Guerrilla,Bangla Cinema, 2011, মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ দেখুন online

কাহিনী সংক্ষেপ

১৯৭১ সাল। বাঙালির মহান মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল সময়। ২৫শে মার্চ রাতে অতর্কিতে হানাদার পাক বাহিনীর বর্বর আক্রমনে এই মরনপণ যুদ্ধ শুরু হয়, যার পটভূমিতে রচিত গল্প নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র "গেরিলা"।
বিলকিস (জয়া আহসান) এই গল্পের মূল চরিত্র। শিক্ষিত-সংস্কৃতিমনা-বলিষ্ঠ চিত্তের অধিকারী বিলকিসের স্বামী, প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক হাসান (ফেরদৌস), ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে নিখোঁজ হন।আপন বোধ আর আর হাসানের সান্নিধ্যে বাঙ্গালীর স্বাধীনতা মন্ত্রে উজ্জীবিত বিলকিস অসুস্থ শ্বাশুড়ীর দেখাশোনা,নিজের ব্যাংকের চাকরী,নিখোঁজ হাসানের খোঁজ নেয়ার পাশাপাশি ঢাকার গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিজেকে জড়িয়ে নেয়।তার মতোই আরো অনেক নারী চাকুরী বা নিজ সামাজিক অবস্থানের ছত্রছায়ায় গেরিলা যুদ্ধের নানা সাংগঠনিক যোগাযোগ ও পরিবহনের মাধ্যম হিসেবে নিয়োজিত থেকে গেরিলা যুদ্ধকে সম্ভব করে তুলেছিলেন।এ সময় হাসানের দুধভাই তসলিম সর্দার( এটিএম শামসুজ্জামান) আর সে সময়ের কিংবদন্তি সুরকার আলতাফ মাহমুদ (আহমেদ রুবেল) অভিভাবকের মতো স্নেহে-পরামর্শে বিলকিসকে ছায়া দেন।পাকিস্তানী বর্বরতা, বাঙ্গালীর প্রতিরোধ আর স্বাধীনতার দাবী দেশে বিদেশে ছড়িয়ে দিতে সশস্ত্র যুদ্ধের পাশাপাশি বিলকিস সহযোদ্ধাদের সাথে একটি পত্রিকার কাজেও জড়িয়ে যায়, যার নাম "গেরিলা"। সময়ের আবর্তে ১৯৭১ এর আগষ্ট মাসের শেষ দিকে একটি বড় অপারেশনের পর ঘটনা পরিক্রমায় ঢাকা ছাড়তে হয় বিলকিসকে।তসলিম সর্দার নিহত হন, আলতাফ মাহমুদ মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র রাখার দায়ে পাকিস্তানী আর্মি কর্তৃক ধৃত হন। একাকী বিলকিস নিজগ্রাম রংপুরের জলেশ্বরী যাবার জন্য ট্রেনে পাড়ি জমায়।কিন্তু তারই ছোটভাই খোকনের দল ওদিকে একটি রেলব্রীজ উড়িয়ে দেওয়ায় তার ট্রেনযাত্রা ব্যাহত হয়।দৃঢ়চিত্ত বিলকিস হেঁটেই এগিয়ে চলে বাড়ীর পথে।খোকন বাহিনীর এক তরুন মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ বিলকিসের যাত্রাসঙ্গী হয়।বাড়ির পথে নানা ঘটনার পাশাপাশি নিজের বাড়ী লুট হওয়া আর আপন মামার উপর মিলিটারী-রাজাকারদের নির্যাতন দেখে শিউরে উঠে সে।অতঃপর একমাত্র ভাই খোকনকে দেখবার তীব্র আকাংখায় যুদ্ধের ডামাডোলে জীবনের সকল সূত্র হারানো এক নারী,বিলকিস।কিন্তু দুর্ভাগ্য,এরইমধ্যে জবাই করা হয়েছে খোকনকে।ভাইয়ের লাশ দাফন করতে গিয়ে বন্দি হয় পাকিস্তানী মিলিটারীর হাতে।তবে শেষ পর্যন্ত বীরের মতো আত্নাহুতি দেয় বিলকিস।নিজের সাথে উড়িয়ে দেয় একটি গোটা মিলিটারী ক্যাম্প।
[সম্পাদনা]অভিনয় শিল্পী

জয়া আহসান - বিলকিস বানু
ফেরদৌস- হাসান আহমেদ
পীযূষ বন্দোপাধ্যায়- আনোয়ার হোসেন
আহমেদ রুবেল- আলতাফ মাহমুদ
শতাব্দী ওয়াদুদ -ক্যাপ্টেন শমসদ/মেজর সরফরাজ
শম্পা রেজা - মিসেস খান
এটিএম শামসুজ্জামান- তসলিম সর্দার
আজাদ আবুল কালাম- তৈয়ব
কচি খন্দকার, মিরানা জামান, এস এম মহসিন, মোস্তফা মনোয়ার, ইরফান মৃধা, সাজ্জাদ আহ্মেদ রাজীব, গোলাম মাওলা শ্যামল , নয়ন হাসান, জয়শ্রী, অমর এলায, মাসুম আযীয, কামাল বায়েজীদ এবং আরো অনেকে

অনেক আগে থেকে কথা চলতে থাকলেও সিনেমাটির নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১০ এর জানুয়ারি থেকে। রাষ্ট্রীয় অনুদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে। পরবর্তীতে আরিয়াল ক্রিয়েটিভ স্পেস এর সাথে যোগ দেয় ইম্প্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড এবং এতে নির্মাণ আরও গতিশীল হয়। পরিচালক নাসির উদ্দীন ইউসুফ চিত্রনাট্য সংশোধনের মাধ্যমে চূড়ান্ত করেন এবাদুর রহমান কে সাথে নিয়ে। চরিত্র নির্বাচক ও প্রযোজক এশা ইউসুফ এর সহযোগীতায় তিনি ঠিক করেন অভিনেতা, অভিনেত্রী, তাদের সাথে চরিত্র-সময়-পটভুমি-অভিনয় প্রভৃতি নিয়ে কথা হতে থাকে। তারই নির্দেশনাক্রমে শিমুল ইউসুফের নেতৃত্বে কস্টিউম ডিপার্টমেন্ট ও অনিমেষ আইচ এর নেতৃত্বে আর্ট ডিপার্টমেন্ট প্রস্তুত হতে থাকে। পরিচালকের পরামর্শ অনুযায়ী যুদ্ধে সামরিক প্রশিক্ষন উপদেষ্টা লেঃ কর্নেল (অবঃ) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীরপ্রতিক চালিয়ে যান পাক মিলিটারীদের ট্রেনিং। একশন-বিস্ফোরন দৃশ্যের পরিকল্পনা হয় আতিকুর রহমান চুন্নুর সাথে। অবশেষে শ্যুটিং সিডিউল, এফডিসির ক্যামেরা বুকিং, স্পার্ক লিমিটেডের সাথে কোডাক ফিল্ম স্টক সাপ্লাই, থাকা-খাওয়া-আসা-যাওয়া, মেকাপ, রেইন মেশিন, ক্রেন, ট্রলি এমন অনেক হিসাব নিকাষ শেষে দেশি বিদেশি কলা কুশলী আর কুশিলবদের নিয়ে প্রকৃত নির্মাণকাজ শুরু হয় মে মাসে। ২৭ মে থেকে শুরু করে- কখনো ধাকার ইস্কাটন, গুলশান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কখনো তেঁজগাও শিল্প এলাকা, ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ, রাজারবাগ পুলিশ লাইন, আবার সোনারগাঁও এর পানাম নগরী, ধামরাই, রংপুরের এখানে ওখানে, দিনাজপুরের পার্বতীপুর ঘুরে আবার ধামরাই, পুবাইল, মানিকগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ৫ মাস ব্যাপী ১৮০ ক্যান ফিল্ম এক্সপোজ করে ২৬ অক্টোবর সকালে শুটিং শেষ হয়।
অবশ্য এরই মধ্যে শুরু হয়ে যায় সম্পাদনার কাজ, সামীরের দায়িত্বে, গাঁও প্রোডাকশনস স্টুডিও তে, সকল নেগেটিভ প্রসেস করা হয়েছে ভারতের চেন্নাইতে, প্রাসাদ ল্যাবে। কয়েক দফায় সেখান থেকে আসতে থাকে টেলিসিনে, এখানে হতে থাকে সম্পাদনা। ইতিমধ্যে মুম্বাইয়ের সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার বিনোদ সুব্রামনিয়ান'র সাথে পরামর্শক্রমে সাইদ হাসান টিপুর রেকর্ডিং স্টুডিও ড্রিম-ডেস্ক নানাবিধ কারিগরী সংযোজনের মাধ্যমে ডাবিং এর জন্য প্রস্তুত করা হয় এবং ডাবিং শুরু হয় ৯ই নভেম্বর, ২০১০ থেকে। এরই মধ্যে কথাবার্তা পাঁকা হয় মুম্বাইয়ের পিক্সিয়ন'র সাথে ডিজিটাল ইন্টারমিডিয়েটের জন্য আর ইন্দ্রনীল রায়ের সাথে ভিজুয়াল স্পেশাল ইফেক্ট এর কাজ করার জন্য। পাশাপাশি শিমুল ইউসুফের আবহ সঙ্গীত করার কাজ এগিয়ে চলে। তারপর যথারীতি ডি আই, স্পেশাল সাউন্ড ইফেক্টও ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস ইত্যাদি শেষ করে মুম্বাইয়ের অ্যাডল্যাব থেকে বের হয় সেলুলয়েড প্রিন্ট ও নির্মাণ হয় স্বপ্নের।[২]

এখানে গিয়ে দেখুন অনলাইনে।

আরো দেখুন ঃ Moner Manush (মনের মানুষ) ~ 2010 Full Movie [HDTV], Matir Moyna 2002 (মাটির ময়না) ইত্যাদি জনপ্রিয় ছায়াছবি।
চাইলে ডাউনলোড ও করতে পারেন।

Level 0

আমি অর্থহীন জীবন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 19 টি টিউন ও 175 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

ভাইয়া ভাল লাগ্লো। যদি “আমার বন্ধু রাশেদ” এর এমন কোন ডাউনলোড লিঙ্ক দিতে পারেন তাহলে ভালো হয়।

Level 0

ভাইয়া গেরিলার ডাউনলোড লিঙ্ক চাই নাই। আমি চাইছি আমার বন্ধু রাশেদ এর ডাউনলোড লিঙ্ক।

Level 0

আমার বন্ধু রাশেদ এর ডাউনলোড লিঙ্ক টা দিলে ভালো হইতো

@ Kazi Vai & Heaven
kmmh.info নিয়মিত ভিজিট করুন। সেখানেই পেয়ে যাবেনএকদিন।
মতামতের জন্য ধন্যবাদ।