ল্যাপটপে কি দুটি প্রসেসর ব্যবহার করা যাবে?

টিউন বিভাগ প্রযুক্তি কথন
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

ল্যাপটপে কি দুটি প্রসেসর ব্যবহার করা যাবে?

হ্যা, আপনি শুধু ল্যাপটপেই না, যেকোনো কম্পিউটার সিস্টেমে একাধিক প্রসেসর অর্থাৎ একাধিক CPU(Central Processing Unit) একসাথে ব্যবহার করতে পারবেন। বিগত কয়েক বছরে কম্পিউটারে একাধিক CPU ব্যবহারের রমরমা বেশ বেড়েছে।

Image: Frictional representation of CPU.

ধরুন আপনার কম্পিউটারে আপনি খুব বড়ো একটি প্রোগ্রাম রান করেছেন যেটি আপনার প্রসেসর একা হ্যান্ডেল(Handle) করতে পারছেনা। এর ফলস্বরূপ আপনার সিস্টেম বারবার ক্র্যাশ(Crash) করছে বা ল্যাগ(Lag) করছে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার সিস্টেমে আরো কয়েকটি প্রসেসর ব্যবহার করে মাল্টিপ্রসেসিং(Multiprocessing) এর সাহায্য নিতে পারেন। এছাড়াও ধরুন আপনি আপনার কম্পিউটারে একাধিক বড়ো প্রোগ্রাম(Program) একসাথে এক্সিকিউট(Excecute) করছেন। এক্ষেত্রে যেহেতু আপনার কাছে কেবলমাত্র একটি প্রসেসর আছে, এতে আপনাকে বেশী সময় ধরে অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি মাল্টিপ্রসেসিং ব্যবহার করেন তাহলে বিভিন্ন প্রোগ্রাম কে আলাদা আলাদা প্রসেসর দিয়ে এক্সিকিউট করাতে পারেন। এতে আপনার সময় খুবই কম লাগবে।

এতক্ষণ ধরে আমি মাল্টিপ্রসেসিং এর কথা বললাম। মাল্টিপ্রসেসিং আসলে কী জিনিস চলুন তা জানা যাক।

Image: Multiprocessing & Multithreading.

মাল্টিপ্রসেসিং(Multiprocessing) :

যখন কোনো কম্পিউটার সিস্টেমে দুই বা তার চেয়ে বেশি CPU ব্যবহার করা হয় এবং ওই নির্দিষ্ট CPU-গুলি নিজেদের মধ্যে একই প্রকারের সিস্টেম বাস(System Bus), ইনপুট - আউটপুট ডিভাইস(Input/output devices) এবং মেইন মেমোরি(Main memory) নিয়ে কাজ করে তখন ওই সিস্টেমকে মাল্টিপ্রসেসিং সিস্টেম বলে আর ওই সিস্টেম যে অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা চালিত হয় তাকে মাল্টিপ্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম বলে।

মাল্টিপ্রসেসিং ব্যবহারের সুবিধা:

  • বিভিন্ন প্রকারের প্রসেস আলাদা আলাদা CPU তে রান হতে পারে। এর ফলে সমান্তরাল ভাবে সমস্ত এক্সিকিউশন সম্ভব হয়। (Parallal processing)
  • মাল্টিপ্রসেসিং এর ক্ষেত্রে ইলেকট্রিক খরচা অনেকক্ষেত্রে কমে যায়।
  • নির্মাণ খরচ তুলনামূলকভাবে কম।
  • কম সময়ে বেশী পরিমাণে প্রসেসিং সম্ভব।
  • একাধিক কাজ একসাথে করা সম্ভব।

মাল্টিপ্রসেসিং ব্যবহারের অসুবিধা:

  • গঠনপ্রক্রিয়া এবং কার্যপদ্ধতি অনেক জটিল।
  • মেইন মেমোরি এর সাইজ খুব বড় প্রয়োজন হয়।
  • ওভারহেড ক্যাপাবিলিটি (Overhead Capability)এর জন্য থ্রুপুট(Throughput - Wikipedia) এর পরিমাণ কমে যায়।

আমরা এতক্ষণ ধরে মাল্টিপ্রসেসিং এর সুবিধা আর অসুবিধা আলোচনা করে এইটুকু বুঝতে পারি যে মাল্টিপ্রসেসিং এর অসুবিধা এর থেকে সুবিধার পরিমাণ অনেক বেশি। চলুন এরপর কিছু সাধারণ জীবন যাত্রায় ব্যবহৃত কয়েকটি মাল্টিপ্রসেসিং এর প্রয়োগ দেখে নিই:

বর্তমান সময়ে প্রয়োগ:

Image: Frictional representation of Multi-core processor.

আমরা কোনো মোবাইল কেনার সময় শুনে থাকি যে এই মোবাইলের প্রসেসর ডুয়ালকোর(Dualcore) বা অক্টাকোর(Octacore) বা কোনোটা আবার ডেকাকোর(Decacore)। এই কোর(Core) গুলি আসলে কী? এই কোর গুলি হল একটি ছোটো প্রসেসর যা বড়ো প্রসেসরের মধ্যে ইন্টারনাল বাস সিস্টেম(Internal Bus System) দ্বারা যুক্ত থাকে। কোনো মোবাইল ফোনে অক্টাকোর প্রসেসর আছে তার মানে ওই মোবাইলে এর প্রধান যে প্রসেসর তার মধ্যে আরো আটটি ছোটো প্রসেসর রয়েছে। ওই প্রসেসর গুলির সাহায্যে আপনার সিস্টেমে মাল্টিপ্রসেসিং পারফর্ম করা হয়।

শুধু মোবাইলের ক্ষেত্রেই না। আপনার ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ এর প্রসেসর ও এখন একাধিক কোর বিশিষ্ট।

Level 0

আমি আশিকুর রহমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস