বিজ্ঞানের খাতা [পর্ব-১৫] :: গরমের দিনে শোনাবো পপসিকল আইস পপ আবিষ্কারের গল্প।

বিজ্ঞানের খাতা

পপসিকল শব্দটার সাথে আমাদের পরিচয় নাই, কিন্তু জিনিসটা আমাদের অপরিচিত নয়। বিজ্ঞানের খাতায় লিখতে বসেছি এর আবিষ্কারকের বিশেষত্বের জন্য। পপসিকল আবিষ্কার করেন ফ্রাংক এপারসন। ১৯০৫ সালে ফ্রাংকের বয়স তখন মাত্র এগারো বছর । তখনকার সময়ে সোডা ওয়াটার পানীয় খুব জনপ্রিয় । একদিন ফ্রাংক সোডা ওয়াটার পাউডার পানিতে গোলাচ্ছিলেন। কোন কারণে সে মিশ্রণটা রেখে দিলো। মিশ্রণটা নাড়ানোর জন্য যে নাড়ানী ছিলো ওটা ওই পাত্রেই রয়ে গেলো। সারা রাত ওভাবেই ছিল। সেই রাতে তাপমাত্রা রেকর্ড পরিমান কমে ছিলো। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রাংক মজাদার একটি জিনিস আবিষ্কার করলো। তার নাড়ানী কাঠির মাথায় সোডা জমাট বেঁধে আছে। এরকম অভিজ্ঞতা এই প্রথম । সে তার স্কুলের বন্ধুদের জিনিসটা দেখালো। সবাই বেশ মজা পেলো।

পপসিকল আইস পপ আবিষ্কারের গল্প পপসিকল আইস পপ আবিষ্কারের গল্প
পপসিকল আইস পপ আবিষ্কারের গল্প
পপসিকল আইস পপ আবিষ্কারের গল্প

পপসিকল আইস পপ আবিষ্কারের গল্প

১৯২৩ সাল, ফ্রাংক এখন ২৯ বছরের যুবক। সাংসারিক বুদ্ধি তার ভালোই আছে। তার মাথায় আছে সোডা ওয়াটার জমাট বাঁধার অভিজ্ঞতা। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি সাত ফলের ফ্লেভার দিয়ে নতুন খাদ্যপণ্য এপসিকল তৈরী করলেন। পরবর্তীতে এপসিকলের নাম বদলে রাখা হয় পপসিকল।

জনসাধারনের মাঝে পপসিকল জনপ্রিয়তা পেলো। মোট তের স্বাদের পপসিকল তৈরী হলেও বছরজুড়ে কমলা স্বাদের পপসিকলের চাহিদা বেশী। ফ্রাংক তার আবিষ্কারের ব্যবসায়িক গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরে প্যাটেন্টের জন্য আবেদন করেন। ১৯২৪ সালে তিনি পপসিকল আবিষ্কারের স্বত্ব পান। ১৯২৮ সাল পর্যন্ত ফ্রাংক ৬০ মিলিয়নের বেশী পপসিকল আইস পপ বিক্রির রয়ালিটি পান।

পপসিকল আইস পপ আবিষ্কারের গল্প পপসিকল আইস পপ আবিষ্কারের গল্প পপসিকল আইস পপ আবিষ্কারের গল্প পপসিকল আইস পপ আবিষ্কারের গল্প

পপসিকল আইস পপ আবিষ্কারের গল্প

 এফ রহমানের ব্লগ

Level 2

আমি সরদার ফেরদৌস। Asst Manager, Samuda chemical complex Ltd, Munshiganj। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 94 টি টিউন ও 463 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।

আমি ফেরদৌস। জন্ম সুন্দরবনের কাছাকাছি এক জনপদে। ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ থেকে লেখাপড়া করেছি এপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। এরপরে চাকরি করছি সামুদা কেমিকেল কমপ্লেক্স লিমিটেডের উৎপাদন বিভাগে সহকারী ম্যানেজার হিসেবে। এছাড়া আমি বাংলা উইকিপিডিয়ার একজন প্রশাসক।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

এজন্যই বলা হয় জীবন বড়ই রহস্যময়। 😉

Level 0

আপনি তাঁতি টাইপ হলেও আইডিয়া পুরাই মাকড়সা টাইপের!! 😀 😀
সুফার ঠাইফ লেকা বাইজান! অচাম তাইপ লেকা অইচে! টেঙ্কু! 😛 😀

    @BotMaster: আপনার মন্তব্য শুনে প্রীতি পাইলাম। আপ্নাকেও টেংকু।

ভাই এটা যতবার দেখছি ততোই খাবার ইচ্ছা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।এহেন মানসিক পেরেশানির দায়ে আপনাকে জেলে দেয়া উচিত। 😛 😛 😀

    @Iron maiden: ভাবছি সামনের দিনে পোস্টে কোন লেখা দিবো না। জাস্ট শিরোনাম থাকবে আর ভেতরে থাকবে ডেলিশিয়াস সব খাবারের ছবি। সত্যি কথা বলতে কি বিজ্ঞান নিয়ে আর লেখা মাথায় আসছে না। আইডিয়া আর মাল মসলার ঘাটতি পড়ে গেছে।