রহস্যে ঘেরা Escape Room কি আপনি জানেন তো নয়তো জেনে নিন গল্পে গল্পে এর মৃত্যুর ফাদ সম্পর্কে

হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সবাই ভালো আছেন।
আজ হাজির হয়ে গেলাম Escape Room সম্পর্কে কিছু দরকারী তথ্য নিয়ে যা জানতে পারলে হয়তো আপনিও অবাক হবেন।

আমি মুভি নিয়ে পরে লিখবো আগে কিছু দরকারী তথ্য বলি Escape Room সম্পর্কে এটা মূলত এমন একটি ঘর যেখান থেকে বের হওয়া অসম্ভব কারন যারা এর নির্মান করে থাকেন যাতে এখান থেকে বের হওয়ার সম্ভাবনা যাতে একবারে না থাকে মানে ০%

আর এর নির্মান কেনই বা করবে এটা মনে প্রশ্ন আসতেই পারে তবে বিস্তারিত বলছি ইন্টারনেট এর অন্ধকার জগত রয়েছে যা হয়তো আপনি অবগত আছেন। আর সেখানে অসংখ্য পরিমানের উদ্ভট মস্তিস্ক দাড়া বানানো লোকের দেখা মিলে যারা কিনা লাইভ মৃত্যুর গেমস গুলো দেখার জন্য বা আয়োজন করানোর জন্য স্পন্সর করে থাকে আর এর পিছনে থাকে অনেক বড় গ্রুপ যাদের কাজ হলো এগুলো লাইভ স্ট্রিম করা।
আরো জানলে অবাক হবেন যে সেখানে বাজি ধরা হয় কে জিতবে অথবা কে হারবে তাদের উপর সহজ কথায় বেচে যাওয়া বুঝে নিতে পারেন।

আর এই কাজে অনেক শক্তিশালী নিরাপত্তার মাধ্যমে সম্পাদিত করা হয়ে থাকে যাতে তাদের কোন ভাবেই ধরা ছোয়া না যায় যদিও FBI এর উপর নজর রাখছে তারপরেও ক্রিমিনাল মাইন্ড এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে।

যাই হোক তারা মানুষের জীবন মরন নিয়ে খেলে থাকে এবং এর জন্য তারা অনেক অর্থও পেয়ে থাকে তাই এই গেমস বন্ধ করা আদেও সম্ভব কিনা তা বলা মুশকিল।

প্রথম দিকে একে Red Room নামে প্রকাশ করা হয়েছিল তবে তখন তারা লাইভ স্ট্রিমে কি করতো তার ব্যাখ্যা দিয়ে নেইঃ-

তারা প্রথম দিকে, একজন মানুষকে টর্চার করার জন্য আনা হতো আর যারা দর্শক থাকতো তারা বলতো যে ঐ ব্যাটার চোখ ঊঠিয়ে ফেলো আমি ৫০০ডলার দিবো আবার কেউ বলতো মগজ বেড় করে ফেলো আবার কেউ বা বলতো ওর পেট চিড়ে ফেলো Heart বের করে দেখাও ১০০০ ডলার দিবো অনেকটা এই টাইপের। তারা অত্যন্ত নির্মম ভাবে এই সব লাইভে প্রচার করতো আর তাদের মেম্বার বেশীরভাগ অঢেল টাকা পয়সার মালিক। তবে এক সময় তারা প্রশাসনের হাতে পড়ে এবং এই কার্যক্রম বন্ধ থাকে কিছুদিন।

এরপর হয়তো অন্য কেউ এবার Escape Room নামে নতুন খেলার উদ্ভাবন করে।

কি এবার বলুন আমরা কি সব জানি যা আমাদের আশেপাশেই ঘটে যাচ্ছে হয়তো না, তেমনি ইন্টারনেট এর Deep Web এ এরকম কার্যক্রম ঘটে থাকে যদি আপনি এ নিয়ে রিসার্চ করতে জানেন তবে হয়তো এর দেখা মিলবে।

তাই এবার মানা না মানা আপনার ব্যপার।

আর এই ধরনের কার্যক্রমের উপর বানানো হয়েছে একটি মুভি যার নামকরণ ও Escape Room দেওয়া হয়েছে যদি আপনি মুভিটি দেখতে চান তবে একবারে শেষে প্রান্তে ডাইনলোড লিংক যুক্ত করা হয়েছে।

এবার দেখে নেওয়া যাক Escape Room মুভি রিভিউ

প্রথমেই ছয়জন Lucky মানুষের কাছে চিঠি যাবে যে একটি গেমসের আয়োজন করা হয়েছে যে ঘর থেকে পালাতে পারবে গেমসে তাকে ১০, ০০০$  ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে।

Lucky কেন বলেছি তা আস্তে আস্তে জানতে পারবেন।

তাদের মধ্যে ছিলো ৪ জন ছেলে ২ জন মেয়ে তারা গেমসটিতে অংশগ্রহন করার জন্য একটি রুমে এসে একত্রিত হয়। তাদের মধ্যে কেউ সৈনিক কেউবা Business করে আর লেখাপড়া চলছে এমন একজন ও এখানে রয়েছে সবাই নিজের কাজে Expert.

রুমে অপেক্ষা করতে করতে ছয়জন বিরক্ত হয়ে যায় কখন খেলা শুরু হবে আর কার সাথে দেখা করতে তারা এসেছে কিন্তু তারা জানতোনা যে তারা যে কক্ষে রয়েছে তা Escape Room এর অংশ। রিসিপশন আছে তবে ঢাকনা আটকানো তাই কথা জিজ্ঞাসা করলে একই কথা বারংবার রিপ্লাই আসতে থাকে।

অবশেষে তাদের একজন রাগ করে বাহিরে যাওয়ার জন্য যে দরজা দিয়ে ঢুকেছিলো তার Lock ধরে টান দিতেই ভেংগে হাতে চলে আসে এবং বাহিরে যাওয়ার পথ বন্ধ বুঝতে পারে সবাইকে দেখানোর জন্য ডাকলে দেখা যায় Lock টি একটি ভোল্টের মত কিছু হয়ে গেছে তখন ছোট মেয়েটি ভোল্টের মাত্রাটা ঘুরিয়ে দিতেই পুরো ঘরে আগুনি এসি চালু হয়ে যায়।

এবার তারা গরম থেকে বাচতে সুত্র খোঁজা আরম্ভ করে দেয় এবং তারা কাউন্টারের ঢাকনা খোলার চাবি পায় এবং কাউন্টার খুলে দেখতে পায়।

সেখানে কোন মানুষ নয় বরং পুতুল এবং রেকোর্ডিং চলছে। এবার সেখানে কল বেজে উঠে একজন রিসিভার তুলে কানে লাগাতেই ওপাশ থেকে বলে ঊঠে Games  Started.

এবার তারা আবারো নতুন সূত্র খুঁজে পেতে মরিয়া হয়ে উঠলো এবং দেখতে পেলে তাদের সামনে থাকা টেবিলে অনেক গুলো বোতাম রয়েছে এবং সব গুলো বোতাম একসাথে চেপে ধরলে একটি গুপ্ত দরজা খুলছে তো গুপ্ত দরজা খুলতেই একজন ফানেল বেয়ে ভিতরে প্রবেশ করলো যাচাই করতে এখান থেকে আসলেই বের হওয়া যায় কিনা। সবার হাত বোতাম গুলোর উপর।

তো একজন একজন করে পালাতে থাকলো এবং দেখা দিলো নতুন বিপদ বোতাম চেপে ধরার জন্য লোক কম পড়ে গেলো। এবার তারা কি করবে?
তারা পানির গ্লাস ভরে ভরে বোতাম গুলোর উপর রাখতে থাকলো যাতে পথ খোলা থাকে তারপর তারা বের হবে এই চিন্তা কিন্তু শেষের বোতাম টা তে গ্লাস রাখতে গিয়ে পানি কম পড়ে গেলো এবার নিজেকেই গালি দেওয়া আরম্ভ করলো কেন বেশী পানি খেয়েছিলো যাই হোক অবশেষে মনে পড়লো Wine আছে কিছুটা, তা দিয়ে গ্লাস পূরন হয়ে গেলো।

এবার তারা ছোট্ট দরজা দিয়ে বেরোতেই পিছনে ফিরে দেখলো।

এবার সবাই একটি কাঠের ঘরের মাঝে নিজেদের আবিস্কার করলো.

এবারো সূত্র খুজতে থাকলো যাতে এই রুম থেকে বেরুতে পারে অবশেষে খুঁজে পেলো তালা খোলার সুত্র সবাই খুশীতে বের হয়ে পড়লো এবং যা দেখলো তারা নিজেদের চোখকেও বিশ্বাস  করাতে পারছিলনা।

প্রথমত কাবাব বানানোর হাত থেকে রক্ষা করা তারপর এবার বরফের দেশে দাঁড়িয়ে থাকা কেমন যেন বেখাপ্পা লাগছে চলতি সময়টা।

যাই হোক বুঝতে পারলো গেমস থেকে মুক্তি পায় নাই তারা ঠান্ডায় জমতে লাগলো এবং সূত্র খোঁজায় মন লাগালো।
অনেক কষ্টের পরেও সূত্র না পাওয়ায় একজন অভিমানে সিগারেট জালিয়ে টানতে থাকে তখন গেমস খেলা পাগল ছেলেটি লাইটার চায় যাতে তারা আগুন জালাতে পারে ধুমপান করতে করতে লাইটার ছূড়ে মারলো ছেলেটি লাইটার টি নিতে গিয়ে বরফ ভেংগে ভিতরে ডুবে যায়।
সবার মন খারাপ এবং লাইটার দেওয়া লোকটিকে গালাগাল দিতে লাগলো কিন্তু অতিরিক্ত ঠান্ডা মনে করিয়ে দিলো নিজেদের বাচার জন্য সূত্র খোঁজার কথা।

আবার ঠান্ডায় কাপতে কাপতে সূত্র খোঁজায় মনোযোগ দিলো অবশেষে তারা বরফে জমা একটি সূত্র পেলো যা দিয়ে দরজা খুলবে কিন্তু ঠান্ডায় এখন তা কাজে লাগানো যাবেনা আগে বরফ গলতে হবে তারপর তারা এই রুম থেকে মুক্তি পাবে।

দেখা দিলো বিপদ ঝড়ো বাতাস সাথে বরফ এর মেঝেতে ফাটল ধরা কিন্তু তখনো যে বাকি বরফ গলে সূত্র বের হতে।

অবশেষে তারা মরতে মরতে বাচে এবং অন্য রকম উল্টাপাল্টা অদ্ভুত একটি রুমে নিজেদের আবিস্কার করে।


এই রুমে সব কিছু উলটো যা উপড়ে থাকার কথা তা নিচে এবং যা নিজে থাকার কথা তা উপরে।
এখানেও সুত্র খোঁজা আরম্ভ করলো, অল্পের জন্য প্রানে বাচলো বুড়ো লোকটি কারন মেঝে খুলে নিজে পড়ে যাচ্ছে আর এক পা দিলেই পড়ে যেতো হয়তো একবারে অনেক গভীরে।


এবার Puzzle মিলানোতে মন লাগালো ছোট্ট মেয়েটি যাতে Lock এর পাসওয়ার্ড জানা যায়।
অবশেষে লক খুললো এবং দরজার নব মিললো যা দিয়ে দরজা খুলবে।

এবার দরজার নব নিয়ে আসার সময় পুল বোর্ড ধরে আসছিলো।

কিন্তু নব টি মেঝেতে পড়ে গেলো এবং তা ঊঠাতে আর্মি মেয়েটি মেঝে তে নামে এবং মেঝেটি ভেংগে পড়ে যায় মেয়েটি কোনমতে নব টি অন্যদের কাছে ছুড়ে মারলো।

যাতে অন্যরা বাচতে পারে আর নিজে একটি টেলিফোন লাইন ধরে ঝুলে রইলো নিজেকে বাচাতে কিন্তু তার ছিড়ে পড়ে তার মৃত্যু হয়।

নিজে মরেও অন্যকে বাচিয়ে দিয়ে গেলো।

বেচে থাকা চারজন নতুন রুমে নিজেদের আবিস্কার করে এবং সুত্র পায় যে তাদের সম্পর্কে গেমসের লোকেরা সব কিছুই জানতো তাদের কে আমন্ত্রন দেওয়ার কারন বুঝে পেতে আর দেরী হলোনা।


নিজেদের ভিতর জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে এলো তারা সবাই কোন না কোন ভাবে মরার মুখ থেকে ফিরে এসেছে এবং কোটির ভিতর একজন Lucky তাই গেমার রা দেখতে চায় কে সব থেকে বেশী Lucky.
এবার যে রুমে রয়েছে সে রুম থেকে ৫ মিনিটে বের না হতে পারলে বিষাক্ত গ্যাস পুরো রুমে ছড়িয়ে যাবে আর দরজা খোলার একটাই পথ তাদের হার্টবিট রেট যদি তা মেলে মেশিনে তবেই দরজা খুলবে। এই হার্ট বিট রেট মিলাতে গিয়ে শর্কে মারা যায় বুড়ো লোকটি।

অন্যদিকে ছোট মেয়েটি ক্যামেরা ভাংগায় ব্যস্ত যাতে তারা কি করছে কেউ দেখতে না পারে আর অন্যদিকে গ্যাস বের হওয়া আরম্ভ হয়ে গিয়েছে।

তখন ব্যবসায়ী লোকের হার্টবিট মেশিনের সাথে মিলে যায় এবং দরজা খুলে তারা দুজন গেলেও মেয়েটা ক্যামেরা ভাংগায় ব্যস্ত অবশেষে গ্যাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে.

হার্ট বিট মিলে যাওয়ায় মেশিন পথ খুলে দিলেও সমস্যা রয়ে যায় তাদের নতুন রুম নিয়ে।

তারা রুমে পৌছাতেই ঝগড়া মারামারি আরম্ভ করে বুড়ো লোকটিকে শর্ক দিয়ে মেরে ফেলার জন্য।


তারা যখন সুত্র খুজতে মন দিলো তখন একটি দরজা খুলতে হবে তাই দুজনে হাত লাগালো সুত্র পেলো বটে কিন্তু হাতে লেগে যায় ভয়ংকর কোন কিছু যা মতিভ্রম ঘটাতে সক্ষম।
এখন বাচার জন্য সুত্র খুজতে একটি ইঞ্জেকশন পায় যা এন্টিডট হিসাবে কাজ করবে।


কিন্তু মানুষ দুজন হওয়ায় মারামারি বেধে যায় কে নিবে ইঞ্জেকশন তা নিয়ে।


অবশেষে তাদের মধ্যে একজন মরে যায় অন্যজন ইঞ্জেকশন কাজে লাগায়। এবং অন্য রুমে প্রবেশ করে।


এবার সুত্র খোঁজা আরম্ভ করতে চারদিকের দেয়াল চেপে আসতে থাকে কিন্তু মিলানো হয় নাই ধাধার উত্তর।

অবশেষে সব যদি বলে দেই তাহলে কি হয় বাকীটা মুভিতে আমি সবথেকে বড় টুইস্ট বলিনি তা হলো দুজন প্রানে বাচে তার ভিতর একজন পুলিশ নিয়ে সেই বিল্ডিং এ যায় সবাই কে ধরিয়ে দিতে যেখানে Escape Room গেমস খেলেছে তারা।

কিন্তু এ কি কিছুই যে আগের মতো নেই মনে হচ্ছে যেখানে তারা এসেছে এখানে কয়েক যুগেও মানুষের প্রবেশ হয় নাই মানে পুরো সব চেঞ্জ তাই পুলিশ বেচে থাকা লোকটি কে অবজ্ঞা করলো তখন বাকী যে বেচে রয়েছে হাসপাতালে তার জবানবন্দী নেওয়ার কথা বললে পুলিশে বলে তার শরীরে তিন ধরনের ড্রাগস পাওয়া গেছে।

এরকম টাই মূলত হয়ে থাকে তবে তারা বসে থাকে না তারা অন্য কোথাও নতুন সব চিন্তাভাবনা কাজে লাগিয়ে লাইভ স্ট্রিম করে থাকে যা মুভি দেখলে আরো ক্লিয়ার হয়ে যাবেন।

দেখা যাবে তারা অন্য কোথাও আবার গেমস চালু করে দিয়েছে।

মুভিটির ডিরেক্টর Adam Robitel এবং মুভিটি বানাতে খরচ হয়েছে ৯ মিলিয়ন ইউএসডি ডলার এবং মুভি বক্স অফিসে হিট খায় ১৫৫.২ মিলিয়ন USD ডলারের।

মুভিটি প্রকাশ পায় জানুয়ারীর ৪ তারিখ ২০১৯ ইং সালে।

জানিনা পোষ্টটি কেমন লেগেছে আপনাদের কাছে যদি একটু ভালোও লেগে থাকে তবে টিউমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।

চাইলে আমার পার্সোনাল ব্লগ থেকে ঘুরে আসুন

আজকের মত বিদায় দেখা হবে অন্য কোন দিন নতুন কিছু নিয়ে।

সৌজন্যেঃ Cyber Prince

Level 3

আমি সৌরভ। Founder And Author, DarkMagician, Feni। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 63 টি টিউন ও 61 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 10 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 5 টিউনারকে ফলো করি।

নিজেকে নিয়ে বলার মত কিছু নেই আমি খুব সাধারন একজন। তবে আমার একটি ছোট্ট ব্লগ রয়েছে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন আরো জানতে। DarkMagician


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস