ের পাশে বসে পিসিতে এই ধরনের গেম বা মুভি দেখে তখন এমনি অ্যাডভান্স হয়ে যায়। আমাদের এ ব্যাপারে সচেতন হয়া জরুরী।

@ iamnayem : ভাই আমি আপনার সাথে পুরোপুরি একমত । আসলে আমাদের কারোরই যেন এই ব্যাপারে কোনো মাথা ব্যাথা নেই । একারনেই আমাদের ছোট ভাই বোনরা অল্প বয়সেই অনেক বেশি ম্যাচিউর(Pornograhy) আর খারাপ হয়ে যাচ্ছে । আপনাকে ধন্যবাদ এই রকম একটা জন সচেতনতামূলক টিউন করার জন্য । টেক টিউনসের কাছে আবেদন করব টিউনটা নির্বাচিত করার জন্য ।

এই পোষ্টটি অতি শীঘ্র মুছে ফেলার দাবি জানাই।এই পোষ্টের অনুসরণে সবাই নিজেদের সন্তানের উপর অন্যায় নিষেধাজ্ঞা জারি শুরু করবেন যা সন্তানকে নিষিদ্ধ জগতের প্রতি আগ্রহ বাড়াবে।