কীভাবে আপনি একজন জনপ্রিয় টিউনার হবেন জনপ্রিয় বা বিখ্যাত টিউনার হওয়ার সকল টিপস মেগা টিউন

হ্যালো টেকটিউনস কমিউনিটি, কেমন আছেন সবাই। আশা করি  টেকনোলজির বিভিন্ন টিউন পড়তে পড়তে আপনারা ভালোই আছেন। আমি আবার আপনাদের মাঝে চলে আশাকরি, তারা কীভাবে ধীরে ধীরে তবে অল্প সময়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠবেন। কারণ ব্লগিং আপনি করেন নিচ্চয় পাঠকদের হেল্প করার জন্য সাথে সাথে পরিচিতি হয়ে উঠতে চান আপনি মানুষের মাঝে।

যাইহোক আজকে আমাদের টপিকস কীভাবে আপনি একজন জনপ্রিয় টিউনার হয়ে উঠবেন। আপনি যদি আপনার ব্লগিং জগতে সাকসেস হতে পারেন তাহলে আপনি জনপ্রিয় বা বিখ্যাত টিউনার। অর্থাৎ জনপ্রিয় এবং সাকসেস বা সফলতা দুটি শব্ধ আলাদা হলেও, একটি অন্যের পরিপূরক। অর্থাৎ আপনি যদি সাকসেস হন আপনার ব্লগিং এ, তখন আপনি অটোমেটিকালি একজন জনপ্রিয় এবং বিখ্যাত টিউনার।

কারণ, সাকসেসফুল মানুষ = বিখ্যাত মানুষ।

অন্যদিকে বেশি কথা বলে ফেললাম, চলুন জনপ্রিয় টিউনার হওয়ার অবিশ্বাস্য ট্রিকস গুলো জানতে শুরু করি।

জনপ্রিয় বা বিখ্যাত টিউনার হওয়ার সকল টিপসঃ

১) টিউনিং এ নিয়মিত হোনঃ

টিউডার (টেকটিউনস টিউন রিডার) সমাজে পরিচিতি পেতে এটা খুব প্রয়োজন। কারণ প্রতিনিয়ত যখন আপনি নিত্য-নতুন টিপস নিয়ে টিউডারদের  কাছে আসবেন তখন টিউডাররা ধীরে ধীরে আপনাকে মনে রাখবে। আপনার নাম তাদের মনের ভেতর গেতে যাবে। আর আপনার টিপস এর ধরন দেখে কিছু বিশ্বস্ত ফলোয়ার পাবেন আপনি, যারা আপনাকে প্রতিনিয়ত পেতে চাইবে। এখন আপনি মোটামুটি টিউনিং এ নিয়মিত, আপনার ভালো কিছু ফলোয়ার তৈরি হয়ে গেলো, কিন্তু হঠাৎ আপনি অনিয়মিত হয়ে গেলেন। তখন আপনার টিউডাররা আপনাকে ভুলতে শুরু করবে, তারা অন্য টিউনারকে ফলো করতে শুরু করবে।

বেশ কিছুদিন পরে আপনি টিউন করলে দেখবেন আপনি আগের মতো সাড়া পাচ্ছেন না। কারণ কি আপনি আপনার বিশ্বস্ত টিউডার হারায়ছেন। আপনাকে আগের পজিশনে যেতে আবার অনেকটা নতুন করে শুরু করতে হবে। সেহেতু আপনি একটু নির্দিষ্ট নিয়ম করে টিউনে নিয়মিত হন, দেখবেন আপনি অনেক বেশি ফলোয়ার পাবেন।

২) আপনার টিউডারদের সমস্যা সমাধান করুনঃ

এই নিয়মটা আমরা ভালভাবি জানি বা মানি, তবে অনেক সময় এটি করে উঠতে আমাদের কষ্ট হয়ে যায়। কারণ এ সমস্যায় আমি নিজেও পড়ছি। কিন্তু একজন টিউডার যখন আপনাকে বিশ্বাস করে একটা সমস্যা নিয়ে আপনার কাছে আসে, তখন আপনার কাছ থেকে যখন সে হেল্পটা পাই, তখন সে আপনাকে অনুসরণ করবেই। আপনাকে সে সারা জীবন মনে রাখবে।

কোন কারণে যদি আপনি তার সমস্যা সমাধান করতে না পারেন, তাহলে অন্তত তাকে একটু সমীহ করে বলুন। দেখবেন সে মনে কষ্ট নিবে না। (যারা টিউডার আছে তাদের একটা কথা বলি, সবাই সব কিছু জানবে না, অনেকে মনে করে ভাই আমাকে হেল্প করলো না, তারা একটু মনে রাখবেন- ভাই সব কিছু জানবে না এটা স্বাভাবিক, কারণ তিনিও মানুষ)

৩) অন্যান্য টিউনারদের ভালো বন্ধু হয়ে যানঃ

আপনি সব সময় চেষ্টা করবেন আপনার ব্লগের যারা অন্যান্য টিউনার তাদের সাথে একটা সুসম্পর্ক রাখার। তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে যুক্ত থাকার (সম্ভব হলে), ব্লগে টিউমেন্ট দিয়ে উৎসাহ প্রদান, সাথে কোন ভুল স্পেলিং বা অন্য কিছু দেখলে তাকে ভালোভাবে ভুল ধরিয়ে দেওয়া। দেখবেন তাকে আপনি উৎসাহ এবং তার সাথে যুক্ত থাকলে তিনিও আপনাকে এক সময় আপনাকে অনেক কাজে হেল্প করবে, উৎসাহ দিবে।

পারলে অনলাইনের বাইরেও মাঝে মাঝে রিলেটেড টপিকস নিয়ে আলোচনা করতে পারেন বা ভ্রমণে যেয়ে নিজেদের শেয়ারিং বাড়াতে পারেন। এতে আপনাদের জানা শোনা যেমন বাড়বে, নিজেদের অনলাইন জীবন আরও মজার হবে। অর্থাৎ অন্য টিউনারের সাথে বন্ধু হয়ে যান।

৪) আপনার টিউন এবং নিজেকে প্রমোট করুনঃ

আপনি সব ভালো মানের লেখা গুলো বিভিন্ন গ্রুপ, আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন। এতে আপনার পরিচিতি যেমন বাড়বে, তেমনি অনেকে তাদের প্রয়োজনীয় টপিকস আপনার লেখার মাঝে খুঁজে পাবে। অভার প্রোমট বিপরীত ফল আনতে পারে। যেকারনে নিজেকে প্লানিং করে শেয়ার করুন। যা আপনি টিউনার হিসেবে চাইতেই পারেন।

আপনার টিউন কীভাবে সয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় (যেমন, ফেসবুক, টুইটার) অটো পাবলিশ করে মার্কেটিং করবেন জানতে নিচের টিউনটি দেখুন-

নিজের টিউন এর মার্কেটিং করুন ফেসবুক এবং টুইটারে স্বয়ংক্রিয় ভাবে! টিউন করার সাথে সাথে!

৫) নিজেকে বিলিয়ে দিন  টিউডারদের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময়ঃ

নির্দিষ্ট একটা সময় করে নিজেকে  টিউডারদের জন্য রাখুন। প্রতিদিন বা একটা নির্দিষ্ট সময় যদি আপনি আপনার পাঠক বা পরিচিত টিউনারদের জন্য রাখেন তাহলে আপনি হয়তো দিন দিন অনেক বেশি পাঠক প্রিয় টিউনার হয়ে উঠবেন।

৬) ভালো টিউমেন্টার হোনঃ

টিউমেন্ট বা টিউমেন্ট আপনার ব্লগিং লাইফের বড় অস্ত্র। অনেক টিউনার আছে যারা টিউন পাবলিশ করেই আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আর পরবর্তী টিউনের সময় তাদের দেখা মেলে। কিন্তু এটা তার জন্য খুবই খারাপ ফল নিয়ে আসে। যদি আপনি আপনার টিউমেন্টের সঠিক উত্তর না দেন তাহলে আপনি পরিচিতি হারাবেন, সাথে ভালো মানের টিউডার  হারাবেন। কারণ একজন আপনার টিউনে টিউমেন্ট করলো, আর আপনি তাকে রিপ্লাই দিবেন না তা কি করে হয় বলেন বা কেমন দেখায় বলেন।

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনি যদি অনেক বেশি পাঠক এবং পরিচিতি চান তাহলে আপনাকে অন্যের লেখায়ও টিউমেন্ট করতে হবে। অন্যের লেখায় ভালো মানের উৎসাহমূলক টিউমেন্ট করলে আপনি ভালো মানের অনেক ফলোয়ার পেয়ে যাবেন। আপনার লেখায় নতুন নতুন বেশ কিছু পাঠক তৈরি হবে। যেটা আপনার লেখক জীবনে অনেক কাজে দিবে।  সমালোচনা করবেন না এমন কিছু না, তবে সুগঠিত সমালোচনা করলে কেউ খারাপভাবে নিলেও আপনি আপনার অবস্থান পাবেন এটা সুনিচ্চিত।


আমি অনেক বড় মানের টিউনার ব্লগার (ইংরেজি এবং বাংলা) দেখছি যারা টিউমেন্টে এখনও সমান সক্রিয়। তারা তুমুল জনপ্রিয় এই অনলাইন লেখালিখি যুগে। কিন্তু আমরা অনেকে ৩/৪ বছর লেখালিখি করে আর আমাদের কেউ খুঁজে পাই না। আমরা একটা টিউন করে পালিয়ে বেড়ায়। এরা মূলত শখে লেখালিখি করে। কিন্তু যারা লেখালিখি করে নেশা থেকে তারা কখনও এই জগত থেকে পালিয়ে বেড়ায় না। তারা কোন না কোন ভাবে মানুষের মাঝে থাকতে চাই।

আমরা সেই রকমই টিউনার হবো, যারা এই দেশকে উঠাবো, এই দেশের মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবো বহু কাল ধরে।

রবি ঠাকুরের একটা কথা খুব মনে পড়ে গেলো,

“মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে 

মানুষের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই

এই সূর্য করে এই পুষ্পিত কাননে

জীবনত্ম হৃদয় মাঝে যদি স্থান পাই”

আর কথা বাড়াবো না, শুধু এইটুকো বলবো সাময়িকের জন্য লেখালিখি নয়, লেখালিখি জীবন জীবনের জন্য। আসুন আমরা আমাদের উন্নতি করে দিনের পর দিন টিউডারদের মাঝে থেকে যায়।

ভিন্ন কোন মতামত থাকলে আমাকে টিউমেন্টে জানাতে পারেন।

ধন্যবাদ সবাইকে।

Level 2

আমি আইটি সরদার। Web Programmer, iCode বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 261 টি টিউন ও 1750 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 22 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি ইমরান তপু সরদার (আইটি সরদার),পড়াশুনা করেছি কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি নিয়ে; পেশা কন্টেন্ট রাইটার এবং মার্কেটার। লেখালেখি করি নেশা থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৩ থেকে। লেখালেখির প্রতি শৈশব থেকেই কেন জানি অন্যরকম একটা মমতা কাজ করে। আর প্রযুক্তি সেটা তো একাডেমিকভাবেই রক্তে মিশিয়ে দিয়েছে। ফলস্বরুপ এখন আমার ধ্যান, জ্ঞান, নেশা সবকিছু...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level New

chorom ekta tune!

সত্যিই অনেক কিছু জানলাম ।

এই টিউনটি পড়ে অনেক উপকৃত হলাম, তাই ধন্যবাদ না দিয়ে থাকতে পারলাম না।

অস্থির এই টিউনটার সারমর্ম অস্থিরভাবে বুঝলেও এক কথায় ভালোলাগার প্রকাশ ঘটানো কিঞ্চিৎ দূরূহ ঠেকছে…..যথাযথ পয়েন্টগুলোর সবই তুলে ধরেছেন- আমার প্রিয় হচ্ছে নিয়মিত টিউনিং এবং টিউমেন্টিং…..লেখাটার জন্য ধইন্যা 🙂

অনেক কাজের একটা টিউন, ধন্যবাদ ভাই।

Thanks vai. Onk kisu jante parlam & Shikhte parlam…

Abr 1 hali Dhonnobad :p

খুব ভাল লাগলো।

ভাই অস্থির পোস্ট পইরা তো পুরআ আপনার ফআন হই গেলাম