ইউটিউবে ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইম ও ১০০০ সাবস্ক্রাইবার পাওয়ার সিক্রেট উপায়

সকলকে আমার পক্ষ হতে একরাশ শুভেচ্ছা রইল। আশা করি ভাল আছেন সবাই। যারা ইউটিউবিং করেন বা যারা এই জগতে নতুন এসেছেন তারা এখন কম বেশি সকলে বুঝে গেছেন ইউটিউবিং কাকে বলে এবং ইউটিউবিং করাটা এখন কতটা কঠিন। সম্প্রতি ইউটিউব তার কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের নিত্যনতুন নিয়মের বোঝা চাপিয়েই চলেছে। আগের মত ইউটিউবিং এখন আর ডাল ভাত নয়। এই তো কিছুদিন আগে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ তার হাঠাৎ করে ঘোঘণা করে বসে ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজড বা এডসেন্স এনাবল করতে হলে উক্ত চ্যানেলে লাইফটাইম ১০০০ ভিউ থাকতে হবে। এই ধাক্কা সামলে উঠতে না ‍ উঠতেই আগের নিয়ম বাতিল করে জানুয়ারী ১৭, ২০১৮ তে এসে ইউটিউব কর্তৃক্ষ নতুন ভাবে ঘোষণা দেয় এখন হতে ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে অংশ নিতে হলে আবেদনের তারিখ হতে বিগত এক বছরের মধ্যে অর্থাৎ ৩৬৫ দিনে চ্যানেলে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম ও ১০০০ সাবসক্রাইবার থাকতে। এবং যে সব  চ্যানেলে মনিটাইজেশন এনাবল রয়েছে তাদের জন্য আগামী ২০ শে February ২০১৮  পর্যন্ত সময় বেধে দিয়ে বলা হয়েছে যে, উক্ত সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ২০ শে February ২০১৭  ইং তারিখ হতে ২০শে February ২০১৮ এর মধ্যে যে সকল চ্যানেলে উক্ত ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইম এবং ১০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকবে কেবল তাদের মনিটাইজেশন এনাবল থাকবে আর বাদ বাকী চ্যানেলগুলোর মনিটাইজেশন সুবিধা কেড়ে নেওয়া হবে। এতে করে অনেকেই হয়তবা হতাশ হয়েছেন কিংবা ইউটিউবিং ছেড়ে দেবেন বলে ভাবছেন। কিন্তু  আমি বলব লেগে থাকুন। আসল মজাটা তো এখানেই শুরু। আপনি রোজ রোজ সকালে উঠে এডসেন্স লগইন করবেন আর দেখবেন তাতে আপনার ব্যালেন্স.০০৫ ডলার। এভাবে না দেখে একবারে ঘর গুছিয়ে নিয়ে আরনিং য়ের ব্যাপারটা মাথায় আনুন। দেখবেন সফলতা আসবেই। আজ আমি আপনাদের ইউটিউবে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইম ও ১০০০ সা্বস্ক্রাইবার কিছু কিলার টিপস বল যা আপনাকে আগে কেউ বলেনি। তার আগে আসুন জানি কেন YouTube এমন করে তার কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের উপর এমন চড়াও হল। আর এর কারনটা কি? তা না হলে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইম ও ১০০০ সাবস্ক্রা্ইবার পাওয়া সত্বেও ইউটিউব হতে আয়ের স্বপ্নটি আপনার নিকট অধরাই থেকে যাবে।

অনলাইনে আয়ের আশায় দিনকে দিন নতুন দের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর এই নতুনরাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঝুকে পড়ছে ইউটিউবের দিকে। যেন তেনভাবে কোন রকমের নিয়মের তোয়াক্কা না করে অন্যের মেক করা ভিডিও এডিট করে মানহীন ভিডিও আপলোড দিলেই হল আর শুরু হয়ে গেল ইনকাম। এতে করে কতকগুলো সমস্যা তৈরী হচ্ছিল। যেমন-

১। মুল কপিরাইট ওনারগণ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল।

২। মূল ধারার কন্টেন্ট ক্রিয়েটর যারা  ইউটিউবের অবিচ্ছেদ্য অংশ তারা রেভিনিউ লসের শিকার হচ্ছিল।

৩। ইউটিউবে মানহীন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছিল যারা ইউটিউবের নিকট জঞ্জাল হিসেবে আবির্ভুত।

৪। ইউটিউবের প্রাণ ভোমরা হল এর ভিউয়ার তারা ইউটিউবের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছিল। কারন আপননি যখন কোন ভিডিও দেখতে আসেন তখন কিন্তু এর টাইটেল দেখেই ইউটিউবে আসেন। টাইটেলের বিষয় একরকম আর কন্টেন্ট বা ভিডিও আর একরকম হলে নিশ্চয় আপনি আর এই ভিডিও দ্বিতীয়বার দেখতে আসবেন না।

৫। ইউটিউবের মূল চালিকা শক্তি অর্থাৎ অর্থের যোগান দাতা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনদাতা কোম্পানীগুলো যারা প্রতি দিন লক্ষ লক্ষ ডলার ব্যয় করে তাদের এড দিচ্ছিল তারা ইউটিউব এর নিকট হতে আশা অনুরুপ এড ইম্প্রেশন পাচ্ছিলনা। এর জন্য তারা ইউটিউব কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই মুল কারন হিসেবে দেখছিল।

অবশেষে ইউটিউব নড়েচড়ে বসে যখন একযোগে বিশ্বের বড় বড় বিজ্ঞাপনদাতা  কোম্পানীগুলো ইউটিউবকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয়  আর তা গার্ডিয়ান পত্রিকায় ফলাও করে প্রচার করা হয়। আর আল্টিমেটলি প্রথম কোপটা আসে এর কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের উপর। প্রথমে লাইফটাইম ১০০০০ হাজার ভিউ এর কথা বলা হলেও গত  ১৭ জানুয়ারী  তারিখ আসে চুড়ান্ত ঘোষনা। যাতে উপরের নিয়মটি ঘোষনা করা হয়। আসলে ইউটিউবের Echo System কে Healthy রাখতে এই ঘোষনাটি অবিসম্ভাবী হয়ে পড়েছিল। আপনারা হয়ত এখন ভাবছেন আমি এত কথা বলছি কেন। দেখুন আপনি যতই চ্যানেল টিকানোর জন্য ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম আর এক হাজার সাবসক্রাইবার ম্যানেজ করুন তাতেও আপনার ইউটিউব মনিটাইজেশন বাতিল হতে পারে যদি আপনি এই বিষয়গুলো ভালভাবে না বুঝেন, জানেন এবং সেই মোতাবেক কাজ না করেন। তার প্রমান দেখতে  এই লিংকটি থেকে একবার ঘুরে আসতে পারেন। আর ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম সেটা আপনি লেগে থাকলে অতি দ্রুত অর্জন করতে পারবেন। আর যারা ইউটিউবকে পার্ট টাইম কাজের ক্ষেত্রে বানাতে চেয়েছিলেন তাদের এখন হতে আর ইউটিউবে না থাকায় ভাল। আর ইউটিউবকে ধ্যান জ্ঞান মনে করেন বা করতে চান তাদের বলব আমার এই ভিডিও টি দেখুন, আপনার ভীতি দুর হবে আর আপনি আশার আলো দেখতে পাবেন।

আমার ইউটিউব লিংক= https://www.youtube.com/watch?v=GAv2VDkFBEI

আমাকে সাবসক্রাইব করুন= https://goo.gl/UEtTHz

Level 0

আমি গোলজার আলী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 15 টি টিউন ও 79 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।

আমি পেশায় একজন টিচার। লেখা আমার নেশা। লেখা নিয়েই থাকতে চাই। আমাকে নিচের ঠিকানায় পাবেন Website: http://infotechlife.com http://patroblogger.blogspot.com Facebook Page : http://www.facebook.com/goljar.ali Twitter : https://twitter.com/MdGoljarAli1 YouTube : http://www.youtube.com/goljar123


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস