চাইনিজ Phone গুলো কেনো এত সস্তা হয়? জানুন এর রহস্য। চাইনিজ Phone কি কেনা উচিৎ? – বিস্তারিত টিউন

আপনার মনে এই প্রশ্নটি অবশ্যয় এসেছে যে, যেখানে একদিকে স্যামসাং, অ্যাপেল, এইচটিসি ইত্যাদি কোম্পানির ফোন গুলোর দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে সেখানে অন্য দিকে Chinese Phone নির্ভর কোম্পানি গুলো যেমনঃ সিম্ফনি, ওয়াল্টন, ওয়ান+ ইত্যাদি একই ফিচার সমৃদ্ধ ফোন অর্ধেক বা তার চেয়ে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। তো আপনার মনে সন্দেহ আসতেই পারে যে, এ Chinese Phone হ্যাই কেয়া চীজ? Chinese Phone গুলো এত সস্তা কেনো হয়? এটা কেনা কি মোটেও ঠিক হবে? এর যন্ত্রপাতি কি আসল হবে না নকল? আমার মনে হয় আপনার মনে এই ধরনের হাজারটা প্রশ্ন টিং টিং করে নোটিফিকেশন দেয়। যাই হোক এখনই আপনার মন এর নোটিফিকেশন বার ওপেন করুন আর সব রিমুভ করে দিন। কেনোনা এই টিউনটি পড়ার পরে আর কোনো সন্দেহ থাকবে না।

বন্ধুরা দেখুন যেসব বড় কোম্পানি গুলো আছে যেমনঃ স্যামসাং, অ্যাপেল, এইচটিসি, এল জি ইত্যাদি এবং যেসব ছোট কোম্পানি গুলো আছে যেমনঃ সিম্ফনি, ওয়াল্টন, ওয়ান+ ইত্যাদি এদের ভেতর মোট ৪ টি প্রধান বিষয়ের পার্থক্য আছে। সেগুলো হলোঃ

  • গবেষণা এবং উন্নয়ন (Research & Development)
  • বাজারকরণ (Marketing)
  • আয়তন (Size)
  • কৌশল (Strategy)

গবেষণা এবং উন্নয়ন (Research & Development)

তো চলুন সর্ব প্রথম কথা বলি গবেষণা এবং উন্নয়ন বা Research & Development নিয়ে। দেখুন স্যামসাং, অ্যাপেল, এইচটিসি, এল জি ইত্যাদি কোম্পানি গুলো গবেষণা এবং উন্নয়ন ক্ষাতে প্রতি বছর কোটি কোটি ডলার খরচ করে থাকে। তারা নতুন প্রযুক্তি উদ্ভবন করতে চায় এবং উন্নয়ন করতে চায়। এবং এর জন্য কোটি কোটি ডলার খরচ করে থাকে। আপনি হয়তো ইন্টারনেট এ দেখে থাকবেন যে আইফোন তৈরি করতে মাত্র ৳২০,০০০্‌ খরচ হয়েছে অথবা স্যামসাং এস ৬ তৈরি করতে ৳১৫,০০০ খরচ হয়েছে। আসলে বিষয় গুলো সত্য। কিন্তু সেই খরচ কিন্তু শুধু যন্ত্রপাতির। এখন ঐ ফোনটি বানাতে গিয়ে সেই কোম্পানিটি কত গবেষণা করেছে বা বছর ধরে কতো কষ্ট করেছে সে বিষয়টি কিন্তু আপনি ভেবে দেখেন না। তো গবেষণা ও উন্নয়ন বা Research & Development এর উপর বড় বড় কোম্পানি গুলো যে পরিমান খরচ করে ছোট কোম্পানি গুলো সে খরচ কখনই করে না। বলতে গেলে Chinese Phone নির্ভর কোম্পানি গুলোর গবেষণা ও উন্নয়ন এর পেছনের খরচ না এর বরাবর।

দেখুন স্যামসাং বা অ্যাপেল সব সময় নতুন প্রযুক্তি সমন্বিত ফোন তৈরি করার চেষ্টা করে। তারা ডিসপ্লে এর উপর খরচ করে, সফটওয়্যার এর উপর খরচ করে, প্রসেসর এর উপর খরচ করে। আসলে এই খরচ গুলো লুকায়িত থাকে। তাই একজন সাধারন ব্যবহারকারির কাছে মনে হতে পারে যে কোম্পানি বড় হওয়ার জন্য বেশি দামে ফোন বিক্রি করছে, অথবা তারা বেশি মুনাফা কামানোর চেষ্টা করছে।

অন্য দিকে ভেবে দেখুন Chinese Phone নির্ভর কোম্পানি গুলোর গবেষণা ও উন্নয়ন বলে কিছুই করে না। তারা শুধু বাজার এর প্রাপ্ত যন্ত্রপাতি কেনে নিয়ে যায়, তারপর নিজের ডিজাইন এ বসিয়ে বাজারকরন করে। তাদের শুধু ডিজাইন নিজের হয়, কখনও কখনও আবার তাও হয় না নিজের। এখন আপনি নিজেই চিন্তা করুন, Chinese Phone গুলো কেনো এত সস্তা হয়?

বাজারকরণ (Marketing)

এখন চলুন কথা বলি বাজারকরণ বা Marketing নিয়ে। আপনি অবশ্যয় খেয়াল করে থাকবেন যে বড় কোম্পানি গুলো তাদের ফোন বাজারে ছাড়ার পর তারা কি পরিমানে বাজারকরণ বা Marketing করে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টিভি চ্যানেল, আন্তর্জাতিক পত্র পত্রিকা, ইন্টারনেট ইত্যাদিতে বিজ্ঞাপন এ ভরিয়ে দেয় তারা। কিন্তু Chinese Phone নির্ভর কোম্পানি গুলো এই বিষয়টি কখনই করে না। তাদের বিজ্ঞাপন আপনি কখনই আন্তর্জাতিক ভাবে দেখতে পাবেন না। তারা খুব বেশি হলে তাদের নিজের ওয়েবসাইট কিংবা স্থানীয় পত্র পত্রিকাই বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে।

বড় কোম্পানি গুলো যেমনঃ স্যামসাং বা অ্যাপেল বাজারকরণ এর জন্য যে পরিমান খরচ করে থাকে তা প্রায় তাদের ফোন তৈরি করার দাম এর প্রায় ২০%-৩০% এর সমান হয়ে থাকে। যেখানে Chinese Phone নির্ভর কোম্পানি গুলো সেই খরচ দিয়ে তাদের ফোন তৈরি করে থাকে।

আকার ও আয়তন (Size)

দেখুন Marketing এর পরে যে বিষয়টি তৃতীয় নাম্বার এ আসে তা হলো সাইজ। যদি অ্যাপেল এর কথা বলি তবে এর যে প্রধান কর্মকর্তা তার নাম হলো টিম কুক। এখন অ্যাপেল টিম কুক এর পেছনে এক বছরে যতো টাকা খরচ করে থাকে, তা সিম্ফনি বা ওয়াল্টন এর মতো কোম্পানি গুলোর বাৎসরিক লেনদেন এর সমান। অ্যাপেল বা স্যামসাং, এই কোম্পানি গুলো এত বৃহৎ আকারের যে এদের সারা দুনিয়াতে অফিস আছে। এবং প্রচুর কর্মকর্তাগন তাদের সাথে কাজ করেন। তার ফলে এই সকল বৃহৎ কোম্পানি সমূহর প্রচুর খরচ হয়ে থাকে।

Chinese Phone নির্ভর কোম্পানি গুলোর লেনদেন এতো বৃহৎ আকারে হয়ে থাকে না। তাছাড়া তাদের অনেক বড় বড় অফিস বা কারখানা ও থাকে না। সেখানে তারা তাদের ফোন গুলোকে অনেক সস্তা দাম এ বিক্রি করতে পারে। যেখানে অ্যাপেল বা স্যামসাং যদি সস্তা দাম এ বিক্রি করতে চায়, তবে মুনাফা তো অনেক পরের কথা তাদের অফিস ই চলবে না হয়তো ঠিক মতো।

কৌশল (Strategy)

চতুর্থ এবং শেষ বিষয়টি হলো কৌশল বা Strategy। দেখুন অ্যাপেল এর কথা বলুন কিংবা স্যামসাং, এরা একদম প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি। আজ যদি অ্যাপেল বা স্যামসাং তাদের ফোন এর দাম ৩ গুন ও বাড়িয়ে দেয় তবে তাতে কিচ্ছু যায় আসবে না। মানুষ তাদের ফোন কিনবে এবং ব্যবহার করবে। কেনোনা তারা মানুষের ভরসা জিতে নিয়েছে। অন্য দিকে যদি Chinese Phone কোম্পানির কথা বলি, তবে তারা হয়তো বাজারে একেবারেই নতুন বা তারা চাচ্ছেন যে তাদের ফোন মানুষ ব্যবহার করে দেখুক। বা তারা বাজারে তাদের এক ভিন্ন পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য সস্তা দামে ফোন বিক্রি করে থাকে।

এখন মনে করুন লাভা কিংবা সিম্ফনি যদি ৫০ হাজার বা ৬০ হাজার টাকার ফোন তৈরি করে বিক্রি করতে চায় তবে আপনি কি তা কিনবেন? কেনার আগে প্রথমেই বলবেন, “হুমহ…… ৫০ হাজার টাকা দিয়ে খেয়ে কাজ নেই সিম্ফনি কিনবো, স্যামসাং মরে গেছে নাকি?” আচ্ছা মেনে নিলাম যে সিম্ফনি আমাদের দেশে অনেক বছর ধরে আছে, অনেক সার্ভিস সেন্টার আছে তাদের। তারপর ও ভাববেন, ফোনটা ভালো হবে তো? ধুর, স্যামসাং নিলেই বুঝি ভালো করবো। তো আপনার এই সব মনের কথা ভেবেই Chinese Phone কোম্পানিরা সস্তা দামে ফোন বিক্রি করে। যেন মনের ভেতর কোনো এঁরর নোটিফিকেশন দেওয়ার আগেই আপনি ফোনটি কেনে ফেলেন।

অন্য দিকে বড় বড় মোবাইল ফোন নির্মাতা কোম্পানিরা এই কৌশল অবলম্বন করে না। কারন তারা ইতিমধ্যে বড় ব্র্যান্ড এবং মানুষ তাদের বিশ্বাস করে।

Chinese Phone গুলোর গুনগত মানঃ

এতক্ষণ এ আপনি নিশ্চয় বুঝে গেছেন যে Chinese Phone এর দামের পার্থক্য কেনো হয়। এখন আপনার মনে যেটি প্রশ্ন থাকে তা হলো এর গুনগত মান নিয়ে। এই বিষয়টি নিয়ে অনেক সহজ করে বোঝাতে চাই আপনাকে। দেখুন Chinese Phone গুলোর দাম কম হলেও গুনগত মান এর দিক থেকে কোনো পার্থক্য থাকে না। আপনি এইচটিসি বা স্যামসাং এর কথা বলুন আর সিম্ফনি বা ওয়াল্টন এর, এরা কিন্তু কেউই OEM নয়। মানে Original equipment manufacturer (প্রকৃত যন্ত্রাংশ তৈরিকারী) নয়। যেমন ধরুন এই ফোন গুলোতে যে মেমোরি লাগানো থাকে তা হয় স্যামসাং বা অন্য কোম্পানির, যে প্রসেসর থাকে তা হয় মিডিয়াটেক বা কোয়ালকম এর, অথবা যে ক্যামেরা থাকে তা হবে সনি বা অন্য কোনো কোম্পানির। তো এই সকল ফোন কোম্পানি গুলোয় একই স্থান থেকে যন্ত্রাংশ কেনে। এমনটা কিন্তু নয় যে স্যামসাং বা এইচটিসি দামী যন্ত্র কেনে আর সিম্ফনি বা ওয়াল্টন কম দামী যন্ত্রাংশ কেনে। তো বাস্তবিক দিক থেকে দেখতে গেলে গুনগত এর দিক থেকে তেমন কোনো পার্থক্য দেখতে পাওয়া যায় না। এটা কখনোয় ভাববেন না যে Chinese Phone এর গুনগত মান খারাপ হবে। আপনি অনায়াসে Chinese Phone কিনতে পারেন এবং ব্যবহার করতে পারেন। তবে Chinese Phone এ কিছু কিছু অসুবিধা হতে পারে। তা নিয়ে নিচে আলোচনা করছি।

Chinese Phone এর অসুবিধা সমূহঃ

অনেক সময় দেখা যায় আপনি যে Chinese Phone টি কিনেছেন তার প্রস্তুতকারি কোম্পানি একেবারেই নতুন হওয়াতে কেনার পর সার্ভিস পেতে আপনার অসুবিধা হতে পারে। সার্ভিস নিতে আপনাকে বড় কোনো শহর এ যেতে হতে পারে। আরেকটি সমস্যা হতে পারে তা হলো অনেক সময় ফোন এর অপারেটিং সিস্টেম এবং হার্ডওয়্যার সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় না। মনে করুন আপনি ৬-৭ হাজার টাকা দিয়ে ১ জিবি RAM এর একটি ফোন কিনলেন যেটা Android ললিপপ অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে চলে। এখন ১ জিবি RAM হওয়ার কারনে আপনার ফোনটি ল্যাগ করতে পারে। তাছাড়া GPU (Graphics processing unit) ভালো না হলে গেম খেলে মজা পাবেন না ইত্যাদি। তাছাড়া অন্য কোনো সমস্যা নাই। আপনি Chinese Phone কিনেও ভালো ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।

উপসংহারঃ

তো আশা করি এতখনে বুঝে গেছেন যে Chinese Phone গুলো কেনো এত সস্তা হয় এবং Chinese Phone আপনার কেনা উচিৎ কি না। তবুও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা কোনো মতামত থাকে এই বিষয়টির উপরে তবে নিচে টিউমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন।

এই রকম এবং আরো হার্ডকোর টেকনলজি টিউন পড়তে আমার বাংলা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সাইট টি ঘুরে আসতে ভুলবেন না। আশা করি চরম লাগবে। আর হাঁ, যারা টেকনোলজি বলতে হ্যাকিং বা এই জাতিয় কিছু বোঝেন তাদের আমার সাইটে গিয়ে কোন লাভ হবে না। যাই হোক, ভালো থাকুন।

পূর্বে প্রকাশিতঃ এখানে...

Level 6

আমি তাহমিদ বোরহান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 177 টি টিউন ও 680 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 43 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।

আমি তাহমিদ বোরহান। টেক নিয়ে সারাদিন পড়ে থাকতে ভালোবাসি। টেকটিউন্স সহ নিজের কিছু টেক ব্লগ লিখি। TecHubs ব্লগ এবং TecHubs TV ইউটিউব চ্যানেল হলো আমার প্যাশন, তাই এখানে কিছু অসাধারণ করারই চেষ্টা করি!


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

সামসাং ও সিম্ফনি সেটের মধ্যে পার্থক্য অবশ্যই আছে । আগে ভাল করে জানুন তারপর টিউন করুন। কেমন। ভুল বুঝবেন না।

    জি অবশ্যই আছে। কারন স্যামসাং স্ক্রীন এর উপর গবেষণা করে, প্রসেসর এর উপর গবেষণা করে, ক্যামেরার উপর গবেষণা করে এবং ডিজাইন এর উপর গবেষণা করে। কিন্তু চাইনিজ ফোন গুলো মার্কেটে পাওয়া সব কিছু দিয়ে কাজ সারে। পার্থক্য তো অবশ্যই থাকবে। আপনি আমার পোস্ট টির মূল বক্তব্য বোঝার চেষ্টা করুন, তাহলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।
    মতামত প্রকাশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। 🙂

অপনার সা‌থে একমত হ‌তে পারলাম না কারন সিমফ‌নিসহ চায়না সেটগু‌লো ১ বছ‌রেই শেষ হ‌য়ে যায় অথচ অন্যগু‌লো দুই বছর পর কাভার খুল‌লেও একই রকম নতুন ম‌নে হয়।

    আমি আগেই বলেছি চাইনিজ ফোন গুলো তাদের ডিজাইন এবং হার্ডওয়্যার এর উপর তেমন টাকা খরচ করে না। আর আপনি কভার খুলে নতুন বোধ করিয়ে কি করবেন? কার্যদক্ষটা ঠিক থাকলেই ফুরে গেলো 🙂 আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

স্যামসাং সেটগুলাও এক বছর ব্যবহার করার পর লোকাল বাসের সার্ভিস দেয়।আমার এক পরিচিত মোবাইল হার্ডওয়্যার ইন্জিনায়ারের কাছ থেকে জানতে পেরেছি যে ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার স্যামসাং সেট গুলার হার্ডওয়্যার ,ওয়ালটন এবং সিম্ফনি সেটগুলার হার্ডওয়ারের গুনগতমানে প্রায় ৯৮% মিল আছে। অথচ একই কনফিগারেশনের স্যামসাং কিনতে গেলে ৩০ হাজার লাগবে আর ওয়ালটন এবং সিম্ফনি কিনতে ১৫ হাজার টাকা লাগবে।তাই পকেটের টাকা বাচাতে এবং কোয়ালিটি পন্যের জন্য সবাই স্যামসাংকে না বলুন।

    মধ্যম বাজেটের স্যামসাং কেনা মানে বাঁ*। একে তো লেটেস্ট আপডেট পাওয়া যায় না তারপর আবার সেম জিনিশ ১০-১৫ হাজার টাকায় চাইনিজে পাওয়া যায়।

কথা ঠিক

ভালো লিখেছেন, ধন্যবাদ 🙂

খুব সুন্দর হইছে লেখা

ঠিক বলেছেন

ভাই সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। আমি এই জিনিস গুলা আগেই জানি। আসলে যে বুজবে না তাকে বোজানো সম্ভব নয়। স্যামস্যাং হচ্ছে আমার দেখা সব থেকে বাজে ব্র্যান্ড। ফালতু সার্ভিস। আসলে মান সবারই এক।

    একে বারে এক মান না হলেও অনেকটাই এক! ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য 🙂

ভাই আপনার কথা পুরো ঠিক না।
চাইনিজ ফোন এবং ব্রান্ডের ফোনের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার।
শুধু Processor ও RAM বাদে চাইনিজ ফোন কোম্পানিগুলো তাদের ফোন তৈরিতে Grade 2 আর যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ।
আর চাইনিজ ফোনের মুল পার্থক্য হল তারা Android ROM(Operating system) তৈরিতে খুবই কম খরচ করে থাকে যেখানে ব্রান্ড এর কোম্পানি গুলো প্রায় তাদের থেকে ৮০% বেশি খরচ করে। ৮০% চাইনিজ ফোন কোম্পানিগুলোর ROM, Cyanogenmod কিনবা ASOP এর Customized ROM Porting করে বাজারজাত করে থাকে যেটা এক প্রকার Copy paste বা নকল। চাইনিজ ফোন কোম্পানি গুলো তাদের ROM এ কোন রকম আপডেট Release করে না। সেই জন্য আপনি যদি Walton কিনবা Sysmphony এর কোন ফোন কিনেন তাহলে যেই ROM দেওয়া থাকে সেটাই থাকবে কোন আপডেট পাবেন না। ধরুন আপনি Walton কিনবা Sysmphony এর কোন ফোন কিনলেন যেটায় Android Lollipop ভার্সন। তো এখন Marshmellow বের হইসে কিন্তু আপনি সেই হালনাগাত পাচ্ছেন না। অন্যদিকে ব্রান্ডের ফোনে আপনি তা পাচ্ছেন। ব্রান্ডের ফোনের মধ্যে গুগল এর ফোনের দাম তুলামুলক বেশি তার কারন গুগল তাদের ফোনে সবার আগে Android হালনাগাত Release করে।
আরেকটি কথা চাইনিজ ফোন বলতে আসলে আপনারা কি বুঝেন আমি তা জানি না। বাজারের ৮০% ফোনই চাইনিজ ফোন তার মধ্যে ৫০% ব্রান্ডের ফোন যেমন : Huawei, Lenovo, Xiaomi, OnePlus, Meizu, Vivo etc.
চাইনিজ ফোন বলতে আপনারা যা বুঝান বা বুঝেন তাকে আসলে বলে Local ফোন বা Non ব্রান্ডের ফোন।
ধন্যবাদ

আপনার মূল্যবান কমেন্ট এবং তথ্যের জন্য ধন্যবাদ। দেখুন আমি জানি চাইনিজ ফোন গুলো তাদের রোম কাস্টম করতে খুব বেশি খরচ করে না। অনেক সময় হয়তো স্টক রোমই রেখে দেয়। হাঁ, মানছি যে ব্র্যান্ড ফোন গুলো তাদের Operating system আপগ্রেড করার সুযোগ দেয়। কিন্তু শুধু তাদের ফ্ল্যাগ শিপ ফোন গুলোর ক্ষেত্রে বা পেছনের বছরের ফ্ল্যাগ শিপ ফোন গুলোর ক্ষেত্রে। এরা মধ্যম দামের ফোন গুলোর জন্য কোন আপডেট নিয়ে আসে না। আর নিয়ে আসলেও অনেক পরে এবং হয়তো একটি আপডেট পাওয়া যেতে পারে। যেখানে ২০-২৫ হাজার টাকার ব্র্যান্ড ফোন কিনে মাসের পর ম্যাস অপেক্ষা করেও আপডেট পাওয়া যায় না সেখানে ১০-১৫ হাজার টাকার চাইনিজ ফোন কিনে আপডেট আশা করাটাই বৃথা। যদিও নতুন মডেলের চাইনিজ ফোন গুলো আপডেট এর সাথেই বাজারে আসার চেষ্টা করে। আর যদি বলি Marshmellow আপডেট এর কথা, আরে ভাই যেখানে মাত্র কয়েক দিন আগেই সামসাং এস ৬ আপডেট পেল সেখানে চাইনিজ ফোনে কীভাবে পাবেন। গুগল নেক্সাস ফোনের কথা আলাদা, গুগল তো মূলত নেক্সাস কে অপটিমাইজ করেই Android হালনাগাত করে থাকে। সেখানে ওদের নিজের কোম্পানির কথা আলাদা। আর আপনি চাইনিজ ফোন বোঝাতে যা বোঝেন আমিও ঠিক তাই ই বুঝি। কিন্তু এখানে টিউনটি সহজ করতে দেশী ব্র্যান্ড গুলোর নাম নিয়েছি। তাছাড়া কেন আপনার ফোনে অ্যান্ড্রয়েড আপডেট আসে না? কীভাবে সবসময় আপডেট পাবেন? এবিষয়ে আমার লেখা একটি বিস্তারিত পোস্ট আছে। আপনি পড়ে আসতে পারেন। ধন্যবাদ ভাই 🙂

    I dont argue with you.
    You just told about partial things. Im a XDA developer so i know the basis.
    Kindly first know correctly then share.
    Thanks 🙂

      ভাইয়া আমি টেকনোলজির ভাসা গুলোকে সহজ করে বোঝানোর চেষ্টা করি সর্বদা। যাতে সাধারন মানুষ সহজেই বুঝতে পারে। আপনি অবশ্যই আমার থেকে বেশি জানেন এবং অবশ্যই আপনার জ্ঞান অনেক বেশি। কিন্তু আমি যে কথা গুলো শেয়ার করেছি তার কোন অংশে ভুল আছে? আপনি একমত না হওয়া আলাদা কথা! যাই হোক, কমেন্ট এর জন্য ধন্যবাদ 🙂 এবং অবশ্যই সামনে আরো রিসার্চ করবো।

        Its not fair to point out error any tuner except if he/she makes more than 50% mistake. your mistake is only 20% 🙂
        If i told all about that it will be a easy writting for me. And im not good at bangla writting :-p
        you are 80% better than me in bangla writting.
        Im expert only english writting. so im go on that.
        You told about :
        গবেষণা এবং উন্নয়ন (Research & Development)
        বাজারকরণ (Marketing)
        আয়তন (Size)
        কৌশল (Strategy
        Remember these are not full function about the brand.
        Another Samsung, sony, apple etc are not only phone manufacturer.
        They are Consumer electronics giant.
        chinise phone company always target mid range country to well up their profit. they just copy our rom of cyanogenmod :-X

        By the way. wish your more accuracy in future and hope you will 🙂
        Thank you

Level 0

ভালো লেখা, অনেক কিছু জানতে পারলাম, এভাবে কখনো ভেবে দেখিনি, এখন বুঝতে পারছি, ধন্যবাদ

    আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, আপনার ভালোলাগা শেয়ার করার জন্য!

Level New

99.99% agree

আপনার কথার সাথে আমি পুরোপুরি একমত। ৩০ হাজার এর ভিতর কোন ভাল ব্রান্ড এর ( Samsung,HTC,LG ) স্মার্ট ফোন কেনা মানেই টাকাগুলা পানিতে ফেলা। যারা আপডেট এর চিন্তা নিয়ে ব্রান্ড এর স্মার্ট ফোন কিনেন , তারা একেবারে পথে ধরা খাবেন । প্রায় ১ বছর আগে আমি ও আমার এক বন্ধু একই সাথে দুইটা স্মাট ফোন কিনেছিলাম । আমার টা ছিল Walton Primo S2 , ১৮৫০০ লেগেছিল । আর ওর টা ছিল ৪৭৬০০ এর মধ্যে Samsung এর Galaxy সিরিজ এর কোন একটা । মডেলটা ঠিক মনে করতে পারছি না , Samsung এর কত যে Galaxy আছে তা এই মহাবিশ্বের গ্যালাক্সি সংখ্যা থেকেও একদিন ছাড়িয়ে যাবে । ও ভালভাবে NOVA 3, TDKR, GTA Vice City, Asphalt 8 খেলতেই পারত না । আবার প্রচুর Whats App চালালে তো ওর মোবাইল এর ভিতর দিয়ে আগুন বের হত । বেচারা Update নিয়ে কি নাচবে !! যদি Primary Stock Rom এই ঘাপলা থাকে ??

    জি ! আমার মতে স্যামসং এর মধ্যম বাজেটের ফোন কেনা উচিৎ নয়। এর চেয়ে বাজারের চাইনিজ ফোন গুলোই কেনা ভালো। অনেক কম দামে অনেক বেশি কর্মদক্ষতা পাওয়া যাবে। আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ 🙂

ভাই সবার Chinese আর Local ফোন সম্পর্কে ধারনাটা পরিষ্কার থাকা প্রয়োজন। জনসাধারণ Chinese ফোন বলতে যা বোঝে সেইটার সাথে মিল রেখে আলোচনা করতে গেলে সবার ধারণা আগের মতই থেকে যাবে। আগে সবার মত চাইনিজ ফোন বলতে আমি বুঝতাম Symphony, Walton ইত্যাদি। এখন চাইনিজ ফোন বলতে আমি বুঝি Xiaomi, Huawei, Oppo, Meizu, Vivo, Lenovo, ZTE, Coolpad ইত্যাদি। অন্য চাইনিজ ব্রান্ড এর অনলাইন সাপোর্ট সম্পর্কে আমার ধারণা নেই, তবে আমি Xiaomi ব্যবহার করি তাই তাদের অনলাইন সাপোর্টের কথা বলতে পারি। আমার Xiaomi Redmi Note 3 তে সাপ্তাহিক আপডেট পাই এমনকি Xiaomi এর সবথেকে কমদামি (১০০০০) ফোন Redmi 2 তেও সাপ্তাহিক আপডেট পাওয়া যায় যদি আপনি ডেভলপার রম ব্যবহার করেন। Xiaomi এর অফিসিয়াল ফোরাম সবথেকে পপুলার। এদের মধ্যে কোন লুকোচুরির ব্যাপার নেই। এদের সফটওয়্যার সম্পর্কিত সকল সমস্যার সমাধান আপনি তাদের অফিসিয়াল ফোরাম থেকেই পাবেন। Xiaomi এর যেকোনো অফিসিয়াল রম ফোনে ইন্সটল করতে গেলে পাসওয়ার্ড দেয়া জিপ ফাইল আপজিপ করতে কাউকে বিকাশে টাকা লোড দেয়া লাগবে নাহ। সবকিছু বিনামূল্যেই পাওয়া যায়। যেকোনো ধরনের সমস্যার জন্য অ্যাডমিন এর কাছে অথবা ফোরামে প্রশ্ন করলে সাথে সাথে রিপ্লাই পাবেন। অর্থাৎ কাস্টমার কেয়ার আপনি নিজেই। সবশেষে এইটুকু বলতে চাই আপনার ফোনটি হোক ব্র্যান্ড, চাইনিজ কিংবা লোকাল, Bad Luck এর কোন Warranty কিংবা Guaranty নেই। হাজার হোক সবই তো Electronics Device তাইনা? আর তাই এখনো যারা ব্র্যান্ডেড ফোনের সাথে পাল্লা দিয়ে কম দাম আর হাই কনফিগারেশন দেখে লোকাল ফোন, আমি আবার বলছি লোকাল ফোন (চাইনিজ নয়) কিনছেন বা কিনতে চাচ্ছেন আমি বলব তাদের আরেকবার ভাবা দরকার। সর্বোপরি, “জিনিস যেইটা ভালো দাম তার একটু বেশি” হবে সেটাই স্বাভাবিক।
সবার প্রতি সম্মান রেখে নিজের মতামত জানালাম। যার যার বুঝ তার তার কাছে। সবাইকে ধন্যবাদ…।।

    ভাইয়া এটি কপি পেস্ট পোস্ট। টিউনটি যখন একটি ব্লগ লিখেছিল তখন সাওমী এতটা জনপ্রিয় বা চায়নীজ বা রিব্যান্ড ফোনগুলো এতভাল ছিল না।

ভালো লিখেছেন, ধন্যবাদ

মাইক্রসফট লুমিয়া নিয়ে কেউ কিছু বললেন না যে?

ভাল লিখেছেন , তাহমিদ ভাইয়া। স্যামসাঙ এর মত বড় বড় কোম্পানি কেন এত কম টাকায় ফোন বানিয়ে এত বেশি টাকায় সেল করে এই বিষয়টি ক্লিয়ার করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। কারন , এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেই ভুল বোঝেন। অসাধারন টিউন। নির্বাচিত মনোনয়ন করে দিলাম। 🙂

@হ্যারিস ভালো জিনিস ভালো লাগে না, না ভাই। নিজে তো টিউন করেনই না আবার টেকটিউসের নামী টিউনারদের বলেন আবুল। একদম ঝেটিয়ে বিদায় করবো আপনাকে।

অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি টিউন। অবশেষে মনের প্রশ্নের সমাধান হলো। 🙂

খুব ভাল টিউন। এটা নিয়ে সর্বপ্রথম একটা ব্লগ পোস্ট করে। পরে সেটাকে আমি ছোট করে সবার সুবিধামতে টেকটিউনসে টিউন করেছিলাম। আর সেই ব্লগ থেকে অনেক খানি কপি করা হয়েছে তবু টেকটিউনস এসব দেখে না। আর আমার মৌলিক টিউনগুলো সহ আইডি ব্যান করেছিল। আইডি ফিরে পাইলেও আমার লিখা টিউনগুলো আর দিলো না।