প্রযুক্তি (Bজ্ঞান Bচিত্রা)…….

১। বৃহস্পতিতে অভিযান

মাত্র দু'সপ্তাহ হলো শেষ হয়েছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার শাটল কর্মসূচি। এরই মধ্যে নতুন অভিযান শুরু করেছে নাসা। এবার তাদের গন্তব্য সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতি। যুক্তরাষ্ট্রের কেপ ক্যানাভেরাল এয়ার ফোর্স স্টেশন হতে শুক্রবার বৃহস্পতির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে মানুষবিহীন মহাকাশযান 'জুনো'। এদিকে নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন সবকিছু ঠিক থাকলে পাঁচ বছর পর ২০১৬ সালের জুলাই মাসে বৃহস্পতিতে গিয়ে পৌঁছবে জুনো ৷ এসময় পাড়ি দিতে হবে ৭১৬ মিলিয়ন কিলোমিটার পথ৷ এই দীর্ঘ পথ চলতে ব্যবহৃত হবে শুধুমাত্র সৌরশক্তি৷ যদিও ২০০৩ সালে যখন প্রথমবারের মতো জুনো'র কথা বলা হয়েছিল তখন জ্বালানি হিসেবে কিছু পরমাণু শক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছিল৷

সৌরশক্তি ধরার জন্য জুনোর তিন ডানায় ১৮ হাজার সৌর কোষ লাগানো হয়েছে৷ কিন্তু বৃহস্পতিতে সূর্যের তেজ অনেক কম৷ সংখ্যার হিসেবে সেটা পৃথিবীর ২৫ ভাগের মাত্র এক ভাগ৷ ফলে কীভাবে শুধুমাত্র সৌরশক্তি ব্যবহার করে জুনো টিকে থাকবে সেটা প্রশ্ন ছিল সবার৷ উত্তরে জুনো মিশনের প্রধান বিজ্ঞানী স্কট বোল্টন বলেন, সৌর প্যানেলগুলো যেন শুধু সূর্যের দিকেই মুখ করে থাকে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে৷

গ্যালিলেওর চেয়েও বৃহস্পতির আরও কাছাকাছি যাওয়ার কথা রয়েছে জুনোর৷ ফলে সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহটি সম্পর্কে এবার আরও বিস্তারিত তথ্য আশা করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা৷

শুধু নাসা নয়, জুনো মিশনে কিছুটা অবদান রেখেছে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থাও৷ বৃহস্পতিতে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর জন্য জুনোতে যেসব যন্ত্রপাতি দেয়া হয়েছে সেসবের কিছুটা দিয়েছে ইটালি, বেলজিয়াম, ফ্রান্স আর ডেনমার্ক ৷

--------------------------------------------------------------------------------------------------

২। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্র ব্যাটারি উদ্ভাবন

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্র ব্যাটারি তৈরির দাবি করেছেন। গবেষকদের দাবি, তারা যে ব্যাটারি উদ্ভাবন করেছেন সেটি ব্যাকটেরিয়ার ৬ ভাগের এক ভাগ মাত্র। খবর সিনেট-এর।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কেবল মাইক্রোস্কোপেই দেখা সম্ভব এ ব্যাটারি উদ্ভাবন করেছেন রাইস ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। গবেষকদের মতে, এ ব্যাটারি কেবল একটি কোষের ওপর ওপর গোয়েন্দাগিরি করতে যে চিপ ব্যবহৃত হয় সেসব চিপেই শক্তি যোগাতে পারবে।

জানা গেছে, এ ব্যাটারি মাত্রই ১৫০ ন্যানোমিটার প্রশস্ত, যার অর্থ; এটি মানুষের চুলের চেয়েও একশো ভাগের এক ভাগ পাতলা।

গবেষকরা জানিয়েছেন, একটি ব্যাটারি এবং সুপারক্যাপাসিটরের মধ্যে ক্রস ঘটিয়ে এ ব্যাটারি তৈরি করেছেন গবেষকরা।

৩। বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত রোবট.....

বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত রোবটের নাম এখন ‘অ্যাচি’। এই রোবটটি তৈরি করেছেন ইউনিভার্সিটি অফ জুরিখ-এর গবেষকরা। খবর ইন্দো এশিয়ান নিউজ সার্ভিস-এর।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ‘অ্যাচি’ নামটি হচ্ছে ‘অ্যাচিরোবট’ এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এই রোবটটিতেই প্রথমবারের মতো মাংসপেশি, টেন্ডন এবং হাড়ের সমন্বয় ঘটিয়েছেন গবেষকরা। অ্যাচি রোবটের দেহে ব্যবহৃত এসব অঙ্গ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত প্রযুক্তির প্লাস্টিক।

গবেষকরা জানিয়েছেন, অ্যাচি রোবটটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন মস্তিষ্ক জুড়ে দেয়া হয়েছে যার মাধ্যমে এটি নিজেই সিদ্ধান্ত নেয়া ও ভালো-মন্দের পার্থক্য করতে পারবে। এই মস্তিষ্কটি চলে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায়, আর বৈদ্যুতিক মোটরের সাহায্যে রোবটটি চলাফেরা করতে পারে।

এদিকে ইউনিভার্সিটি অফ জুরিখ-এর গবেষক রলফ পেফার জানিয়েছেন, মানুষের দেহের মতো কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ে অ্যাচি রোবটটি কাজ করতে পারে। আর মানুষের মতোই বুদ্ধিমত্তা এবং একই রকম কাজ করতে পারার ক্ষমতা থাকায় এর ফলে পরবর্তীতে মানুষের কৃত্রিম অঙ্গ তৈরিতে ধারণা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি প্রয়োজনে মানুষের কাজে তো লাগবেই আধুনিক এই রোবট।

৪। মঙ্গলে তরল পানি.....

মঙ্গল গ্রহের পাহাড়ি ঢালে লবণাক্ত পানির প্রবাহ থাকতে পারে বলে তথ্য-প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিষয়টি নিশ্চিত হলে সৌরজগতের লাল এই গ্রহটিতে প্রথমবারের মতো তরল পানির সন্ধান মিলবে। সেই সঙ্গে মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা প্রবল হবে।

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) গত বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানায়।

রহস্যময় মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহে নাসার পাঠানো ‘মার্স রেকনিস্যান্স অরবিটার’ তরল পানির অস্তিত্ব সম্পর্কে এ তথ্য পাঠিয়েছে।

নাসার ‘মার্স এক্সপ্লোরেশন’ কর্মসূচির প্রধান বিজ্ঞানী মাইকেল মেয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘মঙ্গলে পানির প্রবাহ থাকার পক্ষে বারবার ও পূর্বানুমানযোগ্য তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে।

নাসা জানায়, ২০০৬ সাল থেকে মঙ্গল গ্রহকে পরিক্রমণকারী ‘অরবিটার’ দৃশ্যত মঙ্গলের বেশ কয়েকটি স্থানে পানির প্রবাহ চিহ্নিত করেছে। গ্রহটির বসন্ত ও গ্রীষ্মকালে এই পানির প্রবাহগুলো সক্রিয় থাকে।

মঙ্গল গ্রহে এর আগে বরফের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া গেলেও তরল পানির সন্ধান মেলেনি। ওই বরফ পাওয়া গেছে গ্রহটির মেরু অঞ্চলে। যেকোনো ধরনের প্রাণের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পানি অবশ্য প্রয়োজনীয় বলে মঙ্গলে পানির অস্তিত্ব সেখানে অন্তত আদিম ধরনের প্রাণ থাকার সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলবে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাঁদ ও গ্রহবিষয়ক গবেষণাগারের বিজ্ঞানী আলফ্রেড ম্যাকইওয়েন বলেন, ‘অরবিটারের পর্যবেক্ষণ থেকে পাওয়া তথ্য-প্রমাণগুলো বিশ্লেষণ করলে সবচেয়ে ভালো যে ব্যাখ্যাটি পাওয়া যায় তা হচ্ছে, এগুলো লবণাক্ত পানির প্রবাহ। তবে এটি নিশ্চিত প্রমাণ নয়।...এটা এখনো রহস্যজনক। তবে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা, গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এই রহস্যের সমাধান করা সম্ভব।’ ম্যাকইওয়েন জানান, গত তিন বছরে অরবিটারের ‘হাই রেজুল্যুশন ইমেজিং সায়েন্স এক্সপেরিমেন্ট’-এর ধারণ করা ছবিতে গ্রহটির সাতটি স্থানে পানিপ্রবাহের ‘হাজার হাজার’ চিহ্ন থাকার তথ্য মিলেছে। এ ধরনের সম্ভাব্য পানিপ্রবাহের আরও ২০টি স্থান শনাক্ত করা হয়েছে।

নাসার অরবিটার প্রকল্পের বিজ্ঞানী রিচার্ড জুরেক বলেন, পৃথিবীর সঙ্গে তুলনা করলে কোনো তরল পদার্থের প্রবাহ ছাড়া মঙ্গলের ছবির মতো ঢালের মধ্যে ও রকম দাগের চিহ্ন সৃষ্টি হওয়া কঠিন।

নতুন এসব তথ্য-প্রমাণ ও পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে সায়েন্স সাময়িকীতে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিজ্ঞানের অধ্যাপক লিসা প্র্যাট বলেন, ‘আমার মতে এটা সত্যিই রোমাঞ্চকর এক আবিষ্কার। কারণ, এটি নিশ্চিত হলে এই প্রথমবারের মতো মঙ্গলে প্রাণের অনুকূল পরিবেশের বিষয়টি নিশ্চিত হবে।’

সম্প্রতি ৩০ বছরের নভোখেয়া (শাটল) অভিযান সমাপ্তির পর নাসা মঙ্গল অভিযানের প্রতি নতুন করে গুরুত্ব দিচ্ছে। তারা ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রহটিতে মানুষ নিয়ে যাওয়ার মতো নভোযান তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে।

৫। ওয়েব পৃষ্ঠা এখন ২ হাজার কোটি

ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW) বিশ্বের সূচনা। বিশ্বের প্রথম ওয়েব পৃষ্ঠার শুভারম্ভ হয় এ ঠিকানায় http://info.cern.ch/hypertext/WWW/TheProject.html। এ ওয়েব পৃষ্ঠা সংখ্যা এখন প্রায় ২ হাজার কোটির কাছাকাছি।

লন্ডনে জন্ম নেয়া বিজ্ঞানী টিম বার্নাস লি ইউরোপের জেনেভায় অবস্থিত অর্গেনাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ (সার্ন) গবেষণারত অবস্থায় ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বাস্তবায়নে কাজ শুরম্ন করেন। ১৯৮৯ সালে প্রথম তিনি নিউজগ্রম্নপ তৈরির উদ্দেশ্য (alt.hypertext) এ লিঙ্ক তৈরির কাজে হাত দেন। এ প্রকল্পের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বের সবখানেই অবাধ তথ্যপ্রবাহ।

ইন্টারনেট বিশ্বের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে টিম বার্নাস জানান, ইন্টারনেটে এ অবাধ তথ্য দুনিয়াকে আরও সুপ্রসারিত করতে নতুন মাত্রার সব প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ অর্থে আগামীর ইন্টারনেট বিশ্ব হবে আরও সুসজ্জিত ও সংগঠিত।

উল্লেখ্য, ঠিকানায় বিশ্বের প্রথম ওয়েব পৃষ্ঠার শুভারম্ভ হয়। এ ওয়েব পৃষ্ঠা সংখ্যা এখন প্রায় ২ হাজার কোটির কাছাকাছি।
লন্ডনে জন্ম নেয়া বিজ্ঞানী টিম বার্নাস লি ইউরোপের জেনেভায় অবস্থিত অর্গেনাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ (সার্ন) গবেষণারত অবস্থায় ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বাস্তবায়নে কাজ শুরম্ন করেন। ১৯৮৯ সালে প্রথম তিনি নিউজ গ্রুপ তৈরির উদ্দেশ্য  এ লিঙ্ক তৈরির কাজে হাত দেন। এ প্রকল্পের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বের সবখানেই অবাধ তথ্যপ্রবাহ।

ইন্টারনেট বিশ্বের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে টিম বার্নাস জানান, ইন্টারনেটে এ অবাধ তথ্য দুনিয়াকে আরও সুপ্রসারিত করতে নতুন মাত্রার সব প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ অর্থে আগামীর ইন্টারনেট বিশ্ব হবে আরও সুসজ্জিত ও সংগঠিত।

এ মুহূর্তে বিশ্বের অনলাইন পরিম-লে যে পরিমাণ ওয়েব পৃষ্ঠা বিদ্যমান তা পুরো বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় তিনগুণ। এ সংখ্যাতত্ত্বর বৃদ্ধিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুগল, ইউটিউব এবং ফেসবুক সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে বলে বিশ্লেষকরা অভিমত দিয়েছেন।

সূত্র : কারেন্ট এ্যাফেয়ার্স+ছবি নেট থেকে

Level 0

আমি এই মেঘ এই রোদ্দুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 42 টি টিউন ও 315 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Thanx for good info.

Level 0

fatafati….