ব্লগ লেখার সহজ উপায়ঃ কিভাবে ব্লগ লিখবেন?

ব্লগিং এ নতুন? ব্লগিং শুরু করতে চান? টিপস দরকার? তাহলে এ নথিটি আপনার জন্যই…
নিজে জানতে এবং অন্যকে জানাতে অনেকেই বেঁছে নেন ব্লগিং। আপনি যত নামি-দামি ব্লগেই লিখেন না কেন, আপনার লেখা যদি ব্লগ পড়ুয়াদের পছন্দ না হয় তাহলে দ্বিতীয়বার আপনার লেখায় ক্লিক করতে আপনার কয়েকজন বন্ধু ছাড়া বাকি সবাই কৃপণতা করবে। ব্লগে নিজের লেখা সুন্দর করতে চাইলে ও মানুষের পছন্দের ব্লগার হতে চাইলে কিছু নিয়মকানুন আপনাকে মেনে চলতে হবে।
logoএক. ব্লগে টিউন লেখার আগে প্রথমে আপনাকে পাঠকের চাহিদা বুঝতে হবে এবং আপনাকে খুঁজতে হবে উল্লেখিত বিষয়টি আপনি যে ব্লগে লিখছেন সে ব্লগের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না। যেমন ধরেন আমি এখন টেকমাস্টার ব্লগে যদি লিখতাম, হরলিক্স দিয়ে মজার রেসিপি শিরোনামে (এক গ্লাস দুধে ৩ চামচ হরলিক্সের সাথে এক চামচ চকলেট সিরাপ মিক্স করলে তা অমৃতের মত স্বাদ)। তাহলে কি প্রযুক্তি পাঠকেরা আমার রেসিপি পড়ে খুব খুশি হবে? নিশ্চয়ই না, কারন এখানে যেসব পাঠক আসে তারা রেসিপি নয় প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে আসে তাই আমার লেখা আর দ্বিতীয়বার কেউ পড়তে আসবেনা এবং ব্লগের হর্তা-কর্তারাও আপনাকে ব্যান মারবে।
তার সাথে পাঠকের চাহিদার পাশাপাশি ব্লগের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ নিবন্ধ খুবই জরুরী অন্যথায় নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড থেকে সার্চ ভিজিটর পাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে।
দুই. ব্লগ টিউন লেখার সময় যে বিষয় নিয়ে লিখছেন শুধুমাত্র সে বিষয়ের উপরে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ অন্য কোন চিন্তা যদি মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে তবে তা আপনার কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করবে। বিষণ্ণ মনে ব্লগ লিখতে বসবেন না (প্রেম-ভালোবাসা সম্পর্কিত ব্লগ ব্যতিত), এরকম সময় ব্লগ টিউনে আপনার  চিন্তার ছাপ পড়াটাই স্বাভাবিক। ব্লগিং করা উচিৎ উৎফুল্ল মনে।
ব্লগ টিউনের জন্য শিরোনামতিন. ব্লগ টিউনের জন্য শিরোনাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ, একটি বিষয় আপনি আকর্ষণীয় শিরোনামে লেখার চেষ্টা করুন এতে করে পাঠক আপনার ব্লগের প্রতি আকৃষ্ট হবে ফলে আপনি নিয়মিত পাঠক পাবেন। তবে একেবারেই রসালো শিরোনাম লিখবেন না এতে করে চায়ে অতিরিক্ত চিনি মিশ্রণ করে শরবত তৈরি করার মতই হয়ে থাকে। পাঠক দেখল আপনি চা দিয়েছেন কিন্তু খেয়ে দেখলো শরবত, এতে করে পাঠক পাওয়ার চেয়ে হারাবেন বেশি।
চার. শুরুতেই আপনার নির্বাচিত বিষয়ের কিছু অংশ তুলে ধরুন যাতে করে আপনার ব্লগ টিউনের কিছু মুল অংশ প্রকাশ করে ফলে অলস পাঠক দু-এক লাইন পড়েই হারিয়ে না যায়। এক কথায় চেষ্টা করুন আকর্ষণীয় কিছু উপাদান রাখা বিস্তারিততে ঢালাওভাবে সব লিখুন তবে লিখার সময় মনে রাখবেন একই লেখা যেন বার বার না আসে, এতে পাঠক একঘেয়েমিতে পড়ে অন্য কোন টিউনে চলে যায়।
পাঁচ. অনেকেই অন্যের লেখা কপি-পেস্ট করে নিজের বলে চালিয়ে দেয় যা কখনোই করার চেষ্টা করবেন না। কারন ব্লগের মুল উপাদানই হচ্ছে মৌলিকতা আর তার সঠিক মান রক্ষায় গুগল সহ জনপ্রিয় সকল সার্চ ইঞ্জিন ব্লগের কোয়ালিটি র‍্যাঙ্ক করে থাকে মৌলিক লেখা ও ভিজিটরের উপর ভিত্তি করে। অন্যের ব্লগের লেখা যদি আপনি নিয়মিত চুরি করে প্রকাশ করেন তবে সার্চ ইঞ্জিন আপনার ব্লগকে কালো তালিকাভুক্ত করবে এবং কোন ভিজিটর পাঠাবেনা। তাই এই বিষয়টিতে লক্ষ্য রাখুন।
300-blogছয়. ব্লগের প্রতিটি লেখা কমপক্ষে ৩০০ শব্দের হওয়া বাঞ্ছনীয়, আপনি চাইলে বিস্তারিত তথ্য দিতে এর বেশিও লিখতে পারেন। অনেকেই বেশি লিখতে গিয়ে একই কথা বার বার বলে ফলে পাঠক বিরক্ত হয়। বড় লেখার চেয়ে মুল উপাদান ছোট, সুন্দর ও সুশৃঙ্খল ভাবে উপস্থাপনের গুরুত্ব অনেক বেশি।
সাত. ব্লগ টিউনের ভিতরের অংশে বা আপনার থিমের সাথে সর্বোচ্চ সম্পর্কযুক্ত জায়গায় অন্ততপক্ষে একটি ছবি যুক্ত করার চেষ্টা করুন। ছবিটি যেন অবশ্যই আপনার টিউনের সাথে সম্পর্কযুক্ত হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
আট. লেখা শেষ হওয়ার পরে আপনাকে ব্লগ টিউনটির জন্য সার্চ ইঞ্জিনের বুঝতে সহায়ক কিছু কিওয়ার্ড লিখতে হবে। আপনার প্রতিটি কিওয়ার্ড নিবন্ধটির সাথে সম্পর্কযুক্ত হতে হবে অর্থাৎ টিউনে আপনি যে ট্যাগগুলো দিবেন সে শব্দগুলো যেন আপনার মূল টিউনে থাকে এবং সম্পর্কযুক্ত হয়।
নয়. সব শেষে পুরো টিউনটি আপনি নিজে দু-বার পড়ে দেখুন আমরা যাকে বলি রিভিশন, ফলে টিউনের কোথাও বানান ভুল কিংবা লেখার কোথাও গড়মিল আছে কিনা তা ধরা পড়ে।

Level 2

আমি ওয়েব মাস্টার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 46 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।

আমি রাকিব। ভালো লাগে টেকটিউন কে ভালোবাসি বললে ভালো হয় , আর তাই বার বার ফিরে আসি। নতুন কে জানার টানে। নতুন কে জানানোর টানে।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস