মোটর বাইকিং And ড্রাইভিং A টু Z [পর্ব-০৬] :: বাড়ীতে মোটরসাইকেল ধোয়ার অল্প কিছু টিপস

মোটর বাইকিং And ড্রাইভিং A টু Z

আসসালামু আলাইকুম। সবাই ভাল আছেন আশাকরি। সবার বাইক রাইডিং কেমন চলছে-জানাবেন।

আমার আগের টিউনগুলোতে বাইক মেইনটেইনের ব্যাপারে লিখেছি। এখানে নতুন কিছু জানানোর চেষ্টা করলাম।

বাইককে গোসল করানো:

বিশেষ করে বর্ষাকালে বাইক কাদায় মাখামাখি হয়ে থাকে। মাঝে মাঝে গোসল না দিলে ঘামের দুর্গন্ধ -না সরি, মরিচা

পড়ার সম্ভবনা দেখা যায়। ডিস্ক ব্রেক থেকেও কেমন যেন আওয়াজ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে নিজে নিজে বাড়ীতেও বাইক

ধুতে পারেন। এক টুকরো স্পঞ্জ, কার ওয়াশ (শ্যাম্পু হলেও চলবে, তবে কার ওয়াশ গুলোতে সিলিকন থাকায় বাইকের

পেইন্ট বেশিদিন স্থায়ী হয়। ‍স্পার্কেল কার ওয়াশটি বেশ ভাল।), সার্ফ এক্স্রেল, পুরনো টুথব্রাশ, পলিথিন ব্যাগ আর পানি হলেই যথেষ্ঠ। প্রথমে পলিথিন ব্যাগ দিয়ে আপনার বাইকের এগজস্ট পাইপ (সাইলেন্সার)টির ফুটোটা বেঁধে ফেলুন। যেন পানি ঢুকতে না পারে। পলিথিন দিয়ে ইগনিশন সুইচ ও অন্যান্য সুইচ গুলোও ঢেকে দিন। এরপর  প্রথমে শুধু পানি দিয়ে পুরো বাইকটি ধুয়ে ফেলুন। কাদা গুলো সরাতে ব্রাশ ব্যবহার করুন। এরপর ফুয়েল ট্যাংক, অন্যান্য প্লাস্টিক পেইন্টের অংশগুলো কার ওয়াশ পানিতে মিশিয়ে স্পঞ্জ ভিজিয়ে ধুয়ে নিন। অন্য কিছু দিয়ে ধুলে পেইন্ট এর আয়ু কমে।  মেটালিক অংশ ও টায়ার গুলো সার্ফ এক্সেল দিয়ে ধুতে হবে। নইলে সহজে পরিষ্কার হবেনা। ডিস্ক ব্রেকের অংশটুকু জোরে পানি দিয়ে ময়লা পরিষ্কার করতে হবে। স্পঞ্জ দিয়ে ডিস্কটিও পরিষ্কার করে নিবেন-তাহলে ব্রেক আরও ভালমত কাজ করবে। এরপর পুরো বাইকটি পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এখন ব্লোয়ার দিয়ে বাইকটিকে শুকিয়ে নিন। ১৫০০/- টাকা দামের ব্লোয়ারই যথেষ্ঠ। এটি দিয়ে আপনি পেপার টাইপ এয়ার ফিল্টারও নিজে নিজে পরিষ্কার করতে পারবেন। বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যালের দোকানে পাওয়া যায়।

এবার অবশিষ্ট পানি শুকনো সুতি কাপড় দিয়ে মুছে নিন।

পালিশ লাগাতে পারেন। নতুন মোটরসাইকেলে দরকার নাই। এটাও পেইন্ট এর আয়ু কমায়। এত ঝামেলা করতে না চাইলে মেকানিকের কাছে ধুয়ে নিন। 🙂🙂🙂🙂

তেল মালিশ!!

বাইক ভালমত শুকিয়ে গেলে  বাইকের চেইনে ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার করুন। তবে গিয়ার ওয়েল ব্যবহার করা বেস্ট। অন্যান্য স্প্রিং- যেগুলোতে তেল দেওয়া দরকার সেখানে অল্প অল্প ইঞ্জিন ওয়েল দিন। তবে খবরদার ডিস্ক ব্রেকের ডিস্কে কখনও তেল দিবেননা। অথবা পেছনের ড্রাম ব্রেকেও তেল দিতে যাবেননা। ব্রেকের কার্যকারিতা অনেক কমে যাবে। মেকানিকের কাছে গিয়ে ক্লাচ কেবল ও থ্র্রটল কেবল ৬ মাসে একবার পরিষ্কার করে লুব্রেকেটিং ওয়েল দিন। এখন আপনার বা্ইক আবার নতুন হয়ে উঠল। এখন বেরিয়ে পড়ুন কোন জানা অজানার পথে।

ভাল থাকুন।

Level 2

আমি মুহাম্মদুল্লাহ চৌধুরী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 19 টি টিউন ও 96 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

এক্সপ্লোরার......


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

মুহাম্মদুল্লাহ ভাই, ”ভাল লাগলো আপনার টিউন।

bike stunt” সম্বন্ধে টিউন আশা করছি আপনার কাছে থেকে।

Thanks bro. go to Bajaj website. There you can find some trics on stunt. Look at pulsar mania.

আপনার এই বাইক নিয়ে টিউনগুলো আমার অনেক কাজে এসেছে। আমি নতুন বাইক কিনেছি এবং শিখছি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এতগুলো ভাল টিউন করার জন্য।
আমার এখানে ইমেজগুলো কেন জানি শো করছে না। 🙁