২০১৮ সালের বেস্ট Two-in-one ল্যাপটপগুলো

টিউন বিভাগ ল্যাপটপ
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

ল্যাপটপ কিনবেন নাকি ট্যাবলেট কিনবেন সেটা সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না? তাহলে কেন দুটোই কিনে নিচ্ছেন না? হ্যাঁ বর্তমানে আমরা সকলেই ল্যাপটপ কিনে থাকি একটি বিশেষ কারণে, আর তা হলো পোর্টেবিলিটি বা সহজে বহনযোগ্যতা। ডেক্সটপকে আপনি দরকারের সময় রুমের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে, নিজের বাসা থেকে আত্নীয়ের বাসায় সহজে বহন করে নিয়ে যেতে পারবেন না। কিন্তু ল্যাপটপে আপনি এই সুবিধাগুলো পাবেন। লম্বা ট্রেন বা বাস জার্নিতে, বিমান ভ্রমণে সময় কাটানোর জন্য আপনি ল্যাপটপের উপর ভরসা রাখতে পারেন। কিন্তু এক্ষেত্রে আপনার ল্যাপটপটিকে হতে হবে পোর্টেবল। আর পোর্টেবল ল্যাপটপগুলোকে আমরা ট্যাবলেট বলে থাকি। এখন কথা হচ্ছে আপনি ল্যাপটপ কিনবেন নাকি ট্যাবলেট? দুটোই কিন্তু তাদের নিজস্ব ফিচারগুলোর জন্য আলাদা। বেছে নেওয়ার ঝামেলা এড়াতে আপনি নিয়ে নিতে পারেন একটি Two-in-one ল্যাপটপ। এই হাইব্রিড ল্যাপটপগুলোকে আপনি ট্যাবলেট কিংবা ল্যাপটপ বা দুটো ভাবেই ব্যবহার করতে পারবেন। আর আমি আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি ২০১৮ সালের বেস্ট কয়েকটি ২-ইন-১ ল্যাপটপগুলোর রিভিউ। তো চলুন আর ভূমিকায় কথা না বাড়িয়ে সরাসরি টিউনে চলে যাই:

বেস্ট অভারঅল: Microsoft Surface Book

টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফটের বেস্ট কম্পিউটার পিসগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে এই Microsoft Surface Book। আর এই ডিভাইসটিই আমাদের আজকের টু-ইন-ওয়ান ল্যাপটপগুলোর মধ্যে অভারঅল বেস্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। ডিভাইসটি বর্তমানে তার ২০১৫ মডেলের থেকে প্রায় ১৩১ শতাংশ বেশি পাওয়ারফুল। এতে রয়েছে ইন্টেল কোর আই ৫ প্রসেসর, ১২৮ গিগাবাইট SSD স্টোরেজ, ৮ গিগাবাইট র‌্যাম এবং ১২ ঘন্টার ব্যাটারী ব্যাকআপ। এই কনফিগারেশন দিয়ে আপনার প্রতিদিনের সকল কাজ আপনি ভালোভাবেই এই ডিভাইসে সম্পন্ন করে ফেলতে পারবেন। ডিভাইসে রয়েছে চমৎকার ১৩.৫ ইঞ্চির PixelSense ডিসপ্লে যেটায় আপনি Surface Pen দিয়ে সরাসরি ডিসপ্লেতে হাতে লিখতে পারবেন। তবে Surface Pen গ্যাজেটটি আপনাকে আলাদাভাবে কিনে নিতে হবে। এছাড়াও এতে রয়েছে Windows Ink যার মাধ্যমে স্ক্রিণে আপনি নোট লিখতে পারবেন। মেটাল বিল্ডের হার্ডওয়্যারের এই ডিভাইসটি একই সাথে যেমন ডিউরেবল ঠিক তেমনই ওজনে হালকা। ডিভাইসটির ওজন হচ্ছে মাত্র ৩.৩৪ পাউন্ডস, আর ডিসপ্লেকে ডিট্যাচ করে নিলে ওজন আরো কমে যাবে।

হ্যাঁ কীবোর্ড থেকে স্ক্রিণকে খুলে নিলেই ডিভাইসটি একটি ট্যাবলেটের মতো করে ব্যবহারের জন্য রেডি হয়ে যাবে। অন্যদিকে ডিট্যাচ না করেও আপনি ডিভাইসটিকে ১৮০ ডিগ্রিতে ফ্লিপ করে নিয়ে এতে প্রেজেন্টেশন মোডে সেট করে নিতে পারেন। এই মোডে মাল্টিমিডিয়া ফাইলগুলো দেখার জন্য পারফেক্ট। আর্ন্তজাতিক বাজারে এর মূল্য রাখা হয়েছে ১৪৯৯ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ১ লাখ ২৭ হাজার টাকা।

বেস্ট অভারঅল (২): Microsoft Surface Pro 4

আমাদের আজকেল লিস্টের ২য় স্থানে রয়েছে মাইক্রোসফটের আরেকটি চমৎকার টু-ইন-ওয়ান ডিভাইস Microsoft Surface Pro 4। এটি একটি চমৎকার হাইব্রিড ডিভাইস যা আপনাকে একই সাথে ল্যাপটপ এবং ট্যাবলেটের স্বাদ উপহার দিতে পারবে। এতে রয়েছে ইন্টেল কোর আই ৫ প্রসেসর, ৮ গিগাবাইট র‌্যাম এবং ২৫৬ গিগাবাইটের হার্ড ডিক্স। এই হর্সপাওয়ার দিয়ে প্রতিদিনের সকল কাজ সুন্দরভাবে সেরে ফেলতে পারবেন এবং দিনের শেষে ব্যাটারী দিয়েও বিনোদনের ব্যবস্থাও আপনি করে ফেলতে পারবেন। ডিভাইসটি আগের Surface Book এর থেকে বেশি পোর্টেবল। কারণ এতে রয়েছে ১২.৩ ইঞ্চির PixelSense ডিসপ্লে। আর ডিভাইসটির সাথে আপনি পাবেন একটি Surface Pen যা দিয়ে সরাসরি ডিভাইসের স্ক্রিণে আপনি লিখতে পারবেন। একই সাথে ডিভাইসটি সাথে পাবেন একটি Type Cover Keyboard এবং একটি দুটি বাটনযুক্ত ট্রাকপ্যাড। আপনি যদি সারফেইস বুকটিতে বেশি বড় মনে হয় তাহলে আপনি আল্ট্রাপোর্টেবল হিসেবে এই ডিভাইসটিকে কিনে ফেলতে পারেন। আন্তর্জাতিক বাজারে এর মূল্য রাখা হয়েছে ১২৯৯ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি ১ লাখ ১০ হাজার টাকা।

বেস্ট বাজেট: Asus T102HA Transformer Mini 10.1-inch

আপনি যদি বাজেটের মধ্যে একটি  টুইন ওয়ান ডিভাইস কিনতে চান তাহলে আপনাকে চলে আসতে হবে আসুস ব্রান্ডে। Asus T102HA Transformer Mini 10.1-inch ডিভাইসটি আল্ট্রাপোর্টেবলের থেকেও পোর্টেবল! মাত্র ১.৭ পাউন্ড ওজনের এই ডিভাইসে আপনি পাবেন ইন্টেল এটম কোয়ার-কোর এক্স৫ প্রসেসর, ৪ গিগাবাইট র‌্যাম এবং ১২৮ গিগাবাইট EMMC স্টোরেজ। এর ফ্রেম সাইজ হচ্ছে মাত্র ০.৬ ইঞ্চি, তাই এটিকে যেকোনো ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে আপনি একে সহজেই যেখানে সেখানে বহন করে নিয়ে যেতে পারবেন। আর আমাদের আজকের লিস্টের সবথেকে বাজেটযুক্ত বা কমদামী টুইনওয়ান ডিভাইস হচ্ছে এটি। আন্তজার্তিক বাজারে এর মূল্য রাখা হয়েছে ৪০০ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ৩৪ হাজার টাকা।

মাইক্রোসফটের টুইনওয়ান ডিভাইসের মতোই এখানে আপনি পাবেন আসুসের একটি পেন, কিবোর্ড এবং একটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার। এর কিবোর্ডটি ম্যাগনেট এর মাধ্যমে ডিভাইসটির ডিসপ্লে সাথে সংযুক্ত থাকে যাকে আপনি ১৭০ ডিগ্রি পর্যন্ত মুভমেন্ট করতে পারবেন। আর কিবোর্ডটিকে ডিসপ্লে থেকে খুলে নিলেই এটি তাৎক্ষনিক ল্যাপটপ থেকে ট্যাবলেট হয়ে যাবে।

বেস্ট পোর্টেবল: Huawei Matebook X

আপনি যদি পোর্টেবল টুইনওয়ান ডিভাইস খুঁজেন তাহলে নিশ্চিন্তে নিয়ে নিতে পারেন একটি Huawei Matebook X। কারণ এটি অসম্ভব আকারের চিকন, এই ডিভাইসটি 12.55 MM Thick! কিন্তু আকারে চিকন হলেই যে পারফরফেন্স ও চিকনচাকন হবে সেটা ভাবলে কিন্তু ভুল হবে। এতে পাবেন ৮তম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই ৭ প্রসেসর, উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম, 2K রেজুলেশনের স্ক্রিণ, গরিলা গ্লাস প্রটেকশন, ৮৮ শতাংশ screen-to-body রেশিও যেটা ডিভাইসটি আরো সুন্দর করে তুলবে আর একই সাথে এতে রয়েছে Dolby-Designed স্পিকার যা আপনার অডিও ভিডিও বিনোদনকে আরো চমৎকার করে তুলবে। এখন শুধু আপনার ব্যাকপ্যাককে আপগ্রেড করতে হবে চমৎকার এই ডিভাইসটি সহজে বহন করার জন্য।  আমাজনে এই ডিভাইসটি প্রাইস রয়েছে ১০১৬ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি ৮৬ হাজার টাকা।

বেস্ট পোর্টেবল (২): Asus ZenBook UX360CA

আসুসের জেনবুক সিরিজের সবগুলো ডিভাইসটি সুপার থিন ডিজাইনের হয়ে থাকে। এই Asus ZenBook UX360CA ডিভাইসটিও তার ব্যতিক্রম নয়। চিকনচাকন ডিজাইনের পাশাপাশি এতে পাওয়ার দিচ্ছে ৭তম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই ৫ প্রসেসর, ফুল এইচডি টাচস্ক্রিণ ডিসপ্লে, ৫১২ গিগাবাইটের সলিড স্টেট ড্রাইভ (SSD) এবং ৮ গিগাবাইটের র‌্যাম। মাত্র ৩ পাউন্ড ওজনের হাফ ইঞ্চি thick সাইজের এই ডিভাইসটিকে আপনি যেকোনো ল্যাপটপ ব্যাগে ঢুকিয়ে যেখানে সেখানে সহজেই বহন করে নিয়ে যেতে পারেন। আর পারফরমেন্স নিয়েও চিন্তার কারণ নেই। আমাজনে এই ডিভাইসটি মূল্য রাখা হয়েছে ৬৭৯ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ৫৮ হাজার টাকা।

বেস্ট ভ্যালু: Samsung Notebook 9 Pro

স্যামসংয়ের নোটবুক ৯ প্রোতে আপনি একই সাথে পাবেন একটি ১৫ ইঞ্চি ম্যাকবুকের পাওয়ার, মাইক্রোসফট সারফেইস প্রো এর পোর্টেবিলিটি এবং টচবেলিটি আর সাথে এক্সট্রা ফিচার হিসেবে পাবেন স্যামসংয়ের S-pen। স্যামসংয়ের নোটবুক ৯ প্রো ডিভাইসটি দুটি সাইজে বাজারে আপনি পাবেন। এর মধ্যে ১৩ ইঞ্চির মডেলটিতে আপনি পাবেন ১৯২০ x ১০৮০ পিক্সেলের রেজুলেশন, ইন্টেল কোর আই ৫ ৩.৫ গিগাহার্জের প্রসেসর, ৮ গিগাবাইট র‌্যাম, ১২৮ গিগাবাইট SSD স্টোরেজ। ১১ ঘন্টার ব্যাটারী লাইফযুক্ত এই ডিভাইসটির ওজন হচ্ছে প্রায় ৩ পাউন্ডের সমান। আর এর আন্তর্জাতিক দাম রাখা হয়েছে ৯৫০ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ৮০ হাজার টাকা।

বেস্ট ডিজাইন: HP Spectre x360

HP Spectre x360 হচ্ছে একটি চমৎকার হাইব্রিড ল্যাপটপ যেখানে রয়েছে আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং পাওয়ারফুল কনফিগারেশন। আপনি যদি কোনো স্টাইলিশ টুইনওয়ান ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে নিশ্চিন্তে নিয়ে নিতে পারে এইচপি ব্রান্ডের Spectre x360 ডিভাইসটিকে। এতে রয়েছে লেটেস্ট ৮তম প্রজন্মের কোর আই ৭ প্রসেসর, ১৬ গিগাবাইট র‌্যাম এবং ৫১২ গিগাবাইটের SSD স্টোরেজ। এই কনফিগারেশনটি দিয়ে আপনি এই টুইনওয়ান ডিভাইসে প্রতিদিনের ব্যক্তিগত এবং অফিসিয়াল সকল কার্যাবলি সহজেই সেরে নিতে পারবেন এবং একই সাথে চলার পথে হেভি গেমিং এবং মাল্টিমিডিয়া টাস্কও সেরে নিতে পারবেন কোনো ঝামেলা ছাড়াই। এর ১৫.৬ ইঞ্চির 4K রেজুলেশনের ডিসপ্লে আপনি পাবেন নিখুঁত চমৎকার পিকচার ভিউ কোয়লিটি। এছাড়াও এর গেমিং ও মাল্টিমিডিয়া কাজগুলোকে সামাল দেওয়ার জন্য এতে রয়েছে এনভিডিয়া জিফোর্স ৯৪০এমএক্স গ্রাফিক্স কার্ড। এর সবকিছুই আপনি পাবেন ১২ ঘন্টার ব্যাটারি ব্যাকআপ সহ। অফিসিয়ালি ডিভাইসটির দাম রাখা হয়েছে ১২১৯ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ১ লাখ ৩ হাজার টাকা।

বেস্ট ফর গেমিং: Lenevo Yoga 920

ট্রাভেলিং, টচস্ক্রিণ, পোর্টেবিলিটির সাথে গেমিং কিন্তু কোনো ভাবেই খাপ খায় না। কিন্তু আপনি যদি গেমিংয়েল জন্য কোনো হাইব্রিড ল্যাপটপ খুঁজে থাকেন তাহলে নিয়ে নিতে পারেন Lenevo Yoga 920 ডিভাইসটি। কিন্তু এখানে আপনি প্রচুর পরিমাণের বাজেট রাখতে হবে। তাই আজকের লিস্টের সব থেকে শেষে আমি এই ডিভাইসটিকে রেখেছি। প্রথমেই বলে রাখি আমেরিকার রিটেইল প্রাইস অনুযায়ী এই গেমিং টুইনওয়ান ডিভাইসের দাম রাখা হয়েছে প্রায় ২৯৯৯ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। এই ডিভাইসে আপনি পাবেন সর্বশেষ প্রযুক্তির ৮তম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই ৭ প্রসেসর, ১৬ গিগাবাইট র‌্যাম, ১ টেরাবাইটের ফাস্ট SSD স্টোরেজ এবং গেমিংয়ের জন্য পাবেন এনভিডিয়া জিটিএক্স ১০৫০ গ্রাফিক্স কার্ড। ডিভাইসে পাবেন ৩৬০ ডিগ্রির Hinge যা দিয়ে স্ক্রিণকে সম্পূর্ণ রূপে উল্টো করেও আপনি ব্যবহার করতে পারবেন (যা গেমিংয়ের জন্য কোনো সুবিধায় বয়ে আনবে না)। রয়েছে লেনোভো ব্রান্ডের Thunderbolt 3 ফিচারের ইউএসবি পোর্ট। ডিভাইসে আপনি পাবেন ১৩.৯ ইঞ্চির FHD ডিসপ্লে এবং সম্পূর্ণ ডিভাইসটি ওজন হচ্ছে মাত্র ৩ পাউন্ডস বা ১.৩৭ কেজি।

বি:দ্র:  কনফিগারেশন অনুযায়ী Lenevo Yoga 920 ডিভইসটির কয়েকটি মডেল রয়েছে, এখান গেমিংয়ের জন্য হাই এন্ড মডেলটি উল্লেখ করা হয়েছে।

বেস্ট ফর গেমিং (২); Dell Inspiron 7000 15-inch

গেমিং খাতে আপনার অতো বাজেট না থাকলে আপনি নিয়ে নিতে পারেন  Dell Inspiron 7000 ডিভাইসটি। কারণ এটি উপরের মডেলটির থেকে অনেক সস্তা। আন্তজার্তিক বাজারে  Dell Inspiron 7000 এর মূল্য রয়েছে ১২০০ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ১ লাখ ২ হাজার টাকা।  গেমিং এবং পোর্টেবিলিটি একই সাথে খাপ খায় না। তাই এই টুইনওয়ান হাইব্রিড ল্যাপটপে আপনি পাবেন ১৫.৬ ইঞ্চির ফুল এইচডি ডিসপ্লে যা দিয়ে আপনার সকল গেমিং চাহিদা পূরণ ডিভাইসটি পূরণ করতে পারবে। একই সাথে এতে রয়েছে ১৬ গিগাবাইট র‌্যাম এবং ইন্টেল এইচডি ৬২০ গ্রাফিক্স কার্ড ও কোর আই ৫ প্রসেসর। এছাড়া এতে আপনি পাবেন ৬ ঘন্টার ব্যাটারি লাইফ। এত কিছুর সাথে এটির ডিসপ্লেকে সম্পূর্ণ উল্টো করে একে আপনি ট্যাবলেট হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন যখন কোনো গেমিং কাজ করবেন না।

পরিশিষ্ট:

এই ছিলো আমাদের আজকের বেস্ট টুইনওয়ান ল্যাপটপগুলোর লিস্ট। আশা করবো আমার এই টিউনটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আরেকটি কথা সেটি হলো টিউনে প্রাইস লিস্ট যা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ পোষণ করেন। এখানে আপনি একটি কথা বলতে চাই যে, এই ডিভাইসগুলোর অফিসিয়াল আন্তর্জাতিক প্রাইস আমি টিউনে দিয়েছি, সেখানে মার্কিন ডলারটি বাংলাদেশি টাকায় কত হয় আমি সেটা উল্লেখ করেছি। তার মানে এই নয় যে বাংলাদেশে আপনি এই প্রাইসে ডিভাইসটি পাবেন। বাংলাদেশে ডিভাইসগুলোর প্রাইসের সাথে ট্রাক্স এবং ডিলারের অনান্য যেসকল খরচ রয়েছে সেগুলো যুক্ত হয়, তাই আমাদের দেশে এই ডিভাইসগুলো দাম একটু বেশি হয়। উদাহরণ স্বরূপ মাইক্রোসফট সারফেইস প্রো ৩ ডিভাইসটির অফিসিয়াল দাম রয়েছে বাংলাদেশি টাকা এক লাখ ২০ হাজার টাকা, এই ডিভাইসটি বাংলাদেশের টেক বাজারে গেলে আপনি দেখতে পাবেন যে প্রাইস দেড় লাখ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। কারণ ডিভাইসের নেট প্রাইসের সাথে ট্যাক্স, টান্সপোর্টেশন ফি, ডিলার ফি সহ অনান্য অনেক খরচ যুক্ত হয়ে তারপরেই বাংলাদেশের শপে ডিভাইসটি আপনার জন্য রেডি করে রাখা হয়। আমি এখানে নেট প্রাইস দিয়ে দিয়েছে বিধায় দোকানে গিয়ে বেশি দাম দেখে আমাকে দোষারোপ করলে কিন্তু চলবে না। টিউনটি ভালো লাগলে উপরের জোস বাটনে ক্লিক করতে ভুলবেন না যেন। আজ এ পর্যন্তই। আগামীতে অন্য কোনো টপিক নিয়ে আমি চলে আসবো আপনাদেরই প্রিয় বাংলা টেকনোলজি সোশাল প্লাটফর্ম টেকটিউনস এ। টিউনটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

Level 10

আমি ফাহাদ হোসেন। Supreme Top Tuner, Techtunes, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 661 টি টিউন ও 428 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 149 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

যার কেউ নাই তার কম্পিউটার আছে!


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস