ইন্টারনেটের গতি কমে যাওয়ার দুটি কারণ! বিস্তারিত –

বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট ছাড়া একটি দিন কল্পনাও করা যায় না। অফিস, বাসা-বাড়ি, ব্যবসাসহ আমাদের দৈনন্দিন কাজে ইন্টারনেট ব্যবহার হচ্ছে। মুভি দেখা, গান শোনা, মেইল করার মধ্যেই ইন্টারনেটের ব্যবহার সীমাবদ্ধ নয়। শিক্ষামূলক সেবা, স্বাস্থ্য সেবা, জাতীয় সেবা গ্রহণের জন্যও ইন্টারনেটের প্রয়োজন রয়েছে। এখন বিষয় হলো, আমাদের অতীব প্রয়োজনীয় উপকরণ তুল্য ইন্টারনেট ব্যবহারে এর গতি চাই কাঙ্ক্ষিত মাত্রায়। অনেক সময় দেখা যায়, প্রত্যাশিত গতির ইন্টারনেট আমরা পাই না। যদিও এর সঙ্গে অনেকগুলো বিষয় জড়িয়ে রয়েছে। পাঠকদের সুবিধার্থে ইন্টারনেটের গতি কমে যাওয়ার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এ লেখায়। চলুন বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক—

ব্যান্ডউইথ থ্রোটলিং
‘ব্যান্ডউইথ থ্রোটলিং’ শব্দটির সঙ্গে অনেকেই পরিচিত নন। ব্যান্ডউইথ থ্রোটলিং বলতে বুঝায়, আপনি ইন্টারনেটে কোনো কিছুর অ্যাক্সেস কত দ্রুত গ্রহণ করতে পারবেন তার গতিসীমা। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বা মোবাইল ইন্টারনেটে আপনি যে পরিমাণ গতি পাওয়ার জন্য মূল্য পরিশোধ করছেন সে পরিমাণ গতি আপনাকে না দিয়ে যদি তা কমিয়ে দেওয়া হয় তখন তাকে আপনি ব্যান্ডউইথ থ্রোটলিং বলতে পারেন। এর আর এক নাম হলো ডাটা থ্রোটলিং বা ইন্টারনেট বটলনেক।
যেমন ধরুন, আপনি যদি কোনো ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের ৫ এমবিপিএস স্পিডের ইন্টারনেট সেবা গ্রহণের জন্য টাকা দিয়ে থাকেন আর ওই প্রতিষ্ঠান যদি আপনাকে দিনের কোনো এক সময়ে নির্ধারিত গতি আপনাকে না দিয়ে থাকে তাহলে ওই সার্ভিস প্রোভাইডার আপনার ডাটা থ্রোটলিং করছে। আবার অনেক আইএসপি টরেন্টিং করার সময় থ্রোটলিং করে থাকে। সাধারণ ইন্টারনেট গতি হয়ত ভালো পাবেন, কিন্তু টরেন্ট ব্যবহার করার সময় গতি প্রত্যাশিত থাকবে না। ব্যান্ডউইথ থ্রোটলিং সাধারণত আপনার আইএসপি-ই করে থাকে, কিন্তু আরও অনেকভাবে ডাটা থ্রোটলিং হতে পারে। আপনার ডিভাইসের যদি ততটা গতি সমর্থন করার ক্ষমতা না থাকে, তাহলে আপনার ফোন বা কম্পিউটারই এ ক্ষেত্রে ইন্টারনেট বটলনেক হিসেবে কাজ করবে। আবার বিভিন্ন ওয়েবসাইটও অনেক সময় ডাটা থ্রোটলিং করে রাখে।

থ্রোটলিং - এর কারণ
ডাটা থ্রোটলিং ব্যবহারকারীদের জন্য একটি বিরক্তিকর ব্যাপার। ব্যান্ডউইথ থ্রোটলের মাধ্যমে তারা অনেক অর্থও উপার্জন করে। বিশেষ করে ডাটা থ্রোটল পদ্ধতিটি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডাররাই বেশি ব্যবহার করে থাকে। যেমন ধরুন, আপনার আইএসপির দিনের এমন কিছু সময় যখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অনেক বেড়ে যায়, তখন সবাইকে ভালো স্পিড সরবরাহ করা সম্ভব হয় না, তাই ইউজারদের ব্যান্ডউইথ স্পিড কমিয়ে দেয়, এতে তাদের বেশি ইউজার হ্যান্ডেল করার জন্য যে যন্ত্রপাতি প্রয়োজনীয় হতো, সেটার খরচ থেকে তারা বেঁচে যায়।
অনেক ইন্টারনেট সার্ভিস প্রতিষ্ঠান বিশেষ কোনো সাইটে ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে রাখে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউটিউব, ফেসবুক, অনলাইন টিভি। এই সাইটগুলোতে ডাউনলোড হয় অনেক। আর একটি বিষয় বলে রাখা ভালো আরা তা হলো- শুধু ইন্টারনেট সার্ভিস ডাটা থ্রোটলিং করে না। শেয়ার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করলেও এই ঝামেলায় পড়তে পারেন আপনি।
আপনি কীভাবে বুঝবেন যে, আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ইন্টারনেট গতি পাচ্ছেন না। সহজ একটি উপায়ে আপনি এটি বুঝতে পারবেন আর তা হলো- নির্দিষ্ট পরিমাণে ডাটা ডাউনলোড হওয়ার পর যদি ডাউনলোড গতি কমে যায়, সেক্ষেত্রে বুঝে নিবেন আপনার আইএসপি আপনাকে গতি নির্ধারণ করে দিয়েছে। মাসের শুরুর দিকে আপনার ইন্টারনেট গতি চেক করে দেখুন, তারপরে মাসের শেষের দিকের গতি চেক করুন, যদি দুইটির মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য দেখতে পান, অবশ্যই আপনার আইএসপি আপনাকে গতি নির্ধারণ বা কন্ট্রোল করছে।

তথ্যঃ ইত্তেফাক

মোবাইল বিষয়ক আরও নিউজ পড়তে ঘুরে আসতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে। এখানে ক্লিক করুন

Level 0

আমি আয়ান আহরান শ্রাবন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Valo post korechen tnx