আশাকরি সবাই ভালোই আছেন। আমিও আপনাদের দুআতে ভালো আছি। আজ আবার একটি নতুন টিউন নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আমি আরজু। আশা করি এটি আপনাদের ভালো লাগবে আর কাজেও দিবে। আজ আমরা জানবো হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কে। হার্ট অ্যাটাক কেনো হয়, কিভাবে বুজবেন আপনার হার্ট অ্যাটাক হইছে? এর লক্ষন সমুহ এবং প্রতিকার ও প্রাথমিক চিকিৎসা। চলুন শুরু করি।
যখন কোনো মানুষের হৃদযন্ত্রের কোনো অংশে রক্ত জমাট বাধে বা রক্ত চলাচলে ক্ষতিগ্রস্থ হয় বা বন্ধ হয়ে যায় ফলে সমস্যার সৃষ্টি হয় তখন তাকে হার্ট অ্যাটাক বলা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে এ রোগের বিস্তার বেশ ভালোই দেখা যায়। হৃদপিন্ড রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন খাবারের সার বস্তু পুষ্টিকর কনা দেহের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে যায়। হৃদপিন্ডের পুষ্টিকর কনা আর অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য আলাদা আলাদা তিনটি রক্তনালী আছে। অনেক সময় চর্বি জমে রক্ত চলাচলে বাধা দেয়। ফলে হার্ট অ্যটাক এর সৃষ্টিধর হয়। বর্তমানে হার্ট অ্যটাকের শিসার শুধু ৪০-৬০ বছরের লোকেরাই হচ্ছে না বরং তরুনরাও বেশ আক্রান্ত হচ্ছে। ওজন বেড়ে গেলে, পরিশ্রম না করলে, চর্বিযুক্ত খাবার খেলে ইত্যাদির কারনে এ রোগ দেখা দেয়। কেউ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হলে এর ঝুকি বাড়ে।
এ রোগের প্রধান লক্ষণ হলো বুকে অসহনীয় ব্যাথার সৃষ্টি হয়। বুকের মাঝের দিকটায় বেশি ব্যাথা হয় আর এন্টাসিড খেলেও কমে না। ব্যাথা যেকোনো দিকে বা সারা শরীরে বিষেশ ভাবে ছড়িয়ে যেতে পারে। এর কারনে বাম হাতে বা গলায় বেশি ব্যাথার উপস্থিত লক্ষ করা যায়। রোগী বুকে ভারী ভাব অনুভাব করবে আর প্রচন্ড ঘামতে থাকবে। আর রোগীর ডাইবিটিক্স থাকলে কিছু বোঝার আগেই সর্বনাশ হতে পারে। তাই তাদের নিয়মিত চেকআপ করাতে হবে বলে আমি মনে করি।
এর প্রতিকার করতে হলে প্রথমত ইসিজি করিয়ে ডাক্তারের পরামর্ষ নেওয়া জরুরি দরকার। এ রোগ থেকে বাঁচতে হলে কিছু নিয়ম মানতে হবে, যাতে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। যেমন: ধুমপান থেকে বিরত থাকা, নিয়মিত হাটা বা ব্যায়াম করা।
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা, কাঁচা ফল ও শাকসবজি বেশি খাওয়া। চর্বি বা ফ্যাটযুক্ত খাবার একেবারে পরিহার করে চলা, ভাজা খাবার, মশলাযুক্ত ও ফাস্টফুড না খাওয়া। এর মাধ্যমে আমরা এ রোগ থেকে বেশ সচেতন হতে পারি।
সারকথাঃ আপনাদের যাদের উচ্চরক্তচাপ বা হাইপ্রেসার আছে তারা সবসময়ই টেনশন মুক্ত থাকার চেষ্টা করবেন। কেননা টেনশন এর কারনে অধিকাংশ হার্ট অ্যাটাক হয়। আবার ধুমপান, মদ্যপান, সহ বিভিন্ন বাজে অভ্যাস পরিত্যাগ করুন আজ থেকেই। কারন এগুলোর জন্যই অনেকে হার্টের অশুখে ভোগে। আবার আপনারা সেসব খাবার খাবেন যেগুলো অধিক ভিটামিন যুক্ত। যাদের ডাইবিটিক্স আছে তারা নিয়মিত ডাক্তার দেখাবেন।
আজকের টিউন এই পর্যন্তই। আশা করি টিউনটি সবার ভালো লেগেছে এবং উপকারে আসবে। পরের টিউন আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন আর আমার টিউনার পেজের সাথেই থাকুন। নিজের প্রতি যত্নশীল হউন। টিউনটি ভালো লাগলে অবশ্বই জোস দিবেন। নিজে কপিরাইট থেকে বিরত থাকুন এবং অন্যকে বিরত থাকতে উপদেশ দিন আল্লাহাফেজ।
আমি সাইবার ২১- we work for the safety of the people। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 মাস 3 সপ্তাহ যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 7 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 9 টিউনারকে ফলো করি।