মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের সেরা 10 টি টিপস

আমরা সবাই কম বেশী মোবাইলে অ্যাপ ব্যবহার করে থাকি। মোবাইল অ্যাপসগুলো মুলত আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি প্রয়োজনীয় অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কিন্তু আপনি কি জানেন, মোবাইল অ্যাপস আপনার ব্যবসার জন্যও একটি উপকারী অংশ হতে পারে?

এটি কাস্টমারের বিশ্বাস অর্জন করতে সহায়তা করে। আপনি যদি এই ক্রিয়েটিভ ওয়ার্ল্ড এর রেস এ টিকে থাকে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপনার ব্যবসার জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপ করতে হবে। অন্যথায় আপনাকে পিছিয়ে পড়তে হবে আপনার কম্পিটিটর থেকে।

মোবাইলে অ্যাপ আপনার ব্যবসার জন্য ব্রান্ডিং এর কাজ করে। এটি ভোক্তাদের সাথে যোগাযোগে রক্ষা করার একটি অন্যতম উপায়।

মোবাইলে অ্যাপের সুবিধাগুলোর পাশাপাশি, প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে কিভাবে আপনি একটি দুর্দান্ত এবং ইউজার ফেন্ড্রলী মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করতে পারবেন।

এই ব্লগে, আপনি জানতে পারবেন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশান ডেভেলপমেন্ট করার জন্য ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস, যা আপনার ব্যবসাকে নিয়ে যাবে সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে।

মার্কেট রিসার্চঃ

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশান ডেভেলপমেন্ট করার পূর্বে বর্তমান মার্কেটের ট্রেন্ড সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকতে হবে। কারন আপনি যদি সব ইনফরমেশন ভালোমতো রিসার্চ না করেই অ্যাপস ডেভেলপ করা শুরু করে দেন, সেটি ভালো হবার পরিবর্তে উল্টা আপনাকে ব্যাকফায়ার করতে পারে।

এছাড়াও, বর্তমান মার্কেট চাহিদাগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিবেচনা করলে আপনি একটি ভালো ধারনা পাবেন আপনার কাস্টমারের পছন্দ আর অপছন্দের ব্যাপারে।

পাশাপাশি কম্পিটিটর রিসার্চ করাও গুরুত্বপূর্ণ, এতে করে আপনি তাদের স্ট্রাটেজি, দুর্বলতা এবং তাদের কম্পিটেকটিউনসভ অ্যাডভান্টেজ সম্পর্কে একটি ভালো ধারণা পাবেন।

মার্কেট রিসার্চের মাধ্যমে আপনি অ্যাপ বিকাশ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত বিভিন্ন ধারনাগুলির সাথে পরিচিত হতে পারবেন।

সুতরাং, বুঝতেই পারছেন, মার্কেট রিসার্চ করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

পছন্দ করুন সঠিক প্লাটফর্ম এবং ফিচারঃ

মার্কেট রিসার্চ এর পরবর্তী কাজ হলো, চমৎকার ইউজার- এক্সপ্রেরিয়েন্সের জন্য সঠিক প্লাটফর্ম এবং ফিচার নির্ধারণ করা।

মুলত তিন ধরনের প্লাটফর্ম আছে, যার থেকে যেকোন একটি আপনি বাছাই করতে পারেন আপনার ডেভেলপমেন্ট প্রক্রিয়ার জন্য।

>>Native App:

Native App হচ্ছে এমন একটি প্লাটফর্ম যা একক মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, কিন্তু সব মোবাইল ডিভাইসে এটি কাজ করে না।

ধারণাটি আরও পরিষ্কার হবে, যদি আপনি অ্যান্ড্রয়েড এবং iOS এর কথা চিন্তা করেন। যে সকল অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য বানানো সেগুলো আইফোনের উপর পরিচালিত করা যাবে না। তাই বলা যেতে পারে, এটি Native App এর একটি বড় অসুবিধা।

কিন্তু এর কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে যার জন্য এটি অত্যন্ত জনপ্রিয়।

প্রথমত এর দ্রুত কর্মক্ষমতা এবং দ্বিতীয়তই এর উচ্চ মানের নির্ভরযোগ্যতা, যা Native App কে সবার থেকে আলাদা করে তুলেছে।

>>Hybrid App:

হাইব্রিড অ্যাপ হচ্ছে native এবং web application এর সংমিশ্রণে তৈরি একটি যুগান্তকারী অ্যাপ্লিকেশন।

এ ধরনের অ্যাপ্লিকেশনগুলো HTML, CSS, এবং Javascript ব্যবহার করে তৈরি করা হয়।

ইন্টারাক্টিভিটি, অফলাইন কম্পাটিবিলিটি এবং নিয়মিত ব্যবহারের জন্য হাইব্রিড অ্যাপ্লিকেশন হচ্ছে বেস্ট।

>>Mobile Web app:

এটি একটি প্রগতিশীল ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন যার লুক আর ফিল দেখে অবিকল নেটিভ অ্যাপ্লিকেশনের মতো মনে হয়। এটি যেকোন ব্রাউজারে কাজ করে। এটি মোবাইল ডিভাইসগুলোর জন্য পুরোপুরি ফর্ম্যাট করা হয়ে থাকলেও, তাদের মধ্যে কয়েকটি ডেস্কটপ, স্মার্টফোন এবং অন্যান্য ডিভাইসের জন্য নির্মিত।

এখন আপনি এই তিনটি প্লাটফর্ম থেকে আপনার পছন্দসই যেকোন প্লাটফর্ম সিলেক্ট করতে পারবেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, আপনার নির্বাচিত প্লাটফর্মটি যেন আপনার অ্যাপ এর ফিচারকে সম্পূর্ণ সাপোর্ট করে।

রেস্পন্সিভ ডিজাইনঃ

ডিজাইনের ক্ষেত্রে মুল বিষয় হচ্ছে এর রেস্পন্সিভনেস। আপনার অ্যাপ যদি শুধু Android এবং iOS সফটওয়্যারের কথা চিন্তা করে তৈরি করা হয়, তবে সেটি অন্য ডিভাইস ব্যবহারকারীদের জন্য একটি হতাশাজনক খবর হবে। আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে, আপনার অ্যাপ টি যেন সব ডিভাইসে কাজ করে, সেটি মোবাইল হোক কিংবা ডেক্সটপ অথবা ট্যাবলেট। যাতে করে সব ধরনের ইউজাররা আপনার অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারে।

অফলাইন ফ্রেন্ডলিনেসঃ

অফলাইন ফ্রেন্ডলিনেস বলতে সহজ অর্থে অফলাইনের সাথে বন্ধুত্বকেই বুঝায়। বর্তমান যুগ হচ্ছে ওয়াইফাই এর যুগ। ওয়াইফাই এখন সর্বত্র পাওয়া যায়। অফিস, আদালত, রেস্টুরেন্ট, ব্যাংক, শপিং মল, সিনেমা হল, বাসা - সবজায়গায় ইন্টারনেট সংযোগ এখন অত্যন্ত সহজলভ্য হয়ে দাড়িয়েছে।

কিন্তু কখনও কখনও খারাপ ইন্টারনেট সংযোগ আপনাকে ভার্চুয়াল বিশ্ব থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে ফেলতে পারে।

আপনার অ্যাপ ব্যবহারকারিরা যাতে এই সমস্যার সম্মুখীন না হয়, তাই ডিজাইনের সময়ই আপনাকে নিতে হবে কিছু প্রিকশন। আপনার অ্যাপে অফলাইন ফিচারটি ইন্টিগ্রেট করলেই মিলবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি। যার দরুন, আপনার ইউজাররা যেকোন সময় আপনার অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবে, এতে করে বাড়বে কাস্টমার এনগেজমেন্ট।

সিম্পল ডিজাইনঃ

আমরা সবাই কম বেশি জানি যে, “Simplicity is the ultimate sophistication”। জাঁকজমকপূর্ণ ডিজাইনের চলন এখন আর নেই বললেই চলে। যে ডিজাইন যত বেশি সিম্পল, তার ইউজার ফেন্ড্রলিনেস তত বেশি। কাস্টমারদের আকৃষ্ট করার মূল মন্ত্র হলো সিম্পল কিন্তু মাল্টি ফাংশনাল অ্যাপ। UI UX ডিজাইন সিম্পল রাখার মানে হচ্ছে, নতুন ইউজাররা যেন খুব সহজেই অ্যাপ্লিকেশনটিকে ব্যবহার এবং নেভিগেট করতে পারে।

ASO এবং SEO ফ্রেন্ডলিঃ

একবার ভেবে দেখুনতো, গুগল এবং অ্যাপ স্টোরের অনুসন্ধান পেজের প্রথম পাতায় যদি আপনার অ্যাপকে রেকমেন্ড করা হয় তাহলে নিশ্চয় আপনার অনেক ভালো লাগবে। আসলে এটা আমরা সবাই চায়। আর এরজন্য আপনার অ্যাপ কে তৈরি করতে হবে ASO এবং SEO ফ্রেন্ডলি করে।

SEO হেল্প করে গুগল পেজে আপনার অ্যাপের দৃশ্যমানতা বৃদ্ধি করতে আর ASO হেল্প করে অ্যাপস্টোরে আপনার মোবাইল অ্যাপের দৃশ্যমানতা বৃদ্ধি করতে।

যদি আপনি আপনার অ্যাপের ইনস্টলের সংখ্যা বাড়াতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে SEO এবং ASO এর স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করে অ্যাপ ডেভেলপ করতে হবে। অন্যথায়, আপনার গ্রাহকদের কাছে আপনার অ্যাপের বার্তা পৌঁছাবে না।

Thank for reading my article. Please click here to know more about web application, website design & development

Level 1

আমি অ্যাপলেক্ট্রাম বাংলাদেশ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।

Aplectrum বাংলাদেশের সেরা ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস প্রদান কারী একটি প্রতিষ্ঠান। আমরা ওয়েবসাইট ডিজাইন আর ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসের সাথে জড়িত প্রায় ৫ বছর ধরে। আমরা বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইট ডিজাইন আর ডেভেলপমেন্ট সেবা প্রদান করে থাকি এবং আমাদের তৈরি করা ওয়েবসাইট ক্লায়েন্টদের ব্যবসার অভাবনীয় প্রসার আর বিস্তার ঘটাতে সহায়তা...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস