Brain Games – মস্তিস্ক চর্চা (আপনার মস্তিস্ক কতটা উন্নত)

আপনারা কি জানেন আইন্সটাইন মারা যাওয়ার পর তার ব্রেইন টা কবরে যায় নি? তিনি যখন মারা জান তখন প্রিন্সটন হস্পিটালে টমাস হার্ভে তার পরিবারের অনুমতি ছাড়াই আইন্সটাইন এর ব্রেনটি খুলে ফেলেন। বিজ্ঞানিরা আইন্সটাইন এর ব্রেইন টি পরিক্ষা করে এটা দেখেছিলো যে তার ব্রেইন সাধারন মানুষের থেকে ভিন্ন। সাধারন মানুষের থেকে আইনস্টাইন এর ব্রেইন ৩৬% গ্রেমেটার বেশি ছিলো।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের ব্রেইন টাও  তার মতন বৃদ্ধির জন্য কি করা যেতে পারে?

আমরা কি করলে আমাদের মস্তিস্ক তীক্ষ্ণ হয়ে উঠবে?

উত্তর টা দেওয়ার আগে মস্তিস্কের ব্যাপারে কিছু background দিতে চাই।

আমাদের ব্রেইন কে সহজ দুইটি ভাগে ভাগ করলে ২টি অংশ পাওয়া যাবে।তা হলো ডান পাশের মস্তিস্ক আর আরেকটি বা পাশের মস্তিস্ক। এখন আশ্চর্যের ব্যাপার হলো আমাদের ডান পাশের মস্তিস্কটিই বা পাশে এবং বা পাশের মস্তিস্ক টিই ডান পাশে অবস্থিত। অদ্ভুত ব্যাপারে যদি আসেন তাহলে আরো অনেক কিছু রয়েছে যেমন আমাদের চোখ উত্তল লেন্স এর। আর উত্তল লেন্স এ বাস্তব প্রতিবিম্ব গঠিত হয়। অর্থাৎ প্রতিটি বস্তুর উলটা প্রতিবিম্ব গঠিত হবে আমাদের চোখে। অর্থাৎ আমরা আকাশ টাকেই মাটিতে দেখতে পারতাম আর মাটিই আকাশে সব কিছুই উলটা কিন্তু আমাদের মস্তিস্কের কিছু অদ্ভুদ ক্রিয়ার ফলে আমরা প্রত্যেকটি বস্তুই সোজা দেখতে পায়।

 

আমাদের মস্তিস্কের যেই ডান আর বাম এ দুইটি ভাগ রয়েছে এদের কার্যকলাপ হলো   বা দিকের মস্তিস্কের আর ডান দিকের মস্তিকের আলাদা আলাদা স্বভাব আর বৈশিষ্ট রয়েছে।  ডান দিকের যেই অংশ টা রয়েছে তা নিয়ন্ত্রন করে আবেগ কল্পনা, ঘুম, বিশ্বাস, স্বপ্ন আধ্যাতিক চিন্তা ভাবনা সৃজনশিলতা ইত্যাদি। যেমন ধরুন আপনি একটি গান শুনে আবেগ পুর্ন হয়ে যাচ্ছেন বা কারো কান্ন দেখে নিজেও দুঃখ বোধ করছেন এধরনের কাজে ডান মস্তিস্ক ব্যাবহৃত হয়। আর  বাদিকের মস্তিস্ক ব্যাবহৃত হয় কোনো হিসাব-নিকাস, ভাষা বুঝতে পারা, তালিকার ছক তৈরি করে নেওয়া ভেবে নেওয়া,যুক্তি, লেখালেখি, বৈজ্ঞানিক দক্ষতা এগুলোর ওপর ব্যবহার হয়ে থাকে। আইনস্টাইন এর এই বৈজ্ঞানিক দক্ষতা যুক্তি এই অংশ টি যে প্রান্তে থাকে অর্থাৎ বা পাশের মস্তিস্ক টি সাধারন মানুষের তুলনায় ৩৬ শতাংশ বেশি ছিলো। কেননা তিনি সব সময় প্রশ্ন করতেন নিজেকে। তাও সেগুলো ছোটখাটো প্রশ্ন। দুই আর দুই যোগ করলে কেনো ৪ হয়। ৫ ও তো হতে পারতো। কেনো ৪ হবে এধরনের প্রশ্নেই তিনি সারাদিন ব্যাস্ত থাকতেন। ফলে পরিক্ষার খাতায় তাকে পেতে হয় লাল কালিতে লেখা Fail শব্দ টি। এজন্য তার guardian কেও ডাকা হয় স্কুলে। এবং সর্বশেষে তাকে বের করে দেওয়া হয় স্কুলে। কিন্তু তারপরেও তার চিন্তা ভাবনার পার্থক্য ঘটে না। একদিন তিনি এরকম চিন্তা করতে করতেই বাসা থেকে বের হয় এবং এতোটায় গভির চিন্তা করতে করতে থাকেন যে অপ্রত্যাশিত ভাবে তিনি তার বাসার address টায় ভুলে যান। বাধ্য হয়ে আশেপাশের মানুষজনকে তিনি প্রশ্ন করতে থাকেন আমার বাসা কোথায়। সেইদিন সবাই তাকে পাগল বলেছিলো। কিন্তু  সেই পাগল টিই বদলে দিলো বিজ্ঞানের গতিপথ। আমাদের পৃথিবির প্রত্যেক টা বস্তুই অনু আর পরমানু দ্বারা গঠিত।  আমরা যে পানির একটি কনা দেখি এটাও হাজার হাজার কোটী পরমানু দ্বারা গঠিত। এই আইন স্টাইন ই বের করলেন যে বিশেষ একটি পরমানুর আইসোটোপ এর সাথে আরেকটি  আইসোটোপ  এর ধাক্কা লাগলেই পুরো পৃথিবি ধ্বংস করে দেওয়া সম্ভব। এর জন্য শক্তির একটি সুত্র দিয়ে গেলেন তা হলো সেই বিখ্যাত E=Mc2। যেই পারমানবিক বোমাটি হিরোশিমাতে ফেলা হয়। আজো শেখানে গাছপালা জন্মায় না।

ভাবতে অবাক লাগে তাইনা ? যে আমাদের শরিরেই এই চামড়াতেই যে কনা আছে তার মতন এরকম ছোটো খাটো কনার ভেতরে এতোশক্তি যে পুরো বিশ্ব ধ্বংস করে দেওয়া সম্ভব। তাই মস্তিস্ক বৃদ্ধির জন্য শুরু করুন প্রতিদিন নিজের মস্তিস্ক চর্চা। এটা হতে পারে brain games খেলা বা হতে পারে অংক সমাধান বিভিন্ন কিছু।

 

মস্তিস্ক চর্চার জন্য বিভিন্ন রহস্য সমাধান আছে। এর মধ্যে ৩০ টি Riddle (ধাধা) সব থেকে বেশি popularity পেয়েছে। তবে তার আগে এই Riddle সম্পর্কে background টি ক্লেয়ার করে আসি। যদি আপনি সাধারন যে কাউকে প্রশ্ন করেন যে

 

একটি দৌড় প্রতিযোগিতা হচ্ছে সেখানে আপনি দৌড়াতে দৌড়াতে দ্বিতিয় তমতে থাকা ব্যক্তিকে টপকে গেলেন তাহলে আপনি এখন কত তমতে?

তাহলে ৯৮% ই উত্তর দিয়ে দেবে প্রথমে আছি

এটাই হলো ভুল। আপনি টপকেছেন দ্বিতিয় জন কে।  তাই আপনি দ্বিতিয় তমতেই আছে। আপনি যদি প্রথমজনকে টপকাতেন তাহলে আপনি প্রথমে থাকতেন।এগুলোই সাধারন ভাবে আপনার মস্তিস্ক চিন্তাই আনতে পারবে না। এজন্য প্রয়োজন চিন্তা ভাবনা করার। আর যত চিন্তা করতে পারবে মানুষ ততই তার মস্তিস্কের গঠন টী মানুষিক ভাবেও উন্নত হতে থাকবে। আজকে আমি U.S.A এর ৩টি Popular Riddle Share করবো মস্তিস্ক চর্চার জন্য। এখানে ধাধা গুলোতে নাম গুলোও বাংলা version এ use করলাম সবার সুবিধার্থে

 

Brain Games - মস্তিস্ক চর্চাঃ আপনার কাছে এমন একটি ফ্রাইংপ্যান আছে যা দিয়ে এক সঙ্গে দুইটি রুটি ছেকা যায়। একটি রুটির এক পিঠ ছেকতে সময় লাগে ১ মিনিট। যদি একটি রুটির দুই পিঠই ছেকা যায় তবে রুটিটি সম্পুর্ন ছেকা হবে। তাহলে ৩ মিনিটে কিভাবে ৩টি রুটিই সম্পুর্ন ছেকা যাবে ?

আপনাদের জন্য ভিডিও আকারে বাংলায় দেওয়া animation করলাম video is here এই ভিডিও টির পরের ভিডিও গুলো সব brain games animation আকারে দেওয়া। এটা introduction video

 

 

ভালো লাগলে আমার চেনেলটিও ঘুরে আসবেন। এবার আসি দ্বিতিয় তম মস্তিস্ক চর্চার গেমস এ

 

Brain Games - মস্তিস্ক চর্চা ১ঃ সুলতান সাহেব একজন কোটিপটি এবং নামিদামি ব্যক্তি। হঠাৎ করে এক রাতে তার লাশ পাওয়া যায় ঘরে। কপালে গুলি লেগে রক্ত চারিদিকে ছিটীয়ে পড়ে
আছে। ঘটনার কিনারা করতে ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি। সন্দেহের তালিকায় তার ৩ ছেলে বাপ্পি, আতিক ও শান্ত। পুলিশ ঠিক করলো এদেরকে একে একে
আলাদা ঘরে প্রশ্ন করবে।

প্রথমে পুলিশ সুলতান সাহেবের বড় ছেলে বাপ্পিকে ডাকলেন সেইদিন কি হয়েছিলো জানার জন্য।
পুলিশঃ সেইদিন কি হয়েছিলো?
বাপ্পিঃ আমি বাবা আর আমার দুই ভাই মিলে গিয়েছিলাম রেস্টুরেন্টে রাতের বেলায়। অনেক রাত হয়েছিলো বাসায় ফিরতে। মাঝখানে শান্ত কি যেনো একটি
কাজে তার বন্ধুর বাড়িতে যাবে বলে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে যায়। তারপর আমরা বাসায় ফিরে আসি। এসে গল্প করছিলাম। এমন সময় শান্ত পেছন থেকে
একটি পিস্তল নিয়ে এসে দ্বারায় বাবাকে গুলি করার জন্য। আমি বাবাকে সতর্ক করতে যাবো তার আগেই সব শেষ হয়ে গেলো

এবার পুলিশ সুলতান সাহেবের মেজো ছেলে আতিক কে ডাকলো। আতিকও ঠিক একই কথা বলল যা সুলতান সাহেবের বড় ছেলে বলে গিয়েছে। এবার পুলিশ
সুলতান সাহেবের ছোটো ছেলে শান্তকে ডাকলো। তাকে জিজ্ঞেস করলো

পুলিশঃ সেইদিন কি হয়েছিলো ?
শান্তঃ আমরা ৩ভাই আর বাবা মিলে সেইদিন রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। আমি মাঝখানে আমার বন্ধুর বাড়িতে চলে যায় একটি কাজে। তারপর বাসায় এসে দেখি
বাবার কপালে গুলি। রক্তে মেঝে ভরে আছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি পুলিশকে ডাকি।

এবার পুলিশ আসল অপরাধিকে ধরে নিয়ে গেলো। বলুন তো খুনি কে?

 

Brain Games - মস্তিস্ক চর্চা ২ঃ  আপনার ছেলের জন্মদিনে তার ৮ জন বন্ধু এসেছে বাসায়। জন্মদিনের গোল কেকটি এই ৮ জনের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করে দিতে হবে। কিন্তু কিভাবে
একটি গোল কেক ৮ টি টূকরাতে ভাগ করা যায় যেখানে কোনো টূকরায় একটির থেকে ছোটো বা বড় হবে না। 

 

Brain Games - মস্তিস্ক চর্চা ৩ঃ

প্রতিবারের মতন এবারো বেশ জাকিয়ে শীত পড়েছে। তুষারপাত হওয়াটা প্রতিদিনের অভ্যাস। এমনই দিনে ঘটে গেলো একটি দুর্ঘটনা। ইমন সাহেব খুন হন তার বাসাতে। ঘটনার তদন্ত করতে পুলিশের উপস্থিতি সেখানে। পুলিশ বাসার প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন

কাজের মেয়েঃ আমি ঘর পরিস্কার করছিলাম
ইমন সাহেবের ছেলেঃ আমি টিভি দেখছিলাম
বাটলারঃ আমি সুইমিংপুল পরিস্কার করছিলাম
ইমন সাহেবের স্ত্রীঃ আমি রান্না করছিলাম

কিছুক্ষন চিন্তা ভাবনার পর এবার পুলিশ ধরে নিয়েগেলো আসল খুনিকে। প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে পুলিশ খুনিকে ধরে ফেললেন?

 

 

Brain Games - মস্তিস্ক চর্চা ৪ঃ  এইটির level খুব easy বাট একটু tricky। অধিকাংশ সময়েই মানুষ ভুল করে থাকে। দেখি আপনারা করেন কিনা।  ৫টি মেশিন ৫ মিনিটে ৫টি T-Shirt তৈরি করে। তাহলে ১০০ টি মেশিন ১০০টি T-Shirt কত মিনিটে তৈরি করবে?

 

 

আজ এ পর্যন্তই। অনেক কস্ট করে বাংলাতে এইসব animation গুলো বানিয়েছি মস্তিস্ক চর্চার জন্য। অবশ্যই সবাই feedback জানাবেন কেমন ভাবে animation টা দিলে আপনাদের আরো সুবিধা হবে মস্তিস্ক চর্চার জন্য। আর কোনো ভুল ট্রুটি থাকলে ক্ষমার চোখে দেখবেন।

ভালো লাগলে একবার আমাদের চেনেল টি ঘুরে আসবেন

https://www.youtube.com/channel/UCL4BHhZqOn9f64OGvpAlMEw

Level 1

আমি মোঃ আতিকুল ইসলাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 24 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

নিজের মাথা / মস্তক নিয়ে তো এখন ভাবনায় পড়ে গেলাম