সমীক্ষা বলছে টেক কোম্পানি গুলোতে মহিলা কর্মীদের হয়রানী এবং বৈষম্য এখনো ঊর্ধ্বমুখী

নেটওয়ার্কিং গ্রুপ Women Who Tech এর একটি জরিপে উঠে এসেছে টেক কোম্পানি গুলোতে এখনো নারীদের যৌন হয়রানী এবং বৈষম্য রেট ঊর্ধ্বমুখী। Women Who Tech নেটওয়ার্কিং গ্রুপটি প্রতিষ্ঠা করেন, Craig Newmark।

Craig Newmark তার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "দীর্ঘকাল ধরে টেক শিল্পটি এমন অনেক পুরুষের দ্বারা পূর্ণ হয়েছে, লোকেরা যাকে বয়েজ ক্লাব বলছে, এটি শেষ করার সময় এসেছে"।

দেখা যায় শিল্পটি, ভাল প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও এখনও নারীদের জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করার জন্য লড়াই করছে।

সমীক্ষাটি ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে এক হাজারের বেশি স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠাতা এবং কর্মচারীদের, যাদের বেশিরভাগ মহিলা, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

যদিও মহামারীতে কর্মীরা বাড়িতে কাজ করবে বলে এই সমীক্ষাটি তেমন প্রভাব ফেলছে না, তবে মহামারীর পর কর্মস্থানে ফিরে গেলে কর্মীরা যে হয়রানীর শিকার হবে তার উদ্বিগ্নতা বাড়িয়ে দিচ্ছে Women Who Tech

জরিপে অংশ নেয়া মহিলা কর্মীরা তাদের সাথে ঘটে যাওয়া হয়রানী গুলোর বর্ণনাও দেয়।

তবে জরিপটিতে মহিলা স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠাতা এবং টেক কোম্পানির মহিলা কর্মীদের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য ছিল।

জরিপটিতে ৪৪% মহিলা প্রতিষ্ঠাতা বলেছেন যে তারা হয়রানির শিকার হয়েছেন।

উদাহরণস্বরূপ, সমীক্ষার এক প্রতিষ্ঠাতা বলেছিলেন, তাকে এবং অন্য একজন মহিলা প্রতিষ্ঠাতাকে একজন বিনিয়োগকারী, হট টব এবং একটি বেসরকারি ক্লাবে আমন্ত্রিত করেছিল। তিনি আরও জানান, চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য তাদের আপত্তিকর প্রস্তাব করা হয়।

জরিপটিতে শুধু মাত্র যৌন হয়রানীর কথাই শুধু জায়গা পায় নি, বৈষম্যের কথা উঠে আসে।

সমীক্ষায় প্রায় অর্ধেক মহিলা প্রতিষ্ঠাতা বলেছেন, অনেকেই তাদের বলেছে, তারা যদি পুরুষ হতো তাহলে আরও বেশি অর্থ জোগাড় করতে পারতো।

মহিলা টেক কর্মীদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই বলেছিলেন যে তারা হয়রানির শিকার হয়েছেন, এবং ৪৩% বলেছেন যে তারা যৌন হয়রানীর শিকার হয়েছেন। যৌন হয়রানি গুলোর মধ্যে ছিল আপত্তিকর বিভিন্ন জোকস, অযাচিত শারীরিক স্পর্শ ইত্যাদি। জরিপের তৃতীয়াংশেরও বেশি কর্মী বলেছিলেন তাদের সরাসরি যৌনতার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

আরও জানা যায় প্রতিষ্ঠানে এরূপ আচরণে জন্য HR টিম এর অভিযোগ করলে ৪৫% এর মত কর্মীরা অন্য ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আর এজন্য অনেকেই প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় বিষয় গুলো HR কে জানায় না।

একজন মহিলা সমীক্ষায় মন্তব্য করে বলেছিলেন, " লোকেরা যখন রিপোর্ট করে তখন তাদের সাথে কি ঘটেছিল আমি তা দেখেছি, এবং আমি চাই না যে আমার জীবন আরও কঠিন হোক"।

প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের রক্ষা করার দায়িত্ব HR এর উপরে থাকলে তারা এসব ক্ষেত্রে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে না।

Women Who Tech এর CEO, Allyson Kapin বলেন, টেক কোম্পানি গুলোর উচিত মহিলাদের জন্য একটি সুস্থ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করা, না হয় কর্মীরা আর বেশি দিন এগুলো সহ্য করবে না।

-
টেকটিউনস টেকবুম - ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

Level 2

আমি টেকটিউনস টেকবুম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 433 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস