রাজনৈতিক অনুদানে রক্ষণশীল পন্থা অবলম্বন করছে ফেসবুক

টিউন বিভাগ টেকটিউনস টেকবুম
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

জানা গেছে ২০২০ সালে রাজনৈতিক অনুদানে রক্ষণশীল পন্থা অবলম্বন করছে ফেসবুক

বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী সোশ্যাল মিডিয়া, ফেসবুক ২০১৬, ২০১৮ সালে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক অনুদান দেবার পর এবার এই ধরনের সিদ্ধান্ত থেকে কিছুটা পিছিয়ে এসেছে।

বেশ কয়েক মাস যাবত ফেসবুকের বিভিন্ন বিতর্ক, রাজনৈতিক চাপ, সরকারি নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ফেসবুক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

যদিও বর্তমান ডোনেশন স্ট্রেটেজি নিয়ে ফেসবুকের মুখপাত্র এই মুহূর্তে মুখ খুলতে চায় নি।

ফেসবুকও অনেক বড় প্রযুক্তি কোম্পানির মতো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদদের অনুদানের জন্য Political Action Committee (PAC) পরিচালনা করে। সংস্থাগুলি সরাসরি প্রার্থীদের অনুদান দিতে পারে না। এই ফান্ড গুলো তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের স্টাফদের অনুদানের দ্বারা প্রসারিত হয় উদাহরণস্বরূপ ফেসবুকের ডোনার হচ্ছেন, সিইও মার্ক জাকারবার্গ, সিটিও মাইক শ্রোফার এবং সিএফও মাইকেল ওয়েহনারকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন)। স্বাভাবিক ভাবে অনুদানগুলি দ্বিপক্ষীয় হয়, ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান উভয় দলের জন্যই ডোনেশন গুলো ব্যবহার করা হয়।

এর আগেও ফেসবুক ডেমোক্রেটিক দলের Sen. Chris Coons কে এবং রিপাবলিকান দলের Sen. Steve Daines কে অনুদান দিয়েছিল। তবে তথ্য অনুযায়ী দেখা যায় ফেসবুক বেশির ভাগ অনুদান রিপাবলিকান নেতাদের দিয়েছিল।

ফেসবুক তাদের কর্পোরেট ওয়েবসাইটে উল্লেখ্য করেছে, অনুদানের লক্ষ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাবলিক অফিসের প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় সমর্থন করা, যাদের নির্দিষ্ট নীতিগত অবস্থান রয়েছে যা ফেসবুকের ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি এবং স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

পূর্বের হিসাব মতে ২০১৬ সালের নির্বাচন সময় কালে ফেসবুক, ৬৭৫, ৬০০ ডলারের উপরে ব্যয় করে এবং ২০১৮ সালে এর পরিমাণ দাড়ায় ৭৩১, ৭৫০ ডলারেরও বেশি। তাই ফেসবুক যদি আগের বছর গুলো থেকে কমও ব্যয় করতে চায় তারপরেও তাদের ৫৮০, ০০০ ডলারের মত ব্যয় করতে হবে।

যেখানে আগের বছর গুলোতে জুলাই মাসেই মোট ব্যয়ের ৭৩%-৭৫% ব্যয় হয়ে গিয়েছিল, সেই হিসাবে এ বছর জুলাই এর মধ্যে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৪৩০, ০০০ ডলার। এই ধারা অব্যাহত ব্যাহত থাকলে আশা করা যায় মোট ব্যয় আগের চেয়ে কমে আসবে প্রায় ১০০, ০০০ ডলার।

আগের বছর গুলোর তুলনায় ফেসবুকের রাজস্ব আয় বাড়লেও তারা রাজনৈতিক অনুদানে পিছিয়ে এসেছে। তাদের অনুদানের ফ্রিকোয়েন্সি কমে এসেছে তারা বর্তমানে তিন মাস অন্তর অনুদান দিচ্ছে।

কয়েকটি সূত্র মতে নির্বাচনে এগিয়ে আসার সাথে সাথে ফেসবুকের ডোনেশন কমতে শুরু করেছে।

অন্যসময় গুলোতে ফেসবুক বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পৃষ্ঠপোষকতা করলেও জুলাইয়ের হিসাব মতে তারা গুলোতে অনুদান দিয়েছে বলে জানা গেছে।

২০২০ সালের শুরু থেকেই ফেসবুকে বিভিন্ন পক্ষ থেকে চাপ আসতে শুরু করে। ট্রাম্পের বিতর্কিত ফেসবুক টিউন না সারানোতে ব্যাপক ভাবে সমালোচিত হয়। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাও প্রতিবাদ করে এমনকি একজন কর্মী পদত্যাগও করে। নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে বড় বড় বিজ্ঞাপণী সংস্থা গুলোও বয়কট ফেসবুককে।

তারপর কিছু দিন আগেও ট্রাম্পের করোনা প্রতিক্রিয়া নিয়ে ফেসবুক লাইভে দারুণ সমালোচনা করেন।

তাই সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে নিজেদের জায়গা স্বচ্ছ করতেই এবং পরবর্তীতে আর বিতর্কিত না হতে, ফেসবুক এবার বুঝে শুনে পদক্ষেপ নিচ্ছে।

-
টেকটিউনস টেকবুম - ২ আগস্ট ২০২০

Level 2

আমি টেকটিউনস টেকবুম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 433 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস