বাড়ি তৈরিতে রড সিমেন্ট আর ইটের যাবতীয় হিসাব নিকাশ


একটি ইটের সঙ্গে অপর একটি ইটের জোড়া দেওয়ার পদ্ধতিকে বন্ড বলে।

 

১০” ওয়াল গাথুনীতে প্রতি ০১’ (স্কয়ার ফিট) গাথুনীতে ১০ টি ইট লাগে। ০৫” ওয়াল গাথুনীতে প্রতি ০১’ (স্কয়ার ফিট) গাথুনীতে ০৫ টি ইট লাগে। গাথুনী এব প্লাস্টারে ০১ বস্তা সিমেন্টে ০৪ বস্তা বালি। তবে ০৫ বস্তাও দেওয়া যায়। নিচের ছলিং এ প্রতি ০১’ (স্কয়ার ফিট) এর জন্য ০৩ টি ইট লাগে। পিকেট ইট দিয়ে খোয়া করতে হয়।

০৯ টি পিকেট ইট দিয়ে ০১ সিএফটি খোয়া হয়। সিএফটি অর্থাৎ ঘনফুট। এসএফটি অর্থাৎ দৈর্ঘ্য এবং প্রস্তের দিক দিয়ে। কলাম এবং লিংটেল এর হিসাব সিএফটি তে করতে হয়।

একটি ইটের সঙ্গে অপর একটি ইটের জোড়া দেওয়ার পদ্ধতিকে বন্ড বলে।

জমি পরিমাপ পদ্ধতিঃ সম্পর্কে  বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

১০” ওয়াল গাথুনীতে প্রতি ০১’ (স্কয়ার ফিট) গাথুনীতে ১০ টি ইট লাগে। ০৫” ওয়াল গাথুনীতে প্রতি ০১’ (স্কয়ার ফিট) গাথুনীতে ০৫ টি ইট লাগে। গাথুনী এব প্লাস্টারে ০১ বস্তা সিমেন্টে ০৪ বস্তা বালি। তবে ০৫ বস্তাও দেওয়া যায়। নিচের ছলিং এ প্রতি ০১’ (স্কয়ার ফিট) এর জন্য ০৩ টি ইট লাগে। পিকেট ইট দিয়ে খোয়া করতে হয়।

০৯ টি পিকেট ইট দিয়ে ০১ সিএফটি খোয়া হয়। সিএফটি অর্থাৎ ঘনফুট। এসএফটি অর্থাৎ দৈর্ঘ্য এবং প্রস্তের দিক দিয়ে। কলাম এবং লিংটেল এর হিসাব সিএফটি তে করতে হয়।


ইঞ্চিকে প্রথমে ফুটে আনতে হবে। (১০” ÷ ১২ = ০.৮৩৩) এবং গাথুনীতে ও প্লাস্টারের হিসাব এসএফটি তে করতে হয়।

 

* ১ ঘনমিটার ইটের গাথুনীর ওজন ১৯২০ কেজি। * ১ ব্যাগ সিমেন্টে পানি লাগে ২১ লিটার।
* ১০০ এস, এফ, টি প্লাস্টারে ১:৪ অনুপাতে সিমেন্ট লাগে ২ ব্যাগ।
* গাথুনীর প্লাস্টারে ১:৫ অনুপাতে সিমেন্ট দিতে হয়। * সিলিং প্লাস্টারে ১:৫ অনুপাতে সিমেন্ট দিতে হয়।
* প্রতি এস, এফ, টি নিট ফিনিশিং করতে = ০.০২৩৫ কেজি সিমেন্ট লাগে।

বিস্তারিত  জানতে

বাড়ি তৈরিতে রড সিমেন্ট আর ইটের যাবতীয় হিসাব নিকাশ


দেখা
5,248
উত্তর
2
3 বছর 10 মাস আগে

একটি ইটের সঙ্গে অপর একটি ইটের জোড়া দেওয়ার পদ্ধতিকে বন্ড বলে।
১০” ওয়াল গাথুনীতে প্রতি ০১’ (স্কয়ার ফিট) গাথুনীতে ১০ টি ইট লাগে। ০৫” ওয়াল গাথুনীতে প্রতি ০১’ (স্কয়ার ফিট) গাথুনীতে ০৫ টি ইট লাগে। গাথুনী এব প্লাস্টারে ০১ বস্তা সিমেন্টে ০৪ বস্তা বালি। তবে ০৫ বস্তাও দেওয়া যায়। নিচের ছলিং এ প্রতি ০১’ (স্কয়ার ফিট) এর জন্য ০৩ টি ইট লাগে।পিকেট ইট দিয়ে খোয়া করতে হয়।

০৯ টি পিকেট ইট দিয়ে ০১ সিএফটি খোয়া হয়। সিএফটি অর্থাৎ ঘনফুট। এসএফটি অর্থাৎ দৈর্ঘ্য এবং প্রস্তের দিক দিয়ে। কলাম এবং লিংটেল এর হিসাব সিএফটি তে করতে হয়।ইঞ্চিকে প্রথমে ফুটে আনতে হবে। ( ১০” ÷ ১২ = ০.৮৩৩) এবং গাথুনীতে ও প্লাস্টারের হিসাব এসএফটি তে করতে হয়। * ১ ঘনমিটার ইটের গাথুনীর ওজন ১৯২০ কেজি। * ১ ব্যাগ সিমেন্টে পানি লাগে ২১ লিটার।
* ১০০ এস,এফ,টি প্লাষ্টারে ১:৪ অনুপাতে সিমেন্ট লাগে ২ ব্যাগ।
* গাথুনীর প্লাষ্টারে ১:৫ অনুপাতে সিমেন্ট দিতে হয়। * সিলিং প্লাষ্টারে ১:৫ অনুপাতে সিমেন্ট দিতে হয়।
* প্রতি এস,এফ,টি নিট ফিনিশিং করতে = ০.০২৩৫ কেজি সিমেন্ট লাগে।
কি কারনে ইটকে পানিতে ভেজানো হয়?
ইটের গায়ে সহজে সমানভাবে মসলা লাগানো যায়। শুকনো ইট মসলা থেকে পানি শোষণ করে।ফলে সিমেন্টের রাসায়নিক ক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে না, যে কারনে ইটের গাঁথুনি দুর্বল ব্যর্থ হতে পারে। চুল্লির ময়লা আবর্জনা বা লবণ জাতীয় পদার্থ ইটের গায়ে লেগে থাকলে তা পরিষ্কার হয়ে যায়।ফলে উত্তম জোড়া ও বন্ড তৈরি হয়।
মাঠ পর্যায়ে কিভাবে ইটের পরীক্ষা ?
একটি ইট নিয়ে তার গায়ে নখের আঁচড় কাটার চেষ্টা করলে তাতে আঁচড় পড়বে না। যদি আঁচড় পরে তাহলে বুঝতে হবে ইটটি ভালো না। একটি ইটকে অন্য একটি ইট দিয়ে আঘাত করলে যদি ঘাতব শব্দ উৎপন্ন হয়, তাহলে বুঝতে হবে ইটটি ভালো।

দুইটি ইটকে টি (T) এর মতো করে ধরে ২ মিটার উঁচু থেকে ফেলে দিলে যদি ভেঙ্গে যায়, তাহলে ইটটি ভালো না আর যদি ভেঙ্গে না যায়, তাহলে ইটটি ভালো। একটি পাত্রে যদি ইটকে ভিজানো হয় এবং তা বুদবুদ সহকারে বেশ পরিমাণ জল শোষণ করে নেয় এবং জল ঘোলাটে হয়, তবে এটি ভালো ইট নয়।একটি ইটটে ভেঙ্গে টুকরা করা হলে যদি টুকরা গুলোর রঙ দেখতে একই রকম হয়, তবে এটি ভালো ইট। ইটের ধার ও কোণ গুলো সুক্ষ ও তীক্ষণো হলে বুঝতে হবে এটি ভালো ইট। ইটের পৃষ্ট মসৃন ও সমতল হলে এটি ভালো ইট। ইটের মাপ আদর্শ থাকবে, যেমনঃ (৯.৫” x ৪.৫” x
২.৭৫”) ইটের ওজন ৩.৭৫ কেজির বেশী হবে না।ভালো ইটের গুণাবলি বা বৈশিষ্ট্য গুলো কি?
ভালো ইট আকারে সুষম, তলগুলো সমান,পাশগুলো সমান্তরাল হবে। ভালো ইট সাধারণত গাঢ় লাল বা তাম্র বর্ণের হবে। ভালো ইট নখ বা ছুড়ি দিয়ে আছড় কাটা যায় না।হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলে ঝন ঝন শব্দ হয়। ভালো ইটের পানি বিশোষণ এর শুষ্ক অবস্থায় ওজনের ১/৫ থেকে ১/৭ অংশ (১৫%থেকে ২০%) এর অধিক হবে না। ভালো ইটে দ্রাব্য লবণের পরিমান ২.৫% এর অধিক হবে না। ভালো ইট অগ্নিরোধী হবে। ভালো ইট পানিতে ভেজালে আয়তনে পরিবর্তন হয় না।ইটের ফ্রগ বা সীলমোহর কেন দেওয়া হয়?
ইটের চ্যাপ্টা পৃষ্ঠের গর্তকে ফ্রগ বলা হয়। দেওয়ার কারণ হল-জোড়ার মসলার সাথে ফ্রগের মসলা মিলে চাবি তৈরি করে যা ইটের সরণ প্রতিরোধ করে। নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের নামের সাক্ষ্যবহন করে। ধরার সুবিধা দান করা ও সৌন্দর্যবৃদ্ধির জন্য।ইটের কাজের ত্রুটিগুলো কি কি?
সালফেট দ্বারা আক্রান্ত হওয়া, ইটে লোনা ধরা, ফ্রিক্সারে মরিচা ধরা, সংকোচনের ফলে।

কুইন ক্লোজার কাকে বলে?
অর্ধেক প্রস্থ বিশিষ্ট পুর্ন দৈর্ঘ্যের ইটকে কুইন ক্লোজার বলে।ভালো মানের ইট এ কি কি রাসায়নিক উপাদান থাকে?
১.সিলিকা(৫৫%)
২.এলুমিনা(৩০%)
৩.আয়রন অক্সাইড(৮%)
৪.ম্যাগনেশিয়া (৫%)
৫.লাইম(১%)
৬.জৈব পদার্থ(১%)।

ইটের মাপ
ইট হচ্ছে কাঁদার তৈরি আয়তকার কঠিন ঘনবস্তু । এগুলো কাঁচা অবস্থায় নমণীয় এবং উচ্চ তাপে পোড়ানোর পর কৃত্রিম পাথরের ন্যায় হয়।

আমাদের দেশে ইটের প্রচলিত আকার সাধারনত ৯.৫” x ৪.৫” x ২.৭৫” ইট বা ২৪২মিমি×১১৪মিমি×৭০মিমি ব্যাবহার হয়ে থাকে, এই মান PWD এর সিডিউল অনুযায়ী। মসলা সহ ১০” x ৫” x ৩” বা ২৫৪ মিমি×১২৭মিমি×৭৬মিমি
* মসলা ছাড়া ১ টি ইটের মাপ = (৯ ১/২”*৪ ১/২”*২ ৩/৪”)
* মসলাসহ ১ টি ইটের মাপ = (১০”*৫”৩”)10 mm =1 cm
100 cm = 1 m (মিটার)Convert
1″ = 25.4 mm
1″ = 2.54 cm
39.37″ = 1 m
12″ = 1′ Fit
3′ = 1 Yard (গজ)
1 Yard = 36″
72 Fit = 1 bandil.
একটি রুমের সাইজ ১২’×১৬’ এবং উচ্চতা ১০’। রুমটিতে দুটি ৪’×৫’ আকারের জানালা ও একটি ৭’×৪’ আকারের দরজা আছে। রুমটির সুপার স্টাকচারে ১০” ইটের গাথুনির পরিমান ও ইটের সংখ্যা বের করার উপায়ঃ
রুমটির পরিসীমা
=২(১২+১৬)
=৫৬ ফুট

দরজার ক্ষেত্রফল
=৭×৪sft
=২৮ sft

রুমটির ক্ষেত্রফল
=৫৬×৯’-৪” sft (লিন্টেল গভীরতা বাদ দিয়ে)
=৫২২.৪৮sft

জানালার ক্ষেত্রফল
=৪×৫ sft
=২০×২ sft
=৪০ sft

দরজা ও জানালার মোট ক্ষেত্রফল =৬৮ sft রুমটির মোট ক্ষেত্রফল =৫২২.৪৮-৬৮ Sft =৪৫৪.৪৮sft রুমটির আয়তন =৪৫৪.৪৮×০.৮৩ =৩৭৭.২২Cft মোট ইটের পরিমান =৩৭৭.২২×১১.৫০ =৪৩৪০টি

রডের পরিমান নির্ণয় করার পদ্ধতি
10 mm = 0.616 kg/m = 3 suta
12 mm = 0.888 kg/m = 4 suta
16 mm = 1.579 kg/m = 5 suta
20 mm = 2.466 kg/m = 6 suta
22 mm = 2.983 kg/m = 7 suta
25 mm = 3.854 kg/m = 8 suta

রডের ওজন
৮ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.১২০ কেজি।
১০ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.১৮৮ কেজি।
১২ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.২৭০৬ কেজি।
১৬ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.৪৮১২ কেজি।
২০ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.৭৫১৮ কেজি।
২২ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন = ০.৯০৯৭ কেজি।
২৫ মিলি মিটার এক ফুট রডের ওজন =১.১৭৪৭ কেজি।

উপরে যে কনভার্ট সিস্টেম দেয়া হয়েছে, এর প্রতিটি যদি আপনার জানা থাকে তাহলে বাস্তবে কাজ করা আপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে। যেমন, ইঞ্জিনিয়ারিং সিস্টেমে রডের আন্তর্জাতিক হিসাব করা হয় kg/m এ। আবার বাংলাদেশে সাধারন লেবারদের সাথে কাজ করার সময় এই হিসাব জানা একান্তই জরুরী এছাড়া ও নিম্নোক্ত বিষয় টিও জেনে রাখুন . . . .
বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

Level 2

Many thanks for this informative post