ওয়েব সার্ভিসে কিভাবে নিজেকে দক্ষ ভাবে প্রতিষ্ঠিত করবেন? (রিকোয়েস্টেড টিউন)

ওয়েব সার্ভিস ব্যাবসার ভবিষ্যৎ ও কিছু কথা” শিরোনামের যে টিউনটি লিখেছিলাম, সেটি থেকে অনেক সাড়া পেয়েছি। টিউনমেন্ট তেমন না হলেও প্রোফাইল থেকে আমার কোম্পানীর সাইটে ভাল কিছু ভিজিটর এসেছিলেন, তাদের কয়েকজন ফোনও করেছিলেন। বললেন টিউন ভাল লেগেছে। একজন তো ক্লায়েন্টই হয়ে গেলেন। মজার ব্যাপার- তাই না! এভাবে টিউনিং/ব্লগিং থেকেও আপনার লীড আসতে পারে- তাই এটি কিন্তু ওয়েব সার্ভিসে নিজের দক্ষতা প্রমাণের অন্যতম মাধ্যম।

সেই টিউনে এক টিউনার ভাই ওয়েব সার্ভিসে নিজেকে দক্ষ করার ব্যাপারে একটি টিউন লিখতে বলেছিলেন। তাই এই টিউনটি লিখতে বসেছি।

খুব বেশি ভূমিকা লেখা আমার আসলে পছন্দ নয়- পারি না বলেই কি না ঠিক বলতে পারব না। 😀

ওয়েব সার্ভিস কি?

আচ্ছা- এই ব্যাপারটা ক্লিয়ার হওয়া দরকার আছে। ওয়েব সার্ভিস হল ওয়েব সম্পর্কিত সেবাসমূহ। যেমন- ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট, হোস্টিং, এসইও, সোশাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, অন্যান্য অনলাইন মার্কেটিং সহ আরো কিছু। আসলে প্রফেশনাল বা স্পেশালিস্ট হতে হলে যে কোন একটি বিষয়ে/বিভাগে দক্ষ হলেই চলে। তার পরও যারা ওভার অল প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কিংবা হ্যান্ডলিং করতে চান- তাদের জন্য ওয়েব ডেভেলপ, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব হোস্টিং অথবা এসইও টার্মগুলোর একটিকে ব্যাবহার করাটা একটু বেখাপ্পা লাগে। তাই সমন্মিত টার্ম "ওয়েব সার্ভিস" ব্যাবহার করাটাই শ্রেয় বলে মনে করলাম।

যারা আউটসোর্সিং করেন, তারা ভাল করেই জানেন যে একজন ক্লায়েন্ট সমকক্ষ কোন সার্ভিসের জন্য আলাদা প্রোভাইডারের চেয়ে এক প্রোভাইডারের কাছ থেকেই সব সার্ভিস নেয়াটা সহজ এবং বোধগম্য মনে করেন। এতে করে তারা ডিস্কাউন্ট, রিলায়াবিলিটি কিংবা দ্রুততা সবই আশা করতে পারেন। আর দেশের লোকাল মার্কেটে আমার মত যারা সার্ভিস দেন, তাদের তো কোন কথাই নেই। আমি ওয়েব ডেভেলপমেন্টে যত ভাল পালোয়ানই হই না কেন, ওয়েব হোস্টিং বা এসইওর ক্ষেত্রে যদি কোন ৩য় পক্ষ ব্যবহার করি তবেই সেরেছে। আমি তো কোন কাজেরই না! তাই এই টিউনটিতে আমি উপরে উল্লেখিত কোন নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে বলব না। সামগ্রিক ভাবে ওয়েব সার্ভিস এ নিজেকে দক্ষ করা নিয়েই এ টিউন।

আমি ধরেই নিচ্ছি যে আপনি ওয়েব ডিজাইন-ডেভেলপমেন্ট, হোস্টিং, এসইও এসবের ব্যাপারে প্রাথমিক ধারণা নিয়েই টিউনটি পড়ছেন। তবে ধারণা না থাকলেও আপসেট হবেন না, অল্প অল্প করে সবগুলো টার্মই আলোচনা করতে চেষ্টা করব।

যেভাবে শুরুটা করবেন-

ওয়েব সার্ভিসের দক্ষতা আসলে পুরোটাই একটি সিস্টেম্যাটিক প্রসেস। আর তাই শুরু করে দক্ষ হওয়ার চেয়ে দক্ষভাবে শুরু করতে পারলে অনেক ভাল হয়। আপনি ইন্ডিভিজুয়াল অথবা কর্পোরেট যে কোন ভাবেই শুরু করতে পারেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে জেনে রাখা ভাল যে আপনার আউটলুক যেন প্রফেশনাল হয়। আপনার ব্যক্তিগত এ্যাপেয়ারেন্সের কথা বলছি না। আপনার ক্লায়েন্ট এ্যাপ্রোচ, কাজের ধরণ, ডেলিভারি কিংবা পেমেন্ট মাধ্যম যেন প্রফেশনাল হয়। শুরু করার আগে আপনাকে কিছু চেকলিস্ট মেন্টেইন করতে হবে। যেমন-

  • বাজেট
    এটিই কিন্তু আসল হাতিয়ার। আপনি মাত্র ৬,০০০/- টাকা থেকে ১,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত বাজেট করতে পারেন। শুরুতেই এরচেয়ে বেশি বাজেট করাটা উচিৎ হবে না।
  • ব্যাবসার নাম
    সুন্দর একটি নাম দিন। খেয়াল রাখবেন যেন সহজে বানান ও উচ্চারণ করা যায়।
  • ডোমেইন
    খালি আছে কি না এক্ষুনি দেখুন। সহজ ও ছোট ডোমেইন হওয়া বাঞ্ছনীয়। ডোমেইনেই যদি কী-ওয়ার্ড থাকে তাহলে ওনেক ভাল।
  • অফিস
    এটি অপশনাল। ইন্ডিভিজুয়াল হিসেবে শুরু করতে এর কোন প্রয়োজন নেই। আপনি বাসায় বসেই শুরু করতে পারেন। সময়ের সাথে বাড়াতে পারেন ব্যাপ্তি। আর সোশাল নেটওয়ার্কে ভাল পরিচিতি থাকলে অনায়াসেই আপনার অফিস সংক্রান্ত প্রশ্নের উর্ধে চলে যেতে পারেন।
  • একটি ওয়েব সাইট
    অফিস নাও থাকতে পারে, ওয়েবসাইট কিন্তু মাস্ট। আকর্ষণীয় একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন। নিজে না পারলে বেশি অভিজ্ঞ কারো সাহায্য নিন। এতে লজ্জার কিছু নেই। বরং আপনার নিম্নমানের সাইট এর কারণে ক্লায়েন্ট ছুটে যাওয়াটা যথেষ্ট লজ্জার।
  • যে সকল সেবা প্রদান করবেন তার তালিকা ও দর
    বাজারের অন্যান্য সার্ভিস প্রোভাইডারের দর মাথায় রেখেই নিজের প্রাইসিং ঠিক করবেন। দামের তারতম্য কিন্তু ক্লায়েন্টের মনে আপনার কোয়ালিটি ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে।
  • ওয়েব হোস্টিং এর উৎস
    এটি একটি বড় ব্যাপার। আপনি যত বড় বাজেট নিয়েই নামুন না কেন, মনে রাখবেন- হোস্টিংটা শুরু করবেন রিসেলার হিসেবেই।
    ভাল রিসেলার হোস্টিং এর ক্ষেত্রে- ঢাকা ল্যাব, হোস্ট মাইট সহ অনেকেই আছে আপনার প্রয়োজনে, আপনার জন্য।
  • স্টাফ/পার্টনার
    যদি প্রয়োজন হয়, আপনাকে সাপোর্ট দেয়ার মত পার্টনার কিংবা স্টাফ রাখতে পারেন। মার্কেটিং, ডেভেলপমেন্ট, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, ক্লায়েন্ট সাপোর্ট কিংবা অফিস সার্পোর্ট এর মত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোতে সাহায্য লাগতে পারে। তাই স্টাফ নিয়োগ কিংবা পার্টনাররা ভাগাভাগি করে করতে পারেন কাজগুলো। কাজ ভাগ করে নিলে তা গোছালো ও সুন্দর হবে।
  • ট্রেড লাইসেন্স
    ইন্ডিভিজুয়ালদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু নয়, তবুও একটু ফরমাল ভাবে কাজ করতে চাইলে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর কর্পোরেট হিসেবে এগুলেতো এর বিকল্প নেই। খরচ কিন্তু তেমন নয়। আর প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে চাইলে কিন্তু ট্রেড লাইসেন্স লাগবেই।
  • ব্যাংক একাউন্ট
    প্রতিষ্ঠানের নামে হোক কিংবা নিজের নামে, একটি ব্যাংক একাউন্ট থাকা কিন্তু চাই-ই। অনেকেই ব্যাংকের মাধ্যমে পেমেন্ট করে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। কেউ আবার একাউন্ট পেয়ি চেক দিয়ে বসবেন।
  • পিসি ও ইন্টারনেট কানেকশন
    এটিও উল্লেখ করতে হবে??? 🙂

যে সব সেবা দিতে পারেনঃ

এখানে উল্লেখিত সেবাগুলো আপনি একই প্রতিষ্ঠান থেকে একই সাথে প্রদান করতে পারেন।

  • ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট
    কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট করে দিতে পারেন। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জন্য সাধারণ একটি সাইট ৪,০০০/- টাকা থেকে শুরু করে একটি হাই প্রোফাইল সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট কিংবা কাস্টম পিএইচপি তে নিউজসাইট তৈরী করতে ১,৫০,০০০/- টাকা পর্যন্ত দর চাইতে পারেন। ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট করার জন্য আপনাকে জানতে হবে- HTML, CSS, JavaScript, jQuery, Ajax, PHP, MySQL ইত্যাদি কোড/ল্যাঙ্গুয়েজ। আর ডিজাইনিংয়ে আপনাকে সাহায্য করবে ফটোশপ/ইলাস্ট্রেটর। ওয়েব ডেভেলপমেন্টে দক্ষতা অর্জন করতে বারবার অনুশীলন করতে হবে। সাথে ভাল ভাল সাইট ভিজিট করে আইডিয়া নিতে হবে। Smashing Magazine এর মত সাইট আপনার ভাল সাহায্য করতে পারে। গুগলে সার্চ দিয়ে টিউটোরিল দেখেও শিখতে পারবেন অনেক কিছু। তবে ভাল একজন ডেভেলপারের সাহায্য নিয়ে যদি শিখতে পারেন- সেটি হয় সবচে' ভাল। শুরু করার জন্য আমি ওয়ার্ডপ্রেসকে রিকমেন্ড করব। কেন? অবশ্যই খুব সহজেই ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়, ফ্রী এবং ওপেন সোর্স এর মূল কারণ। এছাড়াও কেন সেরা এ সম্পর্কে টেকটিউন্সেই হাজারো কারণ বিশ্লেষিত টিউন খুঁজে পেতে আশা করি খুব বেগ পোহাতে হবে না।

    ১। ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজের অর্ডার ও অগ্রিম পেমেন্ট নেয়ার পর প্রথম কাজ হবে তার কাঙ্ক্ষিত পদ্ধতিতে ফটোশপে লে-আউট ডিজাইন করা।
    ২। স্ক্রীনশট দেখিয়ে প্রয়োজনে রিভিশন দিয়ে ফাইনাল ডিজাইন এ্যাপ্রোভ করতে হবে। কয়েকবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হতে পারে।
    ৩। পরে ডেভেলপমেন্ট সম্পন্ন করে সেই ডিজাইন এপ্লাই করতে হবে।
    ৪। প্রয়োজনীয় কন্টেন্ট ও খুঁটিনাটি কাজ শেষ করে সাইট সার্ভারে আপলোড করতে হবে। ডোমেইন সেটআপও করতে হতে পারে যদি পূর্বে থেকে করা না থাকে। চাইলে আপ করেও কন্টেট সম্পর্কিত কাজ করা যায়।
    ৫। কাজ শেষ হলে সাইট বুঝিয়ে দিন। বাকি টাকা বুঝে নিন।

  • ওয়েব হোস্টিং
    ওয়েবসাইট অনলাইনে দেখানোর জন্য প্রয়োজন হয় সার্ভারের। আর এই সার্ভারই হচ্ছে হোস্ট। অর্থাৎ যেখানে ওয়েব পেজগুলো থাকে। হোস্টিং ব্যাবসা করতে হলে আপনাকে শুরু করতে হবে রিসেলার হোস্টিং প্যাকেজ থেকেই। ১০ জিবি রিসেলার হোস্টিং এর দাম পড়বে বছরে ৪,০০০/- থেকে ৬,০০০/- টাকা। এখানে আপনি গড়ে ২০-৪০টি সাইট সহজেই হোস্ট করতে পারবেন। আপনার রিসেলার WHM প্যানেল থেকে ক্লায়েন্টের জন্য সিপ্যানেল একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। WHM ব্যবহারের উপরে একট অত্যন্ত সহজ ও প্রাথমিক ভিডিও টিউটোরিয়াল রয়েছে আমার, বাংলায়। লিংক করা আছে- চাইলে দেখতে পারেন।

    ধরি আপনি ৩০ জন ক্লায়েন্টকে গড়ে ১ জিবি হোস্টিং এর প্যাকেজ সেল করেছেন বার্ষিক ৯০০/- টাকয়। তাহলে বছরে আপনার আয়- ৩০X৯০০ = ২৭,০০০/- টাকা। আপনার প্যাকেজের খরচ যদি ৪,০০০/- টাকা হয়- তাহলে শুধু মাত্র ওয়েব হোস্টিং থেকে বছরে আপনার লাভ ২৩,০০০/- টাকা।

    রিসেলার হোস্টিং কেনার সময় খেয়াল করবেন আপনার প্রোভাইডার যেন আপনাকে ওভারসেলিং সুবিধা প্রদান করে। ওভারসেলিং এ আপনি ১০ জিবি প্যাকেজ নিয়ে ১০০ জিবি প্যাকেজও সেল করতে পারবেন। ততোক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ আপনার সকল ক্লায়েন্টের মোট ব্যবহৃত ডিস্কস্পেসের পরিমান ১০ জিবির মধ্যে থাকছে।

  • ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন
    ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনার ক্লায়েন্টকে অন্য কোথাও যেতে হবে না। খুব সহজেই আপনি ডোমেইন রিসেলার হতে পারেন, একেবার বিনামূল্যে। আপনার কোন ক্লায়েন্ট যখন ১টি ডোমেইন কিনবে, আপনার প্রফিট থেকে যাবে। আর ডোমেইন এপিআই ব্যবহার করে সহজেই ডোমেইন চেক ফর্ম আপনার সাইটে ইন্টিগ্রেট করতে পারবেন যেন আপনার ক্লায়েন্টরা সহজেই আপনার সাইট থেকে ডোমেইন সার্চ করতে পারে এবং অর্ডার প্লেস করলে আপনার ডোমেইন রিসেলার একাউন্টের অধীনে অর্ডার প্লেস হয়।
  • ওয়েবসাইট মেইন্টেন্যান্স
    ওয়েবসাইট তো অনেকেরই আছে। অনেকের এ্যাডমিন ইউজারনেম, পাসওয়ার্ডও আছে। কারো কারো যা নেই, তা হল- সময়, ধৈর্য কিংবা সাহস। অনেক ক্লায়েন্টই সাইটে হাত দিতে চান না। অনেকে আবার প্রফেশনাল দিয়ে কাজ করাতে চান। আপনি চাইলে সেই সুযোগটি নিতে পারেন- অবশ্যই তাদের সাহায্য করে 🙂
    এর জন্য আপনি মাসিক হিসেবে নির্দিষ্ট পরিমান একটি ফ্ল্যাট রেট চার্জ করতে পারেন। করতে পারেন আলাদা আলাদা প্যাকেজ। এখন তো অনেক নিউজ সাইট আছে। চাইলে আপনি এ রকম বেশ কয়েকটি নিউজ সাইটকে সাপোর্ট প্রদান করতে পারেন। তারাও সার্ভিসটি কম খরচে পাবে আর আপনিও আলাদা একটি আয়ের উৎস পেলেন। অনেকে কিন্তু ওয়েব হোস্টিং, ডেভেলপমেণ্ট, এসইও কিংবা অনলাইন মার্কেটিং এর সাথে ঐচ্ছিক হিসেবে এই সেবা দিয়ে থাকেন।
  • এসইও
    সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও হচ্ছে কোন সাইটের সার্চ ইঞ্জিন থেকে আগত ফ্রি ভিজিটরের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য করা বিশেষ টিউনিং। এর ফলে নির্দিষ্ট কী-ওয়ার্ডের জন্য নির্দিষ্ট পেজ বা টিউনকে সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফল পেজে  অনেক সহজে এবং উপরে আনা যায়।

    ২টি পদ্ধতিতে এসইও করাযায়-

    • অন পেইজ এসইওঃ ওয়েব পেজকে নির্দিষ্ট কী-ওয়ার্ডের জন্য অপটিমাইজ করা।
    • অফ পেইজ এসইওঃ অন্য হাই ট্রাফিক সাইটে ওয়েব পেজের ব্যাক লিঙ্ক তৈরি করা।
  • সোশাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
    ফেসবুক, টুইটার, গুগল+ এর মত সোশাল মিডিয়ায় কোন ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠানের প্রচার, টিউন বুস্ট কিংবা লাইক/ফলোয়ার বাড়ানোর কাজ হচ্ছে সোশাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট। একজন প্রফেশনাল ঠিক যেভাবে করে সোশাল মিডিয়ার ট্রেন্ড স্টাডি করে ক্যাম্পেইন তৈরি এবং চালাতে পারেন- একজন সাধারণ ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রে সেটা সবসময় সঠিক ভাবে করা হয়ে ওঠে না। এতে বরং সময়, শ্রম ও অর্থের ক্ষতিই হয়। তাই সোশাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট হতে পারে আপনার কাজের অন্যতম ক্ষেত্র।
  • অনলাইন মার্কেটিং
    সোশাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের মতই অনলাইনে ব্র্যান্ড, প্রোডাক্ট, সার্ভিস কিংবা যে কোন কিছুর বিপণন অনলাইন মার্কেটিং এর মধ্যেই পড়ে। ফেসবুকে কিংবা গুগল এ বিজ্ঞাপণ দেয়া, অনলাইনে ব্রান্ডের প্রমোশন চালানো সবকিছুই অনলাইন মার্কেটিং।
  • অন্যান্য
    আপনি চাইলে আপনার ওয়েব সার্ভিসের সাথে, সফটওয়্যার, অনলাইন সফটওয়্যার কিংবা আইটি ব্যাবসাও করতে পারেন।

প্রচার ও বিপণন

প্রচারেই প্রসার। তাই এর কোন বিকল্পই নেই। শুরুতে আপনি যে কাজ করেন সে তথ্য ক্লায়েন্টের কাছে পৌছাতে হবে। ভাল হয় যদি ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি বা পরিচিত কারো কাজ দিয়ে  শুরু করা। এতে করে সহজে শুরু করা যাবে। আপনার সেবাগুলোর প্রয়োজন আছে এমন পরিচিত ভাই, আংকেল, শিক্ষক অথবা পাড়াতো ভাইয়ের কাছেও বলতে পারেন। গুটিসুটি হয়ে বসে থাকলে কখনো কাজ পাবেন না। এছাড়াও সোশাল শেয়ারিং, ফেসবুক, টুইটার, গুগল+, লিঙ্কড ইন সহ বিভিন্ন সাইটে আপনার প্রচার প্রচারণা চালাতে পারেন। আপনার যদি কোন বিষয়ে ভাল নলেজ থাকে তবে সে বিষয়ে ব্লগিং করেও আপনার কাজের প্রচার করতে পারেন।

বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপণ দিতে পারেন অনেক কম খরচে। AmaderAd.Com কে আমি রিকমেন্ড করি। পে পার ক্লিক বিজ্ঞাপণের ক্ষেত্রে তাদের একটি দারুণ অফার চলছে। যোগাযোগ করে দেখতে পারেন।

আপনার সেবার মার্কেটিং আপনি নিজেও করতে পারেন। চাইলে অন্য কাউকে দিয়েও করাতে পারেন। মনে রাখবেন আপনার সেবার প্রচার পরিচিতি যত বাড়বে ততই বাড়বে কাজ পাওয়ার হার।

শেষ কথা

সুন্দর করে চালিয়ে যান। দক্ষতা সময়ের সাথে সাথে অর্জন হয়। তাই নিয়ম মেনে ধৈর্য ধরে চলুন- সফলতা আসবেই।

কোন কিছু জানার বা বলার থাকলে টিউনমেন্ট করুন- রিপ্লাই দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ্‌। ভাল থাকবেন সবাই। ধন্যবাদ।।

Level 3

আমি ওয়ালিউর রহমান। Founder & CEO, WaliBD, Uttara। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 20 টি টিউন ও 20 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

একাডেমিকভাবে একজন এ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার। তবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট থেকেই উপার্জনের হাতেখড়ি। এ ব্যাবসায় জড়িত আছি সেই ২০০৮ সাল থেকে। এখনো আছি...। নিজ প্রতিষ্ঠান WaliBD.Com এর মাধ্যমে তাই চেষ্টা করছি ডিফরেন্ট কিছু করবার। যে কোন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরির জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৯৪৬-৩৬৬৪৪৮


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

অসাধারন আপনার লেখার হাত।
আপাতত আমি ওয়েব ডিজাইনিং এ নিজেকে দাড় করা তে চাচ্ছি। পরবর্তিতে ডেভোলমেন্ট, এসইও, ওয়েব হোস্টিং সার্ভিসের দিকে আগাবো। আপনার এই টিউনটি খুবি উপকারে লাগবে গাইড লাইন হিসেবে। অসংখ্য ধন্যবাদ 🙂
প্রোফেশনালিজমের ব্যাপারটা একটু ক্লিয়ার করে দিলে ভাল হত। কিসব কাজে এটা প্রকাশ পায়। কিসব ব্যবহার করলে সেটাতে ব্যাঘাত ঘটে এসব আরকি।

    @আ জ ব: 🙂 আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই। হুম, প্রোফেশনালিজমের ব্যাপারটি ক্লিয়ার করা হয়নি। আসলে অনেক চিন্তা করে করে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লিখছিলাম। কিছু জিনিস বাদ যেতেই পারে। অন্য কোন এক টিউনে পুষিয়ে নিতে চেষ্টা করব। ভাল থাকবেন, আর টিউনমেন্ট করবেন। দেখলেনতো- এক টিউনমেন্ট কি বের করে আনতে পারে 😛 😉 হা হা হা।

      @ওয়ালিউর রহমান:
      আমি আসলেই আশা করি নাই এত দ্রুত আপনি এত ডিটেইলসলি বিষয়টা নিয়ে লিখে ফেলবেন। অসাধারন একটা টিউন। এটা নির্বাচিত টিউন করা উচিত।

      ভাল হয়েছে প্রফেশনালিজম নিয়ে বিস্তারিত লিখেন নাই। এই উছিলায়া আমরা আপনার কাছ থেকে আরো একটা টিউন উপহার পাওনা থাকলাম 😛

        @আ জ ব: হুম, দেখি লেখা যায় কিনা। ক’দিন এখন হাতের কাজ নিয়ে ব্যাস্ত থাকব। আবার ফাঁকে সময় পেলে লিখব ইনশাআল্লাহ্‌! 🙂

অসাধারন উপস্থাপন, আপনার এই পোস্টের প্রয়োজনীয়তা বলে শেষ করা যাবে না। আমি মনে করি-আজকের দিনের যত পোস্ট পাবলিশ করা হয়েছে সবচেয়ে সেরা পোস্ট এটিই। সুতরাং প্রিয়তে নিলাম। অআর হ্যা এমনিতেই হয়ে গেলেন ব্লগার বিগ বস। এই রকম পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্যক ধন্যবাদ। পোস্টটি পড়ে অনুপ্রেরনা পেলাম। ইচ্ছা আছে এই বিজিনেস শুরু করব!! তবে একটি বিষয়ের রিভিউ জানতে চাচ্ছি- ফিডব্যাক দিলে উপকৃত হই।
১। আমার জানামতে দেশে বেশ কয়েকটি ভাল হোস্টিং সার্ভিস প্রোভাইডার রয়েছেন- হোস্ট মাইট, বাইটবুল, সার্ভার বিডি। অবশ্য হোস্ট মাইট হতে ডোমেইন ও শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যবহার করছি। এখন কথা হল – রিসেলার হিসাবে ডোমেইন ও হোস্টিং ব্যবসা শুরু করার পর কোন সময় বিশেষ কারনে যদি বন্ধ করে দিই তাহলে আমার অধীনের ক্লায়েন্ট গুলোর তথ্য ও সেবা মূল প্রভাইডারের নিকট অর্পন করতে পারব কি? মানে যাতে গ্রাহকদের ভোগান্তিতে না পড়তে হয়!!
২। ডোমেইন রিসেলার নিলে প্রতি ডোমেইন রেজি: হিসাবে বছরে কত টাকা আয় হতে পারে??

এই রকম আরো তথ্যবহুল পোস্ট আপনার নিকট হতে পাবার আশা রাখি।- পরিশেষে ভাল থাকবেন।

    @অচেনা পথিক: ভাই খুব ভাল লাগল আপনার টিউনমেন্টটি পড়ে। 🙂
    আপনার প্রশ্নের জবার দেবার চেষ্টা করছি,
    ১। ডোমেইন ও হোস্টিং এর ব্যাপারটা একেবারে আলাদা। শুরুতে হোস্টিং এর কথা বলি, আপনি যদি রিসেলার হিসেবে শুরু করেন, তবে উত্তর হচ্ছে। “হ্যাঁ!” এবং তা খুব সহজেই। রিসেলার হোস্টিং আসলে শেয়ারড হোস্টিং এর ই অন্য এক রূপ যেখানে আপনি আপনার হোস্টিং স্পেস থেকে পুনঃবিক্রয় করতে পারবেন। মূল প্রোভাইডারের শেয়ার্ড ক্লায়েন্ট এবং আপনার রিসেলারের ক্লায়েন্টে পাশাপাশি-ই থাকে যা ডাব্লিউএইচএম প্যানেক root ইউজার একত্রেই দেখতে পারেন। তাই আপনি হোস্টিং প্রোভাইড না করলেও আপনার মূল হোস্টের সার্ভারে একভাবেই থেকে যায়। এক্ষেত্রে আপনার ২টি কাজ করা উচিৎ- আপনি আপনার মূল প্রোভাইডারকে টেকওভার করতে বলতে পারেন সেই সাথে আপনার ক্লায়েন্টদেরকে মূল প্রোভাইডারের সাইটে রিডিরেক্ট করতে পারেন। কিংবা ফিজিকালিও তাদের এটি জানাতে পারেন।

    ২। ডোমেইন এর ক্ষেত্রেও একই প্রসেস প্রযোজ্য।
    আরও একটি প্রসেস আছে- আপনি যদি ইউকে টু গ্রুপের রিসেলার হয়ে থাকেন; তা আপনার আপ লেভেল প্রোভাইডার যে-ই হোক না কেন, ডোমেইন ক্লায়েন্টের নিজের ই-মেইলে রেজিস্ট্রেশন করা থাকলে- আপনার ক্লায়েন্ট resell.biz এ সরাসরি ডোমেইন ক্লেইম করতে পারবে। resell.biz হল ইউকে টু গ্রুপেরই একটি প্রতিষ্ঠান। অবশ্য resell.biz সরাসরি কখনোই আপনার ক্লায়েন্টকে ডোমেইনের ঔনারশিপ হ্যান্ডওভার করবে না। তারা ক্লায়েন্টকে সবার আগে আপনার ডিটেইলস দেবে এবং আপনার সাথে যোগাযোগ করতে বলবে। ৫-৭ দিনে আপনার জবাব না এলে resell.biz নিজেরাই আরো ৫ দিন সময় নেবে আপনার (রিসেলার) সাথে যোগাযোগ করতে। তার পরও উত্তর না এলে তারা সরাসরি আপনার ক্লায়েন্টকে হ্যান্ডেল করবে।

    আশা করি উত্তর পেয়েছেন 🙂

    @অচেনা পথিক: ডোমেইন রিসেলার নিলে প্রতি ডোমেইন রেজি: হিসাবে বছরে ৫০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকাও আয় করতে পারেন। স্কাইপঃ green.hosting

    @অচেনা পথিক: ওহ ডোমেইনের আয় এর ব্যাপারে লিখতে ভুলে গেছিলাম- আপনি যে দামে ডোমেইন কিনবেন (.com এর ক্ষেত্রে প্রোভাইডার ভেদে ৭৬০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকা) তার চেয়ে বেশি যে কোন দামই রাখতে পারেন। আমরা যেমন ১,০০০/- টাকা রাখি। প্রায় ১৮০-২০০ টাকার মত ডোমেইন প্রতি লাভ করা সম্ভব। আপনার সেলিং প্রাইস নির্ধারণ করার জন্য ডোমেইন রিসেলার প্যানেলে অপশন রয়েছে। আবারো ধন্যবাদ।