এন্ড্রয়েড ব্যবহারের আগে যা জানা দরকার

সবাই ভাল আছেন তো, কাজের কথায় আসি,
টিউনের হেডলাইন দেখেই কিছুটা বুঝতে পারছেন যে কি ধরনের পোষ্ট হবে তো শুরু করা যাক নিউজটি নেয়া প্রথম আলো পত্রিকা থেকে, ভাবলাম আপনাদের সবাইকে জানানো প্রয়োজন তাই আবার বসলাম,

যুক্তরাষ্ট্রের মুঠোফোন নিরাপত্তা বিশ্লেষকেদের মতে, অ্যান্ড্রয়েডনির্ভর স্মার্টফোন লক্ষ্য করে সবচেয়ে বেশি ম্যালওয়্যার আক্রমণ চালায় সাইবার দুর্বৃত্তরা। ২০১২ সালে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর স্মার্টফোন লক্ষ্য করে ৭৯ শতাংশ ম্যালওয়্যার আক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল। এরপরের অবস্থানে ছিল নকিয়ার সিমবিয়ান অপারেটিং সিস্টেম। অ্যাপলের অপারেটিং সিস্টেমকে লক্ষ্য করে এক শতাংশের কম ম্যালওয়্যার আক্রমণ চালানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের গণ তথ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট পাবলিক ইনটেলিজেন্স স্মার্টফোনে ম্যালওয়্যার আক্রমণ বিষয়ক একটি মেমো প্রকাশ করেছে। এতে ম্যালওয়্যার আক্রমণের শীর্ষ লক্ষ্য হিসেবে অ্যান্ড্রয়েডকে চিহ্নিত করা হয়েছে। টেক্সট ট্রোজান, ভুয়া বার্তা, পাসওয়ার্ড ও তথ্য চুরির মতো বিষয়গুলো অ্যান্ড্রয়েডে বেশি হয় বলেই মেমোতে জানানো হয়েছে।
মার্কিন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেদের মতে, ৪৪ শতাংশ অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী এখনও এ অপারেটিং সিস্টেমের পুরোনো সংস্করণ অর্থাত্ জিঞ্জারব্রেড সংস্করণ ব্যবহার করছেন। ২০১১ সালে জিঞ্জারব্রেড সংস্করণ উন্মুক্ত করেছিল গুগল। জিঞ্জারব্রেড সংস্করণে নিরাপত্তা ঝুঁকি বেশি। জিঞ্জারব্রেডের পরবর্তী সংস্করণগুলোতে নিরাপত্তা ত্রুটি কমিয়ে ফেলেছে গুগল।

গবেষকেরা মোবাইল ফোনের হালনাগাদ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।

অ্যান্ড্রয়েডের নিরাপত্তা ত্রুটি নিয়ে এর আগেও গবেষকেরা সতর্ক করেছিলেন। এর আগে প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ নতুন ম্যালওয়্যারের লক্ষ্যই হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। ক্যাসপারস্কির তথ্য অনুযায়ী, অ্যান্ড্রয়েড লক্ষ্য করে বানানো ম্যালওয়্যারগুলোর বেশির ভাগই হচ্ছে এসএমএস ট্রোজান। অ্যান্ড্রয়েডে এই ম্যালওয়্যার প্রবেশ করলে ব্যবহারকারীর অজান্তেই সেটি বার্তা প্রেরণ ও অর্থ চুরি করতে পারে। অ্যান্ড্রয়েডকে লক্ষ্য করে বানানো ম্যালওয়্যরগুলোর অধিকাংশই আসে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও নেদারল্যান্ডস থেকে।

ম্যালওয়্যার ঝুঁকি প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

১. হালনাগাদ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করুন।

২. অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোডের সময় সতর্ক থাকুন, অ্যাপ্লিকেশনের রেটিং, রিভিউ ও নির্মাতার পরিচয় জেনে ডাউনলোড করুন।

৩. অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার করতে পারেন। অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তায় অর্থ খরচ করে অ্যান্টি-ভাইরাস কিনে ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া বিনামূল্যে অ্যাপ্লিকেশন স্টোরগুলোতেও অনেক অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোডের জন্য পাওয়া যায়। বাজারে পাবেন নরটন, লুকআউট, ম্যাকাফি, এভিজি অ্যান্টিভাইরাস। বিনামূল্যে অ্যান্টিভাইরাস ডাউনলোডের আগে সচেতন থাকুন।

আর আমার জন্য দেয়া করবেন যাতে আপনাদের জন্য সামনে আরও নতুন কিছু নিয়ে হাজির হতে পারি,আজকের মতো এখানেই শেষ। ভালো থাকবেন।

Level 0

আমি MDMAHFUZ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 7 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

ভাল লাগলো

http://moviez18.blogspot.com/

এমন পোস্ট শেয়ার করার জন্য http://forum.prajonmik.com