মাদারীপুর জেলায় বিটিসিএল এর গ্রাহক ভোগান্তি সীমানা ছাড়িয়েছে। দেখার কেউ নেই।

যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণের জন্য শেয়ার করুন এব বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় কপি করে প্রচার করুন।
বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে অন্যতম জেলা মাদারীপুর। পদ্মাসেতুর পর মাদারীপুর হয়ে উঠবে ঢাকা মহানগরীর প্রধান উপশহর। অথচ অন্যতম এই জেলার আইটি সেবার প্রধান বস্তু ADSL ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে গ্রাহকরা। মাসে গড়ে ১০ দিন থাকেনা ইন্টারনেট। দিনে প্রায় ৪-৫ ঘন্টা ইন্টারনেট বন্ধ থাকে। ১৯৯৬ সালে ততকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সাহেব এখানে বৃহত এক্সচেন্জ অফিস তৈরী করলেও কাজ নেই তেমন। প্রাচীর দ্বারা ঘেরা থাকলেও মানুষ ছাড়া গরু-ছাগলের ঘোরাফেরায় বেশী লক্ষনীয় এখানে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা অফিস আওয়ার দুপুর তিনটায় অফিসের ষ্টাফ সহ সবাই লুঙ্গি পরে খোশ গল্পে মেতে আছেন। এক স্টাফকে ফোন দিয়ে সমস্যার কথা জানালে তিনি জানান তিনি বাইরে আছেন। অথচ অফিসের ভিতরে গিয়ে তাকেও লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় পাওয়া যায়। দায়িত্বপ্রাপ্ত SDO কাছে সমস্যা জানাতে গেলে দেখা যায় তিনি ফেসবুকে মেতে আছেন। সমস্যা জানালে বলে ”উফহ ডিষ্টার্ব করবেন না। যান অভিযোগ লিখান গিয়ে”। যদিও এর মধ্যে তার দায়িত্ব তিনি শেষ করেন।
গ্রাহকের সমস্যা কাকে জানাবো এই প্রশ্ন করলে তিনি বলেন “দেখেন সরকারী চাকুরী করি, এত দায় নেই আমার” বলে সাফ জানিয়ে দেন। ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ারকে অভিযোগ জানাতে গেলে তিনি এখন ভারতে আছেন বলে জানান তার স্টাফরা।
প্রতিদিনই অফিসের রেজিস্টারে স্বাক্ষর করে নিজের কাজে বেরিয়ে যান অফিসের সবাই। কেউ যান চা খেতে। কেউ যান তার কিনতে। কেউ আবার কুরবারনির গরু কিনতে যান। চারদিন পর গরু কিনতে যাওয়া লাইনম্যানকে অফিসে দেখে কোথায় ছিলেন প্রশ্ন করলে বলে “ভাই গরুর যে দাম, কেনাই যায় না। অনেক বেছে ৪০০০০ টাকা দিয়ে গরু কিনলাম।”
তো ভাই এখন চলেন আমার সমস্যাটা একটু দেখবেন বলে রিকুয়েস্ট করলে জানান “গরু কিনে ক্লান্ত। সামনের রবিবারে আসেন।”
সার্ভার রুমের মত গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ অংশের নিরাপত্তা চোখে দেখার মত। দুপুর ৩ টা অথচ গেট খোলা কোন লোক নেই অফিসে। উপর তলায় গিয়ে দেখা যায় প্রায় কোটি টাকার সরকারী সমÍত্তি খোলা অবস্থা পড়ে আছে। কেউ গেট লাগিয়ে তার নিরাপত্তা বিধান করতে রাজি নয়।
সবার কথা - হারালে সরকার বুঝবে আপনার কি?
প্রথম তলায় গিয়ে দেখা গেল প্রায় চারটি কম্পিউটার মাটিতে পড়ে আছে। যতেœর অভাবে এগুলো অকেজো হয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ জানাতে গিয়ে পাওয়া যায় নি কোন ব্যক্তিকে।
মুলত সাব-ডিভিশনাল অফিসারের স্বেচ্ছাচারে আজ এই অবস্থা। অফিসের স্টাফদের কাছে তিনি ভাল মানুষ নয় বলেই দেখা গেছে। সবাই তাকে এড়িয়ে চলতেই পছন্দ করে।
জেলা প্রশাসক অবহিত করার প্রশ্নে তিনি বলে - আপনি যদি এই ব্যাপার জেলা প্রশাসককে জানান তাতে কি হবে?

আমার ইন্টারনেট আজ ১২ দিন ধরে বন্ধ। অফিসিয়াল ভাবে অনেক চেষ্টা করলাম একটু সমাধান করতে। কিন্তু গ্রাহকের সমস্যার চাইতে ফেসবুকের প্রায়রিটি আগে সাব-ডিভিশনাল অসিারের কাছে। সরকার প্রদত্ত ট্যাব নিয়ে খুশি আছেন তিনি। এতে গ্রাহকের ইন্টারনেটের কি হল তা তার থোড়ায় কেয়ার। গ্রাহকের সমস্যা দেখার কেউ নেই।

Level 0

আমি Al Shahriat Karim। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 345 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

তুমি এতদিন কোথায় ছিলে উস্তাদ এতদিন কোথায় ছিলে ……। টেকটিউনসে নতুন করে স্বাগতম ।

    টেকটিউন্স আর ভাল্লাগে না। নতুনত্ব হারায় ফেলেছে বেচারা। দেখা যাক এটার কি সলুশন হয়

Level 0

এই না হলে মাদারিপুর এর পোলা….!!!…….ফেইসবুক সহ প্রচলিত সামাজিক সাইট গুলোতে ছড়িয়ে দাও……

    মাদারীপুরের পোলার এইটা যা দেখছেন তা ট্রেইলার। আসল পিকচার কাল থেকে শুরু হতে পারে।

ওর অলস কার্যকলাপ ফেবুতেই ছড়িয়ে দিন। পলক সাহেবের পেজে দিতে পারেন।

কি করা যায় বলেন ত