ল্যপটপ রিভিউঃ স্যামসাং NP305E5A এর পার্ফরম্যান্স রিভিউ

আশা করছি সবাই ভাল আছেন। গতকাল থেকে দেখছি বিভিন্ন আইডি থেকে টেকটিউন্সে আমার পূর্বে প্রকাশিত লেখাগুলো হুবহু কিংবা কিঞ্চিত পরিবর্তন করে টেকটিউন্সেই প্রকাশিত হচ্ছে। মডারেটর গণ টিউনগুলো সরাতেও খানিক সময় নিচ্ছেন। যাই হোক লেখা কপি পেষ্ট হতেই থাকবে চিন্তা করে লাভ নেই। কিন্তু টেকটিউন্সের লেখা টেকটিউন্সেই যেন কপি পেষ্ট আকারে প্রকাশিত না হয় সে ব্যাপারে সচেতন থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি।

এবার মূল টপিকে ফেরা যাক। প্রথমেই থাকছে এই ল্যাপটপ টির ছবি।

ব্র্যান্ডঃ স্যামসাং

মডেল নংঃ এনপি৩০৫ই৫এ

প্রসেসরঃ এএমডি ল্যানো এপিইউ এ৬- ৩৪২০এম (ক্লকস্পিডঃ ১.৫ গি.হা.~ ২.৪ গি.হা.(এক্সিলারেটেড) কোরঃ ৪টি, থ্রেডঃ ৪টি, ক্যাস মেমরিঃ ৪মেগা বাইট এল২)

স্ক্রীন রেজ্যুলেশনঃ ১৩৬৬*৭৬৮ (১৫.৬'') এইচডি এলইডি

র‍্যামঃ ৪গি. বা. যা ৮ গি. বা. পর্যন্ত বাড়ানো যাবে

গ্রাফিক্সঃ এএমডি রেডিয়ন ৬৫২০ এইচডি (বিল্ট ইন গ্রাফিক্স যা উইন্ডোজ ৭ এ ৩০৪৬মেগা বাইট দেখাচ্ছে)

হার্ডডিস্কঃ ৫০০ গি.বা. ৫৪০০ আরপিএম

ওয়েব ক্যামঃ ভিজিএ

ব্লুটুথঃ ৩.০

রমঃ ডুয়াল লেয়ার ডিভিডি রাইটার

ব্যাটারীঃ ৪৪০০mAh , ব্যাকআপ ৫.১ ঘন্টা *ওয়েব সাইটের তথ্য অনুসারে।

এছাড়াও আছেঃ ৩টি ইউএসবি ২.০, ভিজিএ আউটপুট পোর্ট, এইচডিএমআই পোর্ট, ল্যান পোর্ট, কার্ড রিডার, ওয়াইফাই ইত্যাদি।

ঊল্লেখ্য এই মডেল স্যামসাং বাংলাদেশে বাজারজাত করে না। মুল্য ডলারে ৪৩০-৪৭০ ইউএস ডলার। মানে টাকায় ৩৫০০০-৩৮০০০ এর মধ্যে।

এবার আসা যাক এর পার্ফরম্যান্স এর ব্যাপারেঃ

আমার এক বন্ধুকে তার আত্মীয় সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এই ল্যাপটপ টি পাঠিয়েছে। কিন্তু ভূল বসত এর ড্রাইভার ব্যাকআপ না করেই সে অপারেটিং সিস্টেম  পরিবর্তন করে ঝামেলায় পড়ে যায়। যেহেতু এই মডেলটি বাংলাদেশে নেই তাই এর ড্রাইভার সে কয়েক দোকান ঘুরে না পেয়ে আমাকে অনুরোধ করে তার ল্যাপটপটির ড্রাইভার নামিয়ে দেওয়ার জন্য আর সেই কল্যানেই এর পার্ফরম্যান্স চেক করার একটা সুযোগ আসে আমার কাছে। আমি যথারীতি বিভিন্ন সফটওয়্যার গেম আর বেঞ্চ মার্কিং করে যতটুকু বুঝতে পারলাম সেটাই তুলে ধরছি এখানে।

উইন্ডোজ এক্সপেরিয়েন্স ইনডেক্স এ এর স্কোর ৪.৬ (৭.৯ এর মধ্যে)

ভাল দিকঃ

১.  দামে সস্তা

২. সাধারণ কাজের জন্য উপযোগী

৩. সিপিইউ এক্সিলারেশন সাপোর্ট করায় প্রয়োজনে অতিরিক্ত গতি সরবরাহ করতে পারে।

৪. ফুল কি বোর্ড থাকায় দ্রুত টাইপিং করার উপোযোগী।

৫. ওজন ২.৫ কেজি এর মত

৬. প্রসেসর স্পিড ১.৫ গিহা. হলেও যথেষ্ট গতিশীল

খারাপ দিকঃ

১. শেয়ার্ড গ্রাফিক্স হওয়ায় নতুন গেম গুলো ইন্সটল করার পর চালাতে পারেনি।

২. ব্লুটুথ এর ডাটা ট্রান্সফার ৩.০ থেকে ৩.০ তে মাত্র ৫০০-৭০০kbps

৩. ওয়াইফাই হটস্পট হিসেবে ব্যবহার করে দেখা গেছে এর সিগন্যাল তুলনা মূলকভাবে ভাল নয়।

৪.ওয়েব ক্যাম রেজ্যুলেশন কম এবং কম আলোতে প্রায় অন্ধকার দেখায়। বেশি আলোতেও খুবই বাজে মানের ছবি দেখায়।

৫. ১৫.৬" স্ক্রীনটি মুভি দেখার জন্য ভাল হলেও এর ওয়াইড এ্যাংগেল ভিউ ভাল না।

৬. ব্যাটারী ব্যাকআপ অফিসিয়ালি ৫.১ ঘন্টা পর্যন্ত বলা হলেও কষ্টে ৩ ঘন্টা চলে।

৭. খুব একটা ভাল মানের বডি ফিনিশ নয়। (প্লাস্টিক বডি)

৮. টাচ প্যাডের সেনসিটিভিটি সন্তোষজঙ্ক নয়।

পরিশিষ্টঃ মূল্য বিবেচনায় এটিকে রিকমেন্ড করার কোন উপায় নেই। কোয়াড কোর হওয়ার পরেও এর পার্ফরম্যান্স আমার কাছে সন্তোষজনক মনে হয়নি। এর পার্ফরম্যান্স আমার কাছে ইন্টেলের ২য় প্রজন্মের ডুয়েল কোর বি৯২০ এর মত মনে হয়েছে।

আমার পরিচিত আরও একজনের কাছে এই প্রসেসরের ল্যাপটপের(এইচপি) খোজ পেয়েছি। দু এক দিনের মধ্যেই সেটি ব্যবহার করে আরও একটি রিভিউ লিখব এবং তখন এই প্রসেসরের সীমাবদ্ধতা বা ব্যান্ডের উৎপাদন গর সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে আরও ভাল ভাবে বোঝা যাবে। ততক্ষনের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Level 2

আমি রহস্যময় অভিযাত্রী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 74 টি টিউন ও 451 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Thanks….

Please saying about a gaming desktop computer

আপনি যেভাবে তুলে ধরলেন মনে হয় SAMSUNG এর মত বাজে ল্যাপটপ আর হয় না। তবে SAMSUNG এর High configaretion laptop গুলো অনেক ভালো মানের হয়ে থাকেো। পারপরমেন্স ও অনেক ভালো হয়।

আমি SAMSUNG NP-RC418 (core i5, 2.30 Gigaharz, 640GB HDD, 4GB Ram) ব্যবহার করি। প্রায় এক বছর যাবত ব্যবহার করতেছি। এই পর্যন্ত কোন সমস্যা হয় নি। এর আগে ASUS, DELL (corei3) ব্যবহার করেছি। কিন্তু ঐ গুলর তুলনায় অনেক ভালো পারপরমেন্স পাচ্ছি। ব্যটারী এখন ৩-৪ ঘন্টা ব্যাকআপ দেয়।

আমার এক বন্ধু ও same configaretion এর ল্যাপটপ ব্যবহার করে। তার ও আজ পর্যন্ত কোন সুমস্যায় পরতে শুনিনি।।

    @Mahabub Rajj: দেখুন আমি নির্দিষ্ট একটা মডেল সম্পর্কে বলেছি, সকল ল্যাপটপের জন্য বলিনি। মূলত এএমডি কোয়াড কোর প্রসেসর এবং বিল্টইন এটিআই রেডিয়ন গ্রাফিক্সের ব্যাপারটা তুলে ধরেছি। ইন্টেল ৩০০০এইচডি গ্রাফিক্স এর তুলনায় ভাল পারফর্ম করেছে। ধন্যবাদ।

Nice… bro…

“ওয়াইফাই হটস্পট হিসেবে ব্যবহার করে দেখা গেছে এর সিগন্যাল তুলনা মূলকভাবে ভাল নয়।” use korer process ta janale valo hoto…..

সুবিধার থেকে তো ভাই অসুবিধাই বেশি 🙁