২০১৮ সালের বেস্ট গ্রাফিক্স কার্ডগুলো

টিউন বিভাগ হার্ডওয়্যার
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

গেমস খেলার জন্য গ্রাফিক্স কার্ডের গুরুত্ব কতটুকু সেটা আর নতুন করে বলার অবকাশ নেই। প্রসেসর এবং র‌্যামের সাথে একটি মানান সই গ্রাফিক্স থাকলে উক্ত পিসি দিয়ে আপনি সকল প্রকার গেমস এর স্বাদ নিতে পারবেন এবং বিভিন্ন গ্রাফিক্সের কাজ স্বাছন্দের সাথে করতে পারবেন। আর আপনি যদি এ বছরে নতুন কোনো গ্রাফিক্স কার্ড কিনতে চান বা পুরোনো গ্রাফিক্স কার্ডকে বদলে নিতে চান তাহলে আমার আজকের এই টিউনটি আপনারই জন্য। আমি আজ নিয়ে এলাম এ বছরের সেরা কিছু গ্রাফিক্স কার্ড যা আপনি নিশ্চিন্তে কিনে নিতে পারেন।  বর্তমান যুগে গ্রাফিক্স কার্ড কিনতে হলে আপনাকে নূন্যতম ১০০ মার্কিন ডলার বা ৬/৭ হাজার টাকার বাজেট রাখতে হবে। কারণ এর নিচে এ বছরের কোনো গ্রাফিক্স কার্ড আপনি কিনতে পারবেন না। আর পুরোনো মডেলের গ্রাফিক্স কার্ড কিনে তেমন কোনো উপকার হবে না আপনার। আজকের এই টিউনকে আমি ৫টি ভাগে ভাগ করেছি এগুলো মূলত গ্রাফিক্স কার্ডের ক্ষমতা এবং দামের উপর নির্ভর করে করা হয়েছে। আর হ্যাঁ গ্রাফিক্স কার্ড কেনা বা আপগ্রেড করার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন উক্ত গ্রাফিক্স কার্ডটি আপনার মাদারবোর্ডের সাথে সার্পোট করে কিনা। তো চলুন আর ভূমিকায় কথা না বাড়িয়ে সরাসরি টিউনে চলে যাই:

এন্ট্রি লেভেলের গ্রাফিক্স কার্ড

এন্ট্রি লেভেলের গ্রাফিক্স কার্ড হিসেবে আপনি এ বছর কিনে নিতে পারেন AMD Radeon RX 550 কিংবা Nvidia GeForce GT 1030 এর যেকোনো একটিকে। তবে এই দুটি মডেলের মধ্যে এনভিডিয়ারটা একটু ফাস্ট এবং দামেও একটু কম। কিন্তু অন্যদিকে এএমডি রাডিয়ন আরএক্স ৫৫০ গ্রাফিক্স কার্ডটি কম বিদ্যুৎ খাবে কিন্তু এটির দাম একটি বেশি। আর দুটি গ্রাফিক্স কার্ডেই আপনি পাবেন ওভারক্লকিং ফিচার। এছাড়াও রাডিয়ন RX 550 গ্রাফিক্স কার্ডে রয়েছে AMD এর Adaptive Sync সার্পোট, অর্থ্যাৎ আপনার যদি একটি ফ্রিসিংস্ক মনিটর থাকে বা কোনো ফ্রিসিংস্ক মনিটর কেনার পরিকল্পনা থাকে তাহলে রাডিয়ন RX 550 গ্রাফিক্স কার্ডটিই কেনা আপনার জন্য উত্তম হবে। আর্ন্তজাতিক বাজারে রাডিয়ন RX 550 গ্রাফিক্স কার্ডের দাম হচ্ছে ১১৫ মার্কিন ডলার এবং এনভিডিও জিফোর্স জিটি ১০৩০ গ্রাফিক্স কার্ডের দাম শুরু হবে ৯০ মার্কিন ডলার থেকে। এক্ষেত্রে আমাদের দেশে এর দাম আরো বেশি হতে পারে।

Radeon RX 550 গ্রাফিক্স কার্ডে রয়েছে AMD Liquid VR Technology, রয়েছে Radeon Chill পাওয়ার সেভিং ফিচার, রয়েছে ৪র্থ প্রজন্মের GCN Architecture, রয়েছে Direct X 12, Radeon ReLive, Radeon FreeSync, AMD Eyefinity, AMD Enduro, OpenCL 2.0, OpenGL 4.5 সহ আরো অনেক ফিচার। ডিডিআর ৫ মডেলের এই গ্রাফিক্স কার্ডটি ২ গিগাবাইট এবং ৪ গিগাবাইট আকারে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। গ্রাফিক্স কার্ডটি ব্যবহার করতে হলে তোমার চাই নুন্যতম 400w পাওয়ারের একটি পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট।

অন্যদিকে GeForce GT 1030 গ্রাফিক্স কার্ডে রয়েছে GPU boost ফিচার, রয়েছে ডাইরেক্ট এক্স ১১, 64bit 2GB DDR5 মেমোরি, OpenGL 4.5 সহ আরো অনেক কিছু। আর এই গ্রাফিক্স কার্ডটি ব্যবহার করতে হলে তোমার চাই নুন্যতম ৩০০w ক্ষমতার একটি পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট।

মেইনস্ট্রিম গ্রাফিক্স কার্ড

আপনি যদি একেবারেই এন্ট্রি লেভেলের গ্রাফিক্স কার্ড না কিনে একটু উন্নত মানের গ্রাফিক্স কার্ড নিতে চান তাহলে এই মেইনস্ট্রিম গ্রাফিক্স কার্ডগুলো দেখতে পারেন। আমাদের আজকের মেইনস্ট্রিম গ্রাফিক্স কার্ড লিস্টে রয়েছে এনভিডিয়ার জিফোর্স জিটিএক্স ১০৫০ টিআই এবং এএমডির রাডিয়ন আরএক্স ৫৭০। যারা ১০০ ডলারের উপরে কিন্তু ২০০ ডলারের মধ্যে বাজেট নিয়ে গ্রাফিক্স কার্ড কিনতে চান তাদের জন্য এ বছরের উপযুক্ত চারটি মডেল রয়েছে যেগুলো হলো GeForce GTX 1050, 1050 Ti and Radeon RX 560, RX 570। রাডিয়ন আরএক্স ৫৬০ এবং জিটিএক্স ১০৫০ এর মধ্যে আপনার বাজারে এদের মধ্যে যেটি কমমূল্যে পাওয়া যায় আপনি সেটিকেই নিয়ে নিতে পারেন। অন্যদিকে আরেকটু বেশি পারফরমেন্স পেতে চাইলে আপনি চলে আশাকরি আপনি বাজেট থাকলে জিটিএক্স ১০৫০ টিআই নিয়ে নিতে পারেন।
4GB DDR5 জিটিএক্স ১০৫০ টিআই কার্ডে আপনি পাবেন CUDA, 3D Vision, PhysX, Nvidia G-Sync, Ansel ফিচারগুলো। আর এই গ্রাফিক্স কার্ডটি চালাতে হলে আপনার পিসিতে নুন্যতম 300W ক্ষমতা পাওয়ার সাপ্লাই থাকতে হবে।
অন্যদিকে 4GB DDR5 এবং 8GB DDR5 মডেলের রাডিয়ন আরএক্স ৫৭০ গ্রাফিক্স কার্ডে আপনি পাবেন ৩২টি কম্পিউট ইউনিট, ২৫৬ বিট মেমোরি ব্রান্ডউইথ, রাডিয়ন এর যাবতীয় সকল সফটওয়্যার সার্পোট সহ ক্রসফায়ার সুবিধা। গ্রাফিক্স কার্ডটি আপনার কম্পিউটারে চালাতে হলে নুন্যতম 450W ক্ষমতার পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটের আপনার প্রয়োজন হবে।

মিড রেঞ্জ গ্রাফিক্স কার্ড

যারা এ বছরে মিড রেঞ্জ গ্রাফিক্স কার্ড নিতে চান আর যাদের বাজেট ৩৫০ মার্কিন ডলার বা ২০ হাজার টাকার উপরে রয়েছে তারা এনভিডিয়ার জিফোর্স জিটিএক্স ১০৬০ এর ৩জিবি বা ৬ জিবির মডেলটি কিংবা ৪ জিবি বা ৮ জিবির এএমডি রাডিয়ন আরএক্স ৫৮০ গ্রাফিক্স কার্ডটি নিয়ে নিতে পারেন।
৩জিবির জিটিএক্স ১০৬০ গ্রাফিক্স কার্ডটি যারা ১০৮০p রেজুলেশনে গেমস খেলতে চান তাদের জন্য বেশ উপযুক্ত। বর্তমানে আর্ন্তজাতিক বাজারে এটি ২৪০ মার্কিন ডলারে বিক্রি হচ্ছে যেটা মিড রেঞ্জ গ্রাফিক্স কার্ড হিসেবে যথেষ্ট ভালো। অন্যদিকে এই কার্ডের ৬ গিগাবাইট সংষ্করণটি আগেরটির থেকে ফাস্ট এবং এর দাম ৩৩০ মার্কিন ডলার রয়েছে আর্ন্তজাতিক মার্কেটে।
অন্যদিকে রাডিয়ন আরএক্স ৫৮০ এর ৪ গিগাবাইট সংষ্করণটি আপনি পাবেন ২০০ মার্কিন ডলারে এবং ৮ গিগবাইট সংষ্করণটি পাবেন ২৩০ মার্কিন ডলারে। আর মাত্র ৩০ ডলারের পার্থক্যের জন্য মিডরেঞ্জ রাডিয়ন গ্রাফিক্স কার্ড হিসেবে আমি এখানে ৮ জিবি সংষ্করণকে ধরে নিয়েছি। তাই মিড রেঞ্জ গ্রাফিক্স কার্ড হিসেবে আপনি ৩ জিবির জিটিএক্স ১০৬০ কিংবা ৮ জিবির রাডিয়ন আরএক্স ৫৮০ কে বেছে নিতে পারেন।

৩ জিবির DDR5 জিফোর্স জিটিএক্স ১০৬০ গ্রাফিক্স কার্ডে রয়েছে প্যাসকল GPU আর্কিটেকচার, ১১৫২ এনভিডিয়া কিউডা কোর, ১.৪এক্স বুস্ট ক্লক স্পিড সহ ১৭০৮ গতি, ১৯২বিট মেমোরি, VR, Ansel, G-Sync, GameStream ফিচারগুলো সহ রয়েছে ডাইরেক্ট এক্স ১২ সার্পোট, রয়েছে এনভিডিয়া জিপিইউ বুস্ট ৩.০।
অন্যদিকে ৬ জিবির DDR5 জিফোর্স জিটিএক্স ১০৬০ গ্রাফিক্স কার্ডে রয়েছে প্যাসকল GPU আর্কিটেকচার, ১২৮০ এনভিডিয়া কিউডা কোর, ১.৪এক্স বুস্ট ক্লক স্পিড সহ ১৭০৮ গতি, ১৯২বিট মেমোরি, VR, Ansel, G-Sync, GameStream ফিচারগুলো সহ রয়েছে ডাইরেক্ট এক্স ১২ সার্পোট, রয়েছে এনভিডিয়া জিপিইউ বুস্ট ৩.০।
এই দুটি গ্রাফিক্স কার্ডের সম্পূর্ণ পারফরমেন্স পেতে হলে তোমার চাই কোর আই ৭ 3.2 গিগাহার্জ গতির প্রসেসরযুক্ত কম্পিউটার এবং ৪০০w ক্ষমতার পাওয়ার সাপ্লাই ও উইন্ডোজ ১০ ছাড়া এই গ্রাফিক্স কার্ড তুমি চালাতে পারবে না।
অন্যদিকে ৮ জিবির GDDR5 রাডিয়ন আরএক্স ৫৮০গ্রাফিক্স কার্ডে তুমি পাচ্ছো, ৩৬ কম্পিউট ইউনিট, ২৫৬ বিট মেমোরি ব্রান্ডউইথ, 1340 MHz গতির বুস্ট ফ্রিকোয়েন্সি, ৪র্থ প্রজন্মের Gen GCN আর্কিটেকচার, Radeon Chill, Radeon ReLive, Direct X 12, FreeSync, AMD Eyefinity, AMD CrossFirem, AMD Enduro, AMD LiquidVR, AMD PowerTune সহ আরো অনেক ফিচার। গ্রাফিক্স কার্ডটি তোমার পিসিতে চালাতে হলে তোমার চাই নুন্যতম ৫০০w ক্ষমতার একটি পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট।

হাই এন্ড গ্রাফিক্স কার্ড

আপনি যদি এ বছরের সকল গেমসগুলো হাই গ্রাফিক্স সেটিংস দিয়ে খেলতে চান তাহলে আপনি এই হাই এন্ড গ্রাফিক্স কার্ডগুলো নিয়ে নিতে পারেন। এর জন্য আপনার কমপক্ষে ৬০০ মার্কিন ডলার বা ৪০ হাজার টাকার বাজেট রেডি রাখতে হবে। এ বছরের হাই এন্ড গ্রাফিক্স কার্ড হিসেবে আপনি এনভিডিয়ার জিফোর্স জিটিএক্স ১০৭০ বা জিটিএক্স ১০৭০ টিআই কিংবা এএমডি রাডিয়ণ আরএক্স ভেগা ৫৬ মডেলের কার্ডটি বেছে নিতে পারেন।
৪৮০ মার্কিন ডলারের জিফোর্স জিটিএক্স ১০৭০ এর চাইতে মাত্র ১০/২০ ডলার বেশি খরচ করে জিফোর্স জিটিএক্স ১০৭০ টিআই নিয়ে নেওয়া উত্তম বলে আমি মনে করি। জিটিএক্স ১০৭০ গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে আপনি এ বছরের সকল গেমসই হাই গ্রাফিক্স সেটিংস দিয়ে ভালোই পারফরমেন্সে খেলতে পারবেন কোনো সমস্যা হবে না। তবে এখানে একটা কথা হলো আপনি জিটিএক্স ১০৭০ টিআই কার্ডকে ওভারক্লক করে জিটিএক্স ১০৮০ এর মতোই পারফরমেন্স পেতে পারেন।
অন্যদিকে এএমডির রাডিয়ান আরএক্স ভেগা ৫৬ কার্ডটিও আপনি চেক করে নিতে পারেন। তবে জিটিএক্স এর তুলনায় এটির বিদ্যূৎ চাহিদা তুলনামূলক ভাবে বেশি এবং দামেও প্রায় ৫৫০ ডলারের মতো পড়বে।

৮জিবি DDR5 জিফোর্স জিটিএক্স ১০৭০ গ্রাফিক্স কার্ডে রয়েছে Pascal আর্কিটেকচার, ১৯২০ এনভিডিয়া কিউডা কোর, ১৫০৬ মেগাহার্জের বেস ক্লক, ১৬৮৩ মেগাহার্জের বুস্ট ক্লক স্পিড, ২৫৬ বিট মেমোরি আর্কিটেকচার, রয়েছে Simultaneous Multi-Projection, VR ready, NVIDA Ansel, NVIDIA SLI, NVIDIA G-SYNC, NVIDIA GameStream, NVIDIA GPU Boost 3.0, ডাইরেক্ট এক্স ১২ সহ আরো অনেক ফিচার।

৮জিবি DDR5 জিফোর্স জিটিএক্স ১০৭০ টিআই গ্রাফিক্স কার্ডে রয়েছে Pascal আর্কিটেকচার, ২৪৩২ এনভিডিয়া কিউডা কোর, ১৬০৭ মেগাহার্জের বেস ক্লক, ১৬৮৩ মেগাহার্জের বুস্ট ক্লক স্পিড, ২৫৬ বিট মেমোরি আর্কিটেকচার, রয়েছে Simultaneous Multi-Projection, VR ready, NVIDA Ansel, NVIDIA SLI, NVIDIA G-SYNC, NVIDIA GameStream, NVIDIA GPU Boost 3.0, ডাইরেক্ট এক্স ১২ সহ আরো অনেক ফিচার।
এই দুটি গ্রাফিক্স কার্ড চালানোর জন্য তোমার পিসিথে ৫০০W ক্ষমতার পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট এর প্রয়োজন হবে।

অন্যদিকে ৮ গিগাবাইট DDR5 রাডিয়ন আরএক্স ভেগা ৫৬ গ্রাফিক্স কার্ডে রয়েছে ১১৫৬ বেস ক্লক, ১৪৭১ বুস্ট ক্লক, ৮০০ মেগাহার্জের মেমোরি স্পিড, ডাইরেক্স এক্স ১২, Vulkan API সার্পোট, AMD Eyefinity Technology, Radeon FreeSync 2, VR Ready Premium, Radeon WattMan, Radeon ReLive, Radeon Chill, AMD Crossfire, AMD LiquidVR সহ আরো অনেক ফিচার। গ্রাফিক্স কার্ডটি চালাতে হলে তোমার পিসিতে ৬৫০w ক্ষমতার পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট থাকতে হবে।

আল্ট্রা হাই এন্ড গ্রাফিক্স কার্ড

আপনি যদি বাজেট নিয়ে চিন্তায় না থাকেন এবং এ বছরের সহ আগামী ২/৩ বছরের সকল গেমসকে আল্ট্রা হাই গ্রাফিক্সে সাচ্ছন্দ্যে খেলতে চান তাহলে নিয়ে নিতে পারেন এনভিডিয়ার জিটিএক্স ১০৮০ টিআই কিংবা রাডিয়ন আরএক্স ভেগা ৬৪ গ্রাফিক্স কার্ড।
অবশ্যই জিটিএক্স ১০৮০ থেকে জিটিএক্স ১০৮০ টিআই গ্রাফিক্স কার্ডে বেশি পারফরমেন্স আপনি পাবেন। আর আপনি যদি ঘন ঘন বছর প্রতি গ্রাফিক্স কার্ড না পাল্টাতে চান তাহলে জিটিএক্স ১০৮০ টিআই নিয়ে নেওয়াই আপনার জন্য উত্তম বলে আমি মনে করি। অন্যদিকে রাডিয়ন আরএক্স ভেগা ৬৪ ও বেশ আল্ট্রা হাই এন্ড গ্রাফিক্স কার্ড তবে জিটিএক্স ১০৮০ টিআই এর থেকে ভেগার মূল্য ১৫০ ডলার বেশি তাই জিটিএক্স ১০৮০ টিআই টিই সেরা। অন্যদিকে ভেগার ৬৪ লিকুইড কুলড সংষ্করণ টি রয়েছে যেটার পারফরমেন্স জিটিএক্স ১০৮০ টিআই এর থেকে ভালো নয়।

৮ গিগাবাইট HBM2 রডিয়ন আরএক্স ভেগা ৬৪ গ্রাফিক্স কার্ডে আপনি পাচ্ছেন ১২৪৭ বেস ফ্রিকোয়েন্সি, ১৫৪৬ বুস্ট ফিকোয়েন্সি, ২৫৬ বিট মেমোরি ইউনিট, ৯৪৫ মেগাহার্জ মেমোরি স্পিড, Vulkan API support, DirectX 12, AMD Eyefinity, Radeon FreeSync 2, Radeon VR Ready Premium, Radeon WattMan, Radeon ReLive, Radeon Chill, 4K HDMI, TrueAudio, VSR, AMD CrossFire, AMD LiquiVR সহ আরো অনেক কিছু। এই গ্রাফিক্স কার্ডটি চালাতে হলে আপনার চাই ২৯৫w ক্ষমতার মার্দারবোর্ড পাওয়ার এবং ৭৫০W ক্ষমতার পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিক।

৮ গিগাবাইট HBM2 রডিয়ন আরএক্স ভেগা ৬৪ লিকুইড গ্রাফিক্স কার্ডে আপনি পাচ্ছেন ১৪০৬ বেস ফ্রিকোয়েন্সি, ১৬৭৭ বুস্ট ফিকোয়েন্সি, ২৫৬ বিট মেমোরি ইউনিট, ৯৪৫ মেগাহার্জ মেমোরি স্পিড, Vulkan API support, DirectX 12, AMD Eyefinity, Radeon FreeSync 2, Radeon VR Ready Premium, Radeon WattMan, Radeon ReLive, Radeon Chill, 4K HDMI, TrueAudio, VSR, AMD CrossFire, AMD LiquiVR সহ আরো অনেক কিছু। এই গ্রাফিক্স কার্ডটি চালাতে হলে আপনার চাই ৩৪৫w ক্ষমতার মার্দারবোর্ড পাওয়ার এবং ১০০০W ক্ষমতার পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিক।

অন্যদিকে ১১ গিগবাইটের GDDR4X এনভিডিয়া জিটিএক্স ১০৮০টিআই গ্রাফিক্স কার্ডে আপনি পাচ্ছেন ৩৫৮৪ এনভিডিয়া কিউডা কোর, ১৫৮২ বুস্ট ক্লক স্পিড, ৩৫২ বিট মেমোরি, সর্বোচ্চ 7680x4320 রেজুলেশন সার্পোট, রয়েছে Simultaneous Multi Projection, VR Ready, NVIDIA Ansel, NVIDIA SLI, NVIDIA G-Sync, NVIDIA GameStream, NVIDIA GPU Boost 3.0, ডাইরেক্ট এক্স ১২, OpenGL 4.5 সহ আরো অনেক ফিচার। এই গ্রাফিক্স কার্ডটি চালাতে হলে আপনার চাই নুন্যতম ৬০০W ক্ষমতার একটি পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট।

বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালি গ্রাফিক্স কার্ড

বর্তমানে বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালি গ্রাফিক্স কার্ড হিসেবে রয়েছে ১২ গিগাবাইট HMB2 প্রজন্মের NVIDIA TITAN V, আসলে এই গ্রাফিক্স কার্ডটি গেমিং বা গ্রাফিক্সের কাজের জন্য বানানো হয় নি। এটিকে বিভিন্ন গবেষনা এবং AI ও বাকিসব অ্যাপ্লিকেশন টেস্টিংয়ের কাজের উদ্দেশ্যে বানানো হয়েছে। আর আপনার যদি গ্রাফিক্স কার্ডে ৩ লাখ টাকার মতো বাজেট থাকে তাহলে আপনি এই কার্ডটি নিয়ে নিতে পারেন। তবে মনে রাখবেন এটির ফুল পারফরমেন্স পেতে হলো ১৮টি কোর বিশিষ্ট কোর আই ৯ প্রসেসর, ইন্টেল এক্স২৯৯ মাদারবোর্ড এবং ১২৮ গিগাবাইট র‌্যামের দরকার হবে।
গ্রাফিক্স কার্ডটি Nvidia Volta আর্কিটেকচার দিয়ে নির্মিত হয়েছে, এর বুস্ট ক্লক স্পিড হলো ১৪৫৫ মেগাহার্জ, এতে রয়েছে ৬৪০টি টেন্সর কোর, ৫১২০টি কিউডা কোর, ৬টি গ্রাফিক্স প্রসেসিং ক্লাস্টার, ৮০টি স্ট্রিমি মাল্টিপ্রসেসর, ৩২০ বিট মেমোরি সহ এনভিডিয়ার সকল ফিচার আপনি এই গ্রাফিক্স কার্ডে পাবেন। মজার ব্যাপার হলো একজন গ্রাহক ২টির বেশি টাইটান ভি কিনতে পারবেন না।

তো এই ছিলো এবছরের বেস্ট কয়েকটি গ্রাফিক্স কার্ড, তো আমি বলবো বাজেট থাকলে আপনি সরাসরি জিটিএক্স ১০৮০ বা ১০৮০ টিআই কিনে নিতে পারেন। কারণ এই গ্রাফিক্স কার্ড আগামী ১০ বছর আপনাকে ভালো পারফরমেন্স দিতে পারবে। আর হ্যাঁ গ্রাফিক্স কার্ড কেনার আগে আপনার মাদারবোর্ডটি এই কার্ডটি সার্পোট করে কিনা এবং কার্ডের সাথে নুন্যতম পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট আপনার কম্পিউটারে রয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত হয়ে নিন। আর হ্যাঁ দামী গ্রাফিক্স কার্ডগুলো আমাদের দেশে কিনতে গেলে অনেক বেশি দামে কিনতে হতে পারে। তাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে আপনি যদি সরাসরি আলি এক্সপ্রেস বা আমাজন বা বিশ্বের বড়সড় অনলাইন মার্কেট থেকে আমাদের দেশে গ্রাফিক্স কার্ডটি আনিয়ে নিতে পারেন, এতে যেমনটি আপনি সঠিক মূল্যে কার্ডটি পাচ্ছেন ঠিক তেমনি আপনাকে আলাদা কোনো ট্যাক্স বা খরচ বহন করতে হবে না এছাড়াও সরাসরি কোম্পানি থেকে মাল আপনি পাচ্ছেন।

তো আজ এ পর্যন্তই থাক। আগামীতে অন্য কোনো টপিকে আমি চলে আসবো আপনাদেরই প্রিয় বাংলা টেকনোলজি সোশাল প্লাটফর্ম টেকটিউনস এ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, সুস্থ ধারার ভিডিও গেমস খেলবেন এবং অবশ্যই প্রতি মাসে একবার কম্পিউটার সিপিইউ খুলে ময়লা পরিস্কার করুন। আল্লাহ হাফেজ

Level 10

আমি ফাহাদ হোসেন। Supreme Top Tuner, Techtunes, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 661 টি টিউন ও 428 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 149 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

যার কেউ নাই তার কম্পিউটার আছে!


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

বরাবরের মতো অসাধারণ

    কার্ডগুলো দামেও তো “অসাধারণ” :p

      এই কারনে পিসি গেমস এর কাসে ঘেঁসতে পারি না